অজানা পথের তরী

০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

১১তম পর্ব:

নতুন কম্পিউটার পেয়ে সবে আহমাদের হাত পাকা হয়েছে। বাজার শেষ হয়ে যাওয়াতে, মা আহমাদকে বাজারে পাঠালেন। আজ ১৩ তারিখ, বাসায় মেহমান আসার কথা। তাই হৃদি, ঋতু ঘর গোছাতে ব্যস্ত, আর আহমাদ বাজার করে নিয়ে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আজকে আহমাদের বড় ফুফু আসার কথা আছে, ফুফাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সাথে ছোট ফুফাতো ভাই হৃদয়কে নিয়ে। তারা দুপুরবেলায় পৌছবে, আর আহমাদ গোসল করে ফ্রেশ হয়ে এল। আহমাদের বাবা আজ তাড়াতাড়ি চলে আসবেন। যা হোক, আজ একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বাসাতে। এবারে সকল কাজ শেষ হয়ে এলে মাও ফ্রেশ হতে গেলেন। হৃদি, ঋতু আর আহমাদ আড্ডা বসাল। কিছুক্ষণ পর, মা চলে এলে তাতে পূর্ণতা পেল। একপর্যায় ফুফুরা চলে আসলে সকলে তাদের রুম দেখিয়ে দিলেন। ফুফু ফ্রেশ হয়ে এলেন আর মা টেবিলে খাবার লাগালেন। ফুফুকে সহ সকলেই খেতে বসল, আর ফুফাকে পরে খাওয়ানো হবে। ফুফু কোনো রকম খেয়েই ফুফাকে খাইয়ে দিতে লাগলেন। ফুফার খাওয়া শেষ হলে, ফুফু আর মা গল্প করতে লাগলেন। ফুফার পেট অপারেশন করতে হবে এপেন্ডিসাইটিস এর জন্য। আহমাদ কম্পিউটারে কিছু কাজ করছে, কাজ শেষ করে হাল্কা রেষ্ট নিল। এরপর একসময় আসরের আযান দিলে আহমাদের বাবার আগমন ঘটল, আর আহমাদ নামায পড়তে গেল। বাবা খাওয়া শেষ করে তার আপা ও দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করলেন, আর সালাম দিলেন। তার সালামের উত্তর দিয়ে কিছুসময় গল্প করতে লাগলেন। এরই মাঝে আহমাদ ফিরে এলে মা হাল্কা নাস্তা ও চা নিয়ে এলেন। গল্প করতে করতে সময় পার করল সবাই। আগামীকাল ফুফাকে নিয়ে যাওয়া হবে।

Click This Link

০ টি +০/-০