![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ মুজতবা আলী লিখেছেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে এক বৎসর শান্তিনিকেতনে আমি ছিলুম এক ঘরের নিচের তলায়। সেখান থেকে মুখ বাড়ালেই দেখতে পেতুম, গুরুদেব তার জানালার পাশে বসে লেখাপড়া করছেন। সকাল চারটার সময় দু’ঘণ্টা উপাসনা করতেন। তারপর ছটার সময় স্কুলের ছেলেদের মত লেখাপড়া করতেন। সাতটা, আটটা, নটা তারপর দশ মিনিটের ফাঁকে জলখাবার।
আবার কাজ- দশটা, এগারোটা, বারোটা। তারপর খেয়েদেয়ে আধঘণ্টা বিশ্রাম। আবার লেখাপড়া; একটা, দুটো, তিনটে, চারটা, পাঁচটা- কাজ, কাজ, কাজ। পাঁচটা থেকে সাতটা ছেলেমেয়েদের গান শেখাতেন- বা দিনুবাবুর আসরে বসে গান শুনতেন, অথবা গল্প-সল্প করতেন। তারপর খাওয়া-দাওয়া সেরে আবার লেখাপড়া, মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান- আটটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত! কী অমানুষিক কাজ করার ক্ষমতা। আর কী অপরিসীম জ্ঞানতৃষ্ণা!...
শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরিতে অবসর সময়ে ক্যাটালগ তৈরি করতুম। তখন প্রতিদিন দেখতুম পাঠান্তে নতুন পুরাতন বই তিনি লাইব্রেরিতে ফেরত পাঠাতেন। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, নৃতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, দর্শন, কাব্য, কত বলব। এমন বিষয় নেই যাতে তার অনুসন্ধিৎসা ছিল না।
এদিক দিয়ে তিনি ছিলেন আজীবন জ্ঞান-সাধক।…’
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
গুরুর শিষ্য বলেছেন: হ্যাঁ এমনি এমনি তিনি বাংলা সাহিত্যের রবি হননি...
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
আহা রুবন বলেছেন: ফুলের বাগানও করতেন। একবার গান্ধীজী বেড়াতে এসেছেন। এক সকালে দেখলেন গান্ধীজী তার সাধের ফুল গাছ সব তুলে জমা করেছেন। কবি হতভম্ব! তাকে দেখে গান্ধি হেসে বললেন, আপনার আশ্রমের ছেলেদের সবজির ব্যবস্থা করছি। ফুল গাছের চেয়ে তরি-তরকারি এদের বেশি প্রয়োজন। কবি বললেন, এটা আগে মাথায় আসেনি। শেখার, জানার অদম্য স্পৃহা এমন ক-জনার থাকে? ও জায়গায় আমরা থাকলে কী করতাম?
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আসলেই বিশ্বজোড়া পাঠশালা তার সবার তিনি ছাত্র...
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
প্রামানিক বলেছেন: লেখাপড়া করার কারণেই উনি গুরুদেব নইলে অন্য কোন উপাধি হতো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই...
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
মেহেদী রবিন বলেছেন: শুধু শুধু গুরুদেব !