![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রসওয়ার্ড পাজল (Crossword Puzzle)। বাংলায় যাকে বলা হয় শব্দধাঁধাঁ/শব্দখেলা/শব্দভেদ/শব্দজট/শব্দছক। এই পাজলটির সাথে আমার পরিচয় হয় ২০০৫ সালে। তখন আমি ক্লাস ফাইভে। কিশোর কণ্ঠ নামক একটি মাসিক পত্রিকায় ৭x৭ মাত্রার শব্দধাঁধাঁ প্রকাশ হতো। আমি ওইগুলো মিলানোর চেষ্টা করতাম। এরপর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ৮x৮ মাত্রার শব্দখেলার দেখা পাই এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করি।
পাজল সমাধান করতে করতে একসময় ভাবলাম, আরে চেষ্টা করলে তো আমিও এইগুলো তৈরি করতে পারি। যেই ভাবা সেই কাজ। লেগে গেলাম ওয়ার্ড পাজল তৈরিতে। দারুন মজা লাগতো আমার কাছে। একসময় এই পাজল তৈরি করাটা নেশার মত হয়ে গেল। প্রতিনিয়ত খুঁজতে লাগলাম নতুন নতুন শব্দ। বাংলা পাঠ্য বইয়ের যত শব্দার্থ ছিলো সবগুলো দিয়ে বানানো শেষ। আরো শব্দ চাই, আরো বেশি শব্দ।
আমার কাছে কোন বাংলা অভিধান ছিলো না। এখনকার মতো হাতের নাগালে গুগুল কিংবা মোবাইল ডিকশনারি এপস ও ছিলো না। তারপরও বিভিন্ন বই ঘেঁটেঘেঁটে অর্থসহ শব্দ শিখতাম। একদিন পুস্ককালয় থেকে একটা মোটা খাতা কিনে আনলাম। সেই খাতায় প্রতিটি পাতায় পাতায় শব্দখেলা তৈরি করে রাখতাম।
২০০৯ সালে যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি, তখন একদিন ডাকযোগে দৈনিক যুগান্তরে আমার তৈরি করা একটি শব্দখেলা পাঠাই। ১২জুলাই সেটি প্রকাশিত হয়। আমি কিন্তু তখনও জানতাম না বিষয়টা। স্কুলে ক্লাসে ছিলাম। তৃতীয় কি চতুর্থ পিরিয়ডে ইয়াকুব স্যার এসে বললেন আজকে যুগান্তর পত্রিকা দেখিস। এই কথা বলেই স্যার মুখে কুলুপ দিলেন। আর যতই জিজ্ঞেস করি স্যার কিছুই বলেন না। অগত্যা টিফিন পিরিয়ডে দৌড় লাগালাম পত্রিকা স্টোরে।
কিন্তু আমাকে হতাশ হতে হলো। যুগান্তর সব বিক্রি হয়ে গেছে। পরে একটি মুদি দোকানে গিয়ে দেখলাম উনি যুগান্তর পড়তেছেন। উনার থেকে পত্রিকাটা চেয়ে নিলাম। পাতা উল্টেই তো আমি হেব্বি খুশি। আহ, আমার তৈরি করা পাজল প্রকাশিত হয়েছে। সেই থেকে শুরু, একে একে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, নয়া দিগন্ত এবং যুগান্তর ইত্যাদি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে পাজল পাঠাতে শুরু করলাম। একেকটা পাজল প্রকাশিত হত, আর আমি দশটা পাজল তৈরি করে পান্ডুলিপিতে জমাতে লাগলাম।
শুধুমাত্র ২০০৯-১০ সালেই বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আমার তৈরি করা ৩০০+ পাজল প্রকাশিত হয়েছিল। স্কুলপড়ুয়া একটা ছেলের কাছে ব্যাপারটা তখন বেশ আনন্দদায়ক ছিলো। নিচে প্রথম আলোতে ২০০৯-২০১০-২০১১ সালে প্রকাশিত আমার তৈরি করা তিনটি শব্দভেদ দিলাম।
২০ ডিসেম্বর ২০০৯ এ প্রকাশিত এই পাজলটি প্রথম আলোর ই-পেপারে দেখতে [ Click This Link ]
৩০ মে ২০১০ এ প্রকাশিত এই পাজলটি প্রথম আলোর ই-পেপারে দেখতে [ Click This Link ]
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তে প্রকাশিত এই পাজলটি প্রথম আলোর ই-পেপারে দেখতে [ Click This Link ]
১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: খুব একটা কঠিন না কিন্তু, একটু চেষ্টা করলেই পারবেন।
২| ১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজে উত্তর বের করেন, নাকি নোট বইয়ের সাহায্য নেন?
১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: উত্তর নিজেই বের করার চেষ্টা করি। এবং ম্যাক্সিমাম সময়েই সফল হই।
৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও এক সময় অনেক মেলাতাম। উত্তরও পাঠাতাম অনেক কিশোর ম্যাগাজিনে। নিজের একটা কিশোর পত্রিকা বের করেছিলাম ৫ মাস। তখন নিজের তৈরি পাজল ওখানে দিতাম। তবে এরপর হঠাৎ বিদেশ যাত্রার কারণে এসব আর কন্টিনিউ করতে পারিনি...
১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: বাহ। দারুন তো।
৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমারও একসময় পত্রিকার পাতা খুলেই এই পাজলে চোখ পড়তো এখন তেমন দেখা হয়না।
১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: পত্রিকাই পড়েন না এখন???
৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাই বিদেশে থাকি ডিজিটাল হয়েতো গেছে সবি। একসময় এক পত্রিকায় কত জনে টানা টানি করে পড়তাম। মনে পড়ে দেওয়ালে লাগানো পত্রিকাও দাড়িয়ে পড়ছি।
১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: ঠিক। কি আর করা। ডিজিটাল যুগে এনালগ স্মৃতিচারণ ই সই।প
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
মাহমুদুল৯ বলেছেন: আমি শব্দভেদ মিলানো শিখতে চাই, আমাকে সাহায্য করা যাবে?
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
মাহমুদুল৯ বলেছেন: আমি শব্দভেদ মিলানো শিখতে চাই, আমাকে কি সাহায্য করা যাবে? আমার ই-মেইল ঠিকানা : [email protected]
ই-মেইলের মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খেলাটা আমার কাছে কঠিনই থেকে গেলো!
ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট।
শুভকামনা রইল।