নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে বিষয়গুলো

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩



সুস্থতা সবচে' বড় নেআমত। এর মূল্য আমরা যারা সুস্থ, আমাদের হয়তো অতটা বুঝে আসবে না। অসুস্থ হওয়ার পরেই কেবল সুস্থতার মূল্য অনুধাবন করা সম্ভব।



আমরা যা খাই প্রতি দিন

আচ্ছা, প্রতি দিন আমরা যা খাই, একটিবার ভেবে দেখেছেন কখনও? আমরা কী খাচ্ছি? ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। কথায় রয়েছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। ভাত ছাড়া আমাদের চলে না। চাল ফুটিয়ে, সিদ্ধ করা এই যে ভাতের লোকমাটি মুখে তুলে নিচ্ছেন পরম তৃপ্তি-পরিতৃপ্তিতে, একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার পছন্দের খাবার এই নিরীহ বীজ চালের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে বিষ? পাকা সুদর্শন যে কলাটি আপনি কিনে নিয়ে এসেছেন এই মাত্র বাজার থেকে। আপনার কি জানা আছে, কতটা ধাপে নিরুপদ্রব এই কলাটিতে প্রবেশ করানো হয়েছে বিষের বীজ? শুধু কলা কেন? বানিজ্যিকভাবে চাষ করা প্রতিটি ফল এবং ফসলেরই এখন এক অবস্থা। মাত্রাতিরিক্ত বিষের প্রয়োগে ত্রাহি ত্রাহি কান্ড এদের। গাছের বীজ বোনার পূর্ব থেকে শুরু হয় মাটিতে সার দেয়ার কাজ। এরপরে চারা গজানোর পরে আবার দেয়া হয় সার। ছিটানো হয় কীটনাশক। কীটনাশকের পরিষ্কার বাংলা, বিষ। জীবনঘাতী এই বিষের সাথে গাছ, শস্যলতা ইত্যাদির পরিচয় ঘটে একেবারে জন্মের পরপরই। শিরা-উপশিরায় তারা বহন করে বিষের এই যন্ত্রনা। আজীবন। অত:পর নরম শরম এই চারাটিতে ধাপে ধাপে প্রয়োগ করা হয় সার। এই সারের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে বৃক্ষ সন্তানের কচি কোমল দেহ। একসময় গাছ কিংবা লতাটি পূর্নবয়স্ক হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে দেয় উপযু্ক্ত বয়স হবার পূর্বেই। সন্তানবতী হওয়ার তাড়না অনুভব করে সে তার ভেতরে। ফুলের কলি মেলে দেয় সে। সার, কীটনাশকের প্রভাবে তার ভেতরে তৈরি হয় ভিন্ন এক অবস্থা। বিষের পরে বিষ। ফুল ফোটার পরপরই কচি ফুলের ডগায় আবার দেয়া হয় বিষের স্প্রে। একসময় ফুল থেকে মুকুল আসে। আবার করা হয় স্প্রে। বিষের ছোঁয়ায় আবারও দ্বিধাবিভক্ত হয় সে। জাগ্রত-মোহাচ্ছন্ন হয় সে। ফুলের সংক্ষিপ্ত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে তার। ঝড়ে যায় সে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে। ফলের গুটি আসে বৃক্ষ লতায়। কিন্তু প্রশান্তির পরশ নেই কোথাও। ছোট্ট এই গুটিকে অভিবাদন জানানো হয় আবার বিষের ছিটে দিয়ে। পোকা মাকড় থেকে মুক্ত রাখার প্রচেষ্টায় তাকে আবারও বিষ হজম করে যেতে হয়। এবং এই ফলটি পাকা অবদি কয়েক ধাপে আরও বার কয়েক তাকে এই স্প্রের কবলে পড়তে হয়।



একসময় ফল ফসল হয়ে ঘরে আসার সময় হয়। বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার সময় এটির শরীরের কমনীয়তা ধরে রাখার জন্য এর উপরে নতুন এক জিনিষের স্প্রে করা হয়। এর পোষাকি নাম ফরমালিন।

অত:পর আমাদের মত ক্রেতাদের হাতে উঠে আসে পেলব কোমল মসৃন দৃষ্টিনন্দন সব ফল। আমরা গোগ্রাসে গিলতে থাকি বাজার থেকে সদ্য কিনে আনা ফল ফলাদি। আমরা ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করি না- কি কঠিন যাতনাময়, বিষাক্ত অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে এসেছে লোভনীয় খাদ্যের এই রসালো ফলটি। একটিবারের জন্যও আমাদের ভাবনায় আসে না, ফলের সাথে, খাদ্যের সাথে কতটা তিক্ত পয়জন অনায়াসে হজম করতে হচ্ছে আমাদের। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত।



তো, আমরা অসুস্থ হব না, অসুস্থ হবে কে? আমরা কেন সুস্থ থাকব? আমাদের কি সুস্থ থাকার কথা? আমাদের নীতিহীনতাই কি আমাদের ধ্বংস করছে না?

যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে এগুলোর কারনে

ফল ফলাদিতে দেয়া সার, বিষ ও বিষের প্রভাবে খাদ্যের স্বাভাবিক পুষ্টিমান নষ্ট হচ্ছে। স্বাভাবিক ক্রিয়া থাকছে না এগুলোতে। উল্টো নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। সহজ হচ্ছে, শরীরে রোগ-জীবানুর অবাধ অনুপ্রবেশ । সাধারন অসুস্থতা, ছোটখাট শারিরীক সমস্যা থেকে জটিল কঠিন রোগ-ব্যধি বাসা বাঁধছে মানব শরীরে। বড়দের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার ফলে তাদের আক্রমনের পরিমানও কম। শিশু ও রুগ্ন ব্যক্তিগন যাদের, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এসব ফল খেয়ে তারা আক্রান্ত হন সহজে এবং দ্রুত।



বাঁচার জন্য আমাদের করনীয় কী?

যে কেনো ফল, বাজার থেকে ক্রয়ের পরে ঘরে নিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত বালতি কিংবা বড় কোনো পাত্রের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে পুরোটা না হলেও অন্তত: বিষক্রিয়া কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।

জ্ঞানী গুনী ব্লগার বন্ধুদের নিকট থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ, মূল্যবান মতামতের জন্য তাদের আগাম অভিনন্দন। সকলের কল্যান কামনা করছি।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:
কল্যাণ কামনা আপনার জন্যও।

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুনন।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



বাহ! অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য নিয়ে এসে প্রথম হলেন!

আপনার মনটা যেমন সুন্দর, কথাগুলো আরও সুন্দর।

অনেক ভাল থাকুন।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমরা মানুষ সামান্য লাভের আশায় প্রতিনিয়ত নিজেদেরকেই ধ্বংস করে চলেছি!

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্য বলেছেন, সোহেল ভাই। অভিনন্দন।

অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইতিমধ্যে প্রায় সব পরিবার, ক্যানসারের কারণে কাউকে না কাউকে হারায়েছে; জাতি ক্রমেই পংগু হয়ে যাবে।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



একদম সঠিক বলেছেন। অবস্থা দর্শনে এটা ছাড়া আর কিছু ভাবা যায় না।

ভাল থাকুন অনেক।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খাবারের সাথে প্রতি মুহুর্তে বিষ ঢুকছে আমাদের শরীরে।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এক্সাক্টলি তাই। বাঁচার উপায় খুঁজতে হবে।

অনেক শুভকামনা।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট নকিব ভাই। আরও লিখুন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ভাল থাকুন। শুভকামনা জানবেন, ভাই।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ফলমূলে ফরমালিন দেয়া বন্ধে সরকারের আন্তরিক হতে হবে। না হলে জনগণ সচেতন হয়ে কতটুকু ভালো থাকতে পারবে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



তাই তো উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের সার্বিক অব্যবস্থাপনা কবে ঠিক হবে? কার গোয়াল কে দেয় ধুয়ো?

ভাল থাকবেন সত্যের ছায়া।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মানবীয় ব্যাপারটা হলো খাদ্য না খেয়ে জীবন বাঁচানো যায় না আমাদের দেশে ব্যাপারটা উল্টোও হয় | না খেলে মারা যাবে না |খেয়েই মরতে হবে | কি যে এক অরাজক একটা অবস্থা আমাদেরদেশে সব কিছুতেই | কোনো তদারকি নজরদারির বালাই নেই মনে হয় খাবার জিনিসের মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে | !! আল্লাহ সবাইকে রহমত করুন | হেদায়েত করুন | নতুন নকিব লেখা ভালো লাগলো |

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন বলেছেন। না খেলে মারা যাবে না |খেয়েই মরতে হবে |

তদারকি, তদন্ত এসবের বালাই নেই। যাচ্ছেতাই লুটের নগর যেন প্রিয় মাতৃভূমি! খাদ্য-খাবারের মান নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা কিংবা ব্যক্তিগন যে কোথায় কি দায়িত্বে ব্যস্ত থাকেন, আল্লাহ তাআ'লা মা'লূম।

সুস্থ সবল একটি জাতির জন্য এ অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন।

অনেক ভাল থাকবেন।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১১

আমার আব্বা বলেছেন: কিছুটা পড়ার সময় পা্ই অনেক লেখকের ব্লগ পড়ি কিন্তূ শব্দ ও ভাষার এত সুন্দর ব্যবহার আপনার লেখনিতে আমাকে মুগ্ধ করে । কেউ সমালচোনার উর্দ্ধে নয় । সমালোচনা করলে সংশোধন হওয়ার পরিবর্তে অনেকে আরও তিরষ্কার করে । কিন্তু আপনি আলাদা ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক আন্তরিকতা নিয়ে হয়তো আপনি পোস্ট দেখার কারনে এতটা হৃদ্যতাপূর্ন মন্তব্য পেলাম। আপনার জন্য হৃদয় নিংড়ানো দোআ। আসলে লিখতে পারা তো ভাগ্যের ব্যাপার। সেই যোগ্যতা আমাদের কোথায়? আপনাদের মত মনযোগী শুভাকাঙ্খী পাঠকের আন্তরিকতা কলমের সাথে সম্প্রীতি-সখ্যতা নিরন্তর বৃদ্ধিই করে দেয়।

অপরিমেয় আন্তরিকতায় মুগ্ধতা একরাশ। ভাল থাকবেন অহর্নিশ।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৩

আমার আব্বা বলেছেন: লিখতে ভুলেগেছি আপনি কেমন আছেন জানাবেন ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ পাকের দরবারে সিজদাবনত শুকরিয়া। তিনি অনেক ভাল রেখেছেন। কত যে ভাল, বলে শেষ করতে পারবো না।

অধমের খোঁজ নেয়ায় আবারও কৃতজ্ঞতা। আপনি কেমন আছেন, জানতে পারলে অনেক খুশি হব।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

কাতিআশা বলেছেন: সচেতন মূলক লেখাটা খুব ভালো লাগলো..আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন, এই কামনা!

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন। লেখা ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা।

আপনার দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২১

মাহিরাহি বলেছেন: এসবের মধ্যেও.আল্লাহতায়ালা আমাদের সুস্থ রাখতে পারেন, আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক সবই পারেন। তিনি কাউকে না খাইয়েও বাঁচাতে পারেন। কিন্তু সেটা তিনি করবেন না। নিয়মের ভেতরে থেকে সবকিছু পরিচালনা করাই তাঁর পছন্দের। আমাদের চেষ্টা-প্রচেষ্টা অনুসারে তিনি ফল দিবেন, এটাই স্বাভাবিক।

আপনার দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। আমাদের সুস্থ রাখুন তিনি।

সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। কৃতজ্ঞতা অনেক।

১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব দরকারী একটা বিষয় নিয়ে সুন্দর পোষ্ট দিয়েছেন।

আজ আমি 'বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য' অফিসে গিয়েছিলাম। খাবারের সমস্যা গুলো নিয়ে কথা বলতে। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব কে পাইনি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন: এইসব অফিস মানে, বিরাট ব্যাপার! জনগনের টাকায় ঠিক যেন জমিদারদের আয়েশী জীবন উপভোগ! এসির নিচে বসে অবারিত বিত্ত-বৈভব আর বিলাস স্বপ্নে মত্ত জীবন! বলি, তোমরা যাদের ঘামের-শ্রমের পয়সা ট্যাক্স হিসেবে আদায় করে এসি বাড়ি, এসি গাড়ি, এসি অফিস সাজিয়েছ, গ্রামের সেই খেটে খাওয়া কৃষক মজুরগন জীবনে কোনো দিন এসির ঠান্ডা বাতাসে বসতে পেরেছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখেছো একবার?

সরকারি অফিসগুলোর অধিকাংশ কর্মকর্তার আয়েশী জীবনের সিংহভাগ অবৈধ আয়ের। অন্তত: আমার দেখাটা এমনই। আমি যাদের দেখেছি, তাদের ভেতরে সততা নিয়ে চলেন, মানে, অবৈধ আয়ের পথে পা বাড়ান না, এমন লোক পেয়েছি, তবে তাদের সংখ্যা হাতে গোনা। বাকিদের অবস্থা, তথৈবচ। টেবিলের উপর-নিচ দিয়ে এদের কাছে বান্ডিল পৌঁছে যায়।

যাবেন। মাঝে মাঝে খোঁজ খবর নেয়া প্রয়োজন। সাধারন জনগনের হয়ে তাদের জন্য যাবেন। তাদের তো আল্লাহ রব্বুল আলামীন ছাড়া কেউ নেই। এই জাতির প্রতি তিনি রহমত করুন। তবে সাবধান থাকবেন, সাংবাদিক ভাইদেরও অনেককে কিন্তু একই রোগে আক্রান্ত দেখেছি।

পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন। অনেক ভাল থাকুন।

১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: বেশীরভাগ খাবারেই বিষাক্ত দেশে। ফরমালিনের কারনে ফল খেতে ভয় লাগত।

পোস্টে ভাল লাগা রইল।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



'ভয় লাগতো' -বলছেন কেন? এখন লাগে না? না কি দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন? দেশান্তরি হয়ে থাকলে আপাতত: বেঁচে গেছেন হয়তো।

পোস্টে ভাল লাগা রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভাল থাকবেন, কাছের-মানুষ।

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ছাদ-কৃষি একটা ভালো সমাধান হতে পারে। ঢাকায় তো অনেক ছাদ। সবজি পাওয়া যাবে,সাথে অক্সিজেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



নিসন্দেহে ভাল পরামর্শ। কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ।

আমিও ফলের কিছু গাছ লাগিয়েছি ছাদে। আলহামদুলিল্লাহ, ফুলে-ফলে ভরপুর গাছগুলো। ফুলের গাছও রয়েছে। চক্ষু শীতল হয়ে ওঠে। রাতের তারাভরা আকাশে ফুলে-ফলে সুশোভিত গাছগুলোর কাছে গিয়ে যখন দাঁড়াই, অন্তরে প্রশান্তি অনুভূত হয়। অনেকক্ষন ওদের কাছে থাকি। গাছেদের সাথে কথা বলি। তাদের স্পর্শ অনুভব করি। সকাল বিকাল পরিচর্যা করি। অন্যরকম ভাললাগা। ভিন্ন ধরনের অনুভূতি। বলে বুঝানো যায় না এমন। দেখি, এক দিন, ছবি তুলে পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব।

ভাল থাকুন অনেক।

১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২০

ওমেরা বলেছেন: জনসচেতনামূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন। কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকুন অনেক।

১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৬

সুমন কর বলেছেন: সচেতনামূলক পোস্ট। মাঝে মাঝে ১০-১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতেও ভুলে যায় কিংবা রাখতে চায় না.......!!

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



পাঠ-মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। পানিতে ভিজিয়ে রাখাটা অন্তত: কিছুটা নিরাপত্তা দেয়। এটা করা উচিত।

অনেক ভাল থাকবেন, দাদা।

১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:১২

ইমরান আশফাক বলেছেন: আগে আমরা বলতাম যে সব খাবার বা ফলে মাছি বসে সেগুলি না কিনতে। কিন্তু এখন বলি যেসব ফলে মাছি বসে সেইগুলি কিনতে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অবশ্যই তাই। মাছি বসলে বুঝতে হবে, ফলটিতে ফরমালিন টরমালিন দেয়া হয়নি। কিংবা সহনীয় মাত্রায় দেয়া হয়েছে। না বসলে বুঝতে হবে, এটি মাছির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ন।

হায় হায়! মাছিরও রুচিতে ধরে না, সেই ফল আমরা খাই!

অনেক শুভকামনা। ভাল থাকবেন ভাই।

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

অর্ক বলেছেন: নতুন নকিব ভাই, লজ্জিত আপনাকে অফ টপিক’এ বিরক্ত করায়। গতকাল এক ব্লগারের সঙ্গে সংগঠিত আমার তিক্ততা আপনি দেখে থাকবেন। সেখানে আমি শুধু প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্য করার পর তার বীভৎস আক্রমণের স্বীকার হই। বিষয়বস্তু সবই জানেন আপনি বিস্তারিততে নাই বা গেলাম। অনেকে উক্ত ব্লগারকে নিয়মিতভাবে যা তা বলে লাঞ্ছিত, অপমানিত করে আসছে তাঁর বিকৃতরুচি’র ব্লগিংয়ের জন্য। আমি নিজের চোখে, স্মৃতি থেকে অনেককিছুই বলতে পারি তার আপত্তিকর পোস্টগুলোর বিরুদ্ধে, কিন্তু আমার ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কোনও দায় পড়েনি। সেখানে আমাকে প্রতিমন্তব্যে সে ‘দুষ্ট লোক, বদ লোক’ বলে শুরুতে উলঙ্গ আক্রোশে আক্রমণাত্মক প্রতিমন্তব্য করে। পরবর্তী তে আমিও তাঁকে হারামি সহ হয়তো উপস্থিত হতাশা থেকে খানিকটা অতিরিক্ত তিক্ততা প্রকাশ করি। তারপরও এতোটাও উল্টাপাল্টাও কিছু বলিনি যে লজ্জায় নাক কাটা যাবে। আপনি দেখে থাকবেন, সেখানে ব্লগের একটি সত্য ঘটনাকে কিভাবে বেমালুম অস্বীকার করে উল্টো সে আমাকে মিথ্যেবাদী সাব্যস্তের অপচেষ্টা চালায়। এসময় ‘আবু ছোলহ’ নামের জনৈক ব্লগার এসে মন্তব্যে আমার বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরবর্তী তে আপনি নিজেও তার নোংরা কলুষিত বিকৃতরুচি’র নমুনা দেখেছেন, আমাদের সমস্ত মন্তব্য গুলো মুছে দেয়া হয়। সেখানে আমি শুধু আমার আত্মপক্ষই সমর্থন করেছিলাম। ভাষার উস্কানি তার কাছ থেকেই কিন্তু এসেছিল।

আপনি সবই দেখেছেন। আপনি ঘটনার সাক্ষী। তারপর থেকে আমি উক্ত ব্যক্তিকে মন্তব্য ব্লক লিস্টে রেখে আমার মতো ব্লগিং করে যেতে থাকি। আমি তাকে মন্তব্যেও বলেছিলাম, আমাদের মনমানসিকতা সম্পূর্ণ ভিন্ন, ব্লগে আমাদের যে যার মতো পৃথক রাস্তায় যাওয়া উচিৎ। আমরা একে অপরের পোস্টে মন্তব্য করবো না। তারপর আমি আমার মতো ব্লগিং উপভোগ করতে থাকি।

কিন্তু সে সেখানে ক্ষান্ত দেয়নি তারপর থেকে ক্রমশ ব্যাপারটা নিয়ে জল ঘোলা করেই চলেছে। আমার বিরুদ্ধে সংঘটিত আক্রমণে উদ্যত হয়েছে।
এই পোস্ট লক্ষ্য করুন।
সংগঠিত আক্রমণের সুফল দেখুন! এখানে আমাকে ভুল বুঝে অনেকেই নানাভাবে গালমন্দ করেই যাচ্ছে। এদের বেশিরভাগের সাথেই আমার দূরতম কোনও সম্পর্কই নেই ব্লগে।

ব্যাপারটা যারপরনাই দুঃখজনক। এরকম হীন নীচ কাজ যদি কখনও আমি করি, তাহলে ধরে নেবো আমি আমার পিতারই সন্তান নই।

এ ব্যাপারে আপনি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্লগার হিসেবে প্রতিমন্তব্যে আপনার মতামত জানালে বাধিত হবো। আপনার যদি আমার কোনওকিছু পরিহারযোগ্য মনে হয়, তাহলেও নিঃশঙ্কচিত্তে জানাতে পারেন। সংকীর্ণতা নিয়ে শিল্পসাহিত্য চর্চা করা যায় না। আমার বাহুদ্বয় সবসময় প্রসারিত শিখতে জানতে ও সংশোধিত হতে।

শ্রদ্ধা জানবেন। খুব নিরুপায় হয়ে আপনাকে বিরক্ত করলাম। কারণ আপনি ঘটনার সাক্ষী।

শুভেচ্ছান্তে...

(আগের মন্তব্যে তাড়াহুড়োয় কিছু ভুল আছে। ওটা ডিলিট করতে পারেন।)

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আগের মন্তব্যটি ডিলিট করে দিয়েছি।

আপনার আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। বিরক্ত হইনি। হওয়ার প্রশ্নও আসে না। এই মুক্ত মঞ্চে প্রত্যেকের যৌক্তিক কথা বলার অধিকার রয়েছে।

আপনাদের ভেতরে সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। এটা নিয়ে প্লিজ, দু'জনেই শান্ত হোন। একে অপরকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন।

আপনাকে এবং রাজীব নূরকে উদ্দেশ্য করে তার সর্বশেষ পোস্টে কিছু কথা বলেছি। রাজীব নূর আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। আপনিও। ব্লগে কেউ নেই, যাকে শত্রু বিবেচনা করি। তবে, দোষে-গুনে যেহেতু মানুষ। এখানে আবারও বলছি, দয়া করে দু'জনেই দু'জনের প্রতি রাগ-অনুরাগ ভুলে গিয়ে অাবার পূর্বের মত মিলে-মিশে থাকুন। সম্প্রীতি-সদ্ভাবে আগের মত ব্লগিং করুন।

সুখে থাকুন সারাক্ষন। সকলেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.