![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৩ সালের রমজান মাসের একটি ঘটনা বলি। তার আগে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই একজনের সাথে। যখনকার কথা বলছিলাম তার আগের বছর তিনি আমাদের বাড়ির মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। সেদিন এশার নামাজ পড়তে গিয়ে তাঁর দেখা পাই। তিনি এসেছেন আমার খোঁজেই। যখন তিনি আমাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন তখন তাঁর সাথে মোটামুটি ভালো একটা সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাধে হয়তো দেখা সাক্ষাত করতেই এলেন।
একটু পর তিনি আমাকে বললেন তাঁর সাথে নামাজের পরে এক জায়গায় যেতে হবে। রোজার মাস হওয়ায় এশারের পর কোথাও যেতে ইচ্ছে করছিলো না। তাই রাজি হচ্ছিলাম নাহ। কিন্তু তাঁর অনেক জোরাজুরিতে শেষমেষ রাজি হলাম।
তারাবির নামাজ শেষে তিনি আমায় বললেন, আজ একটা বাড়ীতে মিলাদ আছে। সেখানে উনাকে ৪জন হুজুর নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু উনি সহ ৩জন হয়েছেন। আরো একজন লাগবে। কিন্তু কাউকে পাচ্ছেন নাহ। তাই আমাকে লুঙ্গি-পাঞ্জাবি পরে যেতে হবে।
তাঁর প্রস্তাব শুনে আমি এবার বেঁকে বসলাম। যাবো না আমি। আমি পোলাপাইন মানুষ। তিনি বললেন, "শুধু পাঞ্জাবি পরে আমার সাথে যাবেন। মিলাদ পড়বেন। তারপর ভাত খেয়ে চলে আসবেন। ব্যস।"
রমজান মাসে ইফতারের পর আমি ভাত টাত খাইনা আর। সেটাও উনাকে জানালাম। কিন্তু উনি আমাকে ছাড়তে নারাজ। আমি না গেলে উনি রাগ করবেন। মনে কষ্ট নিবেন। হ্যানত্যান বলতে লাগলেম। অগত্যা তাঁর মন রক্ষার্থে পুনরায় রাজি হলাম।
কি আর করা, আমি তখন বাড়িতে এসে আমার নতুন লুঙ্গিটা পরলাম। সাথে সবুজ পাঞ্জাবি এবং লম্বা টুপিটা পরে উনার সাথে গেলাম। এবার উনার ৪জন হুজুর পূর্ণ হলো। হুজুরদের মধ্যে আমিই সর্বকনিষ্ঠ। বাকী দুইজনের একজন মাঝবয়সী, আরেকজন মোটামুটি মুরুব্বি শ্রেণীর।
আগেই বলেছি রমজান মাসে আমি ইফতারের পর আর ভাত খাই না। কিন্তু সেদিন দাওয়াতে গিয়ে একেবারে পেট ভরে ভাত খাইছি। ভাত খাওয়া শেষে হুজুরদের সাথে মিলাদ পরলাম। হাত তুলে উনাদের (যারা মিলাদ পড়িয়েছেন) জন্য দোয়াও করলাম। চলে আসার সময় বাড়ির গৃহকর্তা মুরুব্বি শ্রেণির হুজুরের কাছে ৪০০ টাকা দিলেন।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় এসে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। মুরুব্বি হুজুর আমাদের ৪০০ টাকা করে ভাগ করে দিলেন। আমরা ৪জন তাই আমার ভাগে ১০০ টাকা।
এই ধরণের মিলাদের সাথে যদিও ছোটকাল থেকেই পরিচিত। তারপরও এই প্রথম নিজে কোন মিলাদে গিয়ে ফ্রি ভাতও খাইলাম আবার ১০০টাকাও পাইলাম। তখন থেকেই চিন্তা করি, আমাদের ইসলাম কি আসলে এইরকম শিক্ষা দেয়? দোয়ার বিনিময়ে ভাতও খাও, টাকাও খাও। এই ধরণের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় কি???
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এটা জড়িয়ে আছে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
২| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মিলাদ করাই তো বিদায়াত। এমন অনুষ্ঠানে না যাওয়াই উত্তম।
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: : আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এটা জড়িয়ে আছে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
৩| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
আদি মানব বলছি বলেছেন: আমরা মহান আল্লাহর কাছ থেকে সান্নিধ্য পাওয়ার জন্যই এতসব করি কিন্তু আমরা কতটাই অজ্ঞতায় নিমজ্জিত যে একটা সহজ বিষয়কেও তালগোল পাকায় ফেলি। এক্ষেত্রে নিজের মনের কথা মহান আল্লাহর কাছে গোপনে দুহাত তুলে বলার চেয়ে আমার মনে হয়না উত্তম কোনো পন্থা হতে পারে। হ্যাঁ আমরা অর্থবান হইলে এর পাশাপাশি গরীবদের মাঝে কিছু দান-খয়রাত করতে পারি, এসবই বেশি কাজে দেয়ার মত বিষয়। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুক। আমীন
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আমাদের দেশের হুজুররা তো এর বিরুদ্ধে কিছু বলেন না উনাদের আয় রোজগার কমে যাবে বলে।
৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমরা বাঙালি মুসলিমরা এমনিতেই হিন্দু ধর্ম ও শিয়া ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত। সাথে যোগ হয়েছে কট্টরপন্থী আর লিবারেলদের মনগড়া মতবাদ। দেশপ্রেম ইমানের অংগ, বিদ্যা অর্জনের জন্য চীনে যাও - এরকম জাল হাদিস আমাদের পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত।
মুসলিম বিশেষজ্ঞদের একসাথে বসে কোন প্রচলিত কাজকর্মগুলো বিদাত তার একটা তালিকা প্রস্তুত করা উচিৎ।
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: সেসব নিয়ে আমাদের দেশের লোকেরা বিতর্ক সৃষ্টি করে দিবে।
৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
অহন_৮০ বলেছেন: আমরা অনেক ভূল জিনিস বয়ে বেরাচ্ছি প্রজ্নম থেকে প্রজ্নম......
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: পরিত্রানের উপায় কি কেউ ভেবেছে?
৬| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবকিছুতে সমাজ, অর্থনীতি, সময়ের প্রভাব আছে; আপনার সাথে যারা ওখানে গেছেন, আপনি তো তাদের ফাইন্যানসিয়াল অবস্হা জানেন না। তারা যদি এতে উপকৃত হয়ে থাকেন, এটা ভালো কাজ হয়েছে। এই মানুষগুলো তো এই পরিবারের একটা ইচ্ছাকে কার্যকর করেছেন, এবং মুসলিমদের মাঝে এই ট্রেডিশন চালু আছে।
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: অনেকেই বলেন উনারা তাহলে খাবেন কি? উনাদেরও তো পরিবার আছে। উনাদের কি অর্থ উপার্জনের অন্য কোন উপায় খোলা নেই? উনারা চাইলে তো ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন। কিংবা অন্য কোন ভাবে হালাল উপার্জনই করুক। পাশাপাশি ধর্মকর্মও করুক। ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা কেন??? আমাদের নবীজিওও তো ব্যবসা করতেন।
৭| ৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
সত্যের ছায়া বলেছেন: সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক কারণে এই প্রথা চালু আছে। ইহা নিয়ে মত বিরোধ থাকতে পারে। ধর্মীয় দিক থেকে যদিও আমি সার্পোট করি না কিন্তু এর একটি ভাল সামাজিক দিক আছে, সেদিক বিবেচনা করে এতে আমি সার্পোট করি। এর মাধ্যমে আলেমদের সাথে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে। মিলাদের কারণে সমাজের কাছের মানুষ কে দাওয়াত করা হয় এবং খাওয়া দাওয়ার চলে এতে মানুষের মধ্যে সামাজিকরণ সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: সামাজিকীকরণ পর্যন্ত আমিও সাপোর্ট করি। কিন্তু আর্থিক দিকটা আমি কিছুতেই মানতে পারিনাহ।
৮| ৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের মৌলানারা নিত্যনতুন বিদাত মনগরা
কথা নিয়ে সমস্ত মিডিয়ায় এক মৌলানা এক
রকম মতবাদ সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে আছে।
মোল্লা কত প্রকার কি কি। সুন্নি, ওয়াবী
লামাজহাবী, শিয়া মোল্লারা এদেশের মিডিয়ায়
আসেনা।
আজ তিন দশক আগেও এসব তর্ক কখনও
দেখি নাই। আজকাল আবার তবলিকদের
কোনও কোনও এলাকায় মসজিদে ঢুকতে
দিতে নারাজ।
আসলে আমরা মুসলিমরা এসব মতপার্থক্য
নিয়ে যে বিরোধ দেখছি তাতে অদুর ভবিষ্যতে
নিজেরা নিজেদের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত হলে
অপধর্ম খুশি হবে।
আসলে হযরত মোহাঃ সাঃ বলেছিলেন মুসলিম
যখন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে তখন মুসলিমদের উপর আল্লাহর লানত শুরু হবে।
মনে হচ্ছে আমরা সেই দিনে পৌছে গেছি।
আমাদের প্রধান চার খলিফার অনুসারীরা
কিছু কিছু নিয়ম রকম ফের আছে আছে
তাই বলে এমন তর্ক দিয়ে সাধারন মসলিমকে
বিভ্রান্ত করা কতটা বোকামী তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ধরুন সবে বরাত,লাইলাতুল বারাহ্,লাইলাতুল
সানান, নিশফুমিন সাবান। এনিয়ে মিডিয়ায়
তর্কের শেষ নাই। ভাষা গুল আরবী ফারসী
উর্দূ। একই অর্থ আমরা মা বলি অন্যদেশে
আম্মা বা আম্মি একইত মা নাকি?
এই লাইলাতুল সাবান মাসে কিছু কিছু নফল
রোজা রেখে ফরজ রোজার জন্য তৈরি
হওয়া। এমাসে মধ্য চাঁদের তারিখ ধরে
সাবান বা লাইলাতুল বারাহ্ দিনে রোজা রাত্রে
নামাজ এই রাত গোনাহ্ মাফ হওয়ার রাত
তার মানেই ভাগ্য রাত। গুনাহ্ মাফের মত
ভাগ্য আর কি হতে পারে। আল্লাহ্ গুনাহ
মাফের সাথে আমাদের দকদীরও সুপ্রোশন্ন
করেদেন। কিন্ত বাদ পরবে যারা সেরেকী করে
মিথ্যাবাদী জেনাকারীরা এরজনীতে বাদ পড়বে।
অথচ এরজনী নিয়ে আমাদের নিত্যনতুন পন্ডিতদের জাহেরী শুনে অবাক হই।
আর মিলাদ মাহফিল মসজিদ বা বাসায়
যেখানেই হোক বিদাত। যে মাহফিলে হযরত
মহাঃ সাঃ কে নিয়ে সম্মান করা নবী মোহাঃ
গুনাগুন বর্ননা দোয়া জিকির করা মোনাজাত
সবই বিদাত হায় কোন পন্ডিত ঠিক কোন
পন্ডিত বেঠিক সাধারন মানুষ বিভ্রন্ত।
সাধারন মানুষ ঘরে কিছু মৌলানা ডেকে
খাওয়ানো কোরআন তেলয়াত করিয়ে কিছু
টাকা পয়সা দান করা এদানে কোনও জোর
জবরদচ্ থাকবেনা। কারন আমাদের গ্রাম্য
মৌলানারা বেশীর ভাগ গরীব থাকেন। তাদের
দান করা মানে ছাদগা করা। সেখানেও বিদাত
মানুষ রোজা করবে না সীয়াম করবে। সীয়াম
আরবী তাই সীয়াম করবে। গোনাহ্গার ব্যক্তি
রোজা করবে মুমিন ব্যক্তি সীয়াম করবে।
গোনাগার ভাত খাবে মুমিন বিরিয়ানী খাবে
তাইত?
আল্লাহ্ মালুম এই দল বেদল মুসলিম কোন
জান্নাতে যাবে।
তবে সব শেষে বলতে চাই মিলাদ মাহ্ফিল
নিয়ে তর্ক না করে উপলদ্ধি করুন সুনিপুন
ভাবে। ধন্যবাদ।
৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: মুসলিমররা ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। বাংলাদেশেই মনে হয় অর্ধেকের বেশি বিভক্ত আছে।
৯| ৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " অনেকেই বলেন উনারা তাহলে খাবেন কি? উনাদেরও তো পরিবার আছে। উনাদের কি অর্থ উপার্জনের অন্য কোন উপায় খোলা নেই? উনারা চাইলে তো ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন। কিংবা অন্য কোন ভাবে হালাল উপার্জনই করুক। পাশাপাশি ধর্মকর্মও করুক। ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা কেন??? আমাদের নবীজিওও তো ব্যবসা করতেন। "
-নবীজি ব্যবসা করতেন, ট্রাম্প ব্যবসা করে, ফালুর ব্যবসা আছে; তাই বলে আগামীকাল আপনি চাইলেই ব্যবসায়ী হয়ে যেতে পারবেন? দেখেনতো কোথায়ও সামান্য চা দোকান খুলতে আপনি সমর্থ হবেন কিনা?
সব ধর্মে কিছু স্হানীয় ট্রেডিশন যুক্ত হয়; বাংলার মানুষ সব সময় মৌলভীদের দাওয়াত করে খাওয়েছে আসছেন, সাথে কিছু নগদও দেয়ার চেস্টা করেন; এগুলো স্হানীয় "ভালো আচরণ"; আপনি হঠাৎ অকারণ বিপ্লবী হয়ে গেলে সমাজের সাথে অকারণ সংঘর্ষ হবে।
৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আমি ব্যবসার কথা উদাহরণ হিসেবে বলেছি। সমাজের সাথে সংঘর্ষ হবে বলেই তো অনেক ব্যাপারে আমরা এডিয়ে চলি।
আমার পোস্টে প্রশ্নটা ছিলো- আমাদের ইসলাম কি আমাদের এমনটাই শিক্ষা দেয়?
১০| ৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার মনে হয়, আপনি অংকের বইগুলোকে বস্তায় ঢুকায়েছেন; সমস্যা সেখানে।
৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: ডাইরেক্ট অংক বইয়ে চলে গেলেন? হাহাহ
আপনার পয়েন্ট টা বুঝতে পারিনি। দুঃখিত।
১১| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: একজন সামথ্যবাদ ব্যক্তি তার ঘরে হুজুর ডেকে দাওয়াত দিতে ই পারে? এখানে ইসলামী শিক্ষার কি আছে?
বাড়ীতে মেহমান এলে ও মানুশ ভাল মন্দ খাওয়ায়, হুজুরেরা খেলে ইসলাম নস্ট হয়ে জায় ঠিক বুজলাম নাহ?
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১৬
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: খাওয়ানোর মধ্যে সমস্যা না। ভাতও খাওয়ানো আবার টাকাও দেয়া। অনেক হুজুর দেখেছি ভাত খাওয়ার পর টাকার জন্য বসে থাকে। অনেকে আবার সরাসরি চেয়েও ফেলে।
১২| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাদিম আহসান তুহিন ,
না , ইসলাম অমন নয় ।
ইসলাম এইরকম শিক্ষা দেয় না ।
ওগুলো ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করা । এতে পুজি লাগেনা এক পয়সাও ।
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩১
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: বিনা পুঁজিতেই পেট ভরে খাও, টাকাও পাও,,,
১৩| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম হইলো আফিম।
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০০
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: বুঝায়া কন
১৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০২
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: যে টাকা দিয়েছে সে দান করেছে। যারা নিয়েছে তারা দান গ্রহণ করেছে। আপনার মন্দ লেগে থাকলে আপনি তা’ একটা খয়রাতিকে দিয়ে দিলেই ল্যাটা চুকে গেল। এক তুচ্ছ বিষয় এমন বড় করে দেখার কিছু নেই। এতে ইসলামের ক্ষতি ছাড়া উপকার কিছু নেই। সংকীর্ণ মনভাব ত্যাগ করে উদার হতে শিখেন। আপনার আসল হিংসা হলো হুজুর কেন টাকা পাবে!
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৭
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: হিংসা বলেন আর যাই বলেন, বিনা পুঁজিতে এরচেয়ে আর ভালো ধান্ধা কিন্তু হয়না।
১৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১১
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: কারো কাছে ধান্ধা, আর কারো কাছে বাাঁচার উপলক্ষ্য। আমাদের নবীও (সঃ) হাদীয়া গ্রহণ করতেন। সেটাকে কি বলবেন? এক সময়তো সে ব্যাপারেও এমন একটা বদ কথা বলে।বসবেন, আপনার লক্ষণ ভাল নয়।
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৬
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: লাইনে আসছেন এবার। দোয়া কিনে নেয়ার জিনিস নাহ। নিজের জন্য নিজে দোয়া করাটাই সর্বোত্তম।
আমাদের নবীজী হাদীয়া গ্রহণ করতেন। তিনি ব্যবসাও করতেন এবং জীবিকা নির্বাহ করতেন।
১৬| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৫
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: মহানবী (সঃ) ব্যবসা করতেন ইসলাম প্রচারের আগে পরে নয়।
৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৫
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: নতুন তথ্য জানলাম। তা ইসলাম প্রচারের পর তিনি কি করতেন???
১৭| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৭
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: ইসলাম প্রচারের পর আল্লায় মিলালে খেতেন নতুবা উপুস করতেন, সেজন্যইতো তাঁকে সাত দিন পর্যন্ত উপুস করতে হয়েছে।
১৮| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কিছু কষ্ট লাগছে, কোন জায়গায় লাগছে তা বলতে পারবো না। তবে হাসলাম আপনার গল্প পড়ে। খুব মজা করে বলেছেন। ভালো লাগলো।
প্রশ্নটাও চমৎকার করেছেন। আমি ইসলামের ইতিহাস পড়িনি তাই সঠিক জানিনা।
তবে, মোল্লা ভাইদের চোখের কাটা হবেন সেটা বলাই যায়!
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৫
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: কষ্টটা কোন জায়গায় লেগেছে জানাবেন ভাই।
আমি জানার জন্যই প্রশ্নটা করেছি।
১৯| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মসজিদের ইমামদের বেতন তো দেওয়াই যায় সমাজ থেকে জড়ো করে, কিন্তু হুজুরের খাবার তো আর জড়ো করে খাওয়ানো সম্ভব না। তাই হুজুরকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে খেতে হয় প্রতিদিন। বাড়িবাড়ি ঘুরে খাবার খাওয়া কতটা যৌক্তিক সেটাও আমার মনে প্রশ্ন জাগে। কিন্তু আপনার মতো সাহস পাইনা প্রশ্ন করার!!!
শুভকামনা আপনার জন্য ভাই।
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: ইমামদের বেতন দেওয়া বা তাদের খাওয়ানো নিয়ে তো আমার কোন প্রশ্ন বা আপত্তি নয় নয়ন ভাই।
আমার প্রশ্ন কোন জায়াগায় সেটা এতক্ষবে বুঝতে পেরেছেন আশা করি।
২০| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লজিক হলো অংকের ভাষা, অংক হলো লজিকের এক্সপ্রশন; আপনার কথায় লজিক খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আমি নিজেই তো ভাই প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে রেখেছি। উত্তর খুঁজতেছি,,,
২১| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৩৬
ওমেরা বলেছেন: ইসলাম সত্য ,সুন্দর , আর মিলাদ হল বিদায়াত যারা এটা পড়ে আর যারা পড়ায় দুই দলই বিদায়াতকারী ।
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: দুই পক্ষই যুক্তি উপস্থাপন করেন যে উনারা সঠিক। এবার আল্লাহ মালুম,,,
২২| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মিলাদকে বিদয়াত বলা ক্বোরআন বিরোধী কথা, কারণ আল্লাহ বলেছেন, ‘ইন্নাল্লাহা ওয়ামালায়িকাতিহি ইউ ছাল্লুনা আলাননাবী, ইয়া আইয়ু হাল্লাযিনা আমানু ইয়ু ছাল্লু আলাইহি ওয়া ছাল্লিমু তাছলিমা’। আমরা যারা মিলাদ পড়ি আমরা এ আয়াত দিয়েই শুরু করি। সুতরাং ক্বোরআন পাঠের আসরকে বিদয়াত বলা জঘণ্য রকমের জাহেলিয়াত। আর মহানবী (সঃ) হাদিয়া গ্রহণ করতেন। সুতরাং সেটাও ছুন্নত।
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৪
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: মিলাদ নিয়ে বিতর্কে আমি যাচ্ছি না এখানে। মহানবী (সঃ) হাদীয়া গ্রহণ করতেন তাও ঠিক আছে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিলো ইসলাম কে আমরা যে গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলেছি। এব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
২৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ ভোর ৬:১১
রিফাত হোসেন বলেছেন: হুজুর টুজুর এর দরকার হত না, যদি সবাই ছোটকাল থেকে সঠিক ইসলামের নিয়ম পালনের ভিতর থাকতাম। কোরআন শরীফ পড়াতে হুজুর রেখেছে কিন্তু কি পড়লাম তা জানানোর দরকার মনে করল না হুজুর! অনুবাদ বুঝাচ্ছি। নামাজ পড়লাম, বললাম আরবি! কিভাবে ফরিয়াদ করলাম বুঝানো হল না, এখানেও অনুবাদ বুঝাচ্ছি। তাহলে শিখবে কোথা থেকে মানুষ!
কোরআন পাঠের আসরকে বিদয়াত বলা যায় না, অবশ্যই। কিন্তু এই নিয়ে জীবন চালনার কারণ দেখছি না। আমি চা দিয়ে অতিথিদের কে বরণ করি ও শরবত পান করিয়ে তাদের মন জয় করা যাবে? যাবে না ।
দুপুর বা রাতের খাবার + হাদিয়া না দিলেই নয়। ব্যাপারটা অনেক কারণে আমরা করতে বাধ্য হই, সুন্দর করে ফরিয়াদ করার ধরনটা রপ্ত না করার কারণে। এটা সঠিক যে সব কিছুরই একটি নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, যদিও আল্লাহ আমাদের মনের ইচ্ছা ভাল করেই বুঝেন।
আপনি যদি আরবী শিক্ষক, কোরআন আর হাদীস নিয়ে শিক্ষকতা করেন তা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এর থেকে বেশি হলে কোচিং কিন্তু এটাকে মিলাদের পর্যায়ে আরেক জনের জন্য অর্থের বিনিময়ে ফরিয়াদের ব্যবস্থা করা, কেমন যেন লাগে। মনে হয় আল্লাহর কাছে আর্জি জানাতে একটা তৃতীয় পক্ষ ছাড়া সম্ভব নয়!
ভালভাবেই জানেন আরেকজন আপনার নামাজ পড়িয়ে দিতে পারবে না! নাকি এটাও করার ব্যবস্থা করা উচিত! (নাউযুবিল্লাহ) সেক্ষেত্রে আল্লাহকে নামাজের মধ্যে অনুভব না করে, শুধু বুলি আউড়িয়ে নামাজ যেমন শুদ্ধ হয় না। তেমনি আরেক জনের মুখে তোতা পাখির মত আরবী উচ্চারণ পড়িয়ে দোয়া করা, শুদ্ধ মনে হয় হবে না। এটা আমার জ্ঞান বলে।
একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, আমার বিদেশী মুসলিম কলিগরা নিজ পশুর কুরবানী নিজেই দেয়। তাদের দেশে এই নিয়মই চল। অনেকের গৃহপালিত ছিল, সেটাকেই উপযুক্ত মনে করে। কিন্তু বাংলাদেশে হুজুরকে দিয়ে করানো হয়, বিনিময়ে তারাও হাদিয়া পায়! হাদিয়া কোন বেতন বা ভাতা নয়, এটা খুশি হয়ে দেওয়া। যা যে কোন কিছুই হতে পারে। তবে যে কার্যকলাপ ব্যবসা জাতীয় কিছু হয় তাহলে তাকে কিভাবে হাদিয়া বলা যায় তা চিন্তার বিষয়। কিছু মাদ্রাসার ছাত্র বা সাধারন ছাত্র কোরবানীতে সহায়তা করে ঠিকাছে, তারা ছাত্র মানুষ বিনিময়ে কিছু পেলে তাদের হাত খরচ চলতে পারে।
বিশ্বাস নিয়ে ব্যবসা করা আর তার মধ্যে কোরআন শরীফের শব্দ, বাক্য থাকলেও বিদায়াত বা হারাম কেন বলা যাবে না, আমি একটু জানতে চাই। আমি সরাসরি কোনপক্ষ নিতে পারছি না, কারণ আমার আরবীদের সাথে চলার অভিজ্ঞতা থাকলেও তাদের ভাষা জ্ঞানে পান্ডিত্য নেই। তবে চেষ্টা করি, বুঝে পড়ার।
তবে এটা বুঝি কেউ বিনালাভে এককদমও দোয়া করার কথা না, আরবী ভাষার বাঙালি পন্ডিতদের বলছি(হুজুর)। তবে অনেকে ব্যতিক্রম আছে, তাদেরকে ভালবাসি, তারাঁ আছে বিধায়ই এই টাইটেলটাকে সম্মান করি।
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত উপস্থাপন করার জন্য।
২৪| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হুজুরী সিস্টেম চালু হয়েছে বাবা আদম ও মা হাওয়া থেকে। তারা তাদের সবচেয়ে ছোট ছেলে শীষকে দায়িত্ব দিয়েছেন সবাইকে ইবাদত বন্দেগী শিখাতে। তখন তাঁদের বংশধর কয়েক হাজার। শীষ চাষ-বাষ করতেননা। তার ভাই ও ভাতিজারা তাঁকে যে হাদীয়া প্রদান করতো তাতেই তার চলে যেত। এখন শীষ নিজেও যদি চাষ-বাস করতেন তবে তার ভাইয়েরা যেমন ইবাদত-বন্দেগী শিখানোতে সময় দিতে পারতেন না, শীষও সেটা পারতেন না। তবে ইবাদত শিখানোর কাজটা চলতো কেমন করে? মাজহাবের মাধ্যমে মুসলমানদের যে ঝগড়া মাটি দেওয়া হয়েছে লা মাজহাব আবার সে ঝগড়াকে জীবিত করেছে। বিশ্ব যেখানে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে সেছানে আমরা মাসয়ালা নিয়ে ঝগড়া করি। কাজেই মসিলমানদের জন্য এ লামাজহাবীরাই এখন সবচেয়ে ক্ষতিকর।
খোদ সৌদী আরবে লা মাযহাবীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কবজায় রেখেও মাত্র শতকরা ১৫ ভাগ হতে পেরেছে। আর ৮৫ ভাগ হাম্বলী। আমাদের দেশে এখনো ওরা এখনো শতকরা একভাগ হতে পারেনি, এখনি ওরা বিশাল অশান্তির কারণ। আল্লাহ জানেন হয়তো ভবিষ্যতে তারা দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়ে ছাড়বে।
২৫| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হুজুরদের হাদীয়া প্রদানে নিরুৎসাহিত করার করাণ, তাহলে তারা পেটের দায়ে দুনিয়াবী কাজে আটকা পড়ে আর দ্বীনের কাজ করতে পারবেনা। এতে শয়তান সহজে মানুষকে গোমরা করতে পারবে। দেখা গেল একজন হুজুর দোকানদার তার বিক্রির সময় মুছল্লি হাজির মাসয়ালা জানার জন্য। বসতে বসতে বিরক্ত হয়ে অবশেষে সে বাড়ী ফিরল মাসয়ালা না জেনে, এবার তবে তার ইবাদতের কি হবে? এথেকেই পরিস্কার বুঝা যায় যারা হুজুরদের হাদীয়া প্রদানে রাজী নয় তাদের উদ্দে্শ্য আসলে কি? আর তারা আসলে কার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করছে।
২৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি কামিল হাদীস। তথাপি আমি আমার বাবা-মার জন্য দোয়া করাতে হুজুর ডাকি, কারণ যারা ইসলামের জন্য কাজ করে তাদের পেটের দায় নিয়ে নিজেও ইসলামের কিছু দায়িত্ব পালন করা।
আমাদের মসজিদের যিনি ইমাম তাঁর ছেলে গ্রফিক্স ডিজাইনার, সে দ্বীনের কাজ করেনা শুধুই টাকা আয় করে। অথচ তার বাবা দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে কতটাইনা অভাব করেছে। কিছু সংখ্যক লোক হুজুরদের পেটের দায় মিটানোর জন্য দুনিয়াদারীতে লিপ্ত করতে চাচ্ছে, তারা ভাল করেই জানে হুজুররা দুনিয়াদার হলে দ্বীনদারী উঠে যাবে। সুতরাং মুসলমান তাদের সহজে বুঝতে পারে। এরা মূলত ইসলামের শত্রু।
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: ইসলাম তো একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানবজীবন কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তার সম্পূর্ণ বিধানই ইসলামে রয়েছে। দুনিয়া এবং আখিরাত দুইটারই কল্যাণের জন্য কি কি করতে হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
তাহলে আমরা কোনটা গ্রহণ করবো এখন? বাড়ী বাড়ী গিয়ে মিলাদ পড়িয়ে হাদিয়া গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করা এবং এর ধর্মকর্ম করা।
নাকি নিজে কিছু একটা করার পাশাপাশি ধর্মকর্ম করা?
২৭| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেনরে ভাই সবাই মিলে মুষ্ঠিমেয় ক’টা লোকের পেটের দায় গ্রহণ করে তাদের দ্বীনের কাজে নিযুক্ত রাখলে কি ক্ষতি? তো সে হাদীয়া নেবেনা। তবে কি খেয়ে বাঁচবে? বাতাস? এতটুকু আক্কেলওকি মানুষের থাকতে নেই?
২৮| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি হুজুর, হুজুরী করিনা, হাদীয়াও নেইনা। কিন্তু হুজুরীওতো কারো না কারো করা দরকার, তাই নয় কি?
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আমিও তো সেটাই জানতে চাচ্ছি। ইসলাম কী এই ধরণের জীবন যাপন করতে বলেছে??
জানার জন্য প্রশ্ন করেছি। কথায় কথায় ইসলামের শত্রু বলাটা যুক্তিসংঘত নয়। কেউ কি তাহলে কারো মনে কোন প্রশ্নের উদয় হলে জানতেও চাইতে পারবে না? প্রশ্ন করলেই ইসলামের শত্রু ট্যাগ পেয়ে যাবে???
২৯| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার বোনের শ্বশুর হুজুর, তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, তাঁর নাতি মানে আমার ভাগ্নে ইঞ্জিনিয়ার, বসুন্ধরার ডিজিএম। তাদের গাড়ী-বাড়ী আছে। তারা হুজুরী করেনা। তাদের দাদা হুজুরী করে বহু কষ্ট করেছে।
আমি হুজুর, হুজুরী করিনা, সরকারী চাকুরী করি। আমার মেয়েরা হুজুরী পড়েনা। হজুরী খুব কষ্টের। সংসার চালাতে যে পরিমাণ টাকা লাগে সে পরিমাণ টাকা হুজুরী থেকে আসেনা। আর আপনারা যে ফরমূলা ধরেছেন তাতে হুজুর বিলুপ্ত হবে। আমি হুজুরী না করলেও চাই ওরা টিকে থাকুক। সে জন্য মাঝে মাঝে তাদের হেল্প করি। বড় অভাবে তাদের জীবন কাটে। তথাপী তারা ইসলামের খেদমত করে। তাদের সানে বেয়াদবী জঘণ্য কাজ।
৩০| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নাকি নিজে কিছু একটা করার পাশাপাশি ধর্মকর্ম করা? আমি কিছু একটা করি হুজুরী করিনা। একসাথে দু’ই কাজ সবার দ্বারা হয়না। সংসার চালানোর মত একটা দোকান দিতে হলে দশ লাক টাকা লাগে সেটা ক’জনের আছে? আসলে সংসারে নির্বোধদের কোন ভাবেই বাস্তবতা বুঝানো যায় না।
আপনার হুজুরকে হাদীয়া দিতে মন না চাইলে দিবেন না, আমার টাকা আমি ফেলে দেই তাতে আপনার কি? নিজের চরকায় তেল দেন।
৩১| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
কানিজ রিনা বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধরীর সাথে আমি একমত।
লামাযহাবীরা যুক্তি দেখাতে বলিষ্ঠ সক্রিও
কারন তাদের পিছনে বড় শক্তি কাজ করে।
যে লামাযহাবীরা হযরত মোহাঃ সাঃ উনার
বংশধর নিপাত করেছে হযরত আলি রাঃ
হযরত ফাতেমা রাঃ আল হাসান ওয়াল হুসেইন রাঃ আঃ নিশ্চিন্হ করা হয়েছিল।
সেই সাথে উমাদের মুখের হাদীস নিশ্চিন্হ
করা হয়েছিল লামাজহাবীরা তাবেদারী ক্ষমতা
করার জন্য। আজ তারা সক্রিয় একই ভাবে।
তারা আহলে বায়াত বিশ্বাস করেনা।
অথচ হযরত মোহাঃ সাঃ বলেছেন যারা আমার বংশধরকে ভালবাসবেনা সন্মান করবে
না। তারা কখও মুসলমান না।
আর এসব নাম ধারী মুসলমান এখন ক্ষমতা
ধর। তারা কত কত বিদাত দিয়ে সাধারন
মুসলিমকে বিভ্রান্ত করে তাদের দলে আনার
পায়তারায় ব্যস্ত।
৩২| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
আশা প্রত্যাশা বলেছেন: ভাই আমরা হচ্ছি সেই লোক যারা নিজের সন্তানদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত পড়ানোর জন্য মাষ্টারকে মাসে ১০০০ টাকা করে দিয় কিন্তু সন্তানকে কোরআন শরীফ শেখার জন্য হুজুর টাকা চাইলে বলি আরে আল্লাহর গ্রন্থ কোরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে কেউ টাকা নেয় এটা হারাম। আসলে এসব হুজুর মারার ফতুয়া কোথা থেকে পান।
৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আমি কি কোন ফতোয়া দিয়েছি???
৩৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
কানিজ রিনা বলেছেন: আশা প্রত্যশা একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
খরতাপ বলেছেন: দোয়া কোন ভাড়া করার জিনিস না। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে নিজের মনের চাওয়া আল্লাহর কাছে জানাতে হয়। এজন্যে দরকার মনের দিক থেকে ফ্রেশ ও পবিত্র হওয়া। অন্য কাউকে দোয়ার জন্য বলার চেয়ে নিজেই নিজের জন্য দোয়া করা ফলপ্রসূ।
মিলাদ পড়া একটা সুস্পষ্ট বিদায়াত। সওয়াব লাভের আশায় যদি মিলাদ পড়েন, তাহলে গুনাহ হবার সম্ভাবনাই বেশি। তাই এসব মিলাদের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।