নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদ হোসাইন

▬►হ্যালো আমি মোঃ নাহিদ হোসাইন।\n▬►ডাকনাম: \"নাহিদ\"/ \"NHD\"\n▬►অন্যনাম: \"লাভ গুরু\"\n\nবর্তমানে \"বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকে\" \"ইলেকট্রিকাল\" টেকনোলজিতে পড়ছি।\nঅবসর সময়ে কবিতা লিখি, গেমস খেলি, গান শুনি, নিজের গান রেকর্ড করি, গল্প লিখি, কল্পনা জগতের ভাবনাগুলো শেয়ার করি ইত্যাদি। আমার অবসর সময় কাটে ফেসবুক, আর পিসির সাথে। আমার অন্যান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতনা যদি আমি পলিটেকনিক জীবনে প্রবেশ না করতাম। সত্যি অনেক কিছু শিখেছি এই জীবনে আরও শিখছি, After All শিক্ষার কোন শেষ নেই, And I Would Love to Learn New Things.

নাহিদ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষা

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

পরীক্ষা হল স্টুডেন্ট লাইফের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডির নাম। পরীক্ষার আগের রাত্রিতে কারো “ছেড়ে দে মা প্রাণে বাঁচি” অবস্থা হয়, আবার কারো পূর্ণিমার চাঁদ পাওয়ার আশার ভাবনা উদয় হয়। আবার অনেকের টেনশনের জ্বর আসে, কেউবা মাত্রাতিরিক্ত টেনশনে ঘুম নামক ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়। অতিরিক্ত চালাক স্টুডেন্টরা প্রতিষেধক হিসেবে নকলের আশ্রয় নেয়, আর বাংলা সূত্র “অতি চালাকের গলায় দড়ি” এইনীতি অনুযায়ী তারা ধরা খায়, এর মাঝে এক্সট্রা আপডেটেড টাইপ চালাকগুলো আবার ধরা খায় না। পরীক্ষার আগের রাতের আরেকটি দৃশ্য হল, যে ছাত্রটি সারাবছর ভুলেও বইয়ের ধারেকাছে যায় না সেও সারাদিন বই নিয়ে পড়ছে, যে ছাত্রটি সারাদিন ঘুরাঘুরি করতো, আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করতো সেও পড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পরীক্ষার আগের রাতে সবচেয়ে বেশী হয়রানির সৃষ্টি করে, “প্রশ্ন ফাস” এই বাক্যটি। বেশীরভাগ স্টুডেন্ট পড়াশুনা রেখে, প্রশ্ন পাওয়ার জন্য এক প্রকার রেসিং শুরু করে দেয়।
.
“পরীক্ষার হলে” দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। কারো কলম দিয়ে এক পৃষ্ঠা লিখা বের হয়না, আর পড়ুয়া আতেল টাইপ স্টুডেন্টগুলা লিখতে লিখতে সব লুজ শিট শেষ করে ফেলে। পরীক্ষার হলে সবচেয়ে বেশী নিয়ম ফলো করা হয়। “দোস্ত একটু দেখা” এই টাইপের কোন শব্দ স্যারের কানে যাওয়া মাত্রই স্যার এমন ভাবে তাকান যেন তার কিডনি দিতে বলা হয়েছে। হলের তিনটি ঘণ্টা অনেকের কাছে তিন বছরের মত মনে হয়, পাশের বন্ধুর থেকে হেল্প, বাথরুমে রাখা বইয়ের হেল্প, আর পকেটে রাখা বিশেষ পাতার আশ্রয় নিয়ে, দুইবার করে বাহিরে আসা-যাওয়া করে অনেকেই পাশ মার্ক তুলে ফেলে।
.
পড়ুয়া আতেল টাইপ ছাত্রগুলা সারাজীবন টেনশনে থাকে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে জব-ক্লাসওয়ার্ক-প্রাইভেট পড়ার টেনশন, পরীক্ষার আগে ভালো করে সব কমপ্লিট করার টেনশন, রেজাল্টের পর কাংখিত রেজাল্ট না পেয়ে সামনে আরও ভালো করার টেনশন।
আর লাস্ট বেঞ্চের বিন্দাস টাইপ স্টুডেন্টরা সবসময় ফুর্তিতে থাকে, ওদের নেই কোন ক্লাসওয়ার্ক-প্রাইভেট পড়ার টেনশন, নেই পরীক্ষার সময় টেনশন, নেই এক্সট্রা ভালো রেজাল্ট করার টেনশন। ওরা রেজাল্ট খারাপ হলেও পার্টি দিয়ে অলটাইম ফুর্তিতে থাকে।
.
পরিশেষে দেশের সকল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রইল শুভকামনা।
.
লিখাঃ Nahid Hossain (N H D) [ BSPI Polytechnic 47 ET ]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.