নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদ হোসাইন

▬►হ্যালো আমি মোঃ নাহিদ হোসাইন।\n▬►ডাকনাম: \"নাহিদ\"/ \"NHD\"\n▬►অন্যনাম: \"লাভ গুরু\"\n\nবর্তমানে \"বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকে\" \"ইলেকট্রিকাল\" টেকনোলজিতে পড়ছি।\nঅবসর সময়ে কবিতা লিখি, গেমস খেলি, গান শুনি, নিজের গান রেকর্ড করি, গল্প লিখি, কল্পনা জগতের ভাবনাগুলো শেয়ার করি ইত্যাদি। আমার অবসর সময় কাটে ফেসবুক, আর পিসির সাথে। আমার অন্যান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতনা যদি আমি পলিটেকনিক জীবনে প্রবেশ না করতাম। সত্যি অনেক কিছু শিখেছি এই জীবনে আরও শিখছি, After All শিক্ষার কোন শেষ নেই, And I Would Love to Learn New Things.

নাহিদ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৩

লিখাঃ নাহিদ হোসাইন
গতকাল অ্যাডভান্সড ইলেকট্রনিক্স ক্লাস করার সময় কথা প্রসঙ্গে মেম আমাদের তার টিচার লাইফে আসার ঘটনা বললেন। ঘটনাটা শুনে আমি বিস্মিত, ইচ্ছে শক্তির কাছে সব কিছুই হার মানে। মেমের অনুমতি নিয়ে ঘটনাটি উনার ভাষায় লিখা শুরু করলাম।
আমি ফাহমিদা, বর্তমানে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের টিচার। এখানে আসার পিছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশী তিনি হলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের সুজিত স্যার।
স্টাডি লেভেল কমপ্লিট করার পর সুজিত স্যার পরামর্শ দেন, টিচার নিয়োগ পরীক্ষার ফরম কেনার জন্য। ফরম কিনতে যেতে হবে আগ্রাবাদ। আমি কাপ্তাইয়ের মেয়ে জীবনেও আগ্রাবাদ যাইনি।
বাবাকে কেনার কথা বললে বাবা বলেন, “স্টাডি শেষ, এখন ঘরে বসে থাক টিচার হওয়া লাগবে না” বাবার কথায় খারাপ লাগলেও মনোবল হারাইনি। শেষে আমি নিজে গিয়েই ফরম কিনব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
পরদিন যথারীতি বাসা থেকে রওনা হলাম, বাসায় কাউকে জানাইনি যে আমি আগ্রাবাদ যাচ্ছি, যদি জানতে পারে যেতে দিবেনা। সুজিত স্যার আমাকে কিভাবে কিভাবে যেতে হবে তার একটা ম্যাপ একে দিলেন, কোথায় ভাড়া কত, কইটা মসজিদ, দোকান ইত্যাদি, পুরো গুগল ম্যাপের মত।
জীবনে এই প্রথম আগ্রাবাদ গেলাম, খুব ভালভাবেই ফরম কিনে বাসায় আসলাম। পরদিন স্যারের কাছে গিয়ে ফরম পূরণ করার পর স্যার বললেন, “ব্যাংক ড্রাফ্‌ট করেছো?”
স্যার এর আগে ব্যাংক ড্রাফ্‌টের কথা বলেননি, হয়তো ব্যস্ততার কারণে ভুলে গেছেন। জীবনে প্রথমবার হওয়ায় ব্যাপারটা আমিও জানতাম না, এদিকে ফরম জমা দেয়ার লাস্ট ডেট আজ।
পাগলের মত আবার রওনা হলাম, রাস্তায় পানি উঠার কারণে C.N.G আমাকে কাপ্তায় রাস্তার মাথায় দিল, সেখান থেকে যাওয়ার মত বাস, রিক্সা কিছু পাচ্ছিলাম না, শেষে একটা রিক্সা ৫০০ টাকায় যেতে রাজি হয়, কিছুদুর যাওয়ার পর রিক্সায় আমার কোমর পানি হয়ে যায়, আমি ফাইলটাকে কোনরকম ভিজার হাত থেকে বাঁচিয়ে বসে রইলাম।
আগ্রাবাদ যেতে যেতে ৪.৩০ বেজে যায়, বাংক ড্রাফ্‌ট করার পর জমা দিতে গিয়ে দেখি ৫.০০ টার উপর বেজে গেছে, এক লোক অফিসের সাটার নামিয়ে দিচ্ছেন, তাকে গিয়ে অনেক রিকুয়েস্ট করার পর, কান্নাকাটি করার পর সে আমার ফরমটি নিতে রাজি হয়। তারপর বাসায় চলে আসি।
অবশেষে এলো ভর্তি পরীক্ষার দিন, পরদিন পরীক্ষা, আগের দিন রাতে বান্ধবীর বাসায় থাকব বলে বাসা থেকে বের হলাম, বান্ধবীর কাছ থেকে ১৫০০ টাকার মত নিয়ে বাসে উঠলাম। চিটাগাং শহরে আসার পর রাস্তায় রাজনৈতিক দলের মারামারি, সংঘর্ষ ইত্যাদির কারণে বাস আর যেতে চাইল না, সকল যাত্রীকে নামিয়ে দিল।
এদিকে রাত প্রায় ৩ টা বেজে গেছে, আমাকে যেতে হবে ঢাকার সায়েদাবাদ, যাওয়ার মত কোন উপায় পাচ্ছিনা, চোখ দিয়ে আপনাআপনি পানি পড়ছে, বাসের হেল্পারকে বার বার রিকুয়েস্ট করতে লাগলাম ঢাকা যাওয়ার একটা ব্যবস্থা করার জন্য।
অবশেষে একটা এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা আসলাম, পরীক্ষার হলে যখন আসলাম তখন ১০.৪৫ মিনিট বাজে। গেটে ঢুকার পর দেখি সব বন্ধ, কেয়ারটেকার আসলে উনাকে পরীক্ষার কথা জিজ্ঞেস করতেই বলে পরীক্ষা তো সেই ১০টায় শুরু হয়েছে, আপনি এত লেট করলেন কেন? এখন ভিতরে ঢুকার অনুমতি নাই।
তাকে অনেক রিকুয়েস্ট করার পর সে ভিতরে গিয়ে কিছু লোকজন নিয়ে এলো, এদিকে রাস্তায় গোলাগুলির শব্দে আমার ভিতরে বার বার চমকে উঠছিল, খুব ভয় পেয়েছিলাম সেদিন।
তারা এসে আমি কোথা থেকে এসেছি, নাম, এডমিট কার্ড ইত্যাদি যাচাই করার পর ঢুকার অনুমতি দিলেন, তখন বাজে ১১.১৫ মিনিট।
নির্দিষ্ট আসনে বসার পর হলের মেম খাতা গুলো দিয়ে ধমক সুরে বললেন, “জলদি পূরণ কর”
একে তো কত ঝামেলা করে এখানে এসেছি, তারউপর ধমক শুনে আমি পুরো সিটিয়ে গেলাম, চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিলো।
বলে রাখা দরকার খাতা ছিল মোট ৪ টি, সবগুলো বৃত্ত ভরাট করতে হবে, এদিকে সময় ও নেয়, বৃত্ত বরাট করবো নাকি লিখবো?
হলের দয়ালু স্যার এ ব্যাপারে আমাকে হেল্প করলেন, আমি নির্দিষ্ট ঘরে সংখ্যা বসিয়ে দিলাম, উনি পূরণ করতে লাগলেন, মেমটা আড়চোখে তাকিয়ে সব দেখছিলেন কিছু বললেন না।
আমি প্রথমে জেনারেল ইলেক্ট্রিসিটি লেখা শুরু করলাম, প্রায় ১ ঘণ্টার ভিতর লেখা শেষ করলাম, হাতে আছে ৪৫ মিনিট বাকি আছে আরো ৩টা বিষয়। তো আমি কি করলাম খাতা তিনটা পরপর সাজালাম, একবার একটু করে সাধারণ জ্ঞান লিখি, একটু করে গণিত লিখি, আবার বাংলা লিখি, আবার একটু সাধারণ জ্ঞান, আবার গণিত। এমন করে মোটামুটি সবগুলা কমপ্লিট করলাম।
এরপর এলো রেজাল্টের পালা, আমি জানতাম যে চান্স পাবোনা, কারণ এত ঝামেলার পর চান্স পাওয়ার কথা না। রেজাল্ট নেটে দিয়েছে, আমি ভয়ে ব্রাউজ করিনি।
রেজাল্টের দিন সুজিত স্যার আমাদের বাসায় এসে আমাকে ডাকতে লাগলেন, স্যারের ডাকাডাকিতে বাড়ির সবাই বের হয়ে এলো।
আমি সামনে গেলাম স্যার ভয়ংকর মুখ করে আমার দিকে তাকালেন, যা বুঝার বুঝে গেলাম, ভিতর থেকে কান্না চেপে আসছিল।
এবার স্যার বললেন, “ফাহমিদা, তোমার তো চান্স হয়েছে”
একথা শোনার পর খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম, প্রথমে স্যারকে সালাম করলাম, তারপর ওখানে উপস্থিত সবাইকে করলাম।
আমি কল্পনা করতে পারিনাই আমার চান্স হবে, আল্লাহ চাইলে সবকিছু পারেন, একটা ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারলাম ইচ্ছে শক্তি হল আসল, ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। সেদিন আমার বাবা আমাকে যেতে দেননি, আজ তিনি গর্ব করে বলতে পারেন আমার মেয়ে একজন শিক্ষক।
পরিশেষঃ মেমের ঘটনাটি শোনার সময় আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আর ভাবছিলাম মেয়ে হয়ে তিনি এত বড় সিদ্ধান্ত একা নিয়েছেন, যা আমরা অনেক ছেলেরাই পারিনা। I Just Hats off With Respect..
ঘটনাটি আমার জীবনের একটা বড় শিক্ষণীয় ঘটনা, অনেক কিছু শিখেছি আমি। জীবনে চলার ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত নিজে নিতে হয়, সবসময় নিজের মনের কথা শুনতে হয়, এবং ওটাই করা উচিত যা তোমার চায়।
আর একটা ব্যাপার সেটি হল প্রবল ইচ্ছা শক্তি যার দ্বারা অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব। (নাহিদ)গতকাল অ্যাডভান্সড ইলেকট্রনিক্স ক্লাস করার সময় কথা প্রসঙ্গে মেম আমাদের তার টিচার লাইফে আসার ঘটনা বললেন। ঘটনাটা শুনে আমি বিস্মিত, ইচ্ছে শক্তির কাছে সব কিছুই হার মানে। মেমের অনুমতি নিয়ে ঘটনাটি উনার ভাষায় লিখা শুরু করলাম।
আমি ফাহমিদা, বর্তমানে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের টিচার। এখানে আসার পিছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশী তিনি হলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের সুজিত স্যার।
স্টাডি লেভেল কমপ্লিট করার পর সুজিত স্যার পরামর্শ দেন, টিচার নিয়োগ পরীক্ষার ফরম কেনার জন্য। ফরম কিনতে যেতে হবে আগ্রাবাদ। আমি কাপ্তাইয়ের মেয়ে জীবনেও আগ্রাবাদ যাইনি।
বাবাকে কেনার কথা বললে বাবা বলেন, “স্টাডি শেষ, এখন ঘরে বসে থাক টিচার হওয়া লাগবে না” বাবার কথায় খারাপ লাগলেও মনোবল হারাইনি। শেষে আমি নিজে গিয়েই ফরম কিনব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
পরদিন যথারীতি বাসা থেকে রওনা হলাম, বাসায় কাউকে জানাইনি যে আমি আগ্রাবাদ যাচ্ছি, যদি জানতে পারে যেতে দিবেনা। সুজিত স্যার আমাকে কিভাবে কিভাবে যেতে হবে তার একটা ম্যাপ একে দিলেন, কোথায় ভাড়া কত, কইটা মসজিদ, দোকান ইত্যাদি, পুরো গুগল ম্যাপের মত।
জীবনে এই প্রথম আগ্রাবাদ গেলাম, খুব ভালভাবেই ফরম কিনে বাসায় আসলাম। পরদিন স্যারের কাছে গিয়ে ফরম পূরণ করার পর স্যার বললেন, “ব্যাংক ড্রাফ্‌ট করেছো?”
স্যার এর আগে ব্যাংক ড্রাফ্‌টের কথা বলেননি, হয়তো ব্যস্ততার কারণে ভুলে গেছেন। জীবনে প্রথমবার হওয়ায় ব্যাপারটা আমিও জানতাম না, এদিকে ফরম জমা দেয়ার লাস্ট ডেট আজ।
পাগলের মত আবার রওনা হলাম, রাস্তায় পানি উঠার কারণে C.N.G আমাকে কাপ্তায় রাস্তার মাথায় দিল, সেখান থেকে যাওয়ার মত বাস, রিক্সা কিছু পাচ্ছিলাম না, শেষে একটা রিক্সা ৫০০ টাকায় যেতে রাজি হয়, কিছুদুর যাওয়ার পর রিক্সায় আমার কোমর পানি হয়ে যায়, আমি ফাইলটাকে কোনরকম ভিজার হাত থেকে বাঁচিয়ে বসে রইলাম।
আগ্রাবাদ যেতে যেতে ৪.৩০ বেজে যায়, বাংক ড্রাফ্‌ট করার পর জমা দিতে গিয়ে দেখি ৫.০০ টার উপর বেজে গেছে, এক লোক অফিসের সাটার নামিয়ে দিচ্ছেন, তাকে গিয়ে অনেক রিকুয়েস্ট করার পর, কান্নাকাটি করার পর সে আমার ফরমটি নিতে রাজি হয়। তারপর বাসায় চলে আসি।
অবশেষে এলো ভর্তি পরীক্ষার দিন, পরদিন পরীক্ষা, আগের দিন রাতে বান্ধবীর বাসায় থাকব বলে বাসা থেকে বের হলাম, বান্ধবীর কাছ থেকে ১৫০০ টাকার মত নিয়ে বাসে উঠলাম। চিটাগাং শহরে আসার পর রাস্তায় রাজনৈতিক দলের মারামারি, সংঘর্ষ ইত্যাদির কারণে বাস আর যেতে চাইল না, সকল যাত্রীকে নামিয়ে দিল।
এদিকে রাত প্রায় ৩ টা বেজে গেছে, আমাকে যেতে হবে ঢাকার সায়েদাবাদ, যাওয়ার মত কোন উপায় পাচ্ছিনা, চোখ দিয়ে আপনাআপনি পানি পড়ছে, বাসের হেল্পারকে বার বার রিকুয়েস্ট করতে লাগলাম ঢাকা যাওয়ার একটা ব্যবস্থা করার জন্য।
অবশেষে একটা এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা আসলাম, পরীক্ষার হলে যখন আসলাম তখন ১০.৪৫ মিনিট বাজে। গেটে ঢুকার পর দেখি সব বন্ধ, কেয়ারটেকার আসলে উনাকে পরীক্ষার কথা জিজ্ঞেস করতেই বলে পরীক্ষা তো সেই ১০টায় শুরু হয়েছে, আপনি এত লেট করলেন কেন? এখন ভিতরে ঢুকার অনুমতি নাই।
তাকে অনেক রিকুয়েস্ট করার পর সে ভিতরে গিয়ে কিছু লোকজন নিয়ে এলো, এদিকে রাস্তায় গোলাগুলির শব্দে আমার ভিতরে বার বার চমকে উঠছিল, খুব ভয় পেয়েছিলাম সেদিন।
তারা এসে আমি কোথা থেকে এসেছি, নাম, এডমিট কার্ড ইত্যাদি যাচাই করার পর ঢুকার অনুমতি দিলেন, তখন বাজে ১১.১৫ মিনিট।
নির্দিষ্ট আসনে বসার পর হলের মেম খাতা গুলো দিয়ে ধমক সুরে বললেন, “জলদি পূরণ কর”
একে তো কত ঝামেলা করে এখানে এসেছি, তারউপর ধমক শুনে আমি পুরো সিটিয়ে গেলাম, চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিলো।
বলে রাখা দরকার খাতা ছিল মোট ৪ টি, সবগুলো বৃত্ত ভরাট করতে হবে, এদিকে সময় ও নেয়, বৃত্ত বরাট করবো নাকি লিখবো?
হলের দয়ালু স্যার এ ব্যাপারে আমাকে হেল্প করলেন, আমি নির্দিষ্ট ঘরে সংখ্যা বসিয়ে দিলাম, উনি পূরণ করতে লাগলেন, মেমটা আড়চোখে তাকিয়ে সব দেখছিলেন কিছু বললেন না।
আমি প্রথমে জেনারেল ইলেক্ট্রিসিটি লেখা শুরু করলাম, প্রায় ১ ঘণ্টার ভিতর লেখা শেষ করলাম, হাতে আছে ৪৫ মিনিট বাকি আছে আরো ৩টা বিষয়। তো আমি কি করলাম খাতা তিনটা পরপর সাজালাম, একবার একটু করে সাধারণ জ্ঞান লিখি, একটু করে গণিত লিখি, আবার বাংলা লিখি, আবার একটু সাধারণ জ্ঞান, আবার গণিত। এমন করে মোটামুটি সবগুলা কমপ্লিট করলাম।
এরপর এলো রেজাল্টের পালা, আমি জানতাম যে চান্স পাবোনা, কারণ এত ঝামেলার পর চান্স পাওয়ার কথা না। রেজাল্ট নেটে দিয়েছে, আমি ভয়ে ব্রাউজ করিনি।
রেজাল্টের দিন সুজিত স্যার আমাদের বাসায় এসে আমাকে ডাকতে লাগলেন, স্যারের ডাকাডাকিতে বাড়ির সবাই বের হয়ে এলো।
আমি সামনে গেলাম স্যার ভয়ংকর মুখ করে আমার দিকে তাকালেন, যা বুঝার বুঝে গেলাম, ভিতর থেকে কান্না চেপে আসছিল।
এবার স্যার বললেন, “ফাহমিদা, তোমার তো চান্স হয়েছে”
একথা শোনার পর খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম, প্রথমে স্যারকে সালাম করলাম, তারপর ওখানে উপস্থিত সবাইকে করলাম।
আমি কল্পনা করতে পারিনাই আমার চান্স হবে, আল্লাহ চাইলে সবকিছু পারেন, একটা ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারলাম ইচ্ছে শক্তি হল আসল, ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। সেদিন আমার বাবা আমাকে যেতে দেননি, আজ তিনি গর্ব করে বলতে পারেন আমার মেয়ে একজন শিক্ষক।
পরিশেষঃ মেমের ঘটনাটি শোনার সময় আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আর ভাবছিলাম মেয়ে হয়ে তিনি এত বড় সিদ্ধান্ত একা নিয়েছেন, যা আমরা অনেক ছেলেরাই পারিনা। I Just Hats off With Respect..
ঘটনাটি আমার জীবনের একটা বড় শিক্ষণীয় ঘটনা, অনেক কিছু শিখেছি আমি। জীবনে চলার ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত নিজে নিতে হয়, সবসময় নিজের মনের কথা শুনতে হয়, এবং ওটাই করা উচিত যা তোমার চায়।
আর একটা ব্যাপার সেটি হল প্রবল ইচ্ছা শক্তি যার দ্বারা অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব। (নাহিদ)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৬

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: ফাহমিদা ম্যাডামকে সাধুবাদ জানায়।শ্রদ্ধা জানায় তার সাহসকে।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:১৬

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: ইন্সপায়ার্ড
জাযাকাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৪৮

নিশি মানব বলেছেন: অনুপ্রানিত হলাম...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.