নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদ হোসাইন

▬►হ্যালো আমি মোঃ নাহিদ হোসাইন।\n▬►ডাকনাম: \"নাহিদ\"/ \"NHD\"\n▬►অন্যনাম: \"লাভ গুরু\"\n\nবর্তমানে \"বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকে\" \"ইলেকট্রিকাল\" টেকনোলজিতে পড়ছি।\nঅবসর সময়ে কবিতা লিখি, গেমস খেলি, গান শুনি, নিজের গান রেকর্ড করি, গল্প লিখি, কল্পনা জগতের ভাবনাগুলো শেয়ার করি ইত্যাদি। আমার অবসর সময় কাটে ফেসবুক, আর পিসির সাথে। আমার অন্যান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতনা যদি আমি পলিটেকনিক জীবনে প্রবেশ না করতাম। সত্যি অনেক কিছু শিখেছি এই জীবনে আরও শিখছি, After All শিক্ষার কোন শেষ নেই, And I Would Love to Learn New Things.

নাহিদ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মেয়েকে সবসময় ত্যাগ করতে হয়

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

★ লিখাঃ নাহিদ হোসাইন (N H D) ★
===============================================================

সেই ছোটবেলা থেকে মেয়েটির ত্যাগ শুরু হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারে যদি ছেলে বড় হয়, আর মেয়েটি ছোট হয়, তাহলে চাওয়া পাওয়ার দিক থেকে অনেক বাবা-মা ছেলের আবদারগুলোকে আগে প্রাধান্য দেন। মেয়েটিকে এই বলে বুঝানো হয় যে,
"তোর বড় ভাই সংসারের বড় ছেলে ওকে তাড়াতাড়ি বড় হয়ে সংসারের হাল ধরতে হবে, পরে তুই তোর ভাইয়ের কাছে ইচ্ছেমত আবদার করতে পারবি" মেয়েটিকে সবসময় আশার আলো দেখানো হয়, কিন্তু তা পূরণ করা হয়না। সে কোন বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করতে চায়, তার কি করতে ভালো লাগে তা জিজ্ঞেস না করেই পরিবারের বড়দের বিশেষ করে বড় ভাইয়ের ইচ্ছাগুলো তার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।
এখন রিলেশনের ব্যাপারে আসা যাক। বড় ভাই প্রেম করতে পারবে, রাত জেগে ফোনে কথা বলতে পারবে, ফেসবুক চালাতে পারবে, যখন তখন বাহিরে ঘুরাঘুরি করতে পারবে কিন্তু মেয়েটি পারবে না। তার প্রেম করতে বাঁধা, ফেসবুক চালাতে বাঁধা, এমনকি বিকেলে একটু ঘুরতে যেতে বাঁধা। মেয়েটি যদি কোন কারণে বান্ধবীর সাথে কোথাও ঘুরতেও যায়, পরিবার থেকে হাজারটা প্রশ্ন করা হয় "কোথায় যাচ্ছ? কখন আসবে? কার সাথে যাচ্ছ ইত্যাদি। আবার ছেলেটা যদি বলে,
"মা, বাহিরে গেলাম।
"ঠিক আছে বাবা যা"
তখন কিন্তু ছেলেটিকে এত প্রশ্ন করা হয়না, প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়না।
মেয়েটিকে স্কুল, কলেজে, প্রাইভেটে গেলেও বলে দেয়া হয় সঠিক সময়ে ঘরে আসবি, এটা করতে পারবি না, ওটা করতে পারবি না। যদি ছেলে মেয়ের সমান অধিকার হয় তাহলে কেন সবক্ষেত্রে মেয়েদের এত বাঁধা দেয়া হয়? এক্ষেত্রে কোন মেয়ে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা, সব সহ্য করে নেয়। আবার যদি মুখ ফুটে কিছু বলেও তাহলে তাকে বেয়াদপ বলা হয়, অনেক কথা শুনানো হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটিকে মারধোর করা হয়। তাকে এই বলে আশ্বাস দেয়া হয়,
"স্বামীর ঘরে গেলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবি" মেয়েটি এই কথা শুনে মনে মনে একটু উৎসাহ পায়, মেয়েটি বিয়ের পর স্বামীর ঘরে গিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, সে ভাবে এখন বুঝি আমার সব বাধ্যবাধকতার অবসান ঘটলো, এখন আমি মুক্ত পাখি হয়ে হয়ে সুখের আকাশে ভেসে বেড়াতে পারবো।
আসলেই কি মেয়েটা স্বামীর ঘরে গিয়ে সুখি হয়??
সংসারের কাজ করতে করতেই তো ১২ টা বেজে যায়, পরিবারের সবার আবদারগুলো রাখতে গিয়ে নিজের আবদারগুলোকে মাটি চাপা দিতে হয়।

একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকে ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগ করতে হয় তার ইচ্ছেগুলো, মনের অনুভূতিগুলো। ত্যাগ করতে হয় বয়ফ্রেন্ডকে, পিতার ঘর ত্যাগ করতে হয়, বিয়ের পর ত্যাগ করতে হয় তার নাম, সন্তান লাভের পর ত্যাগ করতে হয় তার রাতের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া। সন্তান বড় হয়ে খারাপ আচরণ করলে ত্যাগ করতে সন্তানকে নিয়ে তার সমস্ত আশা-ভরসাকে। আবার ছেলের বউ যদি খারাপ হয়, তাহলে ত্যাগ করতে হয় তার আপন স্বামীর ঘর, মেয়েটির শেষ জীবনের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম, আর একমাত্র সঙ্গী বলতে থাকে চোখের জল।

► পরিশেষে একটা কথায় বলব, মেয়েরা স্রস্টার অপরূপ সৃষ্টি। একটি মেয়ে হয় কারো মেয়ে, কারো বোন, কারো স্ত্রী, কারো মা। মেয়েদের মন খুব নরম, সেই মন শুধু একটা জিনিস চায় সেটি হল প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে অফুরন্ত ভালবাসা। বাবা-মা, ভাই, স্বামী, সন্তান, সন্তানের বউ, শ্বশুর, শাশুড়ি সমস্ত আপন জনদের কাছ থেকে ভালবাসা চায় একটি মেয়ের মন। মেয়েদের সেই নরম মনে কখনো আঘাত করোনা বন্ধু, কখনো কষ্ট দিয়ো না। শুধু তাকে আপন করে ভালবাসা দিয়ে দেখো, সমস্ত পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে শুধু তোমার জন্য। সেই তুমি হতে পারো তার বয়ফ্রেন্ড, তার স্বামী, কিংবা তার ছেলে।
মেয়েদের বুঝতে শিখুন, তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করবেন না, তাদের ইচ্ছেগুলোকে অঙ্কুর থেকে বের হবার আগে মেরে ফেলবেন না, একবার সুযোগ দিয়েই দেখুন মেয়েটি একদিন অনেক বড় হতে পারে।

▬►বিঃদ্রঃ এটি কোন নারীবাদী লেখা নয়। আমি মনে করি ইসলামিক অনুশাসনের ভিতর থেকে মেয়েদের ও অধিকার আছে আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার, তার স্বপ্নগুলোকে পূরণ করার। (নাহিদ)

ফেসবুকে আমি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৬

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: জাযাকাল্লাহ
খুবই ভালো লাগলো
আপনি যা বুঝেছেন ,আল্লাহ যেন সব ছেলেদের এমন বুঝ দান করেন । আমীন ।
আল্লাহ আপনাকে সুখী করুন । আমীন । ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৪

নাহিদ হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.