![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০ বছরেরও অধিক পুরোনো অামাদের সবার প্রিয় ইত্যাদি হয়তো এখন অার সবার দেখা হয় না।ছোটবেলা থেকে দেখে অাসা যে প্রোগ্রামে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়কে বিনোদন অাকারে দেখানো হয়।এইবারের ঈদের ২য় দিনে দেখানো ইত্যাদির এই পর্বটা দেখা হয়নি অামার।গতকাল রাতে ইউটিউবে দেখছিলাম রেকর্ডে ধারণকৃত ইত্যাদির সেই পর্বটি।১ ঘন্টা ৭ মিনিটের ধারণকৃত সেই পর্বে একেবারে শেষদিকে এসে চোখ অাটকে গেল একটি প্রতিবেদন দেখে।যেখানে দেখানো হল চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চার অন্ধ প্রতিবন্ধী মেয়ের কৃতিত্ব নিয়ে।পরিবারের ৫ ভাইবোনের মধ্যে যাদের ৪বোনই অন্ধ।তাদেরই সবাই কিনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ৪ বোনের ৩ বোনই নিজ গ্রামে খুব সুস্হ মানুষের মতই ব্রেইল পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষকতা করছেন!!!অার অন্যজন বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন!!
উপরিউল্লিখিত প্রতিবেদনটি দেখে আমার মনে পড়ে গেল ২০১০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্টের দিনের একটি ঘটনার কথা।অামি
যেই স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলেই পড়ত এই ধরণেরই একজন অন্ধপ্রতিবন্ধী ছেলে।৮ম শ্রেণি পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই অন্ধদের স্কুলে পড়ে আসলেও এর বেশি ক্লাস তাদের স্কুলে না থাকায় ধনীর দুলালের সেই ছেলেটি চেয়েছিল চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হতে।সেই তদবিরটাই নিয়ে তার বাবা গিয়েছিল কলেজিয়েটের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব আজিজ উদ্দীনের কাছে।আজিজ স্যার নাকি বলেছিলেন একজন অন্ধকে তাদের স্কুলে ভর্তি করলে স্কুলের নাম খারাপ হয়ে যাবে।সবাই বলবে প্রতিবন্ধী পড়ানো হয় এই স্কুলে।পরবর্তীতে তার এই "অবহেলার জবাব দিয়েছে রাব্বি" শিরোনামের ২০১০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্টের পরের দিন একটা প্রতিবেদন ছাপে দেশের শীর্ষ স্হানীয় জনপ্রিয় দৈনিক "প্রথম আলো"।http://epaper.prothom-alo.com/…/singleAr…/2010_05_16_24_5_b…
তা অবহেলার জবাবটা অাসলে কী ধরণের ছিল?
হ্যাঁ সেটা ছিল রেকর্ড গড়া একটি সাফল্যের কাহিনী।সারা দেশের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাসে যেটি ছিল দেশকে কাপিয়ে দেওয়ার একটি প্রারম্ভ মাত্র।২০১০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডের অাওয়াতায় মানবিক বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয় তৌফাতুর রাব্বি পিয়াল নামের ছেলেটি।সেসময়ে বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের সব কটা জাতীয় দৈনিকে তার এই কৃতিত্ব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।চট্টগ্রামের স্হানীয় দৈনিক অাজাদী,পূর্বকোণ,চট্টগ্রাম মন্ঞেও অামরা তাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপতে দেখি।উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয় চট্টগ্রাম কলেজে।
পরবর্তীতে ২০১২ তে উচ্চ মাধ্যমিকেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে ১ম বারেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে চান্স পায়।তার এই সাফল্যের স্বীকৃতিতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কোন এক সংস্থা ২৫০০ বই প্রদান করে।যা।পরবর্তীতে সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্হাগ্রারে দান করে দেয়।এই বিষয়ে ২০১৪ এর ডিসেম্বরের দিকে যতটুকু মনে করতে পারি 'Chittagong University News'- একটি লেখা পোস্ট করে তাদের পেইজে।শুধু কী তাই?তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে ষষ্ট কি সপ্তম শ্রেণীর 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' বিষয়ের প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক কোন এক অধ্যায়ে প্রতিবন্ধীদের সাফল্য নিয়ে।
প্রতিবন্ধীত্বের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এত এত সাফল্যে শুধু একটা কথাই এখন মনে হচ্ছে আমার,
"অদম্য ইচ্ছার উপায় নিশ্চয়ই একটা কিছু হয়।"
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
নিঃসঙ্গ একাকী মানব বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
নিঃসঙ্গ একাকী মানব বলেছেন: প্রথম অালোর লিংকটা দেওয়া হল এখানে Click This Link.
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৫
দেহ হীন মন বলেছেন: আসলেই ভাই।।।কথাটা মনে রেখে সবারই সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
নিঃসঙ্গ একাকী মানব বলেছেন: জ্বী নিশ্চয়ই ধন্যবাদ
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই। অদম্য ইচ্ছা মানুষের সাফল্যের চাবিকাঠি।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
নিঃসঙ্গ একাকী মানব বলেছেন: জ্বী নিশ্চয়ই
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১২
shrminmila বলেছেন: প্রতিবন্ধিদের দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে NGO & Government দের এগিয়ে আসতে হবে#
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৬
নিঃসঙ্গ একাকী মানব বলেছেন: জ্বী নিশ্চয়ই ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো...