![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ্ পাক হাদিসে কুদ্সীতে নিজেই বলেছেন যে, “কুন্তু কান্যান মাখফিয়ান, ফা-আহাবাবতু আন ওরাফা ফাখালাকতুল খালফা লিউরাফা” অর্থাৎ ‘আমি এক গুপ্ত ধনাগারে গোপন ছিলাম, হঠাৎ আমার ইচ্ছা হলো প্রকাশ হইতে তাই আমি জগৎ সৃষ্টি করলাম আমাকে প্রকাশের জন্য’। অল্লাহ্ পাক অচৈতন্যরুপে গঞ্জজাতে অদৃশ্য ভান্ডারে অবস্থান করিতেছিলেন। হঠাৎ চেতন হয়ে দেখলেন তিনি ভিন্ন আর কিছু নাই। তাই ভাব আবেগে বিভোর হয়ে ভাবতে লাগলেন “আমি প্রকাশ হবো”। তখন তিনি ভাব বিরহে ব্যকুল হইলেন। শুরু হল গঞ্জজাতে এক ভাব বিরহের অনন্ত কুদ্রতি আজব খেলা। শুরু হল আহাদরূপী মহা সত্ত্বার মাঝে আবর্তন আর বির্বতনের এক মহা কুদ্রতি খেলা। এই আবর্তন আর বিবর্তনের মাধ্যমে আহাদি নুর হইতে আহাম্মদী নুর বিচ্ছুরিত হইলেন এবং সেই আহাম্মদি নুর তখন এক অপূর্ব অনন্ত রূপ ধারণ করিলেন, তখন আহাদ রূপী আল্লাহ্ ঐ আহাম্মদি নুরের পকাশ ঘটাইয়া আনন্দে বিভোর হইলেন এবং প্রেম আবেগে ডাকলেন তাকে ‘হাবিব’ বলে। তিনি হয়ে গেলেন ‘হাবিবুল্লাহ্’। ইহাই হল সৃষ্টির আদি তত্ত্ব। এখন যাব সৃষ্টি পদ্ধতি তত্ত্বে ॥
গ্রন্থসূত্রঃ ৯০ তালিমে আত্মদর্শন
©somewhere in net ltd.