নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদ হোসাইন

▬►হ্যালো আমি মোঃ নাহিদ হোসাইন।\n▬►ডাকনাম: \"নাহিদ\"/ \"NHD\"\n▬►অন্যনাম: \"লাভ গুরু\"\n\nবর্তমানে \"বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকে\" \"ইলেকট্রিকাল\" টেকনোলজিতে পড়ছি।\nঅবসর সময়ে কবিতা লিখি, গেমস খেলি, গান শুনি, নিজের গান রেকর্ড করি, গল্প লিখি, কল্পনা জগতের ভাবনাগুলো শেয়ার করি ইত্যাদি। আমার অবসর সময় কাটে ফেসবুক, আর পিসির সাথে। আমার অন্যান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতনা যদি আমি পলিটেকনিক জীবনে প্রবেশ না করতাম। সত্যি অনেক কিছু শিখেছি এই জীবনে আরও শিখছি, After All শিক্ষার কোন শেষ নেই, And I Would Love to Learn New Things.

নাহিদ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ২০১৪ সালের কিছু অভিজ্ঞতা....

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩০

►আগুন লাগার অভিজ্ঞতাঃ সময়টা বছরের মাঝামাঝি সময়ের। তখন দুপুর। আমি নুডুলস রান্না করার জন্য কেরসিনের স্টোভ জ্বালালাম। খেয়াল করলাম তেল প্রায় শেষ তাই আগুন তেমনভাবে জলছে না। বোতল থেকে চুলায় তেল ঢালতে থাকলাম। হয়তো একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম ফলে তেল ঢালার এক পর্যায়ে খানিকটা তেল চুলার গা বেয়ে আশেপাশে পড়ে যায়। এখানে বলা প্রয়োজন যে, আমি চুলা বন্ধ না করেই তেল ঢালছিলাম। তেলের ওভারলোড হয়ে যাওয়ায় স্টোভের উপরের আগুন চুলার গায়ের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে, এবং তৎক্ষণাৎ চুলার গায়ে আগুন ধরে যায়। আগুন খুব দ্রুত ভয়াবহ রুপ ধারণ করে এবং অনেক কালিমাখা ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। বিপদে পড়লে নাকি মানুষের হুশ থাকেনা, অনেকে হয়তো এইরকম পরিস্থিতে অনেকে চিল্লাপাল্লা শুরু করে দেয়। আমি কাপ্তাইতে রুমে একা থাকি, বারবার মনকে এটা বলে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম, "নাহিদ কিছু হয়নি, just Cool"
স্টোভের উপরের ঢাকনাটা খুলা ছিল তাই খুব ভালমতেই গোল আকারের আগুন বিস্তার লাভ করেছিল, আমি পানি ঢেলে দিলাম। আগুন তো কমলোই না উল্টো পানির ঝাপটার ফলে কিছু আগুন সহ কেরোসিন পাশে থাকা কেরোসিনে ভর্তি বোতলটার গায়ে পড়ল আর সাথে সাথে বোতলে আগুন লেগে গেল। বোতল গলে কেরোসিন সমস্ত রান্নাঘরের ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ল আর তার সাথে আগুনও ছড়িয়ে গেল। গোসলের পুরো বালতি পানি ফ্লোরে ঢেলে দিলাম, আর আল্লাহ্‌র রহমতে কোনপ্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আগুন নিভাতে সক্ষম হলাম। এই কাজটা প্রথমে করলে হয়তো এমন হত না।
যাই হোক সেদিনের ঘটনার পর একটা ব্যাপার উপলব্ধি করলাম সেটি হল, আমি কেন জানি এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে চিৎকার-চেচামেচি করতে পারিনা, মাঝে মাঝে মনে হয় আমার আপন কেউ যখন আল্লাহ্‌র প্রিয় হয়ে যাবে তখন হয়তো আমি কাঁদতে পারবো না। :/


►ছিনতাই হওয়ার ঘটনাঃ দিনটি ছিল সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ। পরীক্ষা শেষ করে খুশি মনে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার ট্রেন ছিল রাত ১১টায়, "তুর্ণা নিশীতা এক্সপ্রেস" তখন ঈদের মৌসুম ছিল, সবাই বাড়ি যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। রাত ৮ টার দিকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আসলাম। সময় কাটানোর জন্য মোবাইলে ফেসবুকিং করছিলাম। ট্রেন আসার আগ পর্যন্ত ফেবুতেই বিজি ছিলাম, তারপর যখন ট্রেন প্লাটফরমে আসল আমার আসন খুঁজে বের করে আবার ফেসবুকিংয়ে বিজি হয়ে গেলাম। তখন কম-বেশ সবার চ্যাট করতাম, আর ভালো লাগতো। আমার সিট পড়েছিল জানালার পাশে। মাঝখানে একবার বাবার ফোন আসলো বাবা বললেন আমি যেন ট্রেন ছাড়ার সাথে সাথে তাকে ফোন দিই।
আমি বাবার বাধ্য সন্তান, ট্রেন যখন হুইসেল ছেড়ে প্লাটফরম ত্যাগ করল তখন আমি বাবাকে কল দিয়ে যেই মোবাইলটা কানের কাছে নিলাম, ওমনি কে যেন জানালার পাশ থেকে থাবা মেরে আমার মোবাইলটা নিয়ে গেল। ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটল যে কি ঘটল তা বুঝতে আমার কয়েক সেকেন্ড লাগলো। আমি সাথে সাথে আচমকা ভয়ে চিৎকার করে উঠলাম। সমস্ত ট্রেনের লোক আমার দিকে ঘুরে তাকালো। আমি কি করবো বুঝতে না পেরে স্থির হয়ে বসে রইলাম। যেখানে মোবাইল টা রাখতাম সেখানে বার বার হাত দিয়ে মোবাইলটার অস্তিত্ব অনুভব করতে চাইছিলাম, কিন্তু জায়গাটা ছিল তখন শুন্য।
হঠাৎ মনে হল বাবাকে একটা কল করা দরকার নয়তো আমার নাম্বার বন্ধ পেলে দুশ্চিন্তা করবে। ট্রেন তখন ফুল স্পীড। আমার পাশের সিটেই বসে ছিল আমার বয়সি একটা ছেলে, ওকে বললাম একটা ফোন করা যাবে।
ছেলেটির হাতে ছিল টাচ স্ক্রিনের মোবাইল। ছেলেটি আমাকে কি জবাব দিল জানেন, আমার মোবাইলের স্পিকার নষ্ট। অথচ কিছুক্ষণ আগে কার সাথে যেন কথা বলছিল।( ছেলেটিকে মনে মনে কয়েকটা গালি দিলাম)
বলা বাহুল্য ঐ সময় ট্রেনে কারো কাছে একটা কল দেয়ার জন্য কারো হেল্প পাইনি, অথচ আমি যখন সুযোগ পাই তখন মানুষকে যথাসাধ্য সাহায্য করি। কিন্তু আল্লাহ সেদিন আমাকে হেল্প করার জন্য কাউকে পাঠাননি। :(
অবশেষে সকালে ভৈরব আসলাম, বাড়িতে যাওয়ার পর মায়ের লাল চোখ দেখে বুঝে গিয়েছিলাম, মা আমার সারারাত চোখের পাতা এক করেননি। বিস্তারিত ঘটনা বলার পর মা শান্ত হলেন, আর বললেন পরবর্তীতে যেন সাবধান থাকি।

সেদিনের ঘটনার পর দুইটা শিক্ষা পেলাম,
১. কেউ মরে যাক, স্বার্থ ছাড়া কোন শালাকে সাহায্য করবো না।
২. ট্রেনে জানালার পাশে সিট পড়লে এখন থেকে জানালার সাটার নামিয়ে রাখি, এজন্য কেউ বাহিরের দৃশ্য দেখার জন্য চিল্লা-পাল্লা করলে তাকে আমার জায়গায় বসিয়ে দেই।

লিখাঃ নাহিদ হোসাইন (N H D)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.