![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকার আজিমপুরে জন্মেছি। বেড়েও উঠেছি এখানে। ঐতিহ্যবাহী ওয়েষ্ট এন্ড হাই স্কুল থেকে এসএসসি সনদপ্রাপ্ত আমার পৈত্রিক নিবাসটা কিন্তু ‘ইলশে পাড়া’- চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার সাদরা গ্রামে।
।।নাসীমুল বারী।।
সাদরা- আমার রক্ত প্রবাহের গতিধারা। আমার পৈত্রিক গ্রাম-ভিটা। ডাকাতিয়া নদের কোল ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নীল গ্রাম- সাদরা। জন্মাই নি, তবে রক্তের টানের প্রাবল্য জন্মের চেয়েও কম নয়। শৈশব আর প্রথম পাঠশালাটা সাদরাতেই- সাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। লেখার হাতেখড়িও সাদরাতেই। আজকের মত অফসেট কাগজে নয়- আগুনে সেঁকা কলাপাতায়। কচি সিমপাতা পাতিলের নিচে ঘসে তৈরি করা কালিতে বাঁশের কঞ্চির কলমে সেই সেঁকা কলাপাতায় লেখার হাতেখড়ি দেন দাদি। দাদির আদরমাখা শাসনগুলো আজও চোখে ভাসে। তারও অনেক পরে শ্লেট-পেন্সিল। তারপর - - -। তারপর বন-বাদারে ঘুরে বেড়ানো, পাখির ছানা পাড়া, লালপিঁপড়ার কামড়ে গাছ থেকে পড়ে হাত ভাঙা, সাঁতারকাটা, হাতিয়ে পুকুর-খালে মাছ ধরা, কোন্দা (তালের নৌকা) বাইতে গিয়ে উল্টে পড়া- আরো কত কি!
এখন! এখনও মন টানের সাদরার প্রতি। কিন্তু কর্ম, সংসার আর বাস্তবতায় বিগত ৪/৫ বছর যাওয়া হয় নি সাদরায়। মনে হয় বন্দি জীবন যাপন করছি।
নিজ গ্রামের প্রতি এমনি নাড়ির টান নিশ্চয় সবাই অনুভব করে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০১
নাসীমুল বারী বলেছেন: ধন্যবাদ।
সাদরা গ্রামটি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এ গ্রামেই চন্দ্র উঃসব অর্থাৎ ঈদ, শবে-ই বরাত, শবে-ই ক্বদর ইত্যাদি বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত দিনের আগে অনুষ্ঠিত হয়। যতদূর জানি এ প্রথাটা ১৯০১ মতান্তরে ১৯৩৯ সাল থেকে প্রচলিত। এখানে যুক্তি হলো- চাঁদ যেহেতু একটা এবং মুসলিম জাতির জন্য আল্লাহর বিধান পুরো পৃথিবীতে একই, অতএব চাঁদ পৃথিবীর যে প্রান্তেই সর্বপ্রথম যেদিন দেখা যাবে, সেদিনের হিসেবেই চন্দ্র তারিখ ও উৎসব পালিত হবে। আর এ মতানুসারে সাদরায় বাংলাদেশের সরকার ঘোষিত দিনের আগেই ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। এবারও ঈদ-উল আজহা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে। বর্তমানে মিডিয়ার বদৌলতে এ খবরটা প্রতি বছরই ফলাও করে টিভি-পত্রপত্রিকায় প্রচার করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা কোন জেলায়?