![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকালকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রথম অালোর বন্ধুসভা কর্তৃক অায়োজিত "ক্যারিয়ার অাড্ডা সিজন-২" অনুষ্ঠানে অাগত প্রধান বক্তাদের অন্যতম ছিলেন অাইন অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড.অাবু নোমান স্যার।তার বক্তৃতার অন্যতম একটি অংশ এখানে উল্লেখ না করলেই নয় যেটি হলো...
চট্টগ্রামের একজন ছাত্র যে কিনা একই সাথে একটি সরকারী মেডিকেল এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন অার্টসে(চারুকলা)য় চান্স পায়।অন্য অার দশজন মা বাবার মত তার মা/বাবাও চাইল ছেলে ডাক্তার হোক কারণ তাতে তো রয়েছে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা...অন্য দিকে ছেলের ইচ্ছা চারুকলা নিয়ে পড়াশোনাটা করবে।শেষ পর্যন্ত সে চারুকলা নিয়েই পড়াশোনাটা শেষ করল।যাঁর অাঁকা ছবি কিনা পরবর্তীতে ইউরোপের ৩টি অার্ট গ্যালারীতে প্রদর্শিত হয়।
ঘটনাটি শুনে অামার হুমায়ূন স্যারের কথা মনে পড়ল.. যিনি কিনা কর্কট রোগে অাক্রান্ত হয়ে যখন অামেরিকায় ক্যামোথেরাপি নিতে গেলেন...এবং ডাক্তাররা যখন জানতে পারলেন ইনি বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত লেখক তখন ডাক্তাররা জানতে চাইলেন উনি কী নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং পেশাগতভাবে অাসলে কী ছিলেন?পরে যখন জানলেন উনি পলিমার ক্যামিস্ট্রিতে পিএইচডি করে পরে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে রসায়ন বিভাগে কিছুকাল অধ্যাপনা করেছিলেন তখন তারা বল ল "অাপনি তো একজন ক্যামিস্ট হলেও পারতেন?"
কথাটি শুনে উনার উত্তরটি ছিল এমন "ক্যামিস্ট তো পৃথিবীতে অনেকেই হতে পারে,কিন্তু একজন ভাল লেখকের সংখ্যা পৃথিবীতে কয়টায় বা অাছে?"
উপরোক্ত দুইটা ঘটনা থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে..
পৃথিবীর নির্মম বাস্তবতাটাই মনে হয় এমনই যেখানে কিনা অন্যের ভ্রুকুটিকে মেনে না নেওয়ার অক্ষমতা থেকেই অামরা স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দেই অথচ অনেক সময় স্রোতের বিপরীতে গিয়েও যে দারুণ কিছু করা যায় তা যেন অামরা অনেকেই দেখেও যেন না দেখার ভান করি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
বাকরখানি বলেছেন: বন্দুসবা
খ্যাঁক, খ্যাঁক।