\\\\\\\\\\\\\\\\এরিষ্টোক্রেটিক/

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

৯ম পর্ব:
আজ ১লা ফাল্গুন। রিফাত এখন অনেকটাই সুস্থ। বেশকিছু দিন রিফাতের মা ছেলের কাছে থেকে ঢাকায় ফিরেছেন লূনার পরীক্ষা শুরু হবে বলে। মৌমিতা এখন তার ফাইনাল শেষ করে নিজের বাসায় ফিরেছে। ১বছর তাকে ইন্টার্নিশিপ করতে হবে। তাই রিফাতের জন্য মন খারাপ করে, কারণ তারও যে শেষ হত। মনে মনে রিফাতকে দেখার প্রবল ইচ্ছে তার। আর এজন্য সে তার মাকে রাজি করায়। কথানুযায়ী রিফাতের ছোট মামা অর্থাৎ মৌমিতার বাবা টিকিট কাটলেন, বগুড়া টু রাজশাহী। প্রায় ৩ঘন্টার ভ্রমণ, আর সেটা করতে হবে আজই। আজ বৃহস্পতিবার, দীর্ঘ ৯মাস বিরতি দিয়ে আবার রিফাতের সাথে দেখা হতে যাচ্ছে ভেবে ভালোই লাগছে মৌমিতার। মৌমিতা আর রিফাতের মাঝে মন দেওয়া-নেওয়া চলছে এটা একমাত্র রিফাতের মা ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। দীর্ঘ সাড়ে ৩ঘন্টার অপেক্ষার পর তারা পৌছল শফিক আহমাদ অর্থাৎ মৌমিতার চাচার হাসপাতালে। সবাই কেমন উত্তেজিত হয়ে উঠলো রিফাতকে দেখার জন্য। প্রথমেই মৌমিতার মা জিজ্ঞেস করলো, ওর অবস্থা কী? ডাক্তার বলল, অনেকটাই সুস্থ। কোর্স শেষ হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। মৌমিতা জিজ্ঞাসা করলো, ওর কোর্স কবে শেষ হবে? প্রত্যুত্তরে ডাক্তার বলল, আর ৬ মাস। পুনঃরায় জিজ্ঞাসা করা হল, আমরা কি তার সাথে দেখা করতে পারি? ডাক্তার হ্যাসূচক উত্তর করলে সবাই মিলে দেখা করলো, কথা বলল, এমনকি খেলাও করলো, একপর্যায়ে খাওয়ার পর্ব শেষ করে তাকে ঘুম পাড়িয়ে চাচার বাসায় ফিরে গেল মৌমিতাসহ সকলেই। আর ধীরেধীরে রিফাত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে থাকে।
http://beta.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30032245/blog/0

০ টি +০/-০