![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
ব্যস্ত শব্দটা কারণে অকারণে ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণে ব্যবহার হয় বলতে কিছু মানুষ সত্যিই ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন কাজে আর অকারণে ব্যবহার হয় বলতে কিছু মানুষ ব্যস্ত শব্দটাকে ব্যবহার করে অন্যকে এড়িয়ে যেতে; অন্যের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চেষ্টা করতে।
আপনি এরকম ব্যস্ত কখনোই হতে পারেন না বা পারবেন না, যে অন্যকে পাঁচ মিনিট দেয়ার মত সময় আপনার হাতে নেই। চেষ্টা করেই দেখুন পারবেন না। সারাদিন টেনেটুনে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে পার করলেও সন্ধ্যার সময় মনে হবে, ‘ইস চায়ের টঙে বসে কাছের মানুষ/বন্ধুটার সাথে যদি অন্তত পাঁচ মিনিট গল্প করতে পারতাম! ভালো লাগতো’। এই সন্ধ্যার সময়টা কাউকে না পাওয়ার জন্যই আপনার সারা দিনটা তেতো মনে হবে। পরের দিন অফিস যেতে ইচ্ছা করবে না। তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে! আসলে অন্তত পাঁচ মিনিট হলেও সময়টা আপনার কাছে আছে কিন্তু সেই সময়টা দেয়ার মতন মানুষ আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না। এটাই সত্যি। আবার উল্টাটাও তেমনি সত্যি, আপনি যার কাছে সময় চাচ্ছেন সে আপনাকে শুধু ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে। সব চিন্তা ফেলে, একবার ভেবে দেখুন সময়টা তার কাছে চাওয়াটা ঠিক হচ্ছে কিনা।
প্রত্যেক উপন্যাস/সিনেমাতে দেখবেন, লেখক/পরিচালক নায়ককে দিয়ে কত অসাধ্য সাধনই না করান। ভিলেন কে মেরে থেঁতলে দেন, বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেন সমাজে। কিন্তু দিন শেষে নায়িকার কাছে ফিরে যেতেই হয় নায়ককে কারণ এটাই যে শত ব্যস্ততার পরও সময় কাওকে দিতেই হয়।
থাকুন আপনি আপনার মিথ্যা ব্যস্ততা নিয়ে। অনর্থক মিথ্যা বলার দরকার কি?? দিন শেষে এরকম আশ্বাস আপনি নিজেও পাবেন। আজ না হয় কাল। প্রকৃতি তো সাম্যাবস্থায় থাকে তাইনা??
সমাপ্ত
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
ওয়াসিম-উল বারী (খান) বলেছেন: হুম সত্য আমরা আসলে দৈনন্দিন তাই করছি। অহেতুক এসব মিথ্যা কথা। আসল বিষয়টা হচ্ছে প্রায়রিটির, আর কিছুই না।