নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পুরো নাম আবু সাঈদ মোহাম্মদ নাদিম আহসান হাবীব ঈমরোজ তুহিন। গণিতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছি।

নাদিম আহসান তুহিন

নাদিম আহসান তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেনী জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

সেদিন ফেসবুকে একটা ছেলে একটি পোস্ট দিয়েছে যার সারমর্ম হলোঃ সে ঢাকা থেকে ফেনীতে এসেছিলো বন্ধুদের বাড়িতে।কিন্তু সে হতাশা জ্ঞাপন করেছে যে ফেনীতে দেখার মত কিছুই নেই। তাই সে বন্ধুদের সাথে দুইদিন থেকে কিছু না দেখেই ঢাকা চলে গিয়েছে।

আসলেই কি তাই? ফেনীতে কি দেখার মত কিছুই নেই?আসলে
আমাদেৱ ফেনী জেলাটাও অনেক সুন্দর।ফেনীতেও দর্শনীয় অনেক জায়গা আছে যার অধিকাংশই আমরা ফেনীর সন্তান হয়েও অনেকেই জানিনা কিংবা চিনিনা। চলুন একনজরে দেখে নিই ফেনী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের নামঃ


০১. মুহুৱী প্ৰজেক্ট বা ‪মুহুরী সেচ প্রকল্পঃ
‬১৯৭৭-৭৮ অর্থ বছরে শুরু হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ১৯৮৫-৮৬ অর্থ বছরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্পের নির্মান কাজ শেষ হয়। ফেনী নদী, মুহুরী নদী এবং কালিদাস পাহালিয়া নদীর সম্মিলিত প্রবাহকে আড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ৪০ ফোক্ট বিশিষ্ট একটি বৃহদাকার পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরী করে ফেনী জেলার ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী এবং চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার কিয়দংশ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমানো ও আমন ফসলে অতিরিক্ত সেচ সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল মুহুরী সেচ প্রকল্প।সিডা, ইইসি , বিশ্বব্যাংক অর্থ সহায়তায় জাপানের সিমুজু কোম্পানী ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেচ প্রকল্প নির্মাণ করে। এর ফলে ২০,১৯৪ হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধা এবং ২৭,১২৫ হেক্টর এলাকা সম্পুরক সেচ সুবিধার আওতায় আসে। মুহুরী সেচ প্রকল্পকে ঘিরে গত আড়াই দশকে গড়ে ওঠে বিনোদন ও পিকনিক স্পট।শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ভ্রমণ পিপাসু লোক এবং পর্যটক বেড়াতে আসে। প্রাকৃতিক সৌন্দ‌র্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি, বনায়ন, মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি, বাঁধের দুপাশে নীচে খেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরদিকে দুর্বা ঘাসের পরিপাটি বিছানা। মুহুরী জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায়।

দূরত্ব:ফেনী সদর হতে সোনাগাজী উপজেলা সদর পর্যন্ত দূরত্ব ২০ কি.মি. এবং উপজেলা সদর হতে দর্শনীয় স্থান এর দূরত্ব ২০কি.মি. অর্থাৎ ফেনী সদর হতে দর্শনীয় স্থানের দূরত্ব সর্বমোট ৪০কি.মি.।

০২. ‪শিলুয়ার শীলপাথরঃ ‬ফেনীর পূর্বভাগে ছাগলনাইয়া উপজেলায় শিলুয়া গ্রামে এক প্রাচীণ ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ শিলামুর্তির গায়ে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাক্ষ্মী হরফের লিপি থেকে এখানে আর্য্য সভ্যতা বিকাশের প্রমাণ পাওয়া যায় ব্রিটিশ আমল থেকে প্রাচীণ ঐতিহাসিক স্মৃতি চিহ্নটি প্রত্নতাত্বিক সংরক্ষণ আইণ অনুযায়ী সংরক্ষিত হয়েছে।

দূরত্বঃ ফেনী সদৱ হতে ছাগলনাইয়ার দূরত্ব ১৮কি.মি., উপজেলা সদর হতে দর্শনীয় স্থান এর দূরত্ব ০৯কি.মি. অর্থাৎ ফেনী সদর হতে দর্শনীয় স্থানের দূরত্ব সর্বমোট ২৭কিমি.

০৩.‪ রাজাঝীর দীঘিঃ‬ ফেনী শহরের জিরো পয়েন্টে এ দিঘীর অবস্থান জনশ্রুতি আছে এটি পুরা মহারাজের প্রভারশালী একজন রাজার কন্যার অন্ধত্ব দূর করার মানসে প্রায় ৫/৭ শত বছর পূর্বে এ দীঘি খনন করা হয় বলে স্থানীয় ভাষায় কন্যা-কে ঝি বলা হয় ১৮৭৫ সালে ফেনী মহকুমার প্রতিষ্ঠিত হলে তার সদর দপ্তর গড়ে তোলা হয় এই রাজাঝির দীঘির পাড়ে বর্তমানে ফেনী সদর থানা, ফেনী কোর্ট মসজিদ, অফিসার্স ক্লাব, জেলা পরিষদ পরিচালিত শিশু পার্ক সহ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে মোট ১০.৩২ একর আয়তন বিশিষ্ট এ দীঘিটি ফেনীর ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের একটি।

দুরত্ব: রাজাঝির দীঘির অবস্থান ফেনী শহরের প্রানকেন্দ্র জিরো পয়েন্টে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন।

০৪.‪ বিজয়সিংহ দীঘিঃ‬ বাংলার বিখ্যাত সেন বংশের অমর কীর্তি এ বিজয় সিংহ দীঘি। এ দীঘি ফেনী শহরের প্রায় ২ কিঃমিঃ পশ্চিমে বিজয় সিংহ গ্রামে ফেনী সার্কেট হাউজের সামনে অবস্থিত। এ দীঘির আয়তন ৩৭.৫৭ একর। অত্যান্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এ দীঘির চৌপাড় খুব উঁচু ও বৃক্ষ শোবিত। ১৯৯৫ সালে ফেনীর প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব এ, এইচ, এম নুরুল ইসলাম প্রচুর বৃক্ষ চারা রোপন করে বর্তমান এ পরিবেশের সৃষ্টি করেন। ফেনীর ঐতিহ্যবাহী দীঘির মধ্যে বিজয় সিংহ দীঘি অন্যতম। এ দীঘি দেখার জন্য জেলার এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা আসে।

০৫. ‪জগন্নাথকালী মন্দিরঃ ‬ছাগলনাইয়া অবস্থিত। বাল্যকালে লালন কর্তা জগন্নাথ সেনের স্মৃতিতে এ মন্দিরও কালী মূর্তি নির্মাণ করেন।

০৬.‪ চাঁদগাজী মসজিদঃ ‬মোগল আমলের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন চাঁদগাজী ভূঞা। তার নামানুসারে ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের অদূরে চাঁদগাজী বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদগাজী বাজারের কাছে মাটিয়া গোধা গ্রামে অতীত ইতিহাসের সাক্ষী হিসাব অবস্থান করছে চাঁদগাজী ভূঞা মসজিদ। মধ্যযুগের রীতি অনুযায়ী চুন, সুডকী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইট দ্বারা তৈরী এ মসজিদের দেয়ালগুলো বেশ চওড়া । মসজিদের ছাদের উপর তিনটি সুদৃশ্য গম্বুজ। মসজিদের সামনে একটি কালো পাথরের নামফলকে এ মসজিদের নির্মানকাল ১১১২ হিজরী সনউল্লিখিত আছে।

০৭. ‪শমসেরগাজীর দীঘিঃ ‬শমসের গাজী তার মাতা কৈয়ারা বেগমের নামে এ দীঘি খনন করেন। এ দীঘি ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের নিকটবর্তী সোনাপুর গ্রামে অবস্থিত। ৪.৩৬ একর আয়তনের এ দীঘি ১/৩ভাগ ভারতীয় অংশে পড়েছে।

০৮. ফেনীতে রয়েছে বেশ কিছু বদ্ধভূমি। তবে একমাত্ৰ সংরক্ষিত বদ্ধভূমিটি রয়েছে ফেনী সরকারি কলেজের অডিটোরিয়াম সংলগ্ন।সেখান একটি স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়াও ৱয়েছেঃ
* হয়রত পাগলা মিয়ার তাকিয়া, ফেনী সদর, ফেনী।
* ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, দাগণভূঞাঁ,ফেনী।
* ফেনী পাইলট হাই স্কুল ও ফেনী সরকারী কলেজ প্রঙ্গন, ফেনী।
* প্রাচীনতম মন্দির, ফুলগাজী, ফেনী।
* বাউরখুমা আশ্রয়ন প্রকল্প, পরশুরাম, ফেনী।
* হিন্দু জমিদার বাড়ীর সাত মন্দির, ছাগলনাইয়া, ফেনী।
* নারীকেল বাগান,ফেনী।
* কৈয়ারা দিঘী, ছাগলনাইয়া,ফেনী।
* তৃপ্তি এগ্রো পার্ক,ফেনী।
* ফেনী শিশু পার্ক
* পরীর দিঘী
* চৌধুরী বাগান বাড়ী,ফেনী
* নিহাল পল্লী,ফেনী।

আরও দেখুনঃ Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

ভিটামিন সি বলেছেন: এছাড়া্ও রয়েছে জয়নাল হাজারী ও তার ক্যাডার বাহিনী। এতো দিঘী দিয়া কিতা করবাম। দীঘি দেখার ইচ্ছা নাই। দীঘিরে তো বাংলা সিনেমায় ই দেখবার পাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: - দিঘী দেখাৱ ইচ্ছা না থাকলে দেখবেন না।দিঘী ছাড়াও দেখাৱ আৱো অনেক কিছু আছে। এমন তো নয় যে ফেনীতে সবই শুধু দিঘী আৱ দিঘী।তাছাড়া বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী দিঘী ৱয়েছে গাজীপুৱ জেলায়। আৱ সিনেমাৱ দিঘী আৱ বাস্তবেৱ দিঘীৱ পার্থক্য আশা কৱি আপনি বুঝেন।


- হাজারীর মতো বেগুন টাইপের ব্যক্তিত্বছাড়া ফেনীতে আর কেউ নাই নাকি?
শুধু হাজাৱীৱ কথা বলেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.