এরিষ্টোক্রেটিক

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

১৫শ পর্ব:

রিফাতের শিক্ষিকা আসলেন পড়াতে যাকে দেখে রিফাত হতবাক, যিনি হলেন হৃদয়ের আম্মা। হৃদয় তার close বন্ধু, ছেলেবেলার অনেক স্মৃতি জড়ানো হৃদয়দের বাসায়। তার আম্মা দুজনকেই খাইয়ে দিতেন। এবার রিফাত বলল, Aunty তুমি? কেন তুই জানিস না আমি তোর ভার্সিটির English lecturer? রিফাত বলল, জানতাম কিন্তু মনে করতে পারছিলাম না। তোর অধ্যক্ষ আমায় তোকে ৮মাসের মধ্যে পরীক্ষার জন্য তৈরী করে দিতে বলেছে। একপর্যায়ে পড়া শুরু করল তারা ঠিক দেড় ঘন্টা পড়ানোর পর রিফাতের মা কিছু হাল্কা নাস্তা নিয়ে এলো। রিফাত তার Aunty কে মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আর বলে তোমাদের দুজনের পর ইনি আমার আরেকটি মা। এবার শিক্ষিকা ব্যাপারটি খুলে বলতেই মা রিফাতকে আদর করতে থাকেন আর বলেন পড়ার ব্যাপারে কোনোই ছাড় দিবেন না। এবারে সকলেই আসরের নামায আদায় করে খালা ও তার শিক্ষিকাকে এগিয়ে দিতে গেলো রিফাত। এদিকে ফেরার পথে মৌমিতাকে নিয়ে আসতে হবে। যা হোক Aunty এর কাছে জেনে নিল হৃদয় কখন ফেরে। ঐ সময় তার সাথে দেখা ও খাবার খেয়ে আসবে। খালার বাসায় কিছুক্ষণ থেকে মৌমিতাকে আনতে গেল, রিফাত তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। মৌমিতাকে সহ হৃদয়দের বাসায় উঠলো ততক্ষণে হৃদয় চলে এসেছে। আন্টি রান্নাবান্না করছে বিধায় মাকে ফোন করে জানিয়ে দিল যে আজ রাতে খাবে না। আর জানিয়ে দিল যে সে ও মৌমিতা হৃদয়দের বাড়ীতে আছে। আজ সকলকে খাইয়ে দিয়ে আন্টি যেন তাদেরকে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। তাদের চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরে পড়লো। রাত তখন ৯টা হৃদয়ের বাবা ফিরেছেন ফ্রেশ হয়ে এসে তাদের সাথে যোগ দিলেন। খানার পর্ব শেষ করেই আন্টি রিফাত ও তার পরিবারকে আগামী শুক্রবার দাওয়াত দিলো। রিফাতরা বিদায় নিয়ে বাসার দিকে রওনা হলো। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত সাড়ে ৯টা মা গরম গরম দুধ নিয়ে অপেক্ষমাণ ছিলেন। বাবা ও মাকে সালাম দিলে, মা দুজনকেই ডাক দিলেন আর সুসংবাদ দিলেন। তাদের সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে নিয়েছে আর বলেছে রিফাত যেন পড়ালেখায় সঠিকভাবে মনোযোগী হয়। রিফাত বলল, তোমরা আমাদের দিক দেখেছ আমরাও তোমাদের দিক দেখবো।

Click This Link

০ টি +০/-০