নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশিক মাহমুদ! আমার প্রকৃত নাম।লেখার আগ্রহ অনেক বেশি।ফেসবুকে আমার আইডি http://facebook.com/mahmudashikea

নিরীহ বাঙালি

লেখার আগ্রহ আনেক সত্ত্বের পথে লিখে যাব। ভালো লিখলে মন্তব্য জানাবেন আশাকরি। আমাকে না জানিয়ে আমার লেখা কপি করা যাবে না বা অন্য কোথাও প্রকাশ করাও যাবে না।

নিরীহ বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেক আইডিতে বাবা ও মেয়ের

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

মিথিলা সালমান আহমেদের একমাত্র মেয়ে।

ধনী ব্যবসায়ীর একমাত্র মেয়ে হিসাবে এলিট

সোসাইটিতে তার বেড়ে উঠা।



কলেজের মর্ডান মেয়েরা তার বান্ধবী।

একদিন বান্ধবীদের অনুরোধে

মিথিলা ছদ্মনামে ফেসবুকে আইডি খোলে।

প্রোফাইল পিকচার দেয় ক্যাটরিনা কাইফের।



লক্ষ্য একটাই, কোন হ্যান্ডসাম ফ্রেন্ড

জোগাড় করে চ্যাটিং এ প্রেম করা।



একদিন শাহরুখ খানের প্রোফাইল পিকচার

এবং নাম দেয়া একটা ফ্রেন্ড রিকু আসে।

প্রোফাইলটা দেখে মিথিলার পছন্দ হয়

এবং একসেপ্ট করে। সাথে সাথে ইনবক্সে

ছোট্ট একটা ম্যাসেজ,



"বন্ধু করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ!

সারাটি জীবন পাশে থেকো।

মিথিলার তাকে পছন্দ হলো।

এই কথা সেই কথায়

ইনবক্স ভারী হতে লাগলো।

দিনের পর দিন রাতের পর রাত

ঈশিতা হল মিথিরার

ছদ্মনাম

আর শাহরুখ হল সালমান

আহাম্মেদের ছদ্ধনাম ধারী

ঈশিতা এবং শাহারুখ খানেঁর

অর্তাৎ বাবা মেয়ের

মিথিলা ও সালমানের

সাথে চ্যাটিং করে চলেছে।



কোন বাধা আসেনা পরিবার

থেকে কারণ,মিথিলার

বাবা মাও সেই তথাকথিত

মর্ডান।



প্রতিদিনই শাহরুখ

ঈশিতার ছবি চায়।

কিন্তু মিথিলা দেয়না।

মিথিলা বলে,



তাদের চ্যাটিং এর একশত তম দিন

মিথিলা তার

ছবি আপলোড করবে।

একশত তম দিন আসার পূর্বে

তাদের চ্যাটিং প্রেম গভীর

থেকে

আরো গভীর হতে থাকে।



সারা রাত

জেগে হাজারো রোমান্টিক

কথার ফুলঝুড়িতে সাজতে থাকে

দুজনেরই ইনবক্স গুলো।



অবশেষে এলো সে কাঙ্খিত

মুহুর্তটি।

একশত তম দিনটি ঢুকতেই

ঠিক রাত বারোটায়

দুজনেই ছবি উঠিয়ে নিলো।

ঈশিতা একটু খোলামেলা

পোষাকেই ছবি উঠালো।

সিদ্ধান্ত নিলো ঠিক

বারোটা দশে

দুজনে একসাথেই

ইনবক্সে ছবি পাঠাবে।

সময়টা বারোটা দশ।

ঈশিতার ছবি সেন্ড

হতে না হতেই 1

ম্যাসেজ পেলো।



দুরুদুরু বুকে ইমেজটা

ওপেন করতেই মিথিলা নিজেকে

এবং নিজের চোখকে বিশ্বাসই

করতে পারছিলনা।. . . . .

এই সে কাকে দেখছে!

নিজের জন্মদাতা পিতা

সালমান আহমেদ!!



মিথিলার পৃথিবীটা ক্রমশই

ছোট হয়ে আসছে।

নিঃশ্বাস নিতে খুবি কষ্ট

হচ্ছে।



এবার তার চিন্তা চেতনায় শুধু

একটাই সিদ্ধান্ত "মৃত্যুবরণ"!

"যে ওড়নাটা বুক থেকে সরিয়ে

ছবি উঠিয়ে আপলোড করেছে

সে ওড়নাতেই গলায় ফাঁস

লাগিয়ে

মিথিলা তার জীবনের

ইতি টেনে নিল।



এটা সেই গল্প!

যে গল্প ফেক আইডিতে

প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে

হাজারো মিথিলা এবং সালমান

আহমেদদের জীবনে।

এই দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে

আমাদেরই সমাজে।

কেবল মাত্র নৈতিকতার

বিপর্যয়ের ফলে।



তাই একবার ভাবুন!

"আপনার ফেসবুকিং

আপনাকে জাহান্নামের

পথে হাকিয়ে নিচ্ছে না তো?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.