![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।
লেখক হিসেবে নিজেকে প্রকাশে আছে যথেষ্ট অনীহা,অনুরূপভাবে কাজী আবেদ হোসেন কে ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত করতে অনিচ্ছারও কোন কমতি নেই।।ব্যক্তি কাজী আবেদ হোসেনকে নয় বাস্তবতার নিরিখে গড়া ,দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ,সৎ,সততা আর নিষ্ঠার সাথে কর্মে প্রত্যয়ী,কর্মে জয়ী “কাজী আবেদ হোসেন”আমার লেখণীর এক মর্মস্পর্শী সৃষ্টি ।তাকে আমি কখনোই দেখিনি তবে তার কর্মকান্ড নিয়ে লেখাগুলি প্রায় সবগুলি জাতীয় পত্রিকায় পড়েছি।তার কর্মকান্ডগুলো এতই বাস্তবতা নির্ভর যা হৃদয়কে স্পর্শ না করে পারে না।তার কর্মকান্ডগুলো পড়ে আর তার কর্মকান্ডগুলো নিয়ে মিডিয়াতে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে এতই মুগ্ধ হই যে,তার প্রতি শ্রদ্ধায় আমার মাথা আপনা আপনি অবনত হয়ে আসে এবং আমি ঠিক করি এই মহান পুরুষকে নিয়ে আমি লিখব।বহুদিনের প্রচেষ্টায় নিজের উদ্যেগে আমি লেখায় মনোনিবেশ করি।আমার লেখণীর অনুপ্রেরণা কাজী আবেদ হোসেনের সৃজনশীল সব কর্ম।তিনি দেশের জন্য কাজ করেছেন স্বশরীরে ,আমি চেষ্টা করছি নিজে সচেতন হতে আর লেখণীর মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে। কেননা দেশটা আমাদের সবার।দেশের প্রতি প্রবল ভালবাসার টানে আমার কলম আজ এগিয়ে যাবে” নবম ”পর্বে।সেই “শিয়ালজানি”খাল যাকে পুনরুদ্ধারে কাজী আবেদ হোসেনের চেষ্টার নেই কোন ত্রুটি ।খালটিকে নব রূপে সজ্জিত করার প্রয়াসে তিনি গভীর রাতে ছুটে চলেন গ্রামের পর গ্রাম।গ্রামবাসীকে জড় করেন আর খাল সম্পর্কে অবগত করতে থাকেন।তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন-”আপনারা নিজেরাই ভেবে দেখুন আপনারা অর্থাৎমোহনগঞ্জবাসী কত ভাগ্যবান যে পরম করুণাময় মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আপনারা এত সুন্দর একটা খাল পেয়েছেন ”।অথচ আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যে আরব দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন সেখানে এমন সুন্দর খাল নেই” ।শুধু সুন্দরই নয় সেখানে পানির উপস্থিতি খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।আল্লাহর রহমত হিসেবে প্রাপ্ত প্রকৃতির এই অপার মহিমাকে শুধুমাত্র অবহেলা,অসচেতনতা আর স্বার্থের প্রয়োজনে ভরাট করে ফেললাম?এটা কোন ব্যক্তিগত সম্পদ নয় ।এটা আপনার আমার আমাদের সবার তথা দেশের সম্পদ আর একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।গ্রামবাসীকে সচেতন করতে টানা ৩ মাস ধরে তিনি গভীর রাতে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে যান আর প্রতিদিন রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত তাদের সাথে সভা করেন।তিনি তাদের আরো বললেন,খালটিকে যদি আমরা তার পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে দিতে পারি তবে খালটি অকৃপণভাবে আমাদেরকে দান করবে স্বচ্ছ পানি,খালের পাড়ের গাছপালা দিবে নির্মল বাতাস আর বিশুদ্ধ হবে পরিবেশ।খালটি যখন স্রোতধারা ফিরে পাবে তখন খালে ফিরে আসবে মাছ,মাছেদের বংশ বিস্তার হবে আর সেই মাছ পুরো মোহনগঞ্জবাসীর চাহিদা পূরণ করবে।পুরো গ্রামবাসী মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কথা শুনছিলেন।তিনি আবারো বলতে শুরু করলেন খাল -খনন কর্মসূচীর কথা আপনারা শুনেছেন যাতে সরকারের অর্থ ব্যয় হয় কিন্তু সরকারের কোন অর্থ ব্যয় না করে কোন ধণাঢ্য ব্যক্তির সহযোগীতা ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে অভিনব পদ্ধতিতে পুরো মোহনগঞ্জবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে অকৃপণভাবে খালটি খনন করব।এভাবে গ্রামবাসীকে নিয়ে তিনি ৩০-৪০টি সভা করলেন আর তাদের মনোভাব বুঝতে লাগলেন।দেখা গেল বেশীর ভাগ লোকই খালটি খনন করতে রাজী শুধুমাত্র গুটি কয়েক স্বার্থান্বেষী মহল ছাড়া অর্থাৎ[ অবৈধ স্থাপণার মালিকগণ]।তিনি গ্রামবাসীকে পরিপূর্ণ ভাবে খাল খননের কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তাদেরকে মানসিকভাবে সচেতন কল্পে আয়োজন করলেন খাল খননকে কেন্দ্র করে রচিত মৌলিক গান,ছড়া,কবিতা আর নাটকের।যা গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে নিয়মিত প্রচার হতে থাকে।”শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় রংয়ের খেলায় যেভাবে ফুটে ওঠে গ্রাম-বাংলার অপরূপ ছবি অনুরূপভাবে তার যাদুকরী শাণিত মেধা আর বুদ্ধির স্বমন্বয়ে মোহীত হয়ে খাল খননে উৎসাহিত হচ্ছিল পুরো মোহনগঞ্জবাসী।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ[লেখণীর তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশিত হবে)।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
নাসিরন আক্তার বলেছেন:
কাজী আবেদ হোসেন স্যারকে নিয়ে লিখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবার প্রতি আমার আহ্বান বস্তুনিষ্ঠ লেখা পড়ুণ,দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন।আমি নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার লেখা সংগ্রহ করি এবং মিডিয়া থেকে তার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করি যার আলোকে তাকে নিয়ে লিখছি।তার সংগে যোগাযোগের সুযোগ আমার নিজেরও হয়নি।তবে আমি যোগাযোগের চেষ্টায় আছি।যদি সুযোগ পাই আশা করি আপনিও পাবেন।আমি নিজ উদ্যেগে মোহনগঞ্জের দুই,একজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি তাদের কাছ থেকে যদি কোন ডকুমেন্ট পাই তবে তা লেখণীর শেষ পর্বে প্রকাশ হবে।দুঃখের বিষয় হচ্ছে দেশ নির্ভর নাটক,সিনেমা আমরা দেখি কিন্তু দেশ নির্ভর লেখা আমরা কেউ পড়ি না ।শুধু আবেদ হোসেনকে নিয়ে লেখা নয় যেকোন দেশ নির্ভর লেখা আমাদের পড়তে হবে আর ভাল কিছু সৃষ্টির মানসিকতা আমাদের গড়তে হবে।স্যার ব্লগ পড়েন বা লেখেন কি না আমি জানি না ।তবে আপনি ,আমি আমরা সবাই স্যারকে ব্লগে লেখার আহ্বান জানাতে পারি।জ্বী ,জুয়েল আপনাকে বলছি স্যারকে নিয়ে লেখা আপনি পড়ুন অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
নাসিরন আক্তার বলেছেন: কাজী আবেদ হোসেন স্যারকে নিয়ে লিখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবার প্রতি আমার আহ্বান বস্তুনিষ্ঠ লেখা পড়ুণ,দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন।আমি নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার লেখা সংগ্রহ করি এবং মিডিয়া থেকে তার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করি যার আলোকে তাকে নিয়ে লিখছি।তার সংগে যোগাযোগের সুযোগ আমার নিজেরও হয়নি।তবে আমি যোগাযোগের চেষ্টায় আছি।যদি সুযোগ পাই আশা করি আপনিও পাবেন।আমি নিজ উদ্যেগে মোহনগঞ্জের দুই,একজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি তাদের কাছ থেকে যদি কোন ডকুমেন্ট পাই তবে তা লেখণীর শেষ পর্বে প্রকাশ হবে।দুঃখের বিষয় হচ্ছে দেশ নির্ভর নাটক,সিনেমা আমরা দেখি কিন্তু দেশ নির্ভর লেখা আমরা কেউই পড়ি না ।শুধু আবেদ হোসেনকে নিয়ে লেখা নয় যে কোন দেশ নির্ভর লেখা আমাদের পড়তে হবে আর ভাল কিছু সৃষ্টির মানসিকতা গড়তে হবে।স্যার ব্লগ পড়েন বা লেখেন কি না আমি জানি না।তবে আপনি, আমি আমরা সবাই স্যারকে ব্লগে লিখার আহ্বান জানাতে পারি।জ্বী,জুয়েল আপনাকে বলছি স্যারকে নিয়ে লেখা নিজে পড়ুন অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ । পোস্ট দাতাকে অভিনন্দন ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
নাসিরন আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন।উদ্যোগটাকে চমৎকার আর আমাকে অভিনন্দন জানানোর মাঝে কিন্তু খুব একটা সার্থকতা নেই।আপনি, আমি আমরা সবাই তখনই সার্থক হব যখন সত্যিকার অর্থে কাজী আবেদ হোসেনের মত দেশকে কিছু দিতে পারব।আমরা হয়ত উনার মত করে পারব না তবে উনার কর্মগুলোকে লালন করে মানুষকে সচেতন করতে পারব,এটাও কিন্তু কম নয়।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
নাসিরন আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন।উদ্যোগটাকে চমৎকার আর আমাকে অভিনন্দন জানানোর মাঝে কিন্তু খুব একটা সার্থকতা নেই।আপনি, আমি আমরা সবাই তখনই সার্থক হব যখন সত্যিকার অর্থে কাজী আবেদ হোসেনের মত দেশকে কিছু দিতে পারব।আমরা হয়ত উনার মত পুরোপুরি কাজ করতে পারব না তবে উনার কর্মগুলোকে লালন করে মানুষকে সচেতন করতে পারব,এটাও কিন্তু কম নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মিজানুর রহমান জুয়েল বলেছেন: স্যারের মতামত পাওয়ার বা জানার কোন সুযোগ আছে কি ?