নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদা নদী

সমসাময়িক বিষয় বস্তু, গল্প ,কবিতা লিখি। লেখালিখি ভালো লাগে।স্বপ্ন দেখি লেখার দ্বারা নতুন দিন কে আলোকিত করার।

নাহিদা নদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙ্গন

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

কোথাও কি কিছু ভাঙ্গছে?খুব নিঃশব্দে,নিরবে?ভাঙ্গার পর বুঝতে পারা সুলক্ষণ নয়।

দৃশ্য ১ : তুমি আমাকে ভালোবাসো?

হুম।বাসি।

প্রমান দাও।

কি প্রমান?

তোমাকে চাই পুর্নাংঙ্গ ভাবে।

আগে চাকরী পাও।তারপর বিয়ে করবো।

চাকরী পেলে তো সবাই করবে।আর ১০ টা মেয়ের সাথে তোমার পার্থক্য কই?

তারপর শুধুই ভালোবাসাবাসি।কাছে আসাআসি। তারপর নাবিলের ব্যাস্ততা।চাকরী হয়।এ দিকে পড়াশোনার পাঠ চুকানোর পর অহনার জন্য বাসায় বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়।

নাবিল-“দেখো এ মুহূর্তে আমি বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত নই।“

কিন্তু আমি আর একা নই নাবিল।তোমার সন্তান আমার গর্ভে।

তারপর একসময় নাবিল আর অহনার যোগাযোগ থাকে না।তাদের ভালোবাসার প্রমান কোন এক ডাস্টবিনে কোন এক সকালে কোন এক সুইপার আবর্জনার সাথে নিয়ে যায়। হয়ত জীবিত নয়ত মৃত!

দৃশ্য ২ : বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে নিশা।সারাদিন ফেইসবুকে থাকে।ক্লাশ টেনের ছাত্রী নিশার চোখে সবই রঙ্গিন রঙ্গিন লাগে।একসময় পরিচয় হয় রাহাতের সাথে ভার্চুয়াল জগতে।রাহাত নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে।সেখানে একদিন দেখাও হয়।কোন একদিন রাহাতের ফ্ল্যাটে নিশা যায় তাকে দেখতে।নিশার অনিচ্ছাতেই অনেক কিছু ঘটে যায়।একসময় ইউটিউব,মুঠোফোনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছড়াছড়ি। সমাজের আঙ্গুল নিশার দিকে!

দৃশ্য ৩: সুমন বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। কলেজে পড়ে।পড়াশোনায় বেশ ভালো।বন্ধুদের সাথে এক পার্টিতে ইয়াবা খায় সে।বন্ধুদের মুখে শুনে প্রথম প্রথম খেলে কিছু হয় না।কখন যে নিজেই জড়িয়ে যায় নিজেই জানে না।

দৃশ্য ৪: আজিজ চাচা আসলেই অন্তুর মনে ভয় জেগে উঠে।বাবা-মায়ের সাথে অনেক রাতে আড্ডা দিয়ে কোন কোন রাতে তার আর বাসায় ফেরা হয় না। ঠাঁই হয় অন্তুর সাথে ঘুমানোর।সে সব রাত অন্তুর জন্য খুব বিভীষিকাময় হয়।তারপরও আট বছরের অন্তুর কিছু বলা হয় না বাবা মাকে। কাউকে।

খুব সূক্ষ্ম ভাবে তাকালে একটি ব্যাপার খেয়াল করা যায় আমাদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন ভেঙ্গে যাচ্ছে।লুকোচুরি হচ্ছে।পাশ্চাত্য দেশে বাবা মায়ের সাথে সন্তানের বন্ধন দৃঢ় না।রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর বাবা চড় বসায় বলেই বাবাকে ভয় পাওয়া হয়।হঠাৎ করে বন্ধুদের সাথে বনভোজনে যাওয়া হবে তাই মা তার আঁচলে গিঁট থেকে জমানো টাকা বের করে দেন।স্যার কে দেখে বন্ধুর প্রেমিকাকে নিয়ে মজা করে বলা কথা থামিয়ে দেওয়ার মাঝেই আমাদের শ্রদ্ধা বোধ। অনেক কষ্টে পাওয়া কোন এক মেয়ের হাত ধরার মাঝেই কি এক সুখ,কি এক প্রাপ্তি।এই সংস্কৃতি যেন নষ্ট না হয়।এই সংস্কৃতি যেন ভেঙ্গে না যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.