![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘রোম যখন পুড়ছিল নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল’ এই উপমাটি আমরা অধিকাংশ সময়ই বিভিন্ন বক্তব্য কিংবা লেখনীতে দেখতে পাই! এই উপমাটি কি শুধুই নিরোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? আমার মনে হয় না! বাংলাদেশের সরকার প্রধানসহ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্যও এই উপমাটি প্রযোজ্য! নিরো তার খেয়ালে মগ্ন ছিলেন! এদিকে দেশ এবং দেশের মানুষ চুলোয় যাক তাতে নিরোর কি!
ঠিক এমনটা আমরা দেখতে পাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাঝে! গত কিছুদিন আগে, বেগম জিয়া হজ্জ শেষ করে দেশে ফিরলেন। তার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে ছাত্রদল এবং বিএনপি এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানাল। এদিকে খালেদাকে অভ্যর্ধনা জানাতে গিয়ে দেশের মানুষের যে সাড়ে সর্বনাশ ঘটল! ঢাকা শহরের প্রতিটি রাস্তা গাড়ির প্যা-পো শব্দে আকাশ বাতাসে কেঁপে উঠল! সাধারণ মানুষের কন্ঠ থেকে একরাশ কষ্ট থেকে কন্ঠ নালী থেকে বের হল ‘ওহ’! এই ‘ওহ’ শব্দটি খালেদা কিংবা বিএনপির কোন নেতা অথবা কর্মীর কানে পৌঁছাল না। তিনি দেশের একজন রাজনীতিবিদ হয়ে সাধারণ মানুষের এই আত্নচিৎকারটি উপলবদ্ধি করতে পারছেন না। এ কেমন রাজনীতিবিদ যিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না! সারা শহরের মানুষের কষ্টের কথা ভাবেন না! ভাবখানা অনেকটা নিরোর চিন্তার মতই! মানুষের যা হয় হোক, আমার কি! আমার দলবাজির রাজনীতি! অতএব দলবাজিটি করেই যেতে হবে। এতে মানুষ মরলেই বা কি আর বাঁচলেই বা কি?
আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী! তিনি একবার বিদেশে যান ঢোল পিটিয়ে আবার বিদেশ থেকে ফেরতও আসেন ঢোল পিটিয়ে! মাঝখান থেকে আমরা সাধারণ মানুষরা ‘ওহ’! ‘ওহ’! শব্দ উচ্চারণ করে নিজেদের অসহায়ত্বটি প্রকাশ করি।
গতকাল ছিল শুক্রবার। সরকারী ছুটির দিন। সরকারী ছুটির এই দিনটাতেই তুলনামূলক জ্যামটা কম থাকে। অথচ গতকাল ঢাকা শহরে স্মরণকালের ভয়াবহ জ্যামের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীরা গনপরিবহনগুলো রিজার্ভ নিয়ে উত্তরা তথা এয়ারপোর্ট এলাকায় ভিড় জমায়। দিন বাড়ার সাথে সাথে দলীয় কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ঢাকা শহরের জ্যামও বাড়তে থাকল। এই একটি দিনে কর্মজীবি মানুষেরা তাদের বউ বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়। গতকাল যারা বউ বাচ্চা নিয়ে বের হয়েছিলেন, তাদের জনমের তরে শিক্ষা হয়ে গেছে জ্যাম কাহাকে বলে!
ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীরা না হয় মাথা মোটা! কিন্তু প্রধানমন্ত্রী! প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান। দেশের অভিভাবক। অভিভাবক হয়ে শুধু নিজের কথা ভাবলেই চলে না দেশের মানুষের কথাও ভাবতে হবে। দেশের মানুষের সুবিধাওটা দেখতে হবে। কারণ আপনি নিজেই তো বলেন, আমি দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। সেবা করতে চাইলে করার মত করেন। সেবা করতে গিয়ে শোষক বনে যাবেন না। আপনি তো ফেরার আগেই বলতে পারতেন, কেউ বিমানবন্দরে আসতে পারবা না! কেউ রাস্তা বন্ধ করে মিছিল গগনবিদারী স্লোগান দিতে পারবা না। কিন্তু আপনি বলেন নি! আপনিও নিরো বনে গেছেন! দেশের মানুষের যা হয় হোক তাতে আমার কি! আমাকে আমার খেয়ালে চলতে হবে! রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে জানান দিতে হবে যে, আমি দেশে ফিরতেছি। নিরোর চরিত্রটা কমবেশি সকল রাজনীতিকদের মাঝেই দেখা যাচ্ছে! খেয়ালী একা নিরো নয়। আমাদের খালেদা হাসিনা নিরোর চেয়ে আরো বড় খেয়ালি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
খালেদা মক্কা যায় সুইস ব্যাংকের টাকার লেনদেনের জন্য; শেখ হাসিনা বাহিরে যায় ক্ষমতার ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করতে।