নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অবদান, পর্ব-০১।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪



প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে মুসলিম দেশগুলো পেছনে পড়ে যাওয়ায় পাশ্চাত্য তাদের ভাগ্য নিয়ন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কোনো মুসলমানের কাম্য হতে পারে না। আমরা এমন এক যুগে বসবাস করছি যেখানে একটি মুসলিম শিশু মুসলমানদের দুর্দিন ছাড়া আর কিছু দেখছে না। শুধু শিশু নয়, আবালবৃদ্ধবনিতা সবার মধ্যে এমন একটি ধারনা কাজ করছে যে, বিজ্ঞান মানেই ইউরোপ আর আমেরিকা। তাদের কাছ থেকে আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞান শিখতে হবে। কিন্তু আমাদের অনেকেই জানে না যে, মুসলমানরাই আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মদাতা। আজকের এ অধ:পতিত মুসলমানদের পূর্বপুরুষেরা কয়েক শতাব্দি পর্যন্ত বিশ্বে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে গেছেন। আজকের আলোকিত বিশ্ব তাদের কাছে ঋনী। বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা মুসলমানদের কাছে ঋনী। মুসলমানরাই বিশ্ব সভ্যতাকে রক্ষা করেছেন। এ ব্যাপারে মুসলিম ঐতিহাসিক মোহাইমিনি মোহাম্মাদের একটি উক্তি উল্লেখযোগ্য। তিনি তার 'গ্রেট মুসলিম ম্যাথমেটিশিয়ান' গ্রন্থের ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, 'In the Byzantine and Persian empire were manifesly bent upon mutual destruction. Likewise, India was greatly divided. However, China was steadily expanding, the Turkish in central Asia were disposed to work in an accord with China. During this period, the world was saved by the rise of the Islamic civilization.'

অর্থাত, 'সপ্তম শতাব্দিতে পশ্চিম ইউরোপের পতন ঘটেছিল। অন্যদিকে বাইজাইন্টাইন ও পারস্য সাম্রাজ্য একে অন্যের ধ্বংস সাধনে ছিল সুস্পষ্টরূপে বদ্ধপরিকর। একইভাবে ভারত ছিল মারাত্মকভাবে দ্বিধাবিভক্ত। তবে দৃঢ়তার সঙ্গে চীনের সম্প্রসারন ঘটছিল। মধ্য এশিয়ায় তুর্কিরা চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী ছিল। এসময় ইসলামী সভ্যতার উত্থানে বিশ্ব রক্ষা পায়।'

পৃথিবীর জাতিসমূহের মধ্যে মুসলমানই একমাত্র জাতি যার রয়েছে সর্বাধিক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্য। জাতি তাদের মহত ব্যক্তিদের কীর্তিসমূহ সম্পর্কে এমনি নিশ্চিতভাবে জানতে পারে যা সকল প্রকার সংশয় ও সন্দেহ থেকে মুক্ত। মুসলমানদের হোমারের এলিয়ড অথবা হিন্দুদের রামায়ন, মহাভারতের কল্পকাহিনীর প্রয়োজন নেই। কেননা এসব কল্পকাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি বিস্ময়কর ও গৌরবোজ্জ্বল কাহিনীর বাস্তব উদাহরন তাদের ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে, অথচ ঐসব কল্পকাহিনীর মিথ্যাচারিতা ও অবিশ্বস্ততার ছোঁয়াও তাতে লাগেনি। মুসলমানদের ফেরদৌসীর শাহনামা অথবা স্পার্টাবাসীদের কল্পকাহিনীরও কোন প্রয়োজন নেই। কেননা, তাদের ইতিহাসের পাতায় পাতায় রয়েছে রুস্তম ও স্পার্টার ছড়াছড়ি। মুসলমানদের ন্যায়পরায়ন নওশেরওয়া বাদশাহ বা হাতেম তাঈর গল্পেরও কোনই প্রয়োজন নেই। কেননা, তাদের সত্য ইতিহাসের পাতায় পাতায় অসংখ্য হাতেম ও নওশেরওয়া বিদ্যমান। মুসলমানদের এরিস্টটল, বেকন, টলেমী বা নিউটনেরও কোনই প্রয়োজন নেই। কেননা, তাদের পূর্বপুরুষদের মজলিসে এমনসব দার্শনিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিদ্যমান রয়েছেন- যাঁদের পাদুকাবহনকেও উল্লিখিত যশস্বীগন গৌরবের কারন জ্ঞান করতেন।



কতই আক্ষেপ ও বিস্ময়ের ব্যাপার, আজ যখন বিশ্বের তাবত জাতি নিজেদেরকে বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, তখনও সর্বাধিক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানগন নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে উদাসীন ও নির্বিকার। মুসলমানদের যে শ্রেনিটাকে অনেকটা শিক্ষিত ও সচেতন মনে করা হয়, তারাও তাদের বক্তৃতা-বিবৃতি ও প্রবন্ধাদিতে কোন মহত ঘটনার উদাহরন দিতে চান তখন মনের অজান্তেই তাঁদের মুখ ও কলম দিয়েও কোন ইউরোপিয়ান বা খ্রিষ্টান মনীষীর নামই নির্দ্বিধায় বেরিয়ে আসে। এক্ষেত্রে তার চেয়েও হাজার গুন উল্লেখযোগ্য কোন মুসলিম মনীষীর নাম তাঁদের জানা থাকে না। এ সত্যকে কে অস্বীকার করতে পারে যে, মুসলমানদের শিক্ষিত শ্রেনি বিশেষত নব্য শিক্ষিত শ্রেনির মুসলমানদের বক্তৃতা-বিবৃতি বা রচনাদিতে নেপোলিয়ান, হ্যানিবল, শেক্সপিয়ার, বেকন, নিউটন প্রমুখ ইউরোপীয় মনীষীর নাম যত নিতে দেখি, খালিদ ইবনে ওয়ালিদ, সালাহউদ্দিন আইয়্যুবী, হাসসান ইবনে ছাবিত, ফেরদৌসী, তূসী, ইবন রুশদ, বূ-আলী, ইবন সীনা প্রমুখ মুসলিম মনীষীর নাম ততো নিতে দেখা যায় না। এর একটি মাত্র কারন, আর তা হচ্ছে বর্তমান যুগে মুসলমানরা তাদের নিজ ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ ও নির্বিকার। মুসলমানদের এই অজ্ঞতা ও উদাসীনতার কারন হচ্ছে-

প্রথমত এমনিতেই অন্যান্য জাতির তুলনায় মুসলমানদের জ্ঞানস্পৃহা কম।

দ্বিতীয়ত, জ্ঞানান্বেষনের সুযোগ ও অবকাশও তাদের নেই।

তৃতীয়ত, সরকারি কলেজ ও মাদরাসাগুলো ইসলামী শিক্ষায়তনগুলোকে ভারতবর্ষে প্রায় অস্তিত্বহীন করে দিয়েছে।

চতুর্থত, মুসলমানদের যে শ্রেনিটিকে সাধারনত শিক্ষিত বলা হয়ে থাকে এবং মুসলমানদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় বলে গন্য করা হয় তাঁদের প্রায় সকলেই শিক্ষায়তনসমূহে লেখাপড়া করে এসেছেন - যেগুলোতে ইসলামের ইতিহাস পাঠ্যভূক্ত নয়, আর তা পাঠ্যভূক্ত থাকলেও ইসলামের ইতিহাস পদবাচ্য নয়-অন্য কিছু, অথচ তাকে ইসলামের ইতিহাস বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে এবং সেগুলোকেই মুসলিম সন্তানদের গোগ্রাসে গলধকরনে বাধ্য করা হয়। কলেজ থেকে ডিপ্লোমা হাসিল করার পর না জ্ঞানার্জনের বয়স বাকি থাকে আর না তার তেমন কোন অবকাশ বা সুযোগ থাকে। মোটকথা, আমাদের শিক্ষিত মুসলমানদেরকে সেই ইসলামের ইতিহাসের উপরই নির্ভর করতে হয় যা ইসলামের প্রতিদ্বন্দী ও শত্রুরা বিকৃত করে তাদের ইংরেজি পুস্তকাদিতে লিখেছে।



মুসলমানদের পূর্বে পৃথিবীর অন্য কোন জাতির এ সৌভাগ্য হয়নি যে, ইতিহাসকে একটা সঠিক ভিত্তির উপর রীতিমত একটা শাস্ত্ররূপে দাড় করাবে। তাঁদের কেউই তাদের পূর্বপুরুষদের সঠিক ইতিহাস রচনায় সমর্থ হননি। ইসলামের পূর্বে ইতিহাস রচনার মান যে কেমন ছিল বাইবেলের পৃষ্ঠাসমূহ বা রামায়ন মহাভারতের কাহিনীগুলো পাঠই তা উপলব্ধি করার জন্য যথেষ্ট। মুসলমানরা মহনবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস সংরক্ষন ও বর্ননায় যে কঠোর সতর্কতা ও নিয়মানুবর্তিতার স্বাক্ষর রেখেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে তার কোন নযীর নেই। 'উসূলে হাদিস' ও 'আসমাউর রিজাল' এর মত শাস্ত্রগুলো কেবল হাদিসে নববীর হিফাযত ও খিদমতের উদ্দেশ্যে তাঁরা উদ্ভাবন করেছেন। রিওয়ায়াত বা বর্ননাসমূহের বাছ-বিচার ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যে সুদৃঢ় নীতিমালা তাঁরা উদ্ভাবন করেছেন পৃথিবী তার সুদীর্ঘ আয়ুষ্কালে কোন দিন তা প্রত্যক্ষ করেনি।

মুসলমানদের ইতিহাস সংক্রান্ত সর্বপ্রথম কীর্তি হচ্ছে ইলম হাদিসের বিন্যাস ও সংকলন। ঠিক সেই নীতিমালার ভিত্তিতেই তাঁরা তাঁদের খলীফাগন, আমীর-উমরা ও সুলতানগন, বিদ্বজ্জন ও মনীষীগনের জীবন-চরিত লিপিবদ্ধ করেছেন। এসবের সমাহার হচ্ছে ইসলামের ইতিহাস। দু:খজনক যে, মুসলমানদের ইতিহাস হয় না পৃথিবীর জন্য এক অভাবিত, অভূতপূর্ব অথচ অপরিহার্য উপাদান। অন্যান্য জাতি যেখানে তাদের বাইবেল ও মহাভারত পৃভৃতিকেই তাদের গৌরবজনক 'ঐতিহাসিক' সম্পদ বলে বিবেচনা করতে অভ্যস্ত ছিল, তখন বিশ্বের মানুষ সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করল যে, মুসলমানরা খতীবের 'তারীখ' বা ইতিহাস গ্রন্থকে তাদের নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থের আলমারী থেকে বের করে সরিয়ে রাখছে।



আজ ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদেরকে ইতিহাস শাস্ত্রের অনেক খুঁটিনাটি তত্ত্ব নিয়ে নাড়াচাড়া করতে দেখা যায়। মুসলমানরা তা দেখে অনেকটা হকচকিয়ে যান এবং পূর্ন আন্তরিকতার সাথে তাদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের একথাটিও জানা নেই যে, উত্তর আফ্রিকায় বসবাসকারী জনৈক স্পেনীয় আরব বংশোদ্ভূত মুসলমান ঐতিহাসিক ইবন খালদূনের ইতিহাসের ভূমিকা 'মুকাদ্দামায়ে তারীখ' -এর উচ্ছিষ্ট ভোগই গোটা ইউরোপ তথা গোটা বিশ্বকে ইতিহাস শাস্ত্র সম্পর্কে এমনি জ্ঞানদান করেছে যে,
ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের সমস্ত ঐতিহাসিক গবেষনাকর্মকে ইবন খালদূনের মাজারের ঝাড়ুদারকে অর্ঘ্য-স্বরূপ বিনীতভাবে পেশ করা চলে। কিন্তু মুসলিম ঐতিহাসিকদের ইতিহাসকর্ম যে কত উঁচুমানের ছিল তা এ থেকেই অনুমিত হয় যে, মুসলিম বিজ্ঞজনের মজলিসে ইবন খালদূনের অনন্যসাধারন 'মুকাদ্দামা' বাদ দিলে তাঁর আসল ইতিহাসের তেমন কোন মূল্য নির্বিবাদে স্বীকৃত হয়নি।

ইবন হিশাম, ইবনুল আছীর, তাবারী, মাসউদী প্রমুখ থেকে নিয়ে আহমদ ইবন খাওন্দশাহ এবং যিয়াউদ্দিন বারনী পর্যন্ত বরং মুহাম্মদ কাসিম ফিরিশতা এবং মোল্লা বদায়ূনী পর্যন্ত হাজার হাজার মুসলিম ঐতিহাসিকের বিপুল গবেষনা কর্ম যে বিশালায়তন ভলিউমসমূহে সংরক্ষিত রয়েছে, এদের প্রত্যেকটি মুসলমানদের বিস্ময়কর অতীত ইতিহাসের এক একটি খন্ডচিত্র এবং এদের প্রত্যেকের লিখিত ইসলামের ইতিহাস এমনি উল্লেখযোগ্য যে, মুসলমানরা তা অধ্যয়ন করে অনেক শিক্ষনীয় বিষয়ের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত অাক্ষেপ ও পরিতাপের বিষয় যে, আজ শতকরা একজন মুসলমানও নিজেদের জাতীয় ইতিহাস জানার জন্য ঐসব মনীষীর রচনাবলী পাঠের এবং তার মর্ম উপলব্ধি করার সামর্থ্য রাখে না। অথচ সেই তুলনায় মিল, কার্লাইল, ইলিয়ট, গিবন প্রমুখের লিখিত ইতিহাস পাঠ করার এবং তার মর্ম উপলব্ধি করার মত যোগ্য মুসলমানের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।



মুসলমানদের অবস্থা আজকের মতো এত শোচনীয় অতীতে ছিল না। তারা ছিলেন একসময় বিশ্বের প্রভূ। অতীত নিয়ে একটি মুসলিম শিশু গর্ব করতে পারে। ইউরোপ ও আমেরিকাকে লক্ষ্য করে বুক ফুলিয়ে সে বলতে পারে, আমরাও তোমাদের মতো ছিলাম। জ্ঞান-বিজ্ঞানে আমরা তোমাদের পেছনে নই। এমন কথা বলার পূর্বে তাকে জানতে হবে তার আত্মপরিচয়। নিজের জাতীয় পরিচয়। ইসলামের স্বর্নযুগের ইতিহাস প্রতিটি মুসলিমকে অহেতুক হীনমন্যতা থেকে রক্ষা করতে পারে। মহিমান্বিত সে যুগের আলোচনা সামনে সময়মত পর্যায়ক্রমে করার ইচ্ছে থাকলো। তার পূর্বে আসুন প্রাতস্মরনীয় ক'জন মুসলিমদের নামোচ্চরন করি। দেখি, যাচাই করি, এদের আমরা ইতিপূর্বে চিনতাম কি না-

রসায়নের জনক জাবির ইবনে হাইয়ান, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূগোলবিদ আল বিরুনী, আধুনিক চিকিতসা বিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা, হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক ইবনুন নাফিস, বীজগনিতের জনক আল খাওয়ারিজমি, পদার্থ বিজ্ঞানে শুন্যের অবস্থান নির্নয়কারী আল ফারাবি, আলোক বিজ্ঞানের জনক ইবনে আল হাইছাম, এনালাইটিক্যাল জ্যামিতির জনক ওমর খৈয়াম, সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী আল কিন্দি, গুটিবসন্ত আবিষ্কারক আল-রাজি, টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমানকারী আল-বাত্তানি, ত্রিকোনমিতির জনক আবুল ওয়াফা, স্ট্যাটিক্স এর প্রতিষ্ঠাতা ছাবিত ইবনে কোরা, পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারনকারী বানু মূসা, মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী নাসিরুদ্দিন তুসি, এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী আবু কামিল, ল' অব মোশনের পথ প্রদর্শক ইবনে বাজাহ, এরিস্টোটলের দর্শন উদ্ধারকারী ইবনে রুশদ, ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক ইবনে ইউনূস, পৃথিবীর ব্যাস নির্নয়কারী আল-ফারগানি, পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী আল-ইদ্রিসী, বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক আল-জাজারি, সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমানকারী আল-জারকালি, মানব জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রনেতা আবুল ফিদা, বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অগ্রদূত ইবনে আল-শাতির, ভূগোল বিশ্বকোষ প্রনেতা আল-বাকরি, প্লানেটরি কম্পিউটার আবিষ্কারক আল-কাশি, বীজগনিতের প্রতীক উদ্ভাবক আল-কালাসাদি, প্রথম এশিয়া ও আফ্রিকা সফরকারী নাসির-ই-খসরু, অঙ্কনে ব্যবহৃত কম্পাসের উদ্ভাবক আল-কুহি, বিশ্ববিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতাসহ এরকম হাজারও প্রাত:স্মরনীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বদের এ পৃথিবী প্রত্যক্ষ করেছে যাদের অবদান বিশ্ব তার অন্তিম লগ্ন পর্যন্ত শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে যাবে। বিশ্ব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে যাদের অবদান চিন্তা করলে বিধর্মী পন্ডিতগন পর্যন্ত শ্রদ্ধা-সম্মানে মস্তক অবনত করে দেন।

অধ্যাপক জি. সারটন তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'ইন্ট্রোডাকশন টু দ্য হিস্টোরি অব সায়েন্স' -এ লিখেছেন, 'It will suffice here to evoke few glorious names without contemporary equivalents in the West: Jabir ibn Haiyan, Al-Kindi, Al-Khwarizmi, Al-Fargani, Al-Razi, Thabit ibn Qurra, Al-Battani, Hunain ibn Ishaq, Al-Farabi, Ibrahim ibn Sinam, Al-Masudi, Al-Tabari, Abul Wafa, Ali ibn Abbas, Abul Qasim, Ibn Al-Jazzari, Al-Biruni, Ibn Sina, Ibn Yunus, Al Kashi, Ibn Al-Haitham, Ali Ibn Al-Ghazali, Al-Zarqab, Omar Khayyam. A magnificent array of names which it would not be difficult to extend. If anyone tells you that the Middle Ages were scientifically sterile, just quote these name to him, all of whom flourished within a short period, 750 to 1100 A.d.'

অর্থাৎ 'এখানে মুষ্টিমেয় কিছু নাম উল্লেখ করাই যথেষ্ট হবে। সমসাময়িককালে পাশ্চাত্বে তাদের সমতুল্য কেউ ছিল না। তারা হলেন:
জাবির ইবনে হাইয়ান, আল-কিন্দি, আল-খাওয়ারিজমি, আল-ফারগানি, আল-রাজি, ছাবিত ইবনে কোরা, আল-বাত্তানি, হুনাইন ইবনে ইসহাক, আল-ফারাবি, ইবরাহীম ইবনে সিনান, আল-মাসউদি, আল-তাবারি, আবুল ওয়াফা, আলী ইবনে আব্বাস, আবুল কাসিম, ইবনে আল-জাজারি, আল-বিরুনি, ইবনে সিনা, ইবনে ইউনূস, আল-কাশি, ইবনে আল-হাইছাম, আলী ইবনে ঈসা আল গাজালি, আল-জারকাব, ওমর খৈয়াম। গৌরবোজ্জ্বল নামের তালিকা দীর্ঘ করা মোটেও কঠিন হবে না। যদি কেউ আপনার সামনে উচ্চারন করে যে, মধ্যযুগ ছিল বৈজ্ঞানিক দিক থেকে অনুর্বর তাহলে তার কাছে এসব নাম উল্লেখ করুন। তাদের সবাই ৭৫০ থেকে ১১০০ খৃস্ট সাল পর্যন্ত একটি সংক্ষিপ্ত সময়ে বিশ্বকে আলোকিত করেছিলেন।'



কিন্তু আফসোস, আজকের মুসলিম সন্তানরা বিশ্ব সভার আলোকিত মুকুটধারী এই মহা মনীষীদের অবদানকে তুচ্ছ জ্ঞান করে থাকেন। কিংবা ইতিহাস না জানার কারনে, মূর্খতার আস্ফালনে স্বজাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্মন্ধে অজ্ঞই থেকে যান তারা। আর এ অজ্ঞতাই তাদের হীনমন্যতার কারন। ভুলে গেলে চলবে না, হীনমন্যতা এমনি দূরারোগ্য এক ব্যধি যে, একটি জাতিকে অকর্মন্য, অথর্ব আর আবর্জনাতুল্য হীন জাতিতে পরিনত করার জন্য এরচে' বড় কোন অস্ত্র নেই।

অফটপিক: এই পোস্টটি প্রিয় ব্লগার রাজীব নূরকে শুভেচ্ছাসহ। তার একটি পোস্টকে কেন্দ্র করেই এই বিষয়ে লেখার কথাটা মাথায় আসে। চেষ্টা থাকবে, ধারাবাহিকভাবে আরও কয়েকটি পর্বে এই পোস্টটিকে কন্টিনিউ করার। সকলের কল্যান হোক।

তথ্যসূত্র:

১। উইকিপিডিয়া।
২। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ অনূদিত ও প্রকাশিত ইসলামের ইতিহাস, মাওলানা আকবর খান নজিবাবাদী।
৩। Shornojuge Muslim Bigganider Abishkar - Shahdat Hossain Khan
৪। অন্যান্য।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন যে, সরকারী কলেজগুলো ও মাদ্রাসাগুলো 'ইসলামী শিক্ষায়তনগুলোকে' অস্তিত্বহীন করে দিয়েছে; মাদ্রাসার বাহিরে, কোন ইসলামিক শিক্ষায়তন ছিল?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ছিল। এটা শুধু বাংলাদেশের কথা নয়, এখানে ভারতবর্ষের কথা বলা হয়েছে। আপনিও হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন। আপনার সময়কাল ভালই যাচ্ছে, আশা করি।

শুভকামনা জানবেন।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অবদান ছিল কিন্তু এখন নেই। এখন যারা মুসলিমদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা তারা ক্ষমতা, ৭/১০টি বউ এবং কুড়ি কুড়ি পোলাপান পয়দা করতে ব্যস্ত। :(

০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খজনক হলেও বাস্তবতা তাই বলে।

রাজা বাদশাহদের কথা আর নাইবা বললাম। আজ বিশ্বব্যাপী মুসলিম জ্ঞানী-গুনীদের একটি অংশও স্বকীয়তাকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করে। অন্যের লেজুরবৃত্তি, অপরের তল্পীবহন আর গুনকীর্তনকে তাদের আদর্শ মনে করেন। এরা স্বজাতীয় মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্মন্ধে যেমন অজ্ঞ, তেমনি ধরেও হয়তো নিয়েছেন, ভবিষ্যতে অনাগত পৃথিবীতে মুসলিমদের পক্ষে কোনও কালে কিছু করারও আর সম্ভাবনা নেই।

জাতীয় চেতনাবোধ বিসর্জন দেয়া তথাকথিত এই শ্রেনির মুসলিমদের জন্য শুধু করুনাই করতে ইচ্ছে হয়।

পাশাপাশি, জাতীয় চেতনাবোধ, সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার আগ্রহ জাগ্রত করতে হবে, রাজা-প্রজা নির্বিশেষে এই জাতির প্রত্যেকের ভেতরে। তবেই যদি উন্নতির ভাগ্যাকাশে আলোকের রেখার উদয় হয়।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

এভো বলেছেন: ভাই আজকে যাদেরকে নিয়ে ইসলামের গর্ভ করছেন তারা কিন্তু তাদের আমলে মুসলমানদের কাছে সমাদৃত ছিলেন না , ইবনে সিনা , ওমর খৈয়াম প্রমুখকে কাফের মুরতাদ নাস্তিক বলে গাল মন্দ করা হয়েছিল বলে আমরা জানি ।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



এগুলো কোন ফ্যাক্টর নয়। সমসাময়িককালের অনেক প্রতিভাবান লোকই স্বজাতীয়দের আক্রোশের শিকার হয়েছেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুলও বাদ পড়েননি। এসব ছিল। ভবিষ্যতেও হয়তো থেকে যাবে। এগুলোকে ধর্তব্য কোন বিষয় মনে করি না।

বিশ্ব মানবতার কল্যান, উন্নতি আর অগ্রগতিতে কার কতটুকু অবদান, মানুষ সেটাই দেখেন।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ধর্ম একটি এমন এক বিশ্বাসের জায়গা যা মানুষকে দেয় এক অনাবিল প্রশান্তি। সাধারন অবস্থায় মানুষ সেটা বুঝতে পারে না। একমাত্র বিপদে পড়লেই মানুষ সেটা বোঝে। জ্ঞান বিজ্ঞানে ধর্মের অবদান, কিংবা অমুক জায়গায় সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি ইত্যাদি উদাহরনসমুহ উপস্থিত করার মাঝে আমার মনে হয় অযথা ধর্মকেই ছোট করা হয়। মানুষ নিজের ধর্ম বিশ্বাসকে অনেক উপড়ে স্থান দেয়। সেই উচ্চতা থেকে ধর্মকে টেনে নামিয়ে আনা কার পক্ষেই সম্ভব নয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ, আপনি নিশ্চয়ই মূল্যবান কথা বলেছেন। আসলে, এই পোস্ট দেয়ার প্রয়োজন ছিল না, দিতাম না। কেন দিয়েছি সেটা পোস্টের শেষের দিকে বলেছি। তবুও আরেকবার সরাসরি সেই পোস্টটিতে যদি দয়া করে একবার ঢু মেরে আসেন তাহলে খুশি হতাম।

আমার প্রিয় ব্লগার রাজীব নূরের যে পোস্টের প্রেক্ষিতে এই পোস্ট তার লিঙ্ক-

দেশ যাচ্ছে কোথায়? আপনার আমার সিদ্ধান্তই নির্ধারন করে দিবে- বাংলাদেশের ভবিষ্যত ...

অনেক ভাল থাকবেন।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাইয়া ধর্ম হলো এখন ব্যবসার জন্য কিছু কিছু মানুষের কাছে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। অনেকেই ধর্মব্যবসা করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এগুলোর ধারে কাছে যাওয়া অবধি পাপ জ্ঞান করা উচিত।

অনেক শুভকামনা। ভাল থাকুন।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: একতরফা বললেন।
আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে হবে। মুসলমানদের ইতিহাস যুদ্ধের ইতিহাস। মেয়ে বাচ্চা জন্মানোর পর কুয়ায় ফেলে দেয়ার ইতিহাস। মেয়েদের দাসী বানানোর ইতিহাস।
বিশ শতকীয় প্রেরণার সঙ্গে ইসলামকে খাপ খাওয়ানো সম্ভব নয়।
মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট কাদের আবিস্কার?
নবীর যুগের প্রাথমিক অবস্থার জন্যে ছিলো যা আমাদের মত অগ্রসর সমাজের জন্যে অবান্তর এবং অযোগ্য, সুতরাং এগুলো বাদ দিতে হবে।
নিউটনের সুত্র কার আবিস্কার?
সব ধর্মের মতন ইসলামের শিক্ষাতেও ভাল খারাপ দিক আছে।
বহু বিবাহ ইসলামের প্রকৃতি বিরুদ্ধ, বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এর অনুমতি দেয়া উচিৎ নয়।
খ্রিষ্ট ধর্মের বয়স যখন ১৫০০ বছর ছিল, সে সময়ে সেটা ভয়াবহ মৌলবাদী এবং নিপীড়ক হয়ে উঠেছিল। মুসলিমরা বুদ্ধিজীবীদের জবাই করছে, ‘ইসলামিক স্টেট', বোকো হারাম, আল-কায়েদা সারা পৃথিবী জুড়ে জিহাদ করছে৷ ইসলামিক দেশগুলোতে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

মুসলমানের কোনো আবিস্কার তো আমি খুঁজে পাই না।
মানবের কল্যাণে যারা কাজ করে তারা আমার কাছে হিরো। হোক তারা ইহুদী, নাসারা।
ধর্ম বড় নয়। মানবতা বড়।

আমি দুঃখিত আমার মূল বক্তব্য গুছিয়ে বলতে পারলাম না।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



একতরফাই তো বলতে হয়। বিষয়টা তো তাই বলে। আপনি যা বলেছেন এটাতো তার উত্তর মাত্র। এখানে একতরফা না বলে উপায় কী?

ইসলাম চির আধুনিক। নিত্য নতুন। নিত্য সতেজ। নিত্য তরুন। প্রত্যহ প্রানপ্রাচুর্য্যে আকীর্ন সিক্ত। ইসলামের সঠিক শিক্ষা বুঝতে না পারলে আধুনিকতা আর ইসলামের মাঝে পার্থক্য খুঁজে খুঁজে জীবন ক্ষয় করা ছাড়া আর কোন লাভ হবে না। Islam is the best and latest. Islam for the east, Islam for the west, Islam for the all over the world.

জর্জ বার্নাড শ' এর বিখ্যাত উক্তিটি যদিও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে তবুও এর ভেতরে ইসলামের সার্বজনীন সৌন্দর্য্যের স্বীকৃতিও অকপটে স্বীকার করেছেন পাশ্চাত্যের এই প্রাতস্মরনীয় মনীষী- "If a man like Muhammed were to assume the dictatorship of the modern world, he would succeed in solving its problems that would bring it the much needed peace and happiness." George Bernard Shaw

আমাদের অজ্ঞতার কারনে আমরা ইসলাম বুঝি না। অন্যরা ঠিকই স্টাডি করেন, তারা ইসলামের সত্যিকারের চেহারা চেনেনও সঠিকভাবে। সুতরাং, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারার প্রশ্নই তো উঠবে না। তো ইসলাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে আপনার পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন কী?

মুসলমানদের ইতিহাস যুদ্ধের ইতিহাস।

-পৃথিবীতে কোন জাতি যুদ্ধের ইতিহাস নেই? আপনি সাম্প্রতিক সময়ে গত ৫০ বছরে বিশ্বে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, তার একটিও মুসলিমরা ঘটিয়েছেন বলে দেখাতে পারবেন? ইরাকে একতরফা যুদ্ধ করে হাজার হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে কারা? আফগানিস্তান, লিবিয়ায়? মিয়ানমারে? বসনিয়া হার্জেগোভিনা কসোভোয়? ফিলিস্তিনের মাটি তামা বানিয়েছে যারা তারা কোন ধর্মের লোক? ফিলিস্তিনের আদিবাসীদের তাদের আবাসভূমি থেকে বিতাড়িত করে তাদের উপরে খুনের মহড়া চালাচ্ছে তারা কোন জাতির লোক? কোন ধর্মের?

আপনার কথা মেনে নিলাম, মুসলমানরা যুদ্ধ করেছেন। আচ্ছা, যুদ্ধটা তারা কার সাথে করেছিলেন? অবশ্যই কোন প্রতিপক্ষের সাথে। তো, প্রতিপক্ষ যদি যুদ্ধ না করে তাহলে একতরফা কি যুদ্ধ হতে পারে? তো, নামটা মুসলমানের কেন বলেন? মুসলমানরা জান প্রান বাঁচাতে মক্কা থেকে মদীনায় আশ্রয় নেয়ার পরেও মক্কার কাফিররা যখন মদিনা আক্রমন করতে উদ্যত, সুদূর সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরের মদিনাকে উদ্দেশ্য করে তারা যখন আক্রমন পরিচালনা করে, তখন জান বাঁচানোর প্রয়োজনে মদিনার মুসলমানরাও যখন অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, সেটাকে কোন বিচারে মুসলমানদের যুদ্ধ বলবেন? বিচার বুদ্ধি কিছু আছে, এমন কোন লোককে আমি পাইনি, যিনি প্রমান করে দেখাতে পারবেন, মুসলমানগন অযাচিতভাবে কারও উপরে আগে আক্রমন করেছেন। একটি যু্দ্ধেও নয়। ইসলামের ইতিহাসের প্রতিটি যুদ্ধ ছিল বিরোধী পক্ষ থেকে আক্রমনাত্মক এবং মুসলমানদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক। বিশ্বাস না হলে, সঠিক ইতিহাস দয়া করে যাচাই করে দেখুন। স্বয়ং অন্য ধর্মের ঐতিহাসিকগনও এই সত্যটিকে অস্বীকার করতে পারেননি। এখানেই ইসলামের সৌন্দর্য্য। আপনারা কোথায় যে পান উদ্ভট এসব কথা, আল্লাহ পাক মা'লূম।

আছরের নামাজ সমাগত। বাকি কথা ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে বলা যাবে।

ভাল থাকুন।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যটি দয়া করে ভুল বুঝবেন না।
ভুলভাল লিখে থাকলে ক্ষমা প্রার্থী।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



ভুলভাল লিখবেন কেন? আপনার মতামত প্রদানের অধিকার অবশ্যই আছে। বিরুদ্ধ মতকে সম্মান করতে পারাটা বড় মনের পরিচায়ক। ধন্যবাদ।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: নকিব ভাই শান্ত হোন।
আমার ভুল হতে পারে। আমার জ্ঞান খুব সীমিত।
তবে সত্য কথা বলি, মনে হয়- আমার মনে কিছু বিশ্বাস (অন্ধ) আছে। একদম জেঁকে বসেছে।
এর থেকে বের হতে পারছি না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে জ্ঞানী ব্যক্তি মনে করি। নিজেকে আপনি স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী মনে করেন, সেটা আপনার বড়ত্বের পরিচয়।

তবে অন্ধ বিশ্বাস থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসা দরকার। সেটা যে বিষয়েরই হোক না কেন।

ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ এমন একটি মূল্যবান পোষ্টের জন্যে

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনিশেষ অভিনন্দন, সুন্দর কমেন্ট রেখে যাওয়ার জন্য। এসব পোস্টে কারও কারও বিতৃষ্ণা আসতেই পারে। তাদের ভাবখানা যেন মুসলিমরা এ ধরার আবর্জনা মাত্র। কবে কোন্ কালে মুসলিম পন্ডিতরা কীসব ঘোড়ার ডিম আবিষ্কার করে গেছে তার আবার উল্লেখের কী আছে? স্বজাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য বিম্মৃত আজকের হতভাগা কিছু মুসলিম নামধারীকে যখন এই সারিতে উচ্চকন্ঠ হতে দেখা যায়, তখন কিছুটা আশ্চর্য্য না হয়ে পারা যায় না বৈকি।

ভাল থাকুন।

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক উত্তর দিয়েছেন, " জ্বি, ছিল। এটা শুধু বাংলাদেশের কথা নয়, এখানে ভারতবর্ষের কথা বলা হয়েছে। আপনিও হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন। আপনার সময়কাল ভালই যাচ্ছে, আশা করি। "

-আমার প্রশ্নের ( ১ নং মন্তব্য) বিপরিতে যা বললেন, সেটা কি ঐ প্রশ্নের উত্তর হয়েছে? আপনি প্রশ্ন-ফাঁস জেনারেশনের লেখক? ম্যাঁওপ্যাঁও কিছু একটা লিখে হার্ড-ড্রাইভ ভরায়ে ফেলছেন!

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ইচ্ছে করেই হয়তো এ বিষয়গুলো আপনি বুঝতে চাবেন না, অথবা বুঝেও না বুঝার ভান করবেন, এটা অনেকেরই জানা। জেগে ঘুমানোকে জাগানোর চেষ্টা বৃথা। বরাবরই আপনি একচোখে দেখা মানুষ, ব্লগের সচেতন সবাই বোধ করি এতে একমত হবেন।

প্রশ্ন-ফাঁস জেনারেশন উপহার দেয়ায় সবটুকু কৃতজ্ঞতা তো আপনাদেরই প্রাপ্য। কি বলে যে আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই, প্রিয় শ্রদ্ধাস্পদেষু!

ভাল থাকুন অবিরাম।

১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সভ্যতার সুচনায় মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অবদানে সবার গর্বিত হওয়া উচিৎ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যিই?

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১১

ching বলেছেন: নালনদা বিদ্যালয়

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মানে?

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

বারিধারা ২ বলেছেন: রাজীব নূরের মন্তব্যে দারুণ ব্যথিত আমি। মুসলমানদের ইতিহাস "মেয়ে বাচ্চা জন্মানোর পর কুয়ায় ফেলে দেয়ার ইতিহাস। মেয়েদের দাসী বানানোর ইতিহাস।" এসব কি পাগলের প্রলাপ? জেনেশুনে এসব মন্তব্য করেছেন কি? রাসুলের (স) জন্মের আগে আরবের জাহিলিয়াতকেও উনি মুসলমানদের ইতিহাসের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছেন? আশ্চর্য!

রাজীব নূরের ধারণা, বিজ্ঞান কেবল কম্পিউটার, মোবাইল আর ইন্টারনেটেই? গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন আর যুক্তিবিদ্যা ওনার জ্ঞানে বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় পড়েনা। বিস্ময়ের পর বিস্ময়!

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যে। দয়া করে আপনি ব্যথিত হবেন না।

রাজীব নূর আধুনিক চিন্তার মানুষ। মন্তব্য প্রতিমন্তব্য ইত্যাদিতে সাধারনত: তাকে সহনশীল হিসেবেই পাই। যদিও এই পোস্টের মন্তব্যে তার কিছুটা অসংলগ্নতা প্রকাশ পেয়েছে। হয়তো আবেগে কিছু কথা বলে ফেলেছেন। সেটা তিনিও বুঝতে পেরেছেন। তার চিন্তার উন্নয়নে তিনি কাজ করুন, এটাই কামনা করি।

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: নকিব ভাই আমি এ বিষয়টি নিয়ে পড়া শোনা শুরু করেছি। বই পত্র সংগ্রহ শুরু করেছি।
আমি এই বিষয় নিয়ে লিখব।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। অবশ্যই আপনার থেকে এই বিষয়ে আরও সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট আশা করব।

১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

সুজন কুমার রায় বলেছেন: পরিশেষে এটাই বলতে চাই। ধর্মই মানব সভ্যতার চাবিকাঠি। সেটা যে ধর্মই হোক না কেন? এখানে প্রধানত কাউকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না। বিশ্বসভ্যতায় সকল ধর্মের অবদান অপরিসিম।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন।

বিশ্বসভ্যতায় সকল ধর্মের অবদান অপরিসিম।

-সঠিক কথা। আসলে বিশ্বসভ্যতায় প্রত্যেক ধর্মেরই অবদান যে রয়েছে সেটাকে কিন্তু এই পোস্টে কোথাও অস্বীকার করা হয়নি। 'বিশ্বসভ্যতায় মুসলমানদের কোন অবদান নেই' এই পোস্ট এই কথার জাস্ট একটি জবাব মাত্র। স্পেসিক ইসলাম আমার ধর্ম বলে শুধু মুসলমানদের অবদান তুলে ধরে এভাবে পোস্ট দেয়াটা আমার কাছেও দৃষ্টিকটু লেগেছে। তারপরেও মানুষের জানার সুবিধা চিন্তা করে এবং ঢালাও অপবাদের বিপরীতে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন না করে উপায় ছিল না। সম্ভব হলে আপনার ধর্মের উপরেও এরকম গুছিয়ে কিছু লেখার অনুরোধ থাকলো। যাতে, সকলে সঠিক সত্যগুলো উপলব্ধি করতে পারে।

ভাল থাকুন ভাই।

১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মধ্যযুগের জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। বলতে গেলে আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতে।
আমরা (মুসলমান'রা) আমাদের অতীত ইতিহাস মনে রাখলেও জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্থাৎ আধুনিক চিন্তা চেতনা কোনো কালেই গ্রহণ করতে প্রস্তুত ছিলাম না, একালেও প্রস্তুত নই। রাজীব নূর ভাই, ঐদিনের পোস্টে বলেছিলেন - মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞান, ইতিহাস-সাহিত্যে কদর নেই। এটা ভুল নয়। আমাদের শাসকদের ফতুয়াবাজি, কোরান হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা, ধর্ম ব্যবসা...ইত্যাদি ইসলাম'কে বিজ্ঞানের অপজিটে দাড় করিয়েছে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যে সহমত। অনেক গুরুত্বপূর্ন কথা বলায় অভিনন্দন। মুসলিম শাসকদের বিলাস প্রিয়তায় মগ্নতা, ধর্মবেত্তার ছদ্মাবরনে স্বার্থান্বেষী মহলগুলোর কুরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা, ধর্ম ব্যবসা...ইত্যাদি ইসলাম'কে ঠিকই বিজ্ঞানের অপজিটে দাড় করিয়েছে।

এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।

ভাল থাকুন।

১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন,
গঠনমূলক সমালোচনায় স্বাগত। তবে দয়া করে ফালতু কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকলে খুশি হব। উলঙ্গ আর অর্ধনগ্ন ভিডিও প্রচারের দায়িত্ব সামু ব্লগে কি আপনার উপরে পড়েছে?

এ ধরনের উস্কানিমূলক কাজ ছাড়া এই ব্লগে আপনি কি কখনও আর কিছু করেছেন? আপনার এই পোস্টের কমেন্টটি আপাতত: মুছে দেয়া থেকে বিরত থাকলাম, প্রমান হিসেবে রেখে দেয়ার জন্য।

দু:খিত! আপনি যদি সংযত না হন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সামহোয়্যার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা ছাড়া গত্যান্তর থাকবে না।

১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: নকিব ভাই, এত সুন্দর করে মুসলিম ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। আল্লাহ আপনাকে রহমত দান করুন মুসলিম সঠিক ইতিহাস নিয়ে কথা বলার জন্য।

ভাই যারা চোখে ঠুলি বেধে দুনিয়া দেখে আর বলে দুনিয়া অন্ধকার তাদের কিভাবে আপনি জাগ্রত করবেন? সত্য চেনাবেন?

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন কে আপনার এই পোষ্টে বাজে কিছু you tube লিংক দিতে দেখলাম। সে সব জায়গায় মুসলিম দের বিরুদ্ধে এসব পোষ্ট দিয়ে রাখে। তার সমস্যা কি ? মুসলিম পরিচয় যদি তার অপছন্দ হয় তবে তার নিজের ইসলামিক নাম পরিবর্তন কে নেয়া উচিৎ। আপনারা সিনিয়র ব্লগার ভাই রা এর বিরুদ্ধে কিছুই বলেন না..
আমরা অফিসে বা বাসায় ব্লগ পড়ি, এসব পেজ হটাৎ সবার সামনে খুলে গেলে ভিষন লজ্জা পেতে হয়।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অত্যন্ত গুছিয়ে চমকপ্রদ মন্তব্যে মন ছুঁয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ।

সত্যিকারের ইতিহাস না জানার কারনে আজকের মুসলিম সন্তানরা হীনমন্মতায় ভোগে। জীবনে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হলে স্বজাতির গৌরবদীপ্ত ইতিহাস অবশ্যই আমাদের চোখের সামনে রাখতে হবে। বাঘের বাচ্চা যদি ভেড়ার পালে বেড়ে ওঠে, তার ইতিহাস বিস্মৃত হয়ে বড় হয়, সে ভেড়ার দলেরই হয়ে উঠবে। বাঘের হুংকার তার থেকে আশা করা বৃথা। আজকের ঝিমিয়ে পড়া মুসলিম জাতির অবস্থাও ততোধিক খারাপ। তারা তাদের বাপ দাদা তথা পূর্ব পুরুষদের গৌরবে ঝলমল ইতিহাস বিস্মৃত হতভাগা জাতিতে পরিনত হয়েছে।

'জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন' নামের এই ব্যক্তির ব্যাপারে সামহোয়্যার ইন ব্লগের সম্মানিত এডমিনবৃন্দকে দয়া পূর্বক উপযু্ক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। তিনি অশ্লীল ভিডিও লিঙ্ক বিতরন করে ব্লগের পরিবেশ নোংড়া করে চলেছেন। তাকে বলার কিছু নেই। তার বাজে, অশ্লীল এবং অরুচিকর কর্মকান্ড সামুর সকলেই প্রত্যক্ষ করছেন।

ভাল থাকুন।

১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: @জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন আপনার উলঙ্গপনা বন্ধ করুন। যত্তসব ..........

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক আপনার উপর তাঁর রহমতকে অবারিত করুন। অনাচারের বিরুদ্ধে সকলের থেকে প্রতিবাদ আসা প্রয়োজন। তাহলেই এই আপদ বিদায় হবে হয়তো।

ব্লগ থেকে এই দুর্গন্ধময় জিনিষের অপনোদন না ঘটলে অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। বাসা বাড়িতে, পরিবারের সদস্যদের সামনে এখন আর অনেকেই ব্লগ খুলতে সাহসী হন না। এটা নিতান্ত দু:খজনক। জাহাঙ্গীর কবীর নয়নের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

অনেক ভাল থাকুন।

২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: ক্রিয়ার (রাজিব নূরের লেখা) প্রতিক্রিয়া (আপনার লেখা) হিসেবে একটু ধীরে সুস্থে লিখলে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। যেভাবে লিখেছেন এতে যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন তারা কতটা উপকৃত হবে তা আমার কাছে প্রশ্নসাপেক্ষ মনে হচ্ছে। কারণ তাড়াহুড়া করে লিখতে গিয়ে কিছু বাক্য কন্ট্রাডিকটরি ও সেল্ফ এগ্রান্ডাইজিং।

মো্দ্দা কথা হচ্ছে কিছু মূর্খ লোক বাদে প্রাক মধ্যযুগে আরবীয়-পার্সিদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান কেউই অস্বীকার করে না। তবে এর পরের ইতিহাস সাহারা মরুভূমির মতো বিরান হওয়াতেই অন্যরা ঐ সব কথা বলার সুযোগ নেয়।

আর যে লোকগুলোর অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন তারা কেউই ধর্মান্ধ ছিল না। বরং অনেকেই সে সময় মুরতাদ ঘোষিত হয়েছিল ধর্মান্ধদের কাছে। এই ধর্মান্ধরাই মুসলিমদের পিছনে টেনে রেখেছে। উপরে উঠতে দিচ্ছে না। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় কিছু উদারতা না থাকলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দুবাই এরা কিছুটা দেখাচ্ছে বলে এখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর।

একটি নিজ থেকে উদাহরণ দেই। আমার এক কাজিন অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তাবলীগ জামাতে সময় দেয়। বুয়েট থেকে ইলেকট্রিকেলে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষনীয় ফান্ডিং পেয়েও যেতে চেয়েও যায় নি। হঠাৎ মনে হয়েছে দু দিনের দুনিয়াই এত জ্ঞান দিয়ে কী হবে? পরে গ্রামীনফোন বুয়েট হল থেকে তুলে নিয়ে চাকরি দেয়। কিছুদিন পরে ক্লাস সেভেনের তাবলীগী আমিরের মেয়েকে বিয়ে করে। দেশে ফোন কম্পানী বাড়ি গাড়ি দিয়েছে। এতেই খুশি। মাঝে মাঝে বলে এই চাকরীও সে আর বেশি দিন করবে না। খোদার খেদমতে বাকী জীবনটা কেটে দিতে চায়। এর মেধার দ্বারা মুসলিমদের কি উপকারটা হল? এই রকম কাজিন ভাই ব্রাদার বোন কিন্তু অনেকেই আছে। গোড়াই গলদটা কোথায় বুঝতে পারছেন। ৭২ হুর আমাদের সব মেরে দিয়েছে।

মুসলিমরা পেছনে থাকবে নাতো কি ইহুদি-নাসারারা? তাই রাজিব নূরের মতো লোকের কথাকেও গুরুত্ব দিতে হবে বৈকি!

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দীর্ঘ মন্তব্যে আপ্লুত! মুসলিমদের অনেক সমস্যা যে আছে, তা দিবালোকের মত স্পষ্ট। বিজ্ঞান চর্চায় অমনযোগিতা, ধর্মের অপব্যাখ্যা, কুরআন হাদিসের মন মতলবি ব্যাখ্যায় তাদের আজকের এই দুরবস্থা। এ থেকে পরিত্রান দরকার।

মো্দ্দা কথা হচ্ছে কিছু মূর্খ লোক বাদে প্রাক মধ্যযুগে আরবীয়-পার্সিদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান কেউই অস্বীকার করে না। তবে এর পরের ইতিহাস সাহারা মরুভূমির মতো বিরান হওয়াতেই অন্যরা ঐ সব কথা বলার সুযোগ নেয়।

-সহমত।

আর যে লোকগুলোর অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন তারা কেউই ধর্মান্ধ ছিল না। বরং অনেকেই সে সময় মুরতাদ ঘোষিত হয়েছিল ধর্মান্ধদের কাছে। এই ধর্মান্ধরাই মুসলিমদের পিছনে টেনে রেখেছে। উপরে উঠতে দিচ্ছে না। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় কিছু উদারতা না থাকলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দুবাই এরা কিছুটা দেখাচ্ছে বলে এখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর।

-ধর্ম কোথাও ধর্মান্ধ হতে বলেনি। মূর্খতাও ধর্মের আবিষ্কার নয়, অন্তত: ইসলামের অবশ্যই নয়। ইসলামের সূচনাই হয়েছে- 'ইক্করা'- 'পড়ুন' কথাটি দিয়ে। 'পড়ুন' মানে, জানুন, শিখুন, গবেষনা করুন, আবিষ্কার করুন। কিছু লোক সর্বকালেই ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। যাদের কাজ, উন্নয়ন-অগ্রগতিকে টেনে ধরা। এদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

আপনার উদাহরনটা যথাযথ। এগুলোই আমাদের জাতীয় জীবনের অবিশ্বাস্য বাস্তবতা।

রাজীব নূরের কথাকে ফেলে দেয়ার অবকাশ নেই। অধ:পতিত এই জাতির দুরবস্থা দর্শনে- কিছুটা ক্ষোভ থেকে বলা তার কথাগুলো চিন্তার খোরাক যোগায় বৈকি!

ভাল থাকুন অনেক, প্রিয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.