এরিষ্টোক্রেটিক

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

১২শ পর্ব:

রিফাত ও মৌমিতা তার খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হল। আজ দিনটি ছুটি হওয়াতে বেশ লাভ হয়েছে। অনেকদিন একসাথে বের হয়নি এই প্রথম। খালার বাসায় পৌছতেই বেল চাপ দিল। খালা দরজা খুলতেই রিফাত ও মৌমিতাকে পেয়ে রীতিমতো আভিভূত ও আবেগাপ্লুত। রিফাত বলল, খালা নিজেকে সামলাও আজ আমরা তোমাকে ও খালুকে নিয়ে যেতে এসেছি। খালা বললেন, সে পরে হবে এখন তোমাদেরকে আগে প্রাণভরে দেখি, খাওয়া হোক তারপর। রিফাত বলল, রাহাত কোথায়? খালা বললেন, ও এখন ডাক্তারি পড়া শেষ করে ইন্টার্নিশিপ করছে, বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যা হোক, খালা আমি একটু ফ্রেশ হবো। খালা তাদের বাথরুম দেখিয়ে দিয়ে রান্নাবান্না এগিয়ে নিতে গেলেন। ওরা ফ্রেশ হয়ে আসতেই রাহাত ও খালুর আগমন ঘটলো। রাহাত রিফাতকে পেয়ে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। আনন্দমুখর পরিবেশে পূর্ণতা পেলো সবার চোখে পানি। খালা যখন সবাইকে টেবিলে ডাকলেন তখন ঘড়িতে প্রায় ৩টা বাজে। রিফাত তার খালাকে দিয়ে ফোন করালো মায়ের কাছে যে বিকেলবেলায় সবাইকে নিয়ে হাজির হবে ও রাতে family party হবে। আর সেটা হবে রিফাতদেরই রেষ্টুরেন্ট Family World এ যেটা অবস্থিত Jamuna Future Park বিশ্বের ১২তম বড়। দুপুরের খাবার শেষ করতে প্রায় সাড়ে ৩টা এরপরে হাল্কা রেষ্ট। রিফাত ও তার খালার পরিবার যেন দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পেল। তাই রিফাত ও মৌমিতা তার খালার পাশে এবং রাহাত ও রূনা তাদের বাবার পাশে। রূনা হল,রিফাতের খালাতো বোন। এবারে রিফাতদের বাসার দিকে রওনা হলো মাত্র ৫মিনিটের পথ। রিফাত তার মাকে ফোন করে তৈরী হতে বলে। কিন্তু মা অন্যরকমভাবে প্ল্যান করেছিলেন, যা সবার জন্য একটা surprise ছিল। রিফাত সবাইকে নিয়ে উপস্থিত হতেই দুই বোন অর্থাৎ রিফাতের মা ও খালা দুজনের চোখে জল। কারণ রিফাত অসুস্থ থাকাতে ফোনেই কথা হত দেখা আর হত না। আপ্যায়নের জন্য রিফাতের মা ও তার বোন লূনা অনেক কিছু যেমন টক, মিষ্টি, ঝাল সবই পরিবেশন করলেন। এক পর্যায়ে তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন মাগরিব হয়ে গেছে। এরপরেই হল ঘুরার পালা।

Click This Link

০ টি +০/-০