নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাকিব১

নাকিব১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কল্যাণপুরের জঙ্গি অভিযান নিয়ে সাধারণ মানুষের কিছু ভাবনা....................

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

বছর খানেক আগে একুশে টিভিতে ‌'জনতার কথা' নামে একটি অনুষ্ঠান হতো। সাংবাদিক কনোক সারোয়ার এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করতেন। প্রতিটি পর্বের শেষে কনোক সারোয়ার বলতেন, সাধারণ মানুষের ভাবনাগুলো অসাধারণ! এই সাধারণ মানুষের বিশ্লেষণগুলো হয়ে উঠে অসাধারণ। কল্যাণপুরে জঙ্গি হামলা নিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্লেষণ গুলো একটু দেখে নেই। এই সাধারণদের বিশ্লেষনের মাঝেই হয়তো আপনি কল্যাণপুরের এই জঙ্গি অভিযানের সত্যতা খুজে পাবেন। সাধারণ মানুষেদের এই চিন্তাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে ডয়েচ ভেলে এবং বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেজের কমেন্ট থেকে। প্রথমেই ডয়েচ ভেলের ফেসবুক পেজের সাধারণ মানুষের বিশ্লেষণগুলো তুলে ধরছি।

কল্যাণপুরে নিহতরা আসলে কারা? চারটি পিস্তল দিয়ে রাতভর মুহুর্মুহু গুলি ছোড়া কীভাবে সম্ভব? এরা ‘জেএমবি' নাকি ‘ইসলামিক স্টেট'-এর সদস্য? কালো পাঞ্জাবি আর জিন্স কি কথিত জঙ্গিদের রাতের পোশাক? এসব প্রশ্ন করেছেন সেলিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ! সেই সাথে তিনি বলেছেন, ‘‘এ সবের উত্তর আপনাদের তো জানা আছে, তবু কেন জনতার কাছে প্রশ্ন করছেন? তাছাড়া এ সব প্রশ্নের জবাব সাধারণ মানুষও জানে, কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে চায় না৷''

‌'জঙ্গিরা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে হামলা চালায়, ২৪ ঘণ্টা কালো পাঞ্জাবি পরে থাকে'৷ এই বিষয়টি জসিমউদ্দিনকে খুব অবাক করেছে৷

জলিল নামের অপর এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘একটি ছবিতে দেখলাম ছয়-সাত জন গাদাগাদি করে পড়ে আছে৷ এবং প্রায় সবারই মাথায়ই গুলি লেগেছে৷ আবার অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা গেল, একজন জঙ্গি ফল কাটা ছুরি হাতে পড়ে আছে৷ তারও মাথায় গুলি লেগেছে৷ জঙ্গিরা কি গলাগলি করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অবতীর্ণ হয়েছিল? আর জঙ্গিটি মাথায় গুলি লেগে মরে গিয়েও কীভাবে একটা ছুরি আলতো করে ধরে থাকলো? কী করে এ সব সম্ভব!''

নাসির বিএস সরকার নামে অপর এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ হাত, তবুও মৃত ব্যক্তি আপেল কাটার ছুরি ছাড়েনি৷ মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করেছে, তবুও হাত থেকে আপেল কাটার ছুরি পড়েনি৷ কাভাবে সম্ভব এটা?''

নীলা নুসরাত নামে একজন লিখেছেন, ‘‘গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মেধাবী ছাত্ররা কয়েকজন মিলে সস্তায় বাসা ভাড়া করে থাকতো৷ অথচ আজ তারা শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে জঙ্গি৷ ক্ষমতার লোভে মানুষ কী না করে!''

ডয়েচ ভেলের পাতায় আনামুল হক লিখেছেন, ‘‘নাটক ভাই সব নাটক৷ শেখ হাসিনা নির্দেশিত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রযোজিত বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ পুলিশ দ্বারা অভিনিত মঞ্চ নাটক''।

বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেজে নোমান নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, এতবড় অভিযানে এক পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হল বিপক্ষের কোন টাস হলোনা। বিষয় টা বুঝতে পারলাম না।

রং নাম্বার নামক একটি ফেসবুক আইডি লিখেছে, নিশ্চিত নই তবে আমার মনে হয়েছে । অভিযানের সময় যারা আল্লাহ্ আকবর শ্লোগান দিয়েছিলো তারা আসলে জঙ্গি নই তারা ছিলো পুলিশ। এলাকার মানুষদের সাক্ষি বানানোর জন্য এটা ছিলো নাটকের অংশ।

তাহমিদ জামান নামে একজন লিখেছেন, বর্তমান সরকার জংগীবাদকে তাদের বিরোধীপক্ষের সাথে গুলিয়ে ফেলে জংগীসমস্যাকে জনগণের নিকট ঘোলাটে করে ফেলেছে । জংগী হতে পারে আওয়ামী ঘরানার সন্তান কিংবা বিএনপি জামায়াত, কওমী বা বিশ্ববিদ্যালয় ঘরানার সন্তান ।ওদের পরিচয় হবে জংগী,তখনজনগণ জংগীদের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হবে।

জহিরুল হক নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, আমি মনে করি ডিআইজি ও ডিএমপির মত ব্ড় বড় পুলিশদের রিমানডে নিলে সব আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে । এটাও মনেকরি নিখোঁজ হওয়া সব লোকই পুলিশের হেফাজতে আছে, কয়েকদিন পর পর এদেরকে জঙ্গি হিসেবে দেখিয়ে জঙ্গির আস্তানা নির্মূলের এক একটি ঘটনা জাতি দেখতে পাবে,..

আব্দুর রকিব নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় এখনো পুলিশ জানে না, তাদের জঙ্গি পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, গুলশান হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হলো? অন্য কোনো নাটক নয়তো?...

সাধারণ মানুষের এতোসব প্রশ্নকে ছাড়িয়ে গেছে সাংবাদিক মহিম মিজানের কিছু চাঞ্জল্যকর তথ্য প্রকাশের পর। গতপরশু রাতে ৭১ জার্নালে একাত্তর টিভির সাংবাদিক মহিম মিজান এসেছিলেন, যিনি আবার কল্যাণপুরে জঙ্গি হামলা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। একাত্তর জার্নালে মহিম মিজান অনেকগুলো প্রশ্ন তুলেছেন।

যেমন, বাহিরে কোথাও গুলির দাগ নেই, পুলিশকে গ্রেনেড ছুড়লে পুলিশ আহত না হলে ও বিল্ডিংয়ের ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল । মহিম মিজান আরো বলেন, অভিযান শেষ হয় সকাল ৬ টার দিকে। আর ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থলে আসেন সকাল ৮টার সময়। তিনি এসেই সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিদের পরিচয় জানা যায় নি। তবে তারা অনেক উচ্চশিক্ষিত(!) তাদের পরিচয় না জেনেই এরকম একটি তথ্য আসাদুজ্জামান মিয়া কিভাবে জানলেন? কারো পোশাক পরিচ্ছদ দেখে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চয়ই জানা যায় না! এমনই কিছু প্রশ্ন তোলেন মহিম মিজান! আসাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, জঙ্গিরা পুলিশের উপর গ্রেনেড চার্জ করেছিল! কিন্তু মোহিম মিজান আদূত গ্রেনেড এর কোন চিন্হ খুজে পান নি! গ্রেনেড চার্জ করলে তো আশে পাশে দাগ থাকার কথা! কিন্ত কোনই চিন্হ নেই। মোহিম মিজান আরো বলেন, কথিত জঙ্গিরা যে রুমে ছিল সেই রমে খুব বেশি জানালা ছিল না। আর যেটা ছিল সেটিও বন্ধ ছিল। একটি বন্ধ রুম থেকে গলা ফাটিয়ে চেচালেও পাশের রুম থেকে শোনা যায় না! আর মানুষ নাকি তাদের স্লোগান শুনেছে। এটা কি করে সম্ভব??

আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী একাত্তর টিভিতে ফোনে বলেছিলেন, জঙ্গিরা আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়েছেন কিনা তিনি শুনেননি।
এই জাহাজ বিল্ডিং বাড়িটিতে তেমন কোনো জানালাও নেই। কেউ জোরে আওয়াজ করলে ও বাহিরে থেকে শুনা যায়না। তাহলে জঙ্গিরা আল্লাহু একবার বলে স্লোগান দিয়েছে, তা কিভাবে শুনেছে পুলিশ বা কিছু সাংবাদিক ?

এরকম নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কল্যাণপুরের জঙ্গি অভিযান। এখানে আমার ব্যত্তিগত কোন মতামত নেই। শুধু একটি বিষয় বলব, এইচএসসিতে কমার্স থেকে পাশ করে কি করে রেটিনায় মেডিকেল কোচিং করা যায়? যা কিনা নিহত ৯ কথিত জঙ্গিদের একজন রেটিনার প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন! আর এটি প্রকাশ হওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে রেটিনা কোচিং এর কার্যালয়ে হামলা চালানো হল। তা হলে কি এসবই পূর্ব পরিকল্পিত???????????

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

শিশির ভেজা রোদ বলেছেন: আমাদের মনেও একই প্রশ্ন।জবাব দিবে কে?

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

নাকিব১ বলেছেন: ডিবি মনিরুলের গপ্পো শোনেন

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: আমরা আসলে বিভ্রান্ত হতে পছন্দ করি।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

নাকিব১ বলেছেন: বিভ্রান্ত হবার মত পরিস্থিতি হলে বিভ্রান্ত তো যে কেউই হবে। তাই না??

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: হীরক রাণীর দেশ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.