নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাকিব১

নাকিব১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএস এর জন্মদাতা পিতা মাতার পরিচয়

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

পৃথিবীব্যাপী এখন আইএস আতঙ্ক বিরাজ করছে! কিন্তু কিছুদিন আগে একমাত্র আতঙ্ক ছিল আল কায়েদা। সেই আল কায়েদার কোন সংবাদ এখন আর মিডিয়া গুলোতে পাওয়া যায় না। এখন মিডিয়া জুড়ে শুধুই আইএস। একটু পিছন ফিরে দেখতে চাই। এই সন্ত্রাসীদের পিতা-মাতা মানে এদের সৃষ্টিকর্তা কারা।

তার আগে আর একটি কথা বলতে চাই, আমি এদেরকে জঙ্গি বলে 'জঙ্গি' শব্দটাকে অপমান করতে চাই না। জঙ্গি শব্দটি এসেছে ফারসী ভাষা থেকে। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ এবং জঙ্গি অর্থ যোদ্ধা। আর জঙ্গি শব্দটি ফরাসীরা বীরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো। মিডিয়ালারা জঙ্গি শব্দটার মাঝে ইসলামের গন্ধ খুজে পান বলেই হয়তো এই শ্বদটাকে উতসাহের আতিশ্বয্যে গিয়ে ব্যবহার করেন। কিন্তু আমি এই শ্বদটি ব্যবহার করে তাদেরক বীর বলে অবিহিত করতে চাই না।

আতঙ্কগুলোর মধ্যে র্শীর্ষে অবস্থান করতেছিল আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠি! এই তালেবান গোষ্ঠি তৈরী করেছিল কারা? সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভাঙ্গার জন্য আমেরিকা এহেন কাজ নেই যে করেনি। তারই অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে দখলদ্বার সোভিয়েতকে নাস্তানাবুদ করতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সহায়তায় এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গড়ে ওঠে তালেবান। সোভিয়েতদের নির্মম অত্যাচার রুখতে আফগানরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে যুদ্ধ করছিল। আর এই বিচ্ছিন্ন যুদ্ধকে একত্রিত এবং আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করে তুলে সিআইএ। এরপরের ইতিহাস তো সবাইরে জানা। তালেবান এবং আফগানিস্তানের ছয় দলীয় জোট একত্রিত হয়ে সোভিয়েত এর বিরুদ্ধে মরণপন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ভেঙ্গে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। তালেবান এবং আফগানরা সোভিয়েত ইউনিয়ন এর লাল বাহিনীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু নিজেদের অর্থে তৈরী করা এই তালেবানই পরবর্তিতে আমেরিকার চক্ষুশূল হয়ে উঠে। যে আমেরিকার মিডিয়া এতোদিন তালেবানদের বীরত্ব গাধা প্রচার করতেছিল কিছুদিন পর তারাই তালেবানদের সন্তাসী বলে দাবি করেতেছিল। তাহলে এই তথাকথিত সন্ত্রাসী দলটির জন্য দায়ী আমেরিকা নয়? আমেরিকাই কি তালেবানের জন্মদাতা পিতা নয়?

এরপরের ঘটনা অনেকটা সিনেমার মত। যে ওসামা বিন লাদেনকে বিশ্বের কেউ চিনেই না, সেই কিনা পরবর্তিতে বিশ্বময় টার্গেটেট ব্যক্তি হয়ে গেল। ওসামা বিন লাদেন একজন আরব ধনকুব। তিনি আমেরিকায় একটি কোম্পানীতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভাঙ্গতে এবং তালেবানদের আস্থা অর্জনে আমেরিকার এমন একজন ব্যক্তিকে প্রয়োজন ছিল যাকে তালেবান এবং আফগানীরা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারে। আর সেই ব্যক্তিটিই হল ওসামা বিন লাদেন। টুইন টাওয়ার ধব্বংসের পর কথিত আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন এই হামলার দায়ভার স্বীকার করেন। কিন্তু আল কায়েদার এমন কোন সামরিক সক্ষমতা ছিল না যে, টুইন টাওয়ার এর মত জায়গায় হামলা চালাতে পারে! আর এটাও যে একটা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র তা কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে যায়! যদিও মিডিয়ারা তা খুব একটা প্রকাশ করেনি। টুইন টাওয়ারে ২৪৩২ জন ইহুদী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করত। আর একই সময়ে টুইন টাওয়ার এর নিকটবর্তি একটি স্থানে ততকালীন ইসরাঈলী প্রধানমন্ত্রীর একটি সেমিনারে ভাষণ দেবার কথা ছিল কিন্তু আকর্ষিক ভাবে হামলার দুই দিন আগে ইসরাঈলী প্রধানমন্ত্রী তার প্রোগ্রামটি বাতিল করেন। আরো অবাক করা বিষয় টুইন টাওয়ারে হামলার দিনে ২৪৩২ জন ইহুদির একজনও তাদের কর্মস্থলে যোগ দেন নি।

উল্লেখ্য, এই হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের ধোয়া তুলে নিজেদেরই সৃষ্ট তালেবানকে নিশ্চিন্হ করতে আফগানিস্তানে হামলা চালায় আমেরিকা।

এরপর আইএস। আইএস এর জন্মটা হয় লিবিয়া থেকে। আরব বসন্তের সময় হঠাত করেই লিবিয়ায় গণতন্ত্রের জন্য মানুষে সোচ্চার হয়ে উঠে। সেই সময় লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াব্বার গাদ্দাফির ছেলে বলেছিলেন, বিদ্রোহ উসকে দিকে আমেরিকা ২০ হাজার মার্কিন ডলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে ছিটিয়েছে। গাদ্দাফি পুত্রের এই কথার প্রমাণ মিলে, যখন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেন গাদ্দাফিকে পদত্যাগ করতেই হবে। লিবিয়ার মানুষ এখন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ৬৪ লক্ষ মানুষের লিবিয়ায় অভাব কি জিনিস সে দেশের মানুষরা জানতোই না। তাদেরকে কখনো বিদ্যুত বিল এবং গ্যাস বিল প্রদান করতে হতো না। বেকারদের জন্য সরকার থেকে বেকার ভাতার ব্যবস্থা করা হতো। বেকারদের মধ্যে যাদের বিবাহের বয়স হতো তাদেরকে সরকারী খরচে বিবাহের ব্যবস্থা করা হতো এবং সরকার থেকে তাদের থাকার জন্য ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা হতো। সেই লিবিয়ায় হঠাত করে বিদ্রোহ দানা বাধে! গাদ্দাফি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। পেন্টাগন যেসব নতুন অস্ত্র রিলিজ করতো সেগুলোই সেই বিদ্রোহীদের হাতে শোভা পেত। এমনকি তাদের বিমানও ছিল। আর সেই সময় গণতন্ত্রের দাবির কথা বলে বিদ্রোহীদের সমর্থন প্রদান করে মার্কিন প্রশাসন। এভাবেই আইএস জন্ম হয়।

আমেরিকা কতৃক বাগদাদ সরকারের পতন হলে ইরাক সেনাবাহিনী থেকে চার লাখ সৈন্যকে বরখাস্ত করা হয়। আর এই চারলাখ সেনাবাহিনী গিয়ে যোগ দেয় আইএস এর সঙ্গে। চার লাখ প্রশিক্ষিত সৈন্য পেয়ে আইএস আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তখন তারা শিয়া সুন্নী বিভেদের ধোয়া তুলে হামলা চালায় সিরিয়ায়। আসাদ সরকারের পতনের দাবি করে। আমেরিকা প্রশাসনও আইএস আর দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলে, আসাদ তোমাকে পদত্যাগ করতেই হবে। আর দিন যতো যাচ্ছে, আইএস এর হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত হতে থাকে। এখন তারা গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।

সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পিছনে সিআইএ এর স্পষ্ট মদদ রয়েছে। চোখ এবং অনুধাবন করার মত ক্ষমতা থাকলে তা সহজেই উপলবদ্ধি করা সম্ভব হবে। আইএস এর এসব কর্মের জন্য তাদের পিতা আমেরিকাকে কি দ্বায় এড়াতে পারবেন? সারা বিশ্বে আইএস কতৃক নির্যাতিত মানুষের দ্বায়ভার এই মানবতার ধোয়া তোলা আমেরিকা কি এড়িয়ে যেতে পারবে? এতো রক্তের দ্বায়ভার কি অতিআধুনিক আমেরিকা এড়িয়ে যেতে পারবে???

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: কথাগুলো কাজে লাগবে।যদি সত্যিই এগুলো সঠিক হয়।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

নাকিব১ বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.