নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্লিজ, আমার ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন। আমি সংশোধনের চেষ্টা করব।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫০



সর্বশেষ গতকাল ২৪/০৩/২০১৮ ইং তারিখ আবার আমার ব্লগে ফ্লাডিং করা হয়। অশ্লীল ছবিযুক্ত অসংখ্য কমেন্টস দিয়ে ভরে দেয়া হয় আমার একেকটি পোস্ট। অত্যন্ত জঘন্য ভাষা ব্যবহার করে বানানো একটি আইডি (নিকটি উল্লেখ করছি না, শুধু ইউআরএলটি দিচ্ছি Click This Link) থেকে অব্যহতভাবে একের পর এক কমেন্টস আসতে থাকে।

যিনিই এই কাজগুলো করছেন, তার কাছে আমার বিনীত নিবেদন, সামহোয়্যার ইন ব্লগ একটি পাবলিক প্লেস। বিশ্বজুড়ে হাজারো মানুষের পদচারনা এই ওয়েবসাইটটিতে। এই সাইটে পরিবারের অনেকে পাশাপাশি থেকে প্রবেশ করেন। হঠাত কোনো অশ্লীল ছবির কারনে তাদের লজ্জিত হতে হয়। সুতরাং, দয়া করে অশ্লীল ছবি কিংবা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। প্লিজ, যৌক্তিক মন্তব্য করে আমার কোনো ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন। আমি সংশোধনের চেষ্টা করব। আপনার মনে কোনো কথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমা চাব। এবং সেটা এখনই চাচ্ছি। দয়া করে সম্মানিত সকল ব্লগার, ভদ্র পাঠকবৃন্দের মান-সম্মানের দিকটি বিবেচনায় রেখে অশ্লীল ছবিযুক্ত বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত হোন।

সম্মানিত ব্লগার ভাই-বোনদের নিকট থেকে করনীয় বিষয়ে সুপরামর্শ আশা করছি। মডারেশন প্যানেলের শ্রদ্ধাভাজনদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, দয়া করে আইডি বানানোর সাথে সাথে কমেন্টস একসেস পরিবর্তন করে পূর্বের নিয়মে ১ সপ্তাহ কিংবা আরও বেশি সময় পর্যবেক্ষনে রাখার ব্যবস্থা আবার ফিরিয়ে আনুন, যাতে আইডি খুলেই কেউ আজে বাজে কমেন্টস করে ব্লগে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে। আর এর ফলে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে আইডি বানানো হলে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে কোনো কমেন্টস করার পূর্বে তা মুছে ফেলারও অবকাশ পাবেন।

সকলের কল্যান হোক।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

ক্স বলেছেন: আপনার দাবি আমি মানতে পারছিনা। ব্লগের এখন দুঃসময়। এই সময়ে ব্লগে আইডি খুলে যদি কমেন্ট করা না যায়, তাহলে লাখ লাখ আইডি কেবল খোলাই হবে - কমেন্ট আর দেখবেন না। আর সামুর যা মতিগতি, ৭ দিনের কথা বলে ৭ মাসেও একবার উঁকি দিয়ে দেখবেনা কয়জন অপেক্ষা করে আছে। ফলাফল? ব্লগারের সংখ্যা কমে যাবে।

সামু যেটা করতে পারে, ছবি মডারেশনের উদ্যোগ নিতে পারে। কেউ ছবি আপ্লোড করলে ঝুলিয়ে রাখবে, মডারেশনের পর তা প্রদর্শন করবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল কথা বলেছেন। তবে, ছবি মডারেশনটা তো মনে হয় অতটা সহজ নয়। নিশ্চয়ই কঠিন একটি কাজ এটি। প্রতিটি ছবি ধরে ধরে দেখার জন্য আলাদা লোকবলের প্রয়োজন হবে। যার সাথে জড়িত আর্থিক হিসাব কিতাবও। আমার ইচ্ছে হয় না, আমি বলি, প্রিয় এই প্রাঙ্গনটি আর্থিক কোনো দন্ড নতুন করে ঘাড়ে নিয়ে নিক। এমনিতেই এরা কষ্ট-ক্লেশের ভেতর দিয়ে আমাদের নিয়ে তাদের অগ্রযাত্রা অব্যহত রেখেছেন। এতেই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

তবু, তাদের পক্ষে সম্ভব কোনো কার্যকর ব্যবস্থা অনুগ্রহ পূর্বক যদি গ্রহন করেন, সকলের জন্যই কল্যানের কারন হবে।

অনেক ভাল থাকুন।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কমেন্টস করার ভাষা খুজে পেলাম না ভাইয়া। এরা কি ভাইয়া? মানুষ নাকি অন্য কিছু? এদের তো পশুর সাথেও তুলনা করা যায়না এদের থেকে পশুও অনেক ভালো

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



বোন, এরা হয়তো ঠিকই মানুষ। আমরা মনে হয় মানুষ হতে পারিনি। আমরা তাদের আপনার আপন করে নিতে পারিনি। এ ব্যর্থতা আমার। আমাদের। বিশ্বজুড়ে বিপথগামী প্রতিটি মানবাত্মা দেখে আমার তাই মনে হয়। নিজের ব্যর্থতাকে প্রকট করে তুলে ধরে আমার নিকট। হৃদয়ে রক্তক্ষরন নিয়ে বিধ্বস্ত মানবতা দেখি। অসহায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। আর কল্যান কামনা করি তাদের জন্য। আগেও করেছি। এখনও করছি। আল্লাহ পাক তাদের কল্যান করুন।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

ক্স বলেছেন: কমেন্ট মডারেশনের দায়িত্ব আপনিই নিয়ে নিচ্ছেন না কেন? আজে বাজে কমেন্ট পেলে তা মুছে দেবেন এবং মন্তব্যকারীকে ব্লক করে দেবেন - তাহলেই তো হয়। কতক্ষণ আর লাগে? প্রতি ঘন্টায় একবার নিজের ব্লগে ভিজিট করে ২ মিনিট সময় এর পেছনে দেবেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



তা তো করেই দিয়েছি। ধন্যবাদ আবার এসে পরামর্শ দেয়ায়।

ভাল থাকুন অনেক।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

পলাশবাবা বলেছেন: ইডা কি মুক্তমনা দের কাজ ??

এডমিনরা এসব আইডি ব্লক করে না ??

সামুর কি কোন নীতিমালা নাই?

এসব আইডি সক্রিয় রাখার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন।

অনেক ভাল থাকুন ভাই।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

রাফা বলেছেন: আপনি কেনো কমপ্লেন করেননা সাথে সাথে! একটা নোট লিখে রাখুন।আর ইচ্ছে করলে কমেন্ট মডারেশন করে রাখুন।আপনি নিজেই দেখে এডমিট করতে পারবেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি দেখার পরপরই ফিডব্যাকে ইমেইল করে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। বাকিটা তাদের উপর। তারা ইচ্ছে করলে কিছু করবেন।

কমেন্ট মডারেশন না করলে তো ব্লগেই আসতে পারতাম না।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
আমি রাফা ভাইয়ের সাথে একমত। কমেন্ট মডারেশন করে রাখুন অথবা কমেন্ট বন্ধ করে রাখুন।

নকিব ভাই! আপনি আমাদের ব্লগের একটা রত্ন। গতকালের বিষয়টি আমার ভীষন খারাপ লেগেছে। এটা আমাদেরও অপমান। বিষয়টি নিয়ে মন একটু খারাপ ছিল, তাই এতক্ষণ ব্লগেই আসিনি। নিজেকেই কেমন অপরাধী, অপরাধী মনে হচ্ছে।

আমার মনে হয় এই কাজগুলো একজনই করছে। তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য, মডুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এই হীনতর কর্মকান্ড দর্শনে আপনাদের মত সজ্জনদের কাছে অপরাধবোধ অনুভূত হবে- এটাই স্বাভাবিক। আমার কোনো অযাচিত আচরনের কারনেই হয়তো আপনাদের ভুক্তভুগী হতে হল। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ভাই। আমি ছিলাম হতভম্ব, বিস্ময়াভিভুত, কিংকর্তব্যবিমুঢ়, হতাশ, অস্থির এবং চিন্তাযুক্ত। আমার বারবার মনে হচ্ছিল, ব্লগে আর বুঝি থাকা হবে না।

আন্তরিকতাপূর্ন মন্তব্যে আপ্লুত! ভাল থাকবেন ভাই।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আবারও সেই বিকৃতমনার বিকৃত কর্মকান্ড? ধিক্কার জানাবার ভাষা নেই।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধিক্কার জানাতে চাই না। তাদের জন্য প্রানভরা দোআ। তাদের আল্লাহ পাক হেদায়েতের আলোয় আলোকিত করুন।

মন্তব্যে আসায় অভিবাদন। ভাল থাকুন ভাই।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা ব্লগের শুরু থেকে চলে আসছে। এগুলো হারামীদের ভিতরগত কাজ। ঘাবড়ে যাবেন না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সাহস যুগিয়ে যাওয়ায় অভিনন্দন।

ভাল থাকুন ভাই।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

আল ইফরান বলেছেন: আগে সামুতে সুলেমানি ব্যান বলে একধরনের শাস্তির ব্যবস্থা ছিলো যাতে আইপিসহ ব্যান করা হত।
আশা করি সামু কতৃপক্ষ এই ধরনের চুড়ান্তমাত্রার ধৃস্টতার জন্য সুলেমানি ব্যানের সুব্যবস্থা করবেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



করলে খারাপ হত না মনে হয়।

অনেক শুভকামনা পাশে থাকায়।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

শায়মা বলেছেন: এই সব বিকৃত মনাদের প্রতি ধিক্কারের ভাষা নেই তবে মডারেশন যদি এতই উদাসীন থাকে যাকে বার বার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জাগিয়ে তুলতে হয় তবে আর কিছু বলার নেই।

ব্লগারদের দায়িত্ব ও প্রতিবাদ সবার আগে মানছি। ব্লক অপশন আছে কমেন্ট মডারেশন নিজের হাতেই মানছি তারপরও এই ধরনের ছবি ও নাম নিয়ে ব্লগ খুলতে গেলে কোনো বাঁধা নেই এবং সাথেসাথেই এই বিকৃতমনারা বিকৃত কমেন্ট করে যাচ্ছে তাতেও কোনো খবর নেই এটা মানা যায় না।


ব্লগে অন্তত একজন হলেও মডারেটর বা এডমিন সর্বদা উপস্থিত থাকা উচিৎ। যদিও এটা পাবলিক প্লেস এবং সম্পূর্ণ নিরখরচায় আমরা লিখছি তবুও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখাতে কর্তৃপক্ষের কিছু দায়িত্ব ও ভূমিকা আছে। নইলে কিছুই করার নেই। এক নিক যাবে আরেকটা আসবে।

প্রথমেই রুলস রেগুলেশনে কিছু অপশন না রাখলে আসলে এটা কখনও বন্ধ হবে না। :(

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



মহিয়সী বোন,
বরাবরের মতই অন্যায়ের প্রতিবাদে আপনার সাহসী ভূমিকায় মুগ্ধতা!

আপনার সুচিন্তিত পরামর্শে সহমত। আশা করি, কর্তৃপক্ষ কথাগুলো সুবিবেচনায় রাখবেন।

অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ব্লগের নাম দেখেই বুঝা যায়,এরা একবার একজনকে নিয়ে পড়ে।আগেও দেখেছি,এখনও দেখছি।
এখন মনে হচ্ছে,লিংক এ ক্লীক না করলে ভালো হতো।
বিকৃত মস্তিষ্কের তাদের হুশ নেই,ব্লগে অনেকেই থাকে।ছোট বড় অনেকেই

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক তাদের হেদায়েত দান করুন।

মন্তব্যে অভিনন্দন।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কমেন্ট মডারেশন ব্যবহার করুন ।ব্লগের অবস্থা দিন দিন কোনদিকে যাচ্ছে ? :(

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



করেছি।

পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

জহির আসাদ বলেছেন: ভাই এসব নিয়ে অনেক পানি ঘোলা করা হয়েছে তবু থেমে নেই এই শিক্ষিত শুয়রের দল (আমার গ্রামের এক নিরিক্ষর দোকানীর বলা গালী)। এরা ভার্চুয়াল জগটাকে মনে করে মামা বাড়ীর ফরাজ। আমি মনে করি এদেরকে চিরতরে ব্লক করে দেয়া উচিৎ। এদের কোন রকম কোন লিংক যেন ওয়েব গ্রহণ না করে তাঁর প্রতি বিশ্ব আইটি ব্যক্তিত্বদের প্রতি অনুরোধ করি। নকিব ভাই মন খারাপ করবেননা আমি নতুন এবং ছোট্ট একটা মানুষ কিন্তু আপনার বেশ কয়টা লেখা পরেছি খুব সুন্দর। এসব বাজে লোক থাকবেই আমরাও এদের বাঁধা পেরিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ্‌।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি নতুন তাতে কি? নতুন পুরাতন বলে তফাত নেই। এখানে আমরা একটি পরিবার। স্বাচ্ছন্দে ব্লগিং চালিয়ে যান। পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।

অনেক সুন্দর এবং আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

সুমন কর বলেছেন: ব্লগার শায়মা বলেছে: ব্লগে অন্তত একজন হলেও মডারেটর বা এডমিন সর্বদা উপস্থিত থাকা উচিৎ। যদিও এটা পাবলিক প্লেস এবং সম্পূর্ণ নিরখরচায় আমরা লিখছি তবুও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখাতে কর্তৃপক্ষের কিছু দায়িত্ব ও ভূমিকা আছে। নইলে কিছুই করার নেই। এক নিক যাবে আরেকটা আসবে।

আসলেই এভাবে ব্লগ চালনা করাটা কষ্টকর। আজকাল ব্লগ নিয়ে সবাই চিন্তিত। সর্বদা একজন এডমিন থাকাটা এখন সময়ের দাবী। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে কখনো চিন্তিত নয়। কবে উনার আসবেন, কখন উনাদের চিন্তা হবে সেটা কেউ জানে না !! আগে মোটামুটি সাথে সাথে একটা রি-এ্যাকশন পাওয়া যেত, এখন সেটা চিন্তাও করা যায় না !!! ব্লগ কর্তৃপক্ষের অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া উপায় নেই।

আচ্ছা, আপনার সাথে এমন হচ্ছে কেন?

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, আমার সাথে কেন এমন আচরন করা হচ্ছে তা আমারও বোধগম্য নয়।

আপনার সুচিন্তিত মতামতে কৃতজ্ঞতা। আশা রাখি, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাদের যথোপযুক্ত মনোসংযোগ ঘটাবেন। কোনো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহন করবেন।

ভাল থাকবেন।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকে গিয়ে খুবই লজ্জা পেলাম। এতটা আসলেই আশা করি নাই। প্রোপিক আর নাম এর ব্যাপারে সামুর নজর দেয়ার সময় এসেছে!!!
কর্তৃপক্ষের ঘুম কি ভাংবে?

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন। আপনাকে লজ্জা দেয়া উদ্দেশ্য ছিল না। ক্ষমাপ্রার্থী ভাই। আপনার মত আমাদেরও একই আশা, কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান আসুক।

শুভকামনা।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: যে এই কাজ করে সে বোধহয় বেকার। তার দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



হয়তোবা তাই হবে। বেকারত্বের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে এমনটা করছেন কেউ। আমাদেরও কামনা, তার দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক।

ভাল থাকুন ভাই।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

শায়মা বলেছেন: ১৬. ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪ ০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: যে এই কাজ করে সে বোধহয় বেকার। তার দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক।


অবশ্যই হ্যাঁ!


কথাটা শুনতে হাস্যকর মনে হলেও আমারও এমনটা ধারণা!


বেকার এবং হতাশাগ্রস্থ। এমন মানুষেরাই এইভাবে আচরণ করে।


মতবাদে ভিন্নতা থাকলে তার তর্ক করার কিছু থাকলে সুস্থ্যভাবে চিন্তা করে তর্ক চালিয়ে যেতে পারতো। তা না করে সে এমন এক পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যা তাকে নিজেকেও নিজের কাছে ছোট করছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদেরও প্রত্যাশা, বেকারত্ব থেকে থাকলে তার কর্মসংস্থান হোক।

আর আপনার 'মতবাদে ভিন্নতা থাকলে তার তর্ক করার কিছু থাকলে সুস্থ্যভাবে চিন্তা করে তর্ক চালিয়ে যেতে পারতো।' -কথাটির সাথে সহমত। স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার যেহেতু রয়েছে, সুতরাং নিন্দিত পথে সকলকে বিচলিত করে তোলার এই অপপ্রয়াস কেন?

ভাল থাকুন অহর্নিশ।

১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: ভুতের মুখে রাম নাম!!! আপনার ভুলতো আমি এর আগের ব্লগে ধরিয়ে দিয়েছিলাম, বার্মার জাতীগত নিধনকে ধর্মীয় নিধন বলে প্রচার চালানোর সময়। সংশোধন হওয়াতো দুরে থাক মিথ্যা ত্যানা পেচানো শুরু করেছিলেন সেখান। আপনার মুখে সংশোধন হওয়ার কথা মানায় না। আপনি কোন দিনই সংশোধন হবেন না

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ওহ! তাহলে তো কথার পিঠে কথা বলতে হয়! ভুত কে? আমি? আপনি কি তাহলে? আপনার জাতিগোষ্ঠীর লোকেরাই বুঝি তাহলে এগুলো করে বেড়ায় ব্লগে!

দয়া করে আপনি আমার কোনো পোস্টে বিরক্তি উগ্রে দেয়ার অপচেষ্টা না করলে খুশি হব। বরাবরই দেখেছি আপনি ভিন্ন চিন্তার মানুষ। মহাগ্রন্থ আল কুরআন এবং হাদিসের মনগড়া যেসব ব্যাখ্যা আপনি অাপনার মত করে উপস্থাপন করে থাকেন, তা দেখে আমাদের কাছে ডাউট লাগে। ইসলামে মূর্তি জায়েজের ফতোয়া এই ব্লগে কে দিয়েছে? মহান সাহাবীগনের ওপেন সমালোচনা এখানে কে করেছে? ইসলামে নারী নেতৃত্ব জায়েজ করার পক্ষপাতী কারা?

যাক, অনেক বিষয়ে আপনার মতের সাথে আমাদের দ্বিমত স্পষ্ট। সুতরাং, ভাই আপনার হাতে পায়ে পড়ি, আপনি আপনার মত করে আপনার মতবাদ প্রচার করতে থাকুন। কেউ তো বাধা দিচ্ছে না। আমি তো আপনাকে মুখ বন্ধ করে থাকতে বলছি না। কন্ঠ চেপেও ধরতে যাচ্ছি না। যেমন খুশি আপনি আপনার মত এবং মতবাদ প্রচার-প্রকাশ করতে পারেন। শুধু অনুগ্রহ করে আমাদের বিরক্ত করবেন না। কোনো ফালতু ক্যাচাল সৃষ্টির পায়তারা আমার পোস্টে এসে দয়া করে না করলেই হল। আমি আপনার কোনো পোস্টে ভুলেও যেতে চাই না।

আপনি ভাল থাকুন ভাই।

১৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২০

ঘাওড়া মজিদ বলেছেন: আগে পরের ঘটনাগুলো দেখে এখন এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ব্লগ এডমিনদের কেউ এই দুষ্কর্মের সাথে জড়িত। এসবের তুলনায় সামান্য অনেক কমেন্ট এরা ত্বরিত পদক্ষেপে মুছে দেয়। নিক ব্যান করে। কিন্তু এই কুত্তার জাত নিক বহাল তবিয়তে থাকে। কাউকে টার্গেট করলে তার ব্লগে অশ্লীলতা, গুয়ের ছবি দিয়ে তাকে ব্লগ ছাড়তে বাধ্য করে। আর কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব নামের এক ব্লগার যখনই পোস্ট দিত, তখনই গু দিয়ে ভরিয়ে রাখত এক কুত্তার বাচ্চা। এরকম মাসের পর মাস চলেছে। বাধ্য হয়ে সেই ইঞ্জিনিয়ার ব্লগে আসা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু সামু কর্তৃপক্ষের প্রশ্রয়ে সেই শুয়োরের বাচ্চার নিক এখনো বহাল আছে। গু ওয়ালা কমেন্টও অক্ষত আছে। দেখতে পারেন- মাধবের জন্য গুয়ের থাল

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন।

তবে, 'ব্লগ এডমিনদের কেউ এই জাতীয় নিকৃষ্ট কাজের সাথে জড়িত' এটা আমি বিশ্বাস করতে চাই না। ইতিপূর্বে ব্লগ সংরক্ষন এবং পরিচালনায় সম্মানিত এডমিনদের থেকে আন্তরিকতাপূর্ন যে আচরন বিভিন্ন সময়ে লক্ষ্য করেছি, সেটাই তার প্রমান। বাস্তবতা ভিন্ন জিনিষ। এতবড় একটি পাবলিক প্লেসকে পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়ে তাদের যেতে হয়। এখানে সরকারি বেসরকারি কোনো অনুদান আসে না। ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষনে তাদের হয়তো কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। আশা করি, তারা অতি দ্রুত ব্লগ পরিবেশ সংরক্ষনে আরও বেশি মনযোগী হতে সক্ষম হবেন। আমরা তাদের প্রতি শুভকামনা জানাই।

ভাই ঘাওড়া মজিদ,
আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি পূর্বেই। কমেন্ট করার ক্ষেত্রে দয়া করে যদি আরও শালীন শব্দ ব্যবহারে সচেষ্ট হতেন, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আরও বেশি সুযোগ সকলে হয়তো পেতে পারতো।

আপনি ভাল থাকুন।

২০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

কালীদাস বলেছেন: কমেন্ট মডারেশন চালু করুন ইমিডিয়েটলি।

তবে আবার বলছি, নিকের টাইপ পরিষ্কার ইন্ডিকেট করে পারসোনাল কনফ্লিক্ট। কাউকে পারসোনালি এটাক করেছিলেন কোন টপিকে? সেরকম কাউকে সাসপেক্ট করলে সেই ব্যক্তিকে ওপেন ব্লগ-পোস্ট দিয়ে ঠান্ডা মাথায় নিজেকে ডিফেন্ড করুন। সেটা এই পোস্টেও হতে পারে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



পরামর্শের জন্য অভিনন্দন কালিদাস ভাই। কমেন্ট মডারেশন অলরেডি চালু।

একজনের সাথে সামান্য দ্বিমত হয়েছিল কয়েক দিন পূর্বে। পরবর্তীতে তার সাথে আপোষমূলক মন্তব্য করে বিষয়টির পরিসমাপ্তি টানার চেষ্টাও করেছি। কিন্তু, কেন যে এসব হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। আপনি কি তার নামোল্লেখ করে তাকে এই পোস্টে স্মরন করতে বলছেন? আসলে বিষয়টি যদি অন্য কিছু হয়, তিনি যদি এগুলো না করিয়ে থাকেন, তাহলে কি তাকে হেয় করা হবে না? তার সম্মান ক্ষুন্ন হবে কি না? এরকম কাজের পেছনে তিনি আছেন, এই ধরনের সন্দেহ করার মত অতটা সিরিয়াস কিছু তো তার সাথে ঘটেই নি।

ভাল থাকবেন।

২১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

কালীদাস বলেছেন: কারও নিক সরাসরি উল্লেখ না করাই ভাল! ভুল লোকের উপরেও গেস করা হতে পারে হয়ত :(

কেবল দ্বিমত পোষণের জন্য এই টাইপের কনফ্লিক্ট হওয়ার কথা না, কখনই হতে দেখিনি, কেবল দুই/তিন জন স্বঘোষিত মহাজ্ঞানী (মহাইডিয়ট) ছাড়া। আপনি পারসোনালি কাউকে ওপেন ব্লগে হেয় করেছিলেন কিনা ভাবছিলাম। বা, কেউ আপনার কোন কমেন্টকে পারসোনালি নিয়ে এরকম করছে কিনা ভাবছি.... হাজার হোক, সবার ধৈর্য্য ক্ষমতা একরকম না :|

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। সন্দেহ বশত: কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা অনুচিত। পর্দার অন্তরালের খবর যেহেতু অজানা, তাই যিনিই এই কাজ করেছেন তার জন্য কল্যান কামনা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার আছে বলে দেখি না।

পুনরায়, কষ্ট করে মন্তব্য-পরামর্শে এগিয়ে আসায় কৃতজ্ঞতা আবারও।

পারসোনালি কাউকে হেয় করার প্রশ্ন আসে না। যার সাথে দ্বিমত হয়েছিল, সেখানটাতেও তাকে হেয় করা উদ্দেশ্য ছিল না। তার উপস্থাপিত ইসলামের ইতিহাসের বিকৃত কিছু তথ্য নিয়ে কথা হয়েছিল তার সাথে। তথ্য বিভ্রাটের ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি হঠাত করেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অযাচিতভাবে আমাকে গালিগালাজ করেন। আমার কমেন্ট মুছে দেন তার সেই পোস্ট থেকে। একপর্যায়ে আমাকে তার পোস্টে কমেন্ট ব্যান করে দেন।

এরপরেও আমি তাকে অন্য একজনের পোস্টে সবকিছু ভুলে যেতে এবং স্বাভাবিক হয়ে যেতে অনুরোধ করেছি।

আপনি যেহেতু জানতে চেয়েছেন, এ বিষয়ে আমার একটি পোস্ট রয়েছে। নিচের লিঙ্কে দয়া করে ঘুরে আসতে পারেন-

'তোমাকে আর কথা বলতে দেয়া হবে না'!

আবারও ধন্যবাদ।

২২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

জাহিদ অনিক বলেছেন:




ব্লগ আর্মিদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত; সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল কথা বলেছেন ভাই।

অনেক শুভকামনা জানবেন।

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সেই ব্যান খাওয়া জা..........আপনার পিছু লেগেছে।

ধৈর্য ধরুণ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধৈর্য্য তো ধরেই আছি। সুপরামর্শে কৃতজ্ঞতা সরকার ভাই।

ভাল থাকুন অনেক।

২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: সেই পুরান ত্যান পেচানোতো এখন চলতেছে , কি করে সংশোধন করবেন নিজেকে ????

আপনি যা যা দাবি করছেন সেগুলোর ভুল অনেকবার ধরে দেওয়ার পরও কোন সংশোধন হতে দেখি না , তাহোলে কি কারনে সংশোধন হওয়ার ঘোষনা করছেন, আপনি দাবি করেছেন
.
১) বার্মার সরকারের রহিঙ্গা নিধন ধর্মগত কারনে ---- সেটা যে ভুল এবং মিথ্যাচার যার প্রমাণ দেখানোর পর ও সংশোধন হন নাই এবং আপনার এর আগের ব্লগেই তার প্রমাণ আছে ।

২) আপনি দাবি করেন নারী নেতৃত্ব হারাম ---- সেটা যে ভুল সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার পরেও চেন্জ হন নাই , যে হাদিসের উপর ভিত্তি করে এই ফোতয়া , সেই হাদিসটি একটা মিথ্যা হাদিস এবং হাদিস বর্ণনাকারি যে একজন প্রমাণীত মিথ্যাবাদী ( আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য যার জেল হয়েছিল ) , তার পরে ও দাবি করেন নারী নেতৃত্ব হারাম । নারী নেতৃত্ব যদি হারাম হয় তাহোলে রসুল (সা: ) কেন বিবি খাদিজা (রা: ) অধিনে চাকুরী করেছিলেন --- এই প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেন নি । যদি নারী নেতৃত্ব হারাম হয় , তাহোলে কেন বিবি আয়েশা (রা: ) জামাল যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন .. এর কোন জবাব আপনার কাছে নেই , সংশোধন হওয়াতো দুরের কথা , এখন দাবি করেন নারী নেতৃত্ব হারাম ।

৩) আপনি দাবি করেন ইসলাম ধর্মে নাকি ভাস্কর্য হারাম ( যেটাকে পুজা করা হয় না ) ----- তখন আমি জানতে চাইলাম সুরা সাবার ১২ এবং ১৩ নং আয়াতে যে বর্ণনা আছে নবী হযরত সোলায়মান (আ: ) যে তার ইচ্ছায় নগর জুড়ে ভাস্কর্য নির্মান করেছিলেন --- সেটা কি করে সম্ভব যদি পুজাবিহীন ভাস্কর্য হারাম হয় । মুর্তি পুজা করা বা কোন কিছুকে পুজা করা হারাম কিন্তু পুজা না করা হলে কি কারনে হারাম হবে তার কোন উত্তর দিতে পারেন । যদি পুজা বিহীণ মুর্তি হারাম হলে , পুজা বিহীণ সুর্য, চন্দ্র, আগুন, গাছ, গরু, পুরুষের যৌনাঙ্গ সব কিছুই তো হারাম হওয়ার কথা কারনে ঐ সমস্ত এনটিটিকেও মানুষ পুজা করে ....
কই আপনারে তো কোন সংশোধন হতে দেখলাম না , খালি ত্যানা পেচানো ছাড়া । আপনি ঘোষনা দিয়েছেন নিজের ভুল নাকি সংশোধন করবেন যেটা শুনে ভুতের মুখে রাম নামের কথা মনে হচ্ছে ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত! এই মন্তব্যের উত্তর দেয়া এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সময় সুযোগ পেলে দেয়ার ইচ্ছে থাকলো।

একটি প্রশ্ন বারবার মনের কোনে উঁকি দেয়ায় প্রশ্নটি না করে পারছি না। আপনার বর্নিত বিষয়গুলো (পয়েন্ট ১, ২ এবং ৩) যদি আমার ভুল হয়ে থাকে, তর্কের খাতিরে ধরেই নিচ্ছি, এগুলো আমার ভুল, তাহলে আমার এই ভুলের মাশুল বাবদ অশ্লীল ছবিযুক্ত কমেন্টস দিয়ে আমার পোস্টগুলো ভরিয়ে দেয়া হোক- আপনি কি সেটাই কামনা করবেন?

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



১) বার্মার সরকারের রহিঙ্গা নিধন ধর্মগত কারনে ---- সেটা যে ভুল এবং মিথ্যাচার যার প্রমাণ দেখানোর পর ও সংশোধন হন নাই এবং আপনার এর আগের ব্লগেই তার প্রমাণ আছে ।

-----আপনার কাছ থেকেই বিনীতভাবে জানতে চাই, রোহিঙ্গাগন মুসলিম না হয়ে যদি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হতেন তাদের কি আজকের এই একই পরিনতি হত? অন্তরে যা আসে উত্তরে তাই লিখবেন, আশা করি। চালাকির আশ্রয় নিবেন না।

২) আপনি দাবি করেন নারী নেতৃত্ব হারাম ---- সেটা যে ভুল সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার পরেও চেন্জ হন নাই , যে হাদিসের উপর ভিত্তি করে এই ফোতয়া , সেই হাদিসটি একটা মিথ্যা হাদিস এবং হাদিস বর্ণনাকারি যে একজন প্রমাণীত মিথ্যাবাদী ( আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য যার জেল হয়েছিল ) , তার পরে ও দাবি করেন নারী নেতৃত্ব হারাম । নারী নেতৃত্ব যদি হারাম হয় তাহোলে রসুল (সা: ) কেন বিবি খাদিজা (রা: ) অধিনে চাকুরী করেছিলেন --- এই প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেন নি । যদি নারী নেতৃত্ব হারাম হয় , তাহোলে কেন বিবি আয়েশা (রা: ) জামাল যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন .. এর কোন জবাব আপনার কাছে নেই , সংশোধন হওয়াতো দুরের কথা , এখন দাবি করেন নারী নেতৃত্ব হারাম ।

----আপনি উল্লেখ করেছেন, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার অধীনে চাকরি করেছেন, সুতরাং, নারী নেতৃত্ব জায়েজ হয়ে গেছে। আপনার সম্ভবত: জানা থাকবে, এটা ছিল ইসলাম পূর্বকালের ঘটনা। বুকে সাহস থাকলে, রাসূলের জামানায় একটি নারী নেতৃত্ব ছিল এরকম একটি ঘটনা বলুন। আপনি পারবেন না, জানি। তবুও আপনার সত্য স্বীকার করে নিতে এত কুন্ঠা কেন?

দ্বিতীয়ত উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার জামাল যুদ্ধের নেতৃত্বকে দলিল হিসেবে নিয়ে এসেছেন। সেটা ছিল একটা ক্রিটিক্যাল মোমেন্ট। অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে মুসলিম নারীগন রাসূলের যু্গেও গিয়েছেন। তাতে নারী নেতৃত্ব জায়েজ হয়ে যায় নি। সুতরাং, এসব হাস্যকর কথা বলে বেহুদা হাসির খোরাক কেন যে যোগান, তাই বুঝি না। এ বিষয়ে আপনাকে আগেও অনেক ব্যাখ্যা শুনিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি দু'পয়সার। আপনি যেই সেই রয়ে গেছেন।

৩) আপনি দাবি করেন ইসলাম ধর্মে নাকি ভাস্কর্য হারাম ( যেটাকে পুজা করা হয় না ) ----- তখন আমি জানতে চাইলাম সুরা সাবার ১২ এবং ১৩ নং আয়াতে যে বর্ণনা আছে নবী হযরত সোলায়মান (আ: ) যে তার ইচ্ছায় নগর জুড়ে ভাস্কর্য নির্মান করেছিলেন --- সেটা কি করে সম্ভব যদি পুজাবিহীন ভাস্কর্য হারাম হয় । মুর্তি পুজা করা বা কোন কিছুকে পুজা করা হারাম কিন্তু পুজা না করা হলে কি কারনে হারাম হবে তার কোন উত্তর দিতে পারেন । যদি পুজা বিহীণ মুর্তি হারাম হলে , পুজা বিহীণ সুর্য, চন্দ্র, আগুন, গাছ, গরু, পুরুষের যৌনাঙ্গ সব কিছুই তো হারাম হওয়ার কথা কারনে ঐ সমস্ত এনটিটিকেও মানুষ পুজা করে ....

---- মূর্তি-ভাস্কর্য নিয়ে নতুন করে আর কথা বলতে ইচ্ছে হয় না। আপনার সাথে অনেক কথা ইতিপূর্বে হয়েছে। মদের নাম পাল্টে বোতলের গায়ে যে লেবেলই লাগানো হোক, মদ তো মদই। সুতরাং, মূর্তিকে ভাস্কর্য বানান আর অন্য যে নামেই আখ্যায়িত করুন না কেন, মূর্তি মূর্তিই থেকে যাবে। কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা ছেড়ে দিলেই আপনি মূর্তির সপক্ষে দাড়ানো থেকে পরিত্রান পাবেন। দয়া করে তাই করুন। এতেই মঙ্গল।

ভাল থাকুন।

২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন শ্রদ্ধেয়। ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিবাদন আপনাকে। পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভাল থাকুন নয়ন ভাই।

২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

আপনার সাথে বেশ কবারই ঘটল বিষয়টা। সবার পরামর্শ মতো মডারেশনে আপাতত সজাগ থাকুন।
কর্তৃপক্ষ আশা করি বিষয়টা নজরে রাখবেন।



২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:




গতকাল এই আইডি থেকে আবার ফ্লাডিং করা হয়। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



কর্তৃপক্ষ কি এসব দেখছেন না? ব্লগ যেন এখন নাস্তানাবুদ ফিলিস্তিন! বিচার চাইতে যে পোস্টের অবতারনা, সেখানেই নেমে আসে অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো রাত। জঘন্য ফ্লাডিং। এ যেন শববাহী মিছিলের ওপর নির্বিচার ব্রাশফায়ার!

আল্লাহ পাক, আপনি দেখছেন, এই বেআদবির পরিনাম আপনি সকলকে দেখিয়ে দিন। দুরাচারদের নিকৃষ্ট যে হাত দিয়ে জঘন্য এই বেআদবি করে যাচ্ছে সে হাতকে হয় ভাল কাজের জন্য নির্বাচন করুন, নয়তো চির দিনের জন্য অচল-অবশ-স্থির করে দিন।

২৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

নতুন বলেছেন: অবাক লাগে ব্লগে মতের অমিল থেকে কেউ এই রকমের কাজ কিভাবে করতে পারে?

এরা মনের মাঝে এতো ঘৃনা নিয়ে বেচে আছে কিভাবে?

এই রকমের আইডিকে ব্লক করুন.... মন্তব্য মুঝে ফেলুন.... এরা ঠান্ডা হয়ে যাবে... জাস্ট ইগরন করুন...

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এরা আমাকে বাজাতে চায়। ব্লক করেছি। মন্তব্য ডিলিট করছি। দেখি কোথাকার পানি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থিতু হয়।

পাশে দাঁড়ালেন এবং পরামর্শ প্রদান করলেন বলে কৃতজ্ঞতা।

২৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিকেলে লগইন করে আপনার পোষ্টটিতে মন্তব্য করব, নিচে নামতে এগুলো দেখে সামনে আগাইনি, ভাবছি ঢিলেট করলে পরে আসবো, এখনও চোখ বন্ধ করে একদম নিচে এসে মন্তব্য করলাম শুধু বলব এগুলো আসলে মানুষের বাচ্চা না।

আপনি ধৈর্য্য হারা হবেন না, এত কিছুর পরও এই ফ্ল্যাটপর্মকে অনেক ভালোবাসি, ভালোবাসি আপনার মত শ্রদ্ধাভাজনলোকদের।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি গতকাল বিকেলের পরে আর পিসিতে বসতে পারিনি। দু:খিত, আপনাদের কষ্টের কারন হওয়ায়। হয়তো আমাকে এখানে থাকতে দেয়ার পক্ষপাতী কেউ কেউ নন।

আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কার পরিনতি কী দাঁড়ায়। সত্যের পক্ষে অবিচল থেকেই যাব, ইনশাআল্লাহ।

সাহস যোগানোয় কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


যারা ব্লগে ফ্লাডিং করে অন্যের মতামত দমিয়ে দিতে চায় তারা নরাধম! ব্লক করে মন্তব্য ডিলিট দিয়ে দিন!

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্লক করেছি। মন্তব্যগুলো ডিলিট করছি।

দোআ করবেন। যেন ধৈর্য্যের পরিক্ষায় উত্তীর্ন হতে পারি। আপনাদের মত বরেন্যদের পাশে পেলে হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে। সাহসের বাহনে সওয়ার হওয়ার আশা জাগে।

অনেক ভাল থাকবেন ভাই।

৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ব্লগ কি কারোও নিজের সম্পত্তি ,নিজের পছন্দ হলোনা বলে অন্য কে জোর করে বের করবে ।
ওই নিক ব্লক করছেন না কেন?
মডারেটর থেকে লাভ কি । আশ্চর্য কেউ কিছু করছে না ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্লক করেছি। দোআ করবেন। অনাকাঙ্খিত এই পরিস্থিতি থেকে প্রিয় এই প্রাঙ্গনটিকে মুক্ত রাখার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ যাতে গ্রহন করতে সক্ষম হন।

শুভকামনা জানবেন।

৩১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

কেমিক্যাল বাবু বলেছেন: ভাই আপনার আইডির চল্লিশার দাওয়াত পাইলাম না!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



দাওয়াত ছাড়াই চল্লিশা সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম! কিন্তু পারলাম কই? বিনা দাওয়াতেই তো এসে হাজির হলেন!!!

আন্তরিকতায় মুগ্ধতা। অনেক ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার।

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০

আরইউ বলেছেন: আপনার সমস্যা বুঝতে পারছি। আমি দুঃখিত আপনি এমন একটা বাজে বিব্রতকর পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে যাচ্চেন। এটার একটা বিকল্প সহজ সমাধান হলো আপনার কমেন্ট মডারেটেড করে রাখা। যে যে কমেন্ট আপনি চাইবেন সেটা সেটা প্রকাশ করবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



কমেন্ট মডারেশন তো করি। কিন্তু নতুন নিক বানিয়ে রাতের আঁধারে যখন চোরেরা এসে অপকর্মের মহড়া দেয়, তখন আর কি করার থাকে?

আচ্ছা, যে কমেন্ট আমি চাব সেটা সেটা প্রকাশ করা এবং বাকিগুলো ডিলিট করা কিভাবে সম্ভব?

পরামর্শটি আমার হয়তো কাজে দিবে। প্লিজ, যদি আরেকটু ক্লিয়ার করতেন।

৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০

ঘাওড়া মজিদ বলেছেন: আমার সন্দেহের তীর জাহাঙ্গীর কবির নয়ন নামক আইডির দিকে। এই লোক এমনিতেই সব পোস্টে এ জাতীয় ছবি দিয়ে ফ্লাডিং করে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার সঠিক জানা নেই। অকারনে কারও প্রতি সন্দেহ করতে চাই না। তবে, যিনি এই কাজগুলো করছেন, তার সুপথ প্রাপ্তি কামনা করছি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এটা খুবই লজ্জাজনক বিষয়! মানুষ যে কেন এমন করে!?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



লজ্জা পেয়েই ব্লগে থাকার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলি। এমন নোংড়ামো দেখার চেয়ে মরে যেতে পারলে বাঁচি অবস্থা।

দোআ চাই ভাই। আমার এবং ফ্লাডিংয়ে লিপ্তদের হেদায়েতের জন্য। আমার হেদায়েতের জন্য একটু বেশি দোআ দরকার মনে হয়। নষ্ট হয়ে যাচ্ছি মনে হয় দিনে দিনে। তা না হলে কেন এসবের মুখোমুখি হতে হবে?

আল্লাহ পাক, আপনি ক্ষমা করুন। আপনি রহম করুন। আপনি মাফ করুন।

৩৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: ছিঃ এরকম নাম আর প্রফাইল ছবি যুক্ত আইডি কেমনে এপ্রুভ হয় বুঝে আসে না। সামুর দূর্দিন চলছে তাই বলে এতো টা আশা করিনি। মনে আছে ৩ বছর আগে যখন সামুতে প্রবেশ করেছিলাম আইডি এপ্রুভ পেতে সময় লেগেছিল ৩ মাস আর এরা দু'ঘন্টায় আইডি এপ্রুভ পায়। সো শেম...

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সহমর্মিতায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকার দোআ।

আশা করি, ব্লগের নিরাপত্তা রক্ষায় সামু আরও সচেতন হবে।

৩৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পর্ণ ফ্লাডিং করাটা বিকৃত মস্তিষ্কের লক্ষণ ছাড়া আর কিছু না। X((

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক তাই।

এরা যদি ভাল হয়ে যেত!

৩৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: হায় হায় আপনি সংশোধন হবেন কি করে সেটা উপরের ওয়ালাই শুধু জানেন ----
- ১)আপনি উল্লেখ করেছেন, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার অধীনে চাকরি করেছেন, সুতরাং, নারী নেতৃত্ব জায়েজ হয়ে গেছে। আপনার সম্ভবত: জানা থাকবে, এটা ছিল ইসলাম পূর্বকালের ঘটনা
ইসলাম পরবর্তী কালে ও ঐ ব্যবসার মালিকিনী ছিলেন বিবি খাদিজা (রা: ) এবং রসুল (সা: ) ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড ঐ ব্যবসার ( বিবাহের পর )। সুতরাং ইসলাম পুর্ব এবং পর দুই যুগেই তিনি বিবি খাদিজা (রা: ) ব্যবসার দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন ।

২) দ্বিতীয়ত উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার জামাল যুদ্ধের নেতৃত্বকে দলিল হিসেবে নিয়ে এসেছেন। সেটা ছিল একটা ক্রিটিক্যাল মোমেন্ট। অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে মুসলিম নারীগন রাসূলের যু্গেও গিয়েছেন। তাতে নারী নেতৃত্ব জায়েজ হয়ে যায় নি।

বলুন তো সেই যুদ্ধের সময় বেশি ভাগ বা ৯৭% সাহাবারাই জীবিত ছিলেন কিনা ? মনে করুন এই সাহাবাদের অর্ধেক বিবি আয়েশা (রা: ) পক্ষে ছিলেন এবং বাকি অর্ধেক হযরত আলী (রা: ) পক্ষে ছিলেন । যদি নারী নেতৃত্ব নাজায়েজ হোত তাহোলে কি বিবি আয়েশা (রা: ) নেতৃত্ব নিতেন এবং যদি তিনি এই ধরনের নির্দেশ লংঘন করতেন তাহোলে তার পক্ষে কি কোন সাহাবারাই থাকতো ?? বিবি আয়েশা (রা: ) পক্ষে কি রসুল (সা: ) নির্দেশ অমান্য করে নেতৃত্ব গ্রহন করা সম্ভব ছিল ??? যদি তিনি নির্দেশ অমান্য করে থাকেন ( নাউযুবিল্লাহ ) তাহোলে হযরত আলী (রা: ) কেন এই ফতুয়া নিয়ে এসে তার পক্ষের সাহাবাদের শান্ত করলেন না এবং এতে ব্যপক রক্তপাত এড়ানো যেত । বলুন তো হযরত আলী (রা: ) কেন এই ফতুয়া ব্যবহার করলেন না ? নারী নেতৃত্ব নাজায়েজ এ ধরনে কোন কথা কেন উভয় পক্ষের কয়েক হাজার সাহাবারা কেউ জানতেন না ???? এমন একটা ভাইটাল বিষয় হাজার হাজার সাহাবারা কেউ জানতেন না ???
এই সব সাহাবারা সবাই ছিলে রসুল (সা: ) এর কাছের মানুষ এবং খুব কাছে থেকে তারা তাকে দেখেছেন বহু বৎসর ধরে ।

আপনি কি জীবণে কোন দিন নারী নেতৃত্বের ব্যপারে যে হাদিস খানি প্রচলিত সেটা কোন দিন পড়ে দেখছেন,কি লিখা আছে সেখানে ( যদিও সেটা মিথ্যা প্রমাণীত ) ------ সেই হাদিসের টেক্সট হোল এ রকম -- কখনও উন্নতি করিবে না সেই জাতি যে জাতি তাহাদের নেতৃত্ব অর্পণ করে নারীর উপরে” (সহি বোখারীর ইংরেজী অনুবাদ, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নম্বর ৭০৯)।
-- এখানে নারী নেত্বত্বকে নাজায়েজ কোথায় বলা হয়েছে ? যেটা বলছে সেই জাতি উন্নতির মানদন্ডে ১০০ তে ১০০ পাইবে না তার মানি কি নারী নেতৃত্ব হারাম ???? যদি ও এটা প্রমাণীত মিথ্যা হাদিস ।

৩)মদের নাম পাল্টে বোতলের গায়ে যে লেবেলই লাগানো হোক, মদ তো মদই। সুতরাং, মূর্তিকে ভাস্কর্য বানান আর অন্য যে নামেই আখ্যায়িত করুন না কেন, মূর্তি মূর্তিই থেকে যাবে।

মদকে এলকোহল মুক্ত করে ফেলল্লে সেটা আর হারাম থাকেন , পশ্চিমা দেশে যে হালাল মদ পাওয়া যায় সেটা বোধ হয় জানেন না । বিশেষ কায়দায় মদকে এলকোহল শূণ্য করা হয় ,সেই সাথে কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করে সাধ গন্ধটা ধরে রাখা হয় । ১০০ বোতল খেলেও কোন দিন মাতাল হবেন না এবং ওটা কোক সেভেন আপের মতই সেভ ড্রিংক্স ।
মদের সাথে এলকোহল থাকলে সেটা যেমন হারাম তেমনি মুর্তি, ভাস্কর্য, সূর্য , চন্দ্র, আগুল, গরু ইত্যাদির সাথে পুজা যুক্ত থাকলে সেটা হারাম । এলকোহল মুক্ত মদ যেমন হারাম নহে তেমনি পুজা মুক্ত আইডল হারাম নহে ।

আপনে কি করে সংশোধন হবেন সেটা ব্লগের সবাই ইতি মধ্য অবগত হয়ে গেছেন ।
৪) আপনার কাছ থেকেই বিনীতভাবে জানতে চাই, রোহিঙ্গাগন মুসলিম না হয়ে যদি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হতেন তাদের কি আজকের এই একই পরিনতি হত? অন্তরে যা আসে উত্তরে তাই লিখবেন, আশা করি। চালাকির আশ্রয় নিবেন না।

অবশ্য হোত , আপনার হয়তো জানা নেই অনেক বৌদ্ধ রহিঙ্গা ও পালিয়ে এসেছে । কারেন সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের তাদের ৭/৮ লক্ষ মানুষ থাইল্যান্ডে পালিয়ে এসেছে । জাতীগত বিদ্বেষের কাছে ধর্ম কোন বিষয় নহে , কুর্দীরা মুসলমান তবু ও তাদেরকে ইরান, ইরাক , তুরস্ক সরকার কচুকাটা করছে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলাম পরবর্তী কালে ও ঐ ব্যবসার মালিকিনী ছিলেন বিবি খাদিজা (রা: ) এবং রসুল (সা: ) ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড ঐ ব্যবসার ( বিবাহের পর )। সুতরাং ইসলাম পুর্ব এবং পর দুই যুগেই তিনি বিবি খাদিজা (রা: ) ব্যবসার দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন ।

---আপনাকে বিনীতভাবে বলছি, যা জানেন না, দয়া করে সে বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করবেন না। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার শুভ পরিনয়ের পরে তিনি আর তাঁর অধীনস্ত কেউ ছিলেন না। বিবাহের পরপরই উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা তার সমস্ত সহায় সম্পত্তি আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দস্ত মোবারকে অর্পন করেন। আপনি রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলছেন দ্বিতীয় ব্যক্তি! আপনার সাহস তো কম না! ইতিহাসও কি নতুন করে শুরু করলেন! আপনার মস্তিষ্ক বিকৃতির এরচে' বড় নমুনা আর কী হতে পারে? কোনো বিদ্বেষ নয়, আন্তরিকতা নিয়ে বলছি, দয়া করে আপনি সত্বর অভিজ্ঞ ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হন।

প্রসঙ্গত: উল্লেখের দাবি রাখে, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় অসংখ্য যোগ্য মহিলা সাহাবী থাকা সত্বেও কোনো মহিলাকে তিনি কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত করেননি। যুদ্ধের নেতৃত্বেও পাঠাননি। খলিফাতুল মুসলিমীন খোলাফায়ে আরবাআ'দের কেউ একাজ করেছেন বলেও প্রমান দিতে পারবেন না। অনর্থক আপনি হাদিস খুঁজে বেড়ান কেন? জাল হাদিসের দোহাই দিয়ে নারী নেতৃত্ব জায়েজ করতে চান কেন? আপনি আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাস্তব জীবনের আমল কি ছিল তা দেখতে সমস্যা কোথায়? খোলাফায়ে রাশেদার আমল কেন দেখেন না? তাদের আমল না দেখে অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছেন কেন? আলেয়ার পেছনে আলো ভেবে ছুটে চলেছেন তো চলেছেনই। আপনাকে থামাবে সাধ্য কার?

আচ্ছা, আপনি কি কোনো যুক্তি মানেন? আপনার কাছে বিনীত জিজ্ঞাসা, আপনি কি আপনার পর্দানশীন স্ত্রী, মা কিংবা বোনকে নেতৃত্বের আসনে বসা দেখতে পছন্দ করেন? মুফাসসির সাহেব, আপনি কি কুরআনে হাকীমের নিম্নোক্ত আয়াতখানা কখনও পড়েছেন? পড়ে থাকলে তার ভাষ্য স্বীকার করেন?

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

'তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।'

কুরআনে কারীমের এসব আয়াত স্বীকার করলে তো আপনার নারী নেতৃত্বের খাহেশ পুরন হয় না। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় কোনও একজন নারীকে নেতৃত্বের আসনে বসাননি। গভর্নর, প্রশাসক, সেনাপ্রধান, বাহিনীপ্রধান করে কোথাও পাঠাননি। যুদ্ধ, জিহাদের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেননি। মদিনাতুল মুনাওয়ারাহ, মাক্কাতুল মুকাররমাহর শাসক-প্রশাসক বানাননি।

প্রশ্ন হল, তখনতো যোগ্য লোকের প্রয়োজন ছিল। তো, মিশর, সিরিয়া, ইরাক, কুফায় কোনো মহিলা সাহাবীকে কেন আমির করে পাঠানো হল না? একজন মহিলাও কি রাসূলে পাকের সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মত যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না? উত্তর হল, অবশ্যই ছিল। তাহলে নারী নেতৃত্ব যদি জায়েজই হয়ে থাকে তো তিনি নারীদের নেতৃত্বের আসনে বসালেন না কেন? তাহলে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাসীন না করে কি অন্যায় করেছেন? (নাউ'যুবিল্লাহি মিন জালিক)।

আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় যা করেননি, তাঁর মহান সাহাবীগন রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমগনও যে কাজ করলেন না, আপনি সেই কাজটি করতে চাচ্ছেন! আপনি সাহাবীগন এমনকি স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়েও ইসলাম বেশি বোঝেন?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্লগে আপনি আমার বিপদ দেখে খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন, হাত তালি দিচ্ছেন আর শিষ দিয়ে বেড়াচ্ছেন, খুব ভাল করে বুঝেছি। আপনার মত পন্ডিত ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা না করে উপায় নেই। আমার বিপদ বৃদ্ধি পেলে যদি আপনি খুশি হন, আমার বিপদ আরও বৃদ্ধি পাক। কারন, আমি যে আপনার আনন্দিত মুখ কামনা করি। আপনি খুশিই থাকুন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সাম্প্রতিক প্রতিটি খোঁচা লক্ষ্য করেছি। আপনাকে ধন্যবাদ। ঘর পোড়ার ভেতরে আপনি আলু পুড়তে ভালবাসেন, তাও ভাল করে বুঝেছি।

হাতি বিপদে পড়লে চামচিকা পর্যন্ত টোকা দেয়। আমি তো আর হাতি নই। আর আপনিও চামচিকা নন। আপনি নির্ঘাত মহান ব্যক্তি! তবু আপনার একটু আনন্দের কারন যদি আমরা হতে পারি, খারাপ কি! আপনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। অভিনন্দন আবারো।

৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

নতুন বলেছেন: সুস্হ ব্লগিং এর জন্য এই রকম অসুস্হ মানুষদের ব্লগ থেকে বাইরে রাখতে হবে।

মডারেটরদের দৃস্টি আকষ`ন করতে হবে এবং আমি অবাক হয়েছি যে এই রকমের আইডি কিভাবে অনুমদন পায়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই, সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য।

মডারেটরগন আইডিগুলো ইতোমধ্যেই ব্যান করে দিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভাল থাকবেন।

৩৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: বিবাহের পরপরই উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা তার সমস্ত সহায় সম্পত্তি আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দস্ত মোবারকে অর্পন করেন।

কথাটা ঠিক নহে , একটু ব্যাখা করি ---- মনে করুন বিবি খাদিজা (রা: ) ঐ ব্যবসার মালিক তিনি চ্যায়ারপারসন কাম ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং যখন রসুল (সা: ) সাথে তার বিবাহ হয় নি তখন রসুল (সা: ) একজন ইমপ্লই মাত্র , হয়ত তার উপরের পজিসনে আরো অনেকে ছিলেন । বিবাহের পর বিবি খাদিজা (রা: ) ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের পজিসন থেকে বিরতি নিয়ে রসুল (সা: ) কাছে তা অর্পন করেন ,
আপনি রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলছেন দ্বিতীয় ব্যক্তি! আপনার সাহস তো কম না!

জী উনি ঐ ব্যবসায়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের অধিকারি ব্যক্তি হন বিয়ের পর, এতে ওনাকে অপমান করার কি কিছু আছে ?? রসুল (সা: ) কি ১০ বা ১৫ তম পজিসনের কাজ করেনি? তিনি কি ইহুদিদের অধিনে শ্রমিকের কাজ করেন নি ,?ঐ কাজের পজিসন কি ছিল ?? সেটা কি এক নম্বর পজিসন ?? উনি কি মেষ চড়ান সহ রাখালের কাজ করেন নি --- ঐ কাজের পজিসন কি ছিল এক নম্বর ? উনি কি উটের মাহুতের কাজ করেন নি , উটের মাহুত কি এক নম্বর পজিসনের কাজ ?? আকেল্ল বোধ কি খুব কমে গেছে আপনার ???? রসুল (সা: ) জীবন থেকে যদি কিছু শিখতেন তাহোলে পজিসন নিয়ে মাতন করতেন না, তিনি তার জীবনে ১ নং পজিসন থেকে ২০ বা আরো বেশি তম পজিসনে কাজ করেছেন । তার মানি হোল কোন পজিসনকে ঘৃণা করতে নেই ।।

'তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।'

বলুন তো উপরের আয়াত খানি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ে ??? কোরানের কতক গুলো আয়াত আছে --১)রুপক অর্থে, ২)কতক গুলো আয়াত আছে তাৎখানিক ঘটনার সমাধান বা সেই যুগের কিছু বিষয়ের তাৎখানিক সমাধান এবং ৩) কতক গুলো আয়াত আছে সর্ব যুগের ।
এবার বলুন এই আয়াত কোন ক্যাটাগুরির -- ১,২ বা ৩ ???সেই আমলে মহিলাদের নিরাপত্তার বড়ই অভাব ছিল সে কারনে মহিলাদের পর্দা করে,শালিন পোষাকে বের হতে বলা হয়েছে, প্রয়োজন না হলে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে এবং বৈধ সংগি ছাড়া ঘর থেকে বের হতে মানা করা হয়েছে ।
ঐ আয়াত সর্ব যুগিয় আয়াত হলে তো মেয়েরা শিক্ষার জন্য ঘর হতে বের হতে পারবে না , চাকুরী করতে পারবেন না । তার সংগে সংগি হিসাবে সব সময়ে মানুষ থাকবে না , তার ভাই , বাবা বা স্বামী যদি কাজে বাহিরে থাকে তাহোলে তিনি কি করে ঘর থেকে বের হয়ে পড়তে যাবেন বা চাকুরী করতে যাবেন । আপনি নারী নেতৃত্ব নাজায়েজ প্রমাণ করতে এই আয়াত নিয়ে এসেছেন, ভালো কথা.,, এই আয়াত দিয়ে নারীদের শিক্ষা, চাকুরী করাকেও নাজায়েজ বলে দাবি করা যায় , হেফাজতের শফি হুজুর অলরেডি নারী শিক্ষাকে নাজায়েজ বলেছে (সর্বচ ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত )এবং গার্মেন্টসের মহিল কর্মীদের ছেনাল পতিতা , জেনাকারি, ব্যভিচারি ইত্যাদি বলেছেন এই আয়াতের সাহায্য ?
এবার বলুন এই আয়াত কোন ক্যাটাগুরির ১,২ বা ৩ ????

আপনি তো শুধু নারী নেতৃত্ব বিরুধী নন , নারী শিক্ষা এবং কর্ম সংস্থান বিরুধী ।

আপনার কাছে বিনীত জিজ্ঞাসা, আপনি কি আপনার পর্দানশীন স্ত্রী, মা কিংবা বোনকে নেতৃত্বের আসনে বসা দেখতে পছন্দ করেন?
আপনার বলা উচিৎ ছিল ---- আপনার কাছে বিনীত জিজ্ঞাসা, আপনি কি আপনার পর্দানশীন স্ত্রী, মা কিংবা বোনকে নেতৃত্বের আসনে বসা দেখতে বা শিক্ষা গ্রহন করতে বা চাকুরী করা দেখতে পছন্দ করেন?----- কারন শিক্ষা গ্রহন করতে হলে তাকে বৈধ সংগি ছাড়া ঘর থেকে বের হতে হবে এবং চাকুরী করতে গেলেও সেটা করতে হবে ।
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় কোনও একজন নারীকে নেতৃত্বের আসনে বসাননি। গভর্নর, প্রশাসক, সেনাপ্রধান, বাহিনীপ্রধান করে কোথাও পাঠাননি। যুদ্ধ, জিহাদের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেননি। মদিনাতুল মুনাওয়ারাহ, মাক্কাতুল মুকাররমাহর শাসক-প্রশাসক বানাননি।
কারনে সেই সময়ের সমাজ নারী নেতৃত্ব তো দুরে থাক নারীর পক্ষে শিক্ষা গ্রহন ও চাকুরী করার অবস্থায় ছিল না , সেই কারনে মেয়েদেরকে পর্দার ভিতর ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে কারন তাদের এর চেয়ে ভালো নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা ছিল না । একজনকে নেতা হতে হলে তার পাবলিক রিলেসন অবশ্যই থাকতে হবে, তাকে মানুষের কাছে যেতে হবে , সে যুগে সেটা সামাজিক ভাবে সম্ভব ছিলনা মুসলিম অমুসলিম সহ সব সম্প্রদায়ের মধ্যে । জী সে যুগে রাণী ছিল যারা ছিল কড়া নিরাপত্তার বলেয় , সেই রাণীর দেশে ও মহিলারা বিভিন্ন বিষয়ে নেতৃত্বে আসতে পারেনি । বিবি আয়েশা নেত্রী হয়েছিলেন কড়া নিরাপত্তার বলয়ের ভিতরে ।
সেই যুগ এখন আর নেই । আপনার শুধু সেই যুগে ফিরা যাবার খোয়াব দেখেন .।

ব্লগে আপনি আমার বিপদ দেখে খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন, হাত তালি দিচ্ছেন আর শিষ দিয়ে বেড়াচ্ছেন, খুব ভাল করে বুঝেছি। আপনার মত পন্ডিত ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা না করে উপায় নেই। আমার বিপদ বৃদ্ধি পেলে যদি আপনি খুশি হন, আমার বিপদ আরও বৃদ্ধি পাক। কারন, আমি যে আপনার আনন্দিত মুখ কামনা করি। আপনি খুশিই থাকুন।

জী না সবাই কে নিজের মত ভেবেন না দয়া করে , এই ব্লগে আমি সহ অন্য সব আপনার মতের বিরুধী ব্লগারদের বিরুদ্ধে আপনি যে ধরনের উগ্র মন্তব্য লিখেছেন , তার কারনে তারা তাদের জীবণ হুমকীর সন্মুখিন হতে পারে বা হবে , যুক্তি তর্কে না পাড়লে আপনি যে ভা্ষায় গাল মন্দ শুরু করেন যার, কারনে তারা চাপাতিবাজদের টার্গেট হতে পারে এবং আপনি বার বার আমার নামে মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছেন কারন আপনার উদ্দেশ্য সেই একটাই। আপনাকে তো চ্যালেন্জ করছি প্রমাণ করার সেটা তো পারছেন না , একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছেন, চাপাতি বাজদের টার্গেট বানানোর জন্য । আপনার যে বিপদ সেটাতে আপনার প্রাণ ঘাতি হওয়ার সম্ভবনা নেই কিন্তু আপনি অন্য মানুষের প্রাণ ঘাতির পায়তারা করে যাচ্ছেন এবং চাপাতীবাজদের টারগেট তৈরী করছেন ঠান্ডা মাথায় । এই ধরনের জঘন্য নক্কার জনক কাজ অন্য কেউ করে না ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



কথাটা ঠিক নহে , একটু ব্যাখা করি ---- মনে করুন বিবি খাদিজা (রা: ) ঐ ব্যবসার মালিক তিনি চ্যায়ারপারসন কাম ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং যখন রসুল (সা: ) সাথে তার বিবাহ হয় নি তখন রসুল (সা: ) একজন ইমপ্লই মাত্র , হয়ত তার উপরের পজিসনে আরো অনেকে ছিলেন । বিবাহের পর বিবি খাদিজা (রা: ) ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের পজিসন থেকে বিরতি নিয়ে রসুল (সা: ) কাছে তা অর্পন করেন ,

----ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে শেষ পর্যন্ত সত্য স্বীকার না করে তো পারলেন না। কিছুটা হলেও স্বীকার করে নিলেন। ধন্যবাদ। আপাতত: অন্তত: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে 'ম্যানেজিং ডিরেক্টর' বলে মেনে নিতে কার্পন্য করলেন না। যাক, আস্তে আস্তে হবে। নিজেই স্বীকার করলেন- 'বিবাহের পর বিবি খাদিজা (রা: ) ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের পজিসন থেকে বিরতি নিয়ে রসুল (সা: ) কাছে তা অর্পন করেন।'

তবে কথা থেকে যায়, প্রিয় এআর ১৫, আপনি যদি তাওহিদে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন, দয়া করে মিথ্যা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোটা পরিহার করুন। আপনাকে আল্লাহ পাকের দোহাই দিয়ে অনুরোধ করছি, আপনি কোন্ জ্ঞানে, কোন্ ইতিহাস থেকে এসব মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন? আপনি কি আপনার এসবের পক্ষে একটি নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স দিতে পারবেন? বিবাহের পরে উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার ব্যবসায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থাকবেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আর তাঁর স্ত্রী হবেন সেই ব্যবসার চেয়ারপারসন। এমন জঘন্য মিথ্যাচারের রহস্য বুঝতে পারছি না।

৪০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

পলাশবাবা বলেছেন: নতুন নাকিব vs এ আর ১৫ এর রোমাঞ্চকর বিতর্ক।

দুজনকেই জিজ্ঞাস করি । মহানবী(সাঃ) বিবি খাদিজার অধীনে কতকাল চাকুরী করেছেন ?


এ আর ১৫ ভাই , চাপাতিবাজ বলতে কাদের বোঝালেন ? প্রাগতৈতিহাসিক শিবির না বিশ্বজিতের দোস্তদের ?
বিশ্বজিতের দোস্তরাও কিন্তু কম না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, এআর ১৫ কোনো যুক্তির ধার ধারেন না। তার বানানো ইতিহাস আমাদের গোগ্রাসে গেলাতে চান তিনি। উদ্ভট এবং অচিন্ত্যনীয় সব উক্তি করে বসে থাকেন ইসলামের ইতিহাস, কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যায়। এখনটাতেই সমস্যা। এগুলো নিয়ে কথা বললেই, মানে তার মতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তিনি তাকে যে কোনো অভিধায় ভূষিত করতে দ্বিধাবোধ করেন না। তার ভুল ধরলে সেটাকে তিনি আখ্যায়িত করেন 'ন্যাক্কারজনক অপরাধ' হিসেবে। তার বিরুদ্ধ মতকে 'জঙ্গি মদদ' আখ্যায়িত করতেও তার বিবেক আটকায় না। সত্যি কথা, এই ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন লোকদের সাথে কথা বলার রুচি হারিয়ে ফেলি। বেশ কয়েকবার আমার পোস্টে তার কমেন্ট ব্যান করার কথা ভেবেও আবার সহনশীলতা এবং সর্বোপরি প্রতিপক্ষের মতামতের অধিকারের কথা চিন্তা করে তা করা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি। এই পোস্টে তার ৩৯ নং কমেন্টেটির অংশবিশেষ দেখুন। তিনি অবলীলায় বলে গেলেন যাচ্ছেতাই-

'জী না সবাই কে নিজের মত ভেবেন না দয়া করে , এই ব্লগে আমি সহ অন্য সব আপনার মতের বিরুধী ব্লগারদের বিরুদ্ধে আপনি যে ধরনের উগ্র মন্তব্য লিখেছেন , তার কারনে তারা তাদের জীবণ হুমকীর সন্মুখিন হতে পারে বা হবে , যুক্তি তর্কে না পাড়লে আপনি যে ভা্ষায় গাল মন্দ শুরু করেন যার, কারনে তারা চাপাতিবাজদের টার্গেট হতে পারে এবং আপনি বার বার আমার নামে মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছেন কারন আপনার উদ্দেশ্য সেই একটাই। আপনাকে তো চ্যালেন্জ করছি প্রমাণ করার সেটা তো পারছেন না , একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছেন, চাপাতি বাজদের টার্গেট বানানোর জন্য । আপনার যে বিপদ সেটাতে আপনার প্রাণ ঘাতি হওয়ার সম্ভবনা নেই কিন্তু আপনি অন্য মানুষের প্রাণ ঘাতির পায়তারা করে যাচ্ছেন এবং চাপাতীবাজদের টারগেট তৈরী করছেন ঠান্ডা মাথায় । এই ধরনের জঘন্য নক্কার জনক কাজ অন্য কেউ করে না ।'

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কৈশোরে চাচা আবু ত্বালিবের সাথে বানিজ্য উপলক্ষে সিরিয়া গমন করেছিলেন। বর্নিত আছে, তিনি সায়িব বিন আবূ মাখযূমীর সাথে ব্যবসা করতেন এবং তিনি একজন ভাল অংশীদার ছিলেন। এর প্রমান পাওয়া যায়, তিনি যখন মক্কা বিজয়ের সময় আগমন করেন, তখন সায়িব বিন আবূ মাখযূমী তাকে সাদর সম্ভাষন জানান এই বলে, হে আমার ভাই এবং ব্যবসায়ের অংশীদার।

এরপরে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পঁচিশ বছর বয়সে উপনীত হলে উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার সম্পদ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া গমন করেন। সিরাতে ইবনে ইসহাক্ক গ্রন্থে বর্নিত আছে, 'উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজাহ বিনতে খুওয়াইলিদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা মক্কার সম্ভ্রান্ত সম্পদশালী ও ব্যবসায়ী মহিলা ছিলেন। ব্যবসায়ে অংশীদারিত্ব এবং প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে তিনি ব্যবসায়ীগনের নিকট অর্থলগ্নী করতেন। পুরো কুরাইশ গোত্রই জীবন-জীবিকার জন্য ব্যবসা-বানিজ্যে লিপ্ত থাকতেন। যখন বিবি খাদীজাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সত্যবাদিতা, উত্তম চরিত্র, সদাচার এবং আমানত হেফাজতের নিশ্চয়তা সম্পর্কে অবগত হলেন তখন তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এক প্রস্তাব পেশ করলেন যে, তিনি তাঁর অর্থ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে তাঁর দাস মায়সারাহর সাথে সিরিয়া গমন করতে পারেন। তিনি স্বীকৃতিও প্রদান করেন যে, অন্যান্য ব্যবসায়ীগনকে যে হারে লভ্যাংশ বা মুনাফা প্রদান করা হয় তাঁকে তার চেয়ে অধিকমাত্রায় মুনাফা প্রদান করা হবে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রস্তাব গ্রহন করলেন এবং তার অর্থ সম্পদ নিয়ে বিবি খাদীজাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার দাস মায়সারাহর সাথে সিরিয়া গমন করলেন।'

সিরিয়া থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রত্যাবর্তনের পর ব্যবসা-বানিজ্যের খতিয়ান করা হল। হিসাব নিকাশ করে আমানতসহ এত বেশি পরিমান অর্থ তিনি পেলেন যা ইতিপূর্বে কোনো দিনই পাননি। এতে খাদীজাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা অত্যন্ত খুশি হন। অধিকন্তু তাঁর দাস মায়সারাহর কথাবার্তা থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মিষ্টভাষিতা, সত্যবাদিতা, উন্নত চিন্তা-ভাবনা, আমানত হেফাজত করার ব্যাপারে একাগ্রতা ইত্যাদি বিষয় অবগত হওয়ার পর মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধ ক্রমেই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে এবং তাঁকে পতি হিসেবে পাওয়ার একটা গোপন বাসনা ক্রমেই তাঁর মনে দানা বেঁধে উঠতে থাকে। এর পূর্বে বড় বড় সরদার, নেতা ও প্রধানগন অনেকেই তাঁর নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠান কিন্তু তিনি কোনোটিই মঞ্জুর করেননি। অথচ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য তিনি যারপরনাই ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। তিনি নিজ অন্তরের গোপন বাসনা ও ব্যাকুলতার কথা তাঁর বান্ধবী নাফীসা বিনতে মুনাব্বিহ এর নিকট ব্যক্ত করেন এবং বিষয়টি নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে আলোচনা করার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানান। নাফীসা বিষয়টি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বিষয়টি আলোচনা করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করে বিষয়টি চাচা আবূ ত্বালিবের সাথে আলোচনা করেন। আবূ ত্বালিব এ ব্যাপারে খাদিজাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার পিতৃব্যের সাথে আলোচনার পর বিয়ের প্রস্তাব পেশ করেন এবং এক শুভক্ষনে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহপ্রাপ্ত দু'টি প্রান বিশ্বমানবের অনুকরন ও অনুসরনযোগ্য পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যান। সূত্র: আররাহিকুল মাখতূম, সিরাতে ইবনে ইসহাক্ক, সিরাতে ইবনে হিশাম।

একটু বিস্তারিত বলার উদ্দেশ্য হল, যাতে বিষয়টি অনুধাবন করতে সুবিধা হয়। আসলে সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে, উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার ব্যবসায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়োজিত ছিলেন স্বল্প সময়ের জন্য। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে চুক্তিভিত্তিক মুনাফালাভের ভিত্তিতে ব্যবসায়ে অংশিদারিত্ব লাভ করেন। চাকরি করা বলাটা এখানে ঠিক যুঁতসই নয়। বিবাহের পরে উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা তাঁর সমস্ত সম্পদ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে অর্পন করেন। সহজ এই সত্যকে কোনো কোনো অপপ্রচারকারী অস্বীকার করলেও আমাদের ক্ষতি নেই। আমরা সত্য নিয়ে থাকতে চাই। সত্য ইতিহাস কোনোভাবেই কোনো অপশক্তি মুছে ফেলতে পারবেন না। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের অজ্ঞতা দূর করুন। আমাদের জানার ভেতরে ভুল থাকলে সঠিক বিষয় আমাদের উপলব্ধিতে এনে দিন।

শুভকামনা। ভাল থাকুন অনেক।

৪১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: সঠিক কোন রেফারেন্স ছাড়া আন্দাজে কিছু বলা ঠিক না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। উদ্দেশ্যহীন অপপ্রচার দেখে আহতবোধ করি মাঝে মাঝে।

অনেক শুভকামনা। ৪০ নং প্রতিমন্তব্যটি দেখার অনুরোধ থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.