![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার আগ্রহ আনেক সত্ত্বের পথে লিখে যাব। ভালো লিখলে মন্তব্য জানাবেন আশাকরি। আমাকে না জানিয়ে আমার লেখা কপি করা যাবে না বা অন্য কোথাও প্রকাশ করাও যাবে না।
আমি তখন ছোট। একদিন চাচা ধরল!
চাচা ধরলে আর ছাড়েনা। বল তোর
মায়ের সম্পর্কে ১০ টা লাইন বল...
আমি আমতা আমতা করে বলা শুরু করলাম!
আম্মা সকালে খাবার দেয়।
আম্মা দুপুরে খাবার দেয়।
আম্মা রাতে খাবার দেয়।
আমি চুপ, চাচা অবাক!
শুধু খাবার দেয়আর কিছু করেনা?
ঝাড়ি দিল চাচা?
সেই ঝাড়িতে মনে পড়ল
আম্মা আমাকে ঝাড়ি দেয়না,
মারেনা।
আমি বললাম,
আম্মা খুব ভাল, মারেনা।
এইটা শুনে চাচা বিশাল
এক ধমক দিল! চাচার ধমক
খেয়ে আমি গিয়ে আম্মার
কাছে লুকাইলাম।
আম্মা চাচাকে ইচ্ছামত বকা দিল।
চাচা বলল,
মাকে নিয়ে ১০ টা লাইন
বলতে পারিস না আবার
ঝাড়ি খাবার ভয়ে মায়ের
কাছেই লুকায় থাকিস,
লজ্জা করেনা?
আমি এখন বড় হইছি।
এখন হয়তো মাকে নিয়ে লিখতে
বসলে ১০ টার জায়গায় ১০০
টা লাইন লিখতে পারবো। কিন্তু
বাকি থেকে যাবে আরো হাজার
হাজার লাইন।
আর ঐ লাইনগুলোতেই আছে সন্তান
জন্মদান থেকে শুরু করে তাকে
লালন-পালন করতে গিয়ে একজন মায়ের
অবর্ণনীয় কষ্ট করার কথা।
ওগুলো মায়েরা আমাদের
বুঝতে দেয়না। এমনকি মায়েরা কখনো
আশাও করেনা সন্তান তাঁর
কষ্টগুলো জেনে কষ্ট পাক।
চাচার ঐ দিনের ঐ ঝাড়ির কথা মনে
পড়ে। মা সম্পর্কে বলতে না পেরেও
মায়ের কাছেই সাপোর্ট নিতে তাঁর
কোলে লুকাইছি।
মায়েরা এরকমই হয়!
এক মা দিবসে তাঁকে নিয়ে লিখলে
কি আর না লিখলেই বা কি!
সে অন্য গ্রহের মানুষ,
সন্তানকে সাপোর্ট
দিবেই!
©somewhere in net ltd.