![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী শুয়ে আছে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর হাসপাতালের বিছানায়। বয়স ১০০ পার করেছেন (উনার মতে) । উনি কবি কায়কোবাদের নাতনি (উনার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ,এর সত্যতা আমি জানি না ) ।
বৃদ্ধা বেশ শিক্ষিত বলেই মনে হল। উনি একা পড়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায় । । এমনিতেই চলতে পারেন না। তার উপর হাতে স্যালাইন এর সূচ । সঙ্গে দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তি নেই যিনি তার দেখা শোনা করতে পারে ।
তবে হ্যাঁ উনার ধনী সন্তানেরা সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে উনার জন্য সার্বক্ষণিক একটি কাজের লোক রেখেছেন । তিনি আবার অত্যন্ত ব্যস্ত ! সারাদিন থাকার কথা থাকলেই তো হবে না ,উনারও তো শিডিউল বলে একটা ব্যাপার আছে । উনি কয়েক মিনিটের জন্য দিনে দু'একবার আসেন ।
পুত্র ও পুত্রবধূ এসেছিলেন আজ দুপুরে দেখতে । শাশুড়িকে দেখতে এসে হাসপাতালের ভাত আর মুরগির মাংস দিয়ে খেয়েছেন পেট ভরে । তারপর চলে গেছেন । ...
তখন থেকে মনে হচ্ছে যারা গাড়ির ধাক্কায় কিংবা স্ট্রোক করে হঠাৎ মরে যায় । ওরা বোধহয় বেঁচেই যায় । ওদের অন্তত প্রতিটা মুহূর্তে এভাবে মরতে হয় না
.।.।.
.।.।.।
.।.।.।
কে জানে , ওনার সন্তানেরা হয়তোবা মনে মনে বলে ... মা তুমি মরে যাও... আমরা বেঁচে যাই !
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২
নীল তারেক বলেছেন: বিষয়টা এত ওভারসিমপ্লীফাইড নাও হতে পারে। আমাদের চারপাশকে আমরা যেভাবে দেখি সেটা নানা ফেজে নানা রূপ পায়। আপনি একজন মায়ের কষ্ট দেখেছেন তাই এভাবে বলছেন। কিন্তু, এই উত্তরআধুনিক সময়ে খেয়াল করবেন কিছু ক্ষেত্রে সন্তানেরাও বেশ ভুক্তভুগি। মানুষ আবেগ-প্রবণ একটি প্রাণি। কিন্তু যুক্তির তাড়নাটাও বেশ পুরনো একটি গুণ মানুষের। দুজন মানুষ যখন মারামারি করে তখন আপনি যদি সেই জায়গায় এমন একটা সময়ে এন্ট্রি করলেন যখন তাদের একজন কাদছে। আপনার মনে তখন যে কাদছে তার প্রতি সমবেদনা জন্ম নেবে। এবং যদি সম্ভম হয় সেখানে আপনি তার পক্ষ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন। কিন্তু, আসলে দোষটা তারই ছিল!