![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক রাজনীতি, সমাজ এবং গনমাধ্যম সম্পর্কে বকবকানি
চট্টগ্রাম অফিস চট্টগ্রামে ছাত্রাবাস হিসেবে পরিচালিত জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি থেকে বেশকিছু পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারম্নদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে জামায়াতপন্থী ভবন মালিকসহ ১২ শিবির ক্যাডারকে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরনো এ ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হলেও মৌলবাদী জামায়াত-শিবির এটিকে ছাত্রাবাসের আড়ালে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। নগরীর আগ্রাবাদের মিস্ত্রিপাড়ায় চারতলা বিশিষ্ট হক ভিলা নামের একটি ভবনের দু'টি ফ্যাটে সিএমপির ডবলমুরিং থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রধারী জামায়াত-শিবিরের এসব ক্যাডারকে গ্রেফতার করতে স?ম হয়েছে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে জামায়াত-শিবির নগরীতে বি?োভ মিছিল ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
ডবলমুরিং পুলিশ জানায়, রবিবার রাত প্রায় ১টার দিকে ডবলমুরিং জোনের এসি এসএম তানভীর ও অফিস ইনচার্জ একেএম মঞ্জুরম্নল হকসহ পুলিশের বড় একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে হক ভিলার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় চিরম্ননি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দ্বিতীয় তলা থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪র্থ তলা থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারম্নদের মধ্যে রয়েছে ৪টি পয়েন্ট টু-টু বোরের রিভলবার ও ৩টি দেশীয় এলজি, ১২টি রিভলবারের গুলি, ১১টি কার্তুজ ও ১৪টি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি।
এ ঘটনায় দ্বিতীয় তলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ১০ শিবির ক্যাডারকে। গ্রেফতারকৃত শিবির ক্যাডাররা হলোথ মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র একরামুল হক (১৯), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের গণিত বিভাগের ছাত্র শহীদ আল আমিন (২৮), বিজিসি ট্রাস্ট ইউনির্ভাসিটির ব্যবস্খাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমান (১৯), মোসত্মাফিজুর রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে বিকম পাস করা ছাত্র জহির উদ্দিন বাবর (২৩), আল জাবের ইনস্টিটিউটের এসএসসি পরী?ার্থী লুৎফর রহমান, বাইতুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার ছাত্র মহি উদ্দিন (২০), জাহেদ মুনতাসির (১৭), রফিকুল হোসেন (১৮), আরিফ হোসেন (১৭), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ (অনার্স) শি?ার্থী মঞ্জুর আলম (২০)। এ ছাড়াও বাড়ির মালিক জামায়াতপন্থী ও বিএমএ'র চট্টগ্রাম শাখার সদস্য ডা. একরামুল হক এবং তার সর্বকনিষ্ঠ পুত্র চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র গোলাম আজমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, রাতে এ অভিযান ও গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনার পর বিভিন্ন দিক থেকে তদ্বির শুরম্ন হয়েছে। জামায়াত শিবির ছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দও দফায় দফায় থানায় অনাকাঙ্?িত ও অবৈধ চাপ সৃষ্টি করে। দুপুর ১টায় ডবলমুরিং থানার ওসিকে বিএমএ'র সাবেক সেক্রেটারি ডাঃ আবু নাসের আসামিদেরকে কোন প্রকার নির্যাতন না করার অনুরোধ জানান। সকাল থেকে ডবল মুরিং থানার চারপাশে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা জমায়েত হয়ে মহড়া প্রদান শুরম্ন করে। এদের মধ্য থেকে দফায় দফায় সদস্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে থানাকে ম্যানেজসহ থানা হেফাজতে থাকা আসামিদের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দিতে অনেকটা চাপ সৃষ্টি করে রাখে ।
অভিযানে সম্পৃক্ত ছিলেন পুলিশের এমন এক সদস্য জানান, দ্বিতীয় তলাটি আবাসিক ভবন হিসেবে পরিত্যক্ত হলেও শিবিরের অনেক ক্যাডার সেখানে আসত্মানা গেড়ে বসে। ঐ ফ্যাটের বাথরম্নমের পরিত্যক্ত লোডাউন, ভেন্টিলেটর, বেসিন ও রান্নাঘরের শিক থেকে ৩টি রিভলবার ও ৩টি এলজি উদ্ধার করা হয়। মেঝেতে পাতানো তোশকের নিচ থেকে গোলাবারম্নদ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, ভবন মালিক ডাঃ একরামের চতুর্থতলার পুত্রের আবাসস্খলের ওয়াশিং মেশিনের ভেতর থেকে একটি পিসত্মল পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি আগ্নেয়াস্ত্র সচল এবং তেল মবিল দিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে রাখা হয়েছে।
অভিযানের পর থানা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বিএমএ'র সাবেক সেক্রেটারি ডা. আবু নাসের ওসির ক?ে বসে নানাভাবে নিজের পরিচয় তুলে ধরে তদ্বির করছেন। দীর্ঘ প্রায় ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে এ নেতা ওসির ক?ে অবস্খান নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার পাশাপাশি সংবাদিকদেরও এ বিষয়ে নিউজ না ছাপাতে অন্যায় আবদার চালান। শুধু তাই নয়, একটি চ্যানেলের এক সাংবাদিককে অস্ত্র ও আসামিদের ছবি তুলে কি লাভ বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এ সময় বিএমএ'র বেশ কয়েক ডাক্তার থানা কম্পাউন্ডে অবস্খান নিয়ে অন্যদেরও তদ্বিরের জন্য থানায় জমায়েত হতে অনুরোধ করতে দেখা যায়। থানা কম্পাউন্ডে অবস্খানরত বিএমএ'র এসব নেতা থানা হাজতে থাকা আসামি বিশেষ করে ডা. একরামুল হককে শীতের চাদর ও মাফলার পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান। শুধু তাই নয়, জামায়াতপন্থী এ ডাক্তারকেসহ শিবির ক্যাডারদের যাতে কোনপ্রকার নির্যাতন চালানো না হয় সে বিষয়ে প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যদের বলতে দেখা যায়।
অপরদিকে, এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চারতলা ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয়তলা চট্টগ্রাম আনত্মর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জামায়াতপন্থী ওবায়দুলস্নাহ ও তৃতীয় ও চতুর্থতলা বিএমএ সদস্য ও জামায়াতপন্থী ডা. একরামুল হকের। এরা দু'জন এক সময় বন্ধু ছিলেন। যৌথভাবে ভূমি ক্রয়ের মাধ্যমে এ ভবন নির্মাণ করলেও আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহারের উপযোগিতা হারানোর কারণে ছাত্রাবাস হিসেবে ভাড়া দেয়া হয়েছে দ্বিতীয়তলা। চতুর্থতলায় ভবন মালিক ডাক্তারের বড় ছেলে ও কনিষ্ঠ ছেলে বসবাস করত। ডা. সপরিবারে তৃতীয়তলায় থাকতেন।
সকাল থেকে বিষয়টি লোকমুখে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে শিবিরকেন্দ্রিক শি?া প্রতিষ্ঠানগুলোসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির ক্যাডাররা নগরীর মুসলিম হলের সামনে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে শিবিরের দেড় শতাধিক কর্মী ও ক্যাডার অস্ত্রসহ ধরাপড়া শিবির ক্যাডারদের ছেড়ে দিতে বি?োভ মিছিল সহকারে নগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ সড়ক প্রদ?িণ শেষে চট্টগ্রাম প্রেসকাব চত্বরে অবস্খান নেয়। এ সময় শিবির ক্যাডাররা সেস্নাগান দিতে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্তভাবে ছেড়ে দেয়াসহ কোন প্রকার হয়রানি করা হলে মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়। বি?োভকারীরা প্রেসকাব চত্বরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করেও সেস্নাগান দেয়। এ খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিস ইনচার্জ মহিউদ্দিন আহমদ ও এসআই মহসিনের নেতৃত্বে একটি টিম প্রেসকাব চত্বরে এসে পৌঁছলে শিবির ক্যাডাররা স্খান ত্যাগ করে। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসকাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুলস্নাহ আল নোমানের একটি অনুষ্ঠান থাকায় নোমানপন্থী অনেক সমর্থকও এ বি?োভ মিছিলে অংশ নেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মেহেরপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের কার্যালয়ে (মেহেরপুর কলেজ রোড় স্বপ্নায়ন ভবন) মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের এনডিসি অবিদিও মার্ডির নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একটি দেশী তৈরি শাটারগানসহ বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে এসআই কামাল বলেন অবৈধ প্রসাধনী সামগ্রী দেখে আমরা অবাক হচ্ছি। তদনত্মসাপে?ে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে ছাত্রশিবিরের ঐ অফিসটি সিলগালা করা হয়েছে।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০১
নস্টালজিক বলেছেন: দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হোক।।
সহমত।।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৩
আঁতেল বলেছেন: যেকোনো পলিটিক্যাল লেখা হলেই কইষ্যা মাইনাচ
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৭
টুটুল বরকত বলেছেন: সারাদেশের দরকার নেই ।
আপাতত চবি,শাবি,রাবি ,চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ ও তার আশেপাশের ম্যাচ,গ্রামগুলো যাত্রাবাড়ির রাজাকার গলি , মগবাজার ছাগুর খোয়াড়ে হলেই চলবে ।
আর বিদেশের ছাগুদের পাসপোর্ট বাতিল করলেই চলবে ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬
বিপরীত স্রোত বলেছেন: একমত
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৭
হিমু ব্রাউন বলেছেন: comment by: নস্টালজিক বলেছেন: দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হোক।।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৯
ফালতু মিয়া বলেছেন: মারামারি কাটাকাটিতে বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগও তো কম না, এদের সাথে সাথে ছাত্রলীগকেও তো ব্যান করা দরকার -নাকি?
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৩
দমকা হাওয়া বলেছেন: ছাত্রলীগের মহান নেতারা দেশের পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে যা করছে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়!!! ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় লিডাররা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করছে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়!!! এইসব সন্ত্রাসী দেশদ্রোহী ভুয়া সকল ক্যাডারদের ধরতে শুধু পুলিশ নয়, র্যাব, আর্মি, সকলেরই অভিযান জোরদার করা উচিৎ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৪
বিপরীত স্রোত বলেছেন: ছাত্রলীগ ভালা তারা মাসুম একথা কেউ বলছে ? অযথা কথা ঘুরানোর চেষ্টা করতেছেন কেন ?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫
বিপরীত স্রোত বলেছেন: ছাত্রলীগ ভালা তারা মাসুম একথা কেউ বলছে ? অযথা কথা ঘুরানোর চেষ্টা করতেছেন কেন ?
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৯
রশিক রশীদ বলেছেন: শিবির ও কুকুর হইতে সাবধান ! দুইটাই সমান ক্ষতিকর।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩১
জাগরূ৪৯ বলেছেন: দমকা হাওয়া বলেছেন: ছাত্রলীগের মহান নেতারা দেশের পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে যা করছে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়!!! ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় লিডাররা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করছে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়!!! এইসব সন্ত্রাসী দেশদ্রোহী ভুয়া সকল ক্যাডারদের ধরতে শুধু পুলিশ নয়, র্যাব, আর্মি, সকলেরই অভিযান জোরদার করা উচিৎ।
খাটি কথা।
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪২
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: রশিক রশীদ বলেছেন: শিবির ও কুকুর হইতে সাবধান ! দুইটাই সমান ক্ষতিকর।
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬
আমি মদন বলেছেন: শিবিরের পোলাপানের উপর নজর বেশি না দিয়া নিজামী মুজাহিদীর মত শয়তানগুলিকে শিঘ্রই খতম করা উচিত।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭
বিপরীত স্রোত বলেছেন: সেতো ছাগুদের গডফাদার
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮
রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: শিবিরের বিরুদ্ধে সকল অভিযান জোরদার করা হোক
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০০
ওরাকল বলেছেন: ছাত্র লীগ/দল আর শিবির কারো চাইতে কেউ কম নয় অন্তত অস্ত্রসম্ভারের দিক দিয়ে - এটা আমি আপনি সহ দেশের সবাই জানে অথচ আপনি শুধু শিবির ধরতে চাইছেন !
এরকম নিঃলজ্জ তোসামোদি ব্লগারদের কাছে কাম্ম নয় । তোসামোদি ছেড়ে নিরপেক্ষ ভাবে ভাবতে শিখুন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিপরীত স্রোত বলেছেন: এদেশে প্রত্যেকটা ছাত্র সংগঠনে পচন ধরছে ছাত্রশিবির নিয়ে পোষ্ট দিলাম একারনে কারণ ব্লগে আমি কখনও দেখি না ছাত্রদল কিংবা ছাত্রলীগের পুলাপাইনগণ আমারা পাক পবিত্র ফেরেশতা বলে শিবিরের ছাগুদের মতো চেমামেছি করে
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৬
চিটির বাক্স বলেছেন: তোসামোদি ছাড়েন, শুধু শিবির কেন? ছাত্রলীগ-দলের এর সোনার ছেলেরা কি করতেছে তা তো দিবালোকের মত পরিস্কার।
অভিযান চালালে ছাত্রলীগ-দল ও শিবির সবার জন্য সমানে চালানো উচিত।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১
বিপরীত স্রোত বলেছেন: প্রত্যেকটা ছাত্র সংগঠনে পচন ধরছে ছাত্রশিবির নিয়ে পোষ্ট দিলাম একারনে কারণ ব্লগে আমি কখনও দেখি না ছাত্রদল কিংবা ছাত্রলীগের পুলাপাইনগণ আমারা পাক পবিত্র ফেরেশতা বলে শিবিরের ছাগুদের মতো চেমামেছি করে
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৭
নষ্ট ছেলে বলেছেন: দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হোক।
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫
সুভ্র বলেছেন: চট্টগ্রামে শিবির অফিসে অস্ত্র উদ্ধারের পরিকল্পিত অভিযান
ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম অফিস : ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণের অফিস ও মেসে ছাত্রলীগ ক্যাডার ও একাধিক মামলার আসামীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিকল্পিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল। এলাকাবাসীরা জানায়, ঘুম থেকে তাদের ১২ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ৭টি অস্ত্র ও গুলীসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে থানায় মামলা নথিভুক্ত করে। গ্রেফতারকৃতরা চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন মেডিকেল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং একজন চট্টগ্রামের সুনামধন্য চিকিৎসক। ছাত্রশিবির গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন বলে উল্লেখ করেন। এতে বলা হয়, শিবিরের অফিসে বা মেস থেকে কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পুলিশ বাইরে থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে নীরিহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- একরামুল হক (১৯), মহিউদ্দিন (২০), সৈয়দ আল-আমিন মাহমুদ (২৪), মিজানুর রহমান (১৯), জহির উদ্দিন বাবর (২৩), লুৎফর রহমান (১৬), জাহেদ মুন তাসির (১৭), মো. রকিবুল হোসাইন (১৮), আরিফ হোসেন (১৭), মঞ্জুর আলম (২০), গোলাম আজম আববাসী (১৬), ডা. মো. একরামুল হক (৬৪)।
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেফতারকৃদের বসবাসরত মেস ও বাসার দ্বিতীয় তলা এবং চতুর্থ তলায় তল্লাশী চালিয়ে ৪টি রিভলবার, ৩টি দেশীয় তৈরি এলজি, বন্দুকের ১১ রাউন্ড কার্তুজ, রিভলবারের ২২টি গুলীসহ ৩৭ রাউন্ড গুলী উদ্ধার করে।
গতকাল সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিং করে। এতে উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) কুসুম দেওয়ান ও ডবলমুরিং থানা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তানভীর আহমদ দাবি করেন, ডবলমুরিং থানাধীন মিস্ত্রী পাড়ার একটি বিল্ডিংয়ে কয়েকজন ছাত্র অস্ত্রসহ অবস্থান করছে এ তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে অভিযান চালায় ১৭ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে। এ সময় বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশী করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ও ১৯ (চ) ধারায় ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি বন্দর কুসুম দেওয়ান বলেন, কোন দলের অস্ত্র তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে এখন না। তিনি বলেন, অভিযানের সময় দুটি অস্ত্র বাথরুমের সিস্টার্ন খুলে এবং আরও দুটি ওয়াশিং মেশিনের ভেতর থেকে পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, পুলিশ রাত ১২টার দিকে অতর্কিতে অভিযান চালায়। এ সময় ছাত্ররা প্রায় ঘুমিয়ে ছিল। পুলিশ একতলায় অভিযান চালিয়ে কিছু পায়নি। এরপর একে একে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত অভিযান চালায়। এ সময় মেসের ছাত্রদের একরুমে আটকে রাখে। পরে বাথরুমের সিস্টার্ন ও ওয়াশিং মেশিনের ভেতর থেকে অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে দাবি করে। এলাকাবাসীরা জানায়, এ সময় পুলিশের সাথে কয়েকজন স্থানীয় ছাত্রলীগ ক্যাডার ছিল।
এলাকাবাসীরা জানান, ওই ভবনে সুনামধন্য চিকিৎসক ডা. মো. একরামুল হক বাস করতেন। তিনি বিনা টাকায় জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার বাসায়ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে এবং তার মেডিকেল পড়ুয়া ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্ত্রী জানান, তার বাসা থেকে তার স্বামী ও ছেলেকে কোন অস্ত্রছাড়া ধরে নিয়ে যায়। পরে শুনেছি আমার বাসা থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র আল্লাহ সহ্য করবে না।
পুলিশ স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার মেধাবী ছাত্র।
এদিকে গতকাল বিকালে ইসলামী ছাত্রশিবির মহানগরী দক্ষিণ শাখা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে। এতে বলা হয়, স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ শিবিরের নিরীহ কর্মীদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি। থানা থেকে তাদের হাতে অস্ত্র দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়।
উপরের নির্দেশ
ছাত্রশিবিরের বক্তব্য
গভীর রাতে উপরের নির্দেশের কথা বলে এসে ডবলমুরিং তানভীর ছিদ্দিকী শতাধিক বাহিনী নিয়ে পুরো ভবনটি তল্লাশি করে। ভবনটির নিচতলায় আছে একটি শিশুদের স্কুল যার নাম ইলিমেন্টারী কিন্ডারগার্টেন, দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পার্শ্বে থাকেন শিবিরের নেতৃবৃন্দরা যারা ঢাকায় ছিলেন, দ্বিতীয় তলার পূর্ব পার্শ্বে থাকেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ছাত্ররা (১০) যাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃতীয় তলায় অবস্থান করেন ডাক্তার একরামুল হক, ৪র্থ তলায় থাকেন ডাক্তার একরামুল হকের ছোট ছেলে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র আববাসি। তানভীর ছিদ্দিকী তল্লাশীকালে বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস নষ্ট করে ফেলে যার মূল্য হিসাব করাটা এত অল্প সময়ে খুবই কঠিন কাজ। তল্লাশি শেষ করার পর এসি ডবলমুরিং তানভীর ছিদ্দিকী, ডাক্তার একরামুল হককে বলে আপনার বাসায় কিছুই পাওয়া যায়নি। এটি শুনার পরে ডাক্তার একরামুল হক তার সহধর্মীনীকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। ঠিক তেমনি ভাবে দ্বিতীয় তলায় পূর্ব ফ্ল্যাটে গিয়ে নিরীহ ছাত্রদেরকে বলে আপনাদের দোতলায়ও কিছু পাওয়া যায়নি। যদিও আমরা শিবির নেতৃবৃন্দ ঢাকায় থাকার কারণে তাদের ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে ফেলি সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। যখন তারা তল্লাশী শেষ করে নিচে নেমে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ওপর থেকে কে বা কাদের ফোন পেয়ে ডবলমুরিং থানা থেকে একটি পিকআপ ভ্যান আসার সাথে সাথে ভ্যানেরসাথে যে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা ছিল তাদের নিয়ে আবার তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি করার জন্য তারা আবার সোজা ৪র্থ তলায় চলে যান। সেখান থেকে তারা এসে নাম না জানা একটি অস্ত্র ডাক্তার একরামুল হককে দেখিয়ে বলেন, এটি আপনার ৪র্থ তলায় পাওয়া গিয়েছে। তখন ডাক্তার একরামুল হক তাদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করেন আপনারা একটু আগে বললেন আমার তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় কিছুই পাওয়া যায়নি। এখন এই অস্ত্র আসলো কোথা থেকে? তখন এসি ডবলমুরিং তানভীর ছিদ্দিকী ডাক্তার একরামুল হককে ধমক মেরে বলেন, আপনাকে থানায় যেতে হবে।
ঠিক তেমনি ভাবে দ্বিতীয় তলায় অবস্থানরত নিরীহ কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রদেরকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দিয়ে আবার তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি শেষ করার পরে নিরীহ ছাত্রদেরকে ভ্যানে উঠতে বলে। তখন সে সমস্ত ছাত্ররা করুণ চিৎকারে পুরো এলাকা মাতিয়ে তোলে। পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের এই আকুতিকে উপেক্ষা করে ভ্যানে তুলে ফেলে। একজন সাংবাদিক দিয়ে ছবি তোলার পর সবাইকে পুলিশ ভ্যানে করে ডবলমুরিং থানায় নিয়ে আসে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
বিপরীত স্রোত বলেছেন: শিবিরের পুলাপাইন গুলা সব ফেরেশতা
১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সাহায্যপ্রাপ্ত বলেছেন: দমকা হাওয়া বলেছেন: ছাত্রলীগের মহান নেতারা দেশের পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে যা করছে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়!!! ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় লিডাররা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করছে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়!!! এইসব সন্ত্রাসী দেশদ্রোহী ভুয়া সকল ক্যাডারদের ধরতে শুধু পুলিশ নয়, র্যাব, আর্মি, সকলেরই অভিযান জোরদার করা উচিৎ।
সহমত।
১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
বিপরীত স্রোত বলেছেন: সবগুলাই বাইনচোদ্ কিন্তু শিবিরের ছাড়া কেউ নিজেদের আমরা সতি আমারা সতি বলে চেচায় না
২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৯
আলোর পাখি বলেছেন: আন্নে হি শিবিরের লিডার নিহি্।এসব ছারেন নয়তো সামু থিক্কা ফুট লন।।এসব ক্যাচাল সামুতে চলবনা। হালায়..............................
২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৯
অরণ্যচারী বলেছেন: ১৯ নাম্বার কমেন্টের সাথে একমত।
২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৪
বাবর মোহাম্মদ বলেছেন: রশিক রশীদ বলেছেন: শিবির ও কুকুর হইতে সাবধান ! দুইটাই সমান ক্ষতিকর।
২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৩
াহো বলেছেন:
চট্টগ্রামে শিবিরের ১৩৫ মেস নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ
একরামুল হক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ২০-০১-২০১০
* ১৪ মন্তব্য
* প্রিন্ট
*
ShareThis
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
কয়েক মাস আগেও প্রতিদিন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত। এ নিয়ে পুলিশ বেশ হিমশিম খাচ্ছিল। সংঘর্ষের কারণ তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ খুঁজে পায়, এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি মেস। আর এ মেসগুলো চালায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রায় চার মাস আগে খুলশী থানার পুলিশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আশপাশের পাঁচটি মেস বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সহিংসতার ঘটনা অনেক কমে যায়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখার হাসান বলেন, শিবির সম্প্রতি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সংলগ্ন রেললাইনের পাশে একটি মেস ভাড়া নিয়েছে। ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফরের সময় তারা ওই মেস থেকে সংগঠিত হয়ে পলিটেকনিকে হামলার প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ খবর পেয়ে অবশ্য তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। গত রোববার রাতে নগরের মিস্ত্রিপাড়ায় শিবিরের মেসে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতটি অস্ত্র, ৩৭টি গুলি, বিস্ফোরক ও জিহাদি বই উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জামায়াতের সক্রিয় কর্মী একরামুল হক, তাঁর ছেলে এবং শিবিরের ১০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ‘হক ভিলা’ নামের ওই ভবনে শিবিরের মেসে বিপুল অস্ত্র পাওয়ার পর নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। কারণ, নগরে শিবিরের এ রকম ১৩৫টি মেস রয়েছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘শিবিরনিয়ন্ত্রিত মেসগুলোতে অস্ত্র নেই—এটা এখন বিশ্বাস করা কঠিন। হক ভিলা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তাই শিবিরের সব মেসে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
শিবিরের নগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি আবদুল জব্বার অবশ্য দাবি করেন, মেসে থাকা শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা পড়াশোনা ও টিউশনির বাইরে অন্য কাজে জড়িত নন। উত্তর কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘শিবিরের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ করতে সরকার ঈর্ষান্বিত হয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরে শিবিরের পরিচালিত ১৩৫টি মেস রয়েছে। এর মধ্যে নগরের দক্ষিণাংশে ১০২টি ও উত্তরাংশে রয়েছে ৩৫টি মেস। প্রতিটি মেসে ৫০-৬০ জন করে নেতা-কর্মী থাকেন। শিবিরের সমর্থক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদ্রাসার ছাত্র ও চাকরিপ্রার্থীদের মেসে রেখে সংগঠনের কর্মকাণ্ড চালানো হয়।
পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও সংশ্লিষ্টরা বলছে, মিস্ত্রিপাড়ার হক ভিলার মতো অনেক মেসে কৌশলে অস্ত্রশস্ত্র মজুদ থাকতে পারে। এসব মেস শিবিরের গোপন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীকে জড়ো করতে শিবির এসব মেসের সদস্যদের কাজে লাগায়। এভাবে দুই সপ্তাহ ধরে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বর থেকে জামায়াত-শিবির বড় ধরনের মিছিল বের করছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সম্প্রতি শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ছাত্রাবাসে আগুন লাগানোর সঙ্গে আশপাশের মেসের শিবিরকর্মীদের সম্পৃক্ততা ছিল। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজন শিবিরকর্মী পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। চকবাজার, সিরাজুদ্দৌলা সড়ক, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুল্কবহর প্রভৃতি এলাকায় মেস করে শিবিরকর্মীরা মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসীন কলেজসহ ওই এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছে।
ছয়জনকে খুঁজছে পুলিশ: রোববার রাতে হক ভিলায় অভিযান শুরুর প্রায় তিন ঘণ্টা আগে শিবিরের অন্তত ছয়জন শীর্ষ নেতা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। অস্ত্রগুলো তাঁদের বলে পুলিশ ধারণা করছে। শীর্ষ ওই ছয় নেতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, ‘মেসের বড় ভাই হিসেবে পরিচিত ছয়জনকে আমরা খুঁজছি।’
কাল জামিনের শুনানি: হক ভিলা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনকে গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম হোসাইন মো. ফজলুল বারির আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ডের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। পুলিশ এদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে।
Click This Link
২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১২
মনজুরুল হক বলেছেন:
পুলিশের ন্যাকামি দেখে বোঝা যায় কাদের স্বার্থ রক্ষা করতে RAB গঠন করা হয়েছিল।
২৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২৮
ইমন সরওয়ার বলেছেন: লীগ নয় কেন? ছাত্র শিবির অবশ্যই মৌলবাদী দল। কিন্তু লীগ প্রগতিবাদী হয়েও তো সন্ত্রাসমুক্ত দল নয়।
২৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৪
ইমন সরওয়ার বলেছেন: আপনি উত্তর না দিয়া পালাইছেন কেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
আসিফ রেজা রাজ বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা নিরাপত্তার ভালো নমুনা দেখতেছি। কি সুন্দর............