![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
▬►হ্যালো আমি মোঃ নাহিদ হোসাইন।\n▬►ডাকনাম: \"নাহিদ\"/ \"NHD\"\n▬►অন্যনাম: \"লাভ গুরু\"\n\nবর্তমানে \"বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকে\" \"ইলেকট্রিকাল\" টেকনোলজিতে পড়ছি।\nঅবসর সময়ে কবিতা লিখি, গেমস খেলি, গান শুনি, নিজের গান রেকর্ড করি, গল্প লিখি, কল্পনা জগতের ভাবনাগুলো শেয়ার করি ইত্যাদি। আমার অবসর সময় কাটে ফেসবুক, আর পিসির সাথে। আমার অন্যান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতনা যদি আমি পলিটেকনিক জীবনে প্রবেশ না করতাম। সত্যি অনেক কিছু শিখেছি এই জীবনে আরও শিখছি, After All শিক্ষার কোন শেষ নেই, And I Would Love to Learn New Things.
►লিখাঃ নাহিদ হোসাইন (NHD)
প্রতিটি মানুষের জীবনেই মজার কিছু ঘটনা থাকে। অতীতে ফেলে আসা ঘটনা গুলো স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে আছে, মাঝে মাঝে মনে পড়লে নিজের অজান্তেই হেসে উঠি।
ক্লাস ফোরের ঘটনাঃ তখন ২০০৪ সাল, আমি ক্লাস ফোরে পড়ি। ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলাম বিধায় কিছু মেয়ে এমনিতেই ফিদা ছিল, কিন্তু সোনিয়া নামের মেয়েটা মনে হয় একটু বেশীই ছিল। মেয়েটি ক্লাসে সারাক্ষণ আমাকে ফলো করতো, ফলো করার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আমি পুরো বিরক্ত হয়ে যেতাম। যেমনঃ আমি ক্লাসে বসে কিছু লিখছি, দেখতাম সোনিয়া ও লিখছে, পাশের বন্ধুর সাথে কথা বলছি, মেয়েটাও কথা বলছে তার বান্ধবীর সাথে। সবসময় আমার চোখের সামনের বেঞ্চটাতে বসত, তাই আমাকে ফলো করার ব্যাপারটা বুঝতে পারতাম। এভাবেই চলছিল কোনদিন কথা হয়নি। একদিন আমাদের মুদির দোকানে পেয়াজের বস্তার উপর একটা চিরকুট পাই।
তাতে লেখা ছিল, “নাহিদ, আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি”
নাম লেখা ছিল না তাই বুঝতে পারিনি কে দিয়েছে।
একদিন বিকেলের ঘটনা আমরা কাজিনরা মিলে মাঠে “বউ চি” খেলছিলাম, হঠাৎ সোনিয়াকে আমদের দিকে আসতে দেখলাম। কাজিন পাপিয়ার সাথে কি নিয়ে যেন কথা বলছিল।
তখন আমি হাতে একটা জুতা নিয়ে “তুই এখানেও এসেছিস?” চিৎকার করে বলতে বলতে সোনিয়াকে ধাওয়া করলাম, একসময় জুতা ছুঁড়ে মারলাম, জুতাটা ওর পায়ে গিয়ে লাগল। মেয়েটি সে যাত্রা দৌড়ে পালালো।
ঐদিকে পাপিয়া আমার পিঠে সজোরে থাপ্পড় দিয়ে বলল, “শয়তান, মেয়েটা তোকে একটা কথা বলতে আসছিল, আর তুই?”
আমি বললাম, এর জ্বালায় আমি ক্লাসে শান্তি পাইনা।
কিছুদিন পর আলুর বস্তার আরেকটা নাম ছাড়া চিরকুট পেলাম।
তাতে লিখা ছিল, “নাহিদ আমি এতদিন তোমার সাথে যা যা করেছি তার জন্য দুঃখিত”
পরে একসময় পাপিয়ার কাছ থেকে জানতে পারলাম চিরকুট গুলো সোনিয়ার আর পাপিয়ার মাধ্যমে সেগুলো আমার কাছে পাঠাতো।
ওর হাসিটা অনেক সুন্দর ছিল। জানিনা সোনিয়া নামের মেয়েটা আজ কোথায় আছে। সেদিনের ছেলেমানুষির কথা মনে পড়লে খুব হাসি পায়।
ক্লাস ফাইভের ঘটনাঃ ২০০৫ সাল। যথারীতি ক্লাস ফাইভের ক্যাপ্টেন আমিই ছিলাম। মুন্নি নামের একটা মেয়ে কিন্ডার গার্ডেন থেকে এসে ভর্তি হয়। একটা ফাজলামি করার পর থেকে পুরো ভৈরব এলাকার পিচ্চি থেকে শুরু করে আমার সমবয়সীরা পর্যন্ত আমাকে “মুন্নির জামাই” বলে ক্ষ্যাপাতো। যার ফলে আমার বাসা থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছিল।
স্পাইডারম্যান হয়ে উঠাঃ ২০০৭ সালের ঘটনা। স্পাইডারম্যান মুভি দেখার পর স্পাইডারম্যানের খুব ভক্ত হয়ে যায়। দেয়াল বেয়ে উঠার চেষ্টা করতাম, মাকড়সা দেখলে স্থির হয়ে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতাম আর দিনরাত চিন্তা করতাম কি করে স্পাইডারম্যান হওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শোয়া অবস্থায় দেয়ালের দিকে হাত দুটোকে স্পাইডারম্যানের মত করে ছুঁড়ে দিতাম, এই আশায় যে হাত থেকে জাল বের হয়ে দেয়ালে লাগবে।
কোন কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছিলনা, তখন একটা মাকড়সা ধরলাম। রাতের ঘটনা এটি, মাকড়সাটিকে ডান হাতের রগের উপর বসালাম, এই আশায় যে কামর দিবে আর আমি স্পাইডারম্যান হয়ে উঠবো। মাকড়সাটি কামর দিচ্ছিল না দেখে চাপ দিতে থাকলাম, বিরক্ত হয়ে মাকড়সাটি একসময় রগের উপর কামর দিয়ে ধরে রাখল। আমি তো খুশিতে আটখানা, এবার আমি স্পাইডারম্যান হয়ে উঠবো। Yahoooooooooooooooooooooo
মুভিতে দেখেছিলাম মাকড়সার কামর খাওয়ার পর নায়ক কেমন করে ঘুমাতে যায়, আমিও ওরকম একটা ভাব ধরে ঘুমাতে যায়। সকালে হাত দুটো আগের মত করে দেয়ালের দিকে ছুঁড়ে মারি, কিন্তু হাত থেকে জাল বের হয়না দেখে আমি হতাশ হয়ে যায়। : (
কম্পিউটার গেমসের নেশাঃ সাল ২০১০। কম্পিউটারে গেমস খেলার নেশা ছিল অনেক। এতটাই যে স্বপ্নেও গেম খেলতাম। একদিন জুবায়ের ও আমি ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় গেমস খেলতে যায়। আমরা সকালে যায়, আর গেমস খেলতে থাকি। কারেন্ট চলে যাওয়াতে বের হয়ে আসি, বাইরে এসে দেখি রাত হয়ে গেছে। হতভম্ব হয়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
বাসায় যাওয়ার পর আমার কি অবস্থা হয়েছিল সেটা আর নাই বললাম, আন্দাজ করে নেন। আর ঐদিকে জুবায়ের কে খোঁজার জন্য মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, জুবায়ের কয়েক মিনিট লেট করে বাসায় গেলে, সেদিন মাইকিং হয়ে যেত।
ভ্যালেন্টাইন ডেঃ সাল ২০১০। তখন ভৈরব টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ইলেকট্রিকাল বিভাগে ১০ এ পড়ি। ভ্যালেন্টাইন ডের দিন ওয়েল্ডিং বিভাগের আমার ফ্রেন্ড রবিন জুনিয়র ছাত্রী শাহজাদী কে উদ্দেশ্য করে “হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে” বলে উপরে ফুল ছুঁড়ে মারে। শাহজাদী ও তার কিছু ফ্রেন্ড তখন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিল আর রবিনরা উপরে উঠছিল।
এই ঘটনায় শাহজাদী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিভাগের “রফিক” স্যারকে ব্যাপারটা জানায়। শাহজাদী রবিনকে চিনত না, তাই স্যারের কাছে যেভাবে রবিনের বর্ণনা দিয়েছিল তার সাথে নাকি আমার বর্ণনা অনেকটা মিলে যায়।
তখন স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ছেলেটি কি নাহিদ ছিল?
শাহজাদী বলল, স্যার হতে পারে। আমি ওর নাম জানি না।
রফিক স্যারঃ ইম্পসিবল নাহিদ এই কাজ জীবনেও করতে পারবে না।
স্যারের এইরকম মন্তব্যের কারণ ছিল আমি কোন মেয়ের সাথে কথা বলতাম না, আমার চালচলন, পোশাক, ব্যাবহার অন্যরকম ছিল। আমি তখন এর কিছুই জানতাম না।
আমরা স্যারের কাছে প্রাইভেট পরতাম, প্রাইভেট পড়াকালীন সময়ে স্যার ব্যাপারটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
আমি তো শুনে পুরাই অবাক, পরে অবশ্য কাজটা যে রবিন করেছিল এটাও স্যার জানতে
পারেন, রবিনও ব্যাপারটা স্বীকার করে।
আর সেদিন আমার উপর স্যারের আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।
নীলপরী নীলাঞ্জনাঃ এটি ০২-১২-২০১৩ এর ঘটনা। আমার জিপি মডেম টা প্রায় ৩ মাস ধরে নষ্ট ছিল, কোন কাজ করত না । কিছুদিন আগে আমার এক FB Friend “নীলপরী নীলাঞ্জনা” টেলিফ্লিমের তাহসানের বড় “অবেলায় পেলাম তোমায়” গানের লিঙ্ক দিতে বলে। তখনও আমার মডেমে প্রবলেম ছিল বলে দিতে পারিনি। যেই আমি গানটার লিঙ্ক খুঁজব এই উদ্দেশে মডেমটা পিসি তে কানেক্ট করলাম, ওমনি মডেম ঠিক হয়ে গেল। আমি তো মহাখুশি। মনে মনে আল্লাহ এবং ঐ ফ্রেন্ড কে ধন্যবাদ দিলাম।
কিন্তু মজার ব্যাপার হল গানটার লিঙ্ক ঐ ফ্রেন্ড টাকে দেওয়ার পর পর ই মডেম টা ঠিক আবার আগের মত হয়ে গেল।
এই ছিল আমার জীবনের সবগুলো মজার ঘটনা। (নাহিদ)
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
নাহিদ হোসাইন বলেছেন:
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মুন্নির জামাই!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মুন্নির জামাই!