নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৩)

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫



প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজায়ে আতহারের উপরে নির্মিত সবুজ গম্বুজ।

সবুজ গম্বুজের মায়ায়

মদিনা মুনাওওয়ারায় ছিলাম খুবই অল্প সময়। মাত্র সপ্তাহ খানিক। এই ক'টা দিন চোখের পলকেই ফুরিয়ে গেল। কেমন যেন দেখতে না দেখতে সময়গুলো পেরিয়ে গেল। মদিনার পথ ঘাট চিনতে, মদিনার মাটি পাথরের সাথে মিশতে, মদিনার সুবাসিত হাওয়ার তানে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না নিতেই যেন ফেরার ডাক এসে গেল। মদিনা! আলো ঝলমলে চোখ জুড়ানো প্রিয় মদিনা! মদিনার পথঘাট এত সুন্দর কেন! মদিনার বালু পাথরে বিমোহিত এত রূপ কেন! মদিনার স্নিগ্ধ মলয়ে এত সুরভিত সৌরভ কেন! মদিনার অবয়ব এত সাজানো গোছানো কেন! মদিনার পথে পথে হেটে এই প্রশ্নগুলো বারবার উঁকি দিয়েছে হৃদয়পটে! মদিনাকে আত্মস্থ করতে চেয়েছি, পারিনি! মদিনাকে ভালবাসতে চেয়েছি, পেরেছি কি! না কি মদিনার, মদিনাওয়ালার ভালবাসাই শুধু পেয়ে এসেছি! হ্যাঁ, তাইতো! ভাল তো তাঁকে বাসতে পারিনি! তাঁর ভালবাসার কাছে পরাজিত হয়েছি বারবার! তিনি ভালবাসতেন জীবদ্দশায়! তিনি ক্রন্দন করতেন আমাদের জন্য! অঝোড়ে! অক্লান্ত রোদনে তাঁর চিবুক অশ্রু ছুয়ে যেত! উম্মতি উম্মতি বলে তিনি এখনও কেঁদে চলেছেন! তাঁর এই কান্না অবিরাম অবিরত চলছেই! কেয়ামতের মাঠেও তিনি কাঁদবেন! তিনি সিজদায় অবনত হবেন! কাহহার, জুল জালা-লে ওয়াল ইকরামের সামনে! তাঁর মুখ থেকে অস্ফুট ধ্বনি আসবে- 'রব্বি হাবলি উম্মতী'! 'রব্বি হাবলি উম্মতী'! তাঁর বুকফাঁটা আর্তনাদ আরশে আজিমের পূত পবিত্র অঙ্গনকে ভারাক্রান্ত করে তুলবে! তিনি অঝোড়ে কাঁদবেন, বেকারার হবেন আর আল্লাহ পাক সহ্য করবেন, এ হয় না! ঘোষনা এসে যাবে মহিমান্বিত প্রতিপালক জাল্লা জালা-লুহুর পক্ষ থেকে! 'ইয়া মুহাম্মাদ! ইরফা' র'ছাকা, ইশফা' তুশাফফা'!

'হে মুহাম্মাদ! আপনি মাথা তুলুন, শাফায়াত করুন, আপনার সুপারিশ মঞ্জুর করা হবে।'

প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাজারো স্মৃতি বিজড়িত মদিনাতুত্বয়্যিবা যেন আপনের চেয়েও আপন হয়ে গিয়েছিল মাত্র ক'টি দিনের মধ্যে! কি এক অদেখা মায়ার বাঁধনে যেন জড়িয়ে যাচ্ছিলাম ক্রমশ:! মদিনার প্রিয় অঙ্গন ছেড়ে চলে আসতে হবে ভাবতেই মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে যেত! আহ্, কি মায়াময় মসজিদে নববী! কি অপূর্ব প্রতিটি প্রভাত! কি অসাধারন রাতের মদিনা! মদিনার পথে পথে হেটে কি অপার্থিব তৃপ্তি! বুকভরা এমন নির্মল নি:শ্বাস পৃথিবীর আর কোথায় পাওয়া যায়! এই প্রিয় প্রাঙ্গনে যদি কাটিয়ে দিতে পারতাম জীবনের বাকিটা সময়!

আমরা হেটে হেটে অনেক পথ ঘুরেছি প্রিয় মদিনা শহরের! মদিনাতে ঘুরতে গেলে কেমন যেন আনমনা হয়ে যেতাম! মন হারিয়ে যেত সুদূরের সীমানায়! যুগ-কাল-সময়ের করিডোর পেরিয়ে মন থিতু হতো দেড় হাজার বছরের পূর্বের সেই সোনার মদিনায়! সেই সময়ে! সেই দিনগুলোতে! আহ, এই মদিনাতে তখন প্রিয় নবীজী ছিলেন! আহ্, আমি যেন দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি, আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার খেজুর পাতা আর খেজুরের বৃক্ষ নির্মিত ক্ষুদ্রকায় হুজরায় প্রিয় নবীজীর মাটির বিছানা! বাসন-কোসন বলতে তেমন কিছুই নেই হুজরা অভ্যন্তরে! খেজুরের পাটিতে শুয়ে শরীরে ছাপ পড়ে যাওয়া সরওয়ারে আলমের কোমল শরীর! ফখরে দোআলমের ঘরে খাবার নেই আহার্য্য নেই! ক্ষুধা পিপাসায় কাতর উম্মত জননী! স্বয়ং মাহবূবে খোদা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! খাদ্য আহার্য্যের অভাবে জীর্ন শীর্ন একদল সাহাবী আসহাবে সুফফাহর বিশুষ্ক মুখ!

প্রিয় এই মদিনা! আহ্, এই মদিনার পথ ধরেই তো হেটে চলতেন প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সাথে থাকতেন সাহাবায়ে কিরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমের আনুগত্যের মস্তক অবনত জীবন উতসর্গকারী এক জামাআত! আমরা কি তাদের মত হতে পেরেছি! হওয়ার একটু চেষ্টাও কি করেছি কখনো! দ্বীনের জন্য, ইসলামের জন্য আমাদের কি কোনো ত্যাগ, কোনো কুরবানি রয়েছে, আমরা কি বলতে পারবো! হায়, কোথায় সেই সোনার মানুষ! কোথায় সেই পূর্ন ঈমানওয়ালা কাফেলা! আর কোথায় আমাদের পথচলা! কোথায় আমাদের গন্তব্য! কার অনুসরন করার কথা ছিল! অার আমরা কাকে ফলো করছি!

অপরূপ চোখ ধাধানো মসজিদে নববী ٱلْـمَـسْـجِـدُ ٱلـنَّـبَـويّ‎ Madeena masjid nabavi

পবিত্র হজ্বের সফরের অন্যতম আকর্ষন মদিনা মুনাওওয়ারাতে অবস্থিত মসজিদে নববী। প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে নেই! তিনি শুয়ে আছেন রওজায়ে আতহারে! কিন্তু মসজিদে নববীতে গেলে আপনার অনুভব-অনুভূতি বলে দিবে, আপনি যেন নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চলে এসেছেন! সময়ের গন্ডি ভেদ করে আপনি যেন উপস্থিত হয়েছেন দোজাহানের সরদার প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্নিগ্ধ স্নেহে! রওজায়ে আতহারের বিমুগ্ধ সৌন্দর্য্য অবলোকনে কিছু কালের জন্য হলেও আপনি ফিরে যাবেন রাসূলের জামানায়! রাসূলের আজিমুশ্বান সেই মুখাবয়ব! সেই ভাব গম্ভীর অহিয়ে ইলাহীর পরশ ধন্য মুনাওওয়ার নবী দরবার! পলক ফেরানো যায় না, রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তগুলো আপনার মনের পর্দায় একে একে পাতা উল্টাতে থাকে! রাসূলের জামানায় ছিলাম না, তাতে কি! রাসূলের পদস্পর্শ, পদচুম্বন করতে পারিনি তাতে কি! তাঁর দর্শন মনের পর্দায় আটকায় সাধ্য কার! হৃদয়ের তশতরীতে তাঁর অবাধ বিচরন রুখে স্পর্ধা কার! অন্তরের অবাক করা রৌশনীতে তাঁর অনাবিল পদচারনা, তাঁর প্রিয় স্মৃতির মিনার গুড়িয়ে দেয়, সাহস কার!

মসজিদে নববীতে মুসল্লীদের ধারণ ক্ষমতা

৬,০০,০০০ (হজ্জের সময় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১০,০০,০০০ হয়)

মসজিদে নববীর অারও কিছু পরিসংখ্যান

মিনার সংখ্যা: ১০ টি
মিনারের উচ্চতা: ১০৫ মিটার (৩৪৪ ফুট)
স্থাপত্য: আজারবাইজানীয় ইন্দো-ইসলামী মুরীয় মরোক্কী মুঘল উসমানীয় পাকিস্তানী তাতার ফার্সি সোমালি সুদানী-সহিলীয়
শিল্প: লিপিবিদ্যা ক্ষুদ্র চিত্র কম্বল আরব কার্পেট পারস্য কার্পেট তুর্কি কার্পেট

মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাসগৃহের পাশে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মসজিদের নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় মসজিদ সম্মিলনস্থল, আদালত ও মাদ্রাসা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পরবর্তীকালের মুসলিম শাসকরা মসজিদ সম্প্রসারণ ও এর সৌন্দর্যবর্ধন করেছেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে আরব উপদ্বীপের মধ্যে এখানেই সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়।[২] মসজিদ খাদেমুল হারামাইন শরিফাইনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। মসজিদ ঐতিহ্যগতভাবে মদিনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মসজিদে নববী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান বিধায় হজ্জের সময়ে আগত হাজিরা হজ্জের আগে বা পরে মদিনায় অবস্থান করেন।

উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে সম্প্রসারণের সময় মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং প্রথম দুই খুলাফায়ে রাশেদিন আবু বকর ও উমর রাদঅাল্লাহু তাআ'লা আনহুমার কবর মসজিদের অংশ হয়।[৩] মসজিদের দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থিত সবুজ গম্বুজ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।[৪] এটি আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা এর বাড়ি ছিল।[৩] এখানে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরবর্তী দুই খলিফাকে দাফন করা হয়। ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দে কবরের উপর একটি কাঠের গম্বুজ নির্মিত হয়। এটি পরবর্তীতে ১৫শ শতাব্দীতে কয়েকবার এবং ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে একবার পুনর্নির্মিত ও সৌন্দর্য‌বর্ধি‌ত করা হয়। বর্তমান গম্বুজটি ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ কর্তৃক নির্মিত হয়।[৪] এবং ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম সবুজ রং করা হয় ফলে এর নাম সবুজ গম্বুজ হয়েছে।[৩]

যুগে যুগে মসজিদে নববীর সংস্কার

হিজরতের পর মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মসজিদ নির্মাণ করেন।[৫] তিনি একটি উটে চড়ে মসজিদের স্থানে আসেন। এই স্থানটি দুইজন বালকের মালিকানায় ছিল। তারা মসজিদের জন্য জায়গাটি বিনামূল্যে উপহার হিসেবে দিতে চাইলেও মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জায়গাটি কিনে নেন। এরপর এখানে মসজিদ নির্মিত হয়। এর আকার ছিল ৩০.৫ মিটার (১০০ ফু) × ৩৫.৬২ মিটার (১১৬.৯ ফুট)। [৬] খেজুর গাছের খুটি দিয়ে ছাদের কাঠামো ধরে রাখা হয়। ছাদে খেজুর পাতা ও কাদার আস্তরণ দেয়া হয়। এর উচ্চতা ছিল ৩.৬০ মিটার (১১.৮ ফুট)। এর তিনটি দরজা ছিল দক্ষিণে বাব-আল-রহমত, পশ্চিমদিকে বাব-আল-জিবরিল এবং পূর্বদিকে বাব-আল-নিসা।[৬]

খায়বারের যুদ্ধের পর মসজিদ সম্প্রসারণ করা হয়। [৭] এটি প্রত্যেক দিকে ৪৭.৩২ মিটার (১৫৫.২ ফু) বৃদ্ধি পায় এবং পশ্চিম দেয়ালের পাশে তিন সারি খুটি নির্মিত হয়।[৮] প্রথম রাশিদুন খলিফা আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এর শাসনামলে মসজিদের আকার অপরিবর্তিত ছিল।[৮] দ্বিতীয় খলিফা উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু মসজিদের আশেপাশে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের বাড়িগুলো ছাড়া বাকিগুলো ভেঙে সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করেন।[৯] নতুন অবস্থায় মসজিদের আকার দাঁড়ায় ৫৭.৪৯ মিটার (১৮৮.৬ ফু) × ৬৬.১৪ মিটার (২১৭.০ ফু)। দেয়াল নির্মাণে মাটির ইট ব্যবহার করা হয়। মেঝেতে পাথর বিছানোর পাশাপাশি ছাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করে ৫.৬ মিটার (১৮ ফু) করা হয়। এছাড়াও উমর আরো তিনটি দরজা সংযুক্ত করেন।

তৃতীয় খলিফা উসমান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করেন। এই কাজে দশ মাস সময় লাগে। নতুন মসজিদের আকার দাঁড়ায় ৮১.৪০ মিটার (২৬৭.১ ফু) × ৬২.৫৮ মিটার (২০৫.৩ ফু)। দরজার সংখ্যা ও নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়।[১০] পাথরের দেয়াল নির্মিত হয় এবং খেজুর গাছের খুটির বদলে লোহা দ্বারা সংযুক্ত পাথরের খুটি যুক্ত করা হয়। ছাদ নির্মাণের জন্য সেগুন কাঠ ব্যবহার করা হয়।[১১]

উমাইয়া, আব্বাসীয় ও উসমানীয় যুগ

৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদ মসজিদ সম্প্রসারণ করেন। এই কাজে তিন বছর সময় লেগেছিল। মসজিদের জন্য কাঁচামাল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়।[১২] মসজিদের এলাকা উসমানের সময়ের ৫০৯৪ বর্গ মিটার থেকে বৃদ্ধি করে ৮৬৭২ বর্গ মিটার করা হয়। মসজিদ ও মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের আবাসস্থলগুলো আলাদা করার জন্য দেয়াল নির্মিত হয়। মসজিদ ট্রাপোজয়েড আকারে নির্মিত হয় যার দৈর্ঘ্য ছিল ১০১.৭৬ মিটার (৩৩৩.৯ ফু)। মসজিদের উত্তরের একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়। এছাড়াও এসময় চারটি মিনার নির্মিত হয়।[১৩]

আব্বাসীয় খলিফা আল মাহদি উত্তর দিকে মসজিদ ৫০ মিটার (১৬০ ফু) সম্প্রসারণ করেন। মসজিদের দেয়ালে তার নাম উৎকীর্ণ করা হয়। ইবনে কুতাইবার বিবরণ অনুযায়ী খলিফা আল মামুন এতে কাজ করেছেন। আল মুতাওয়াক্কিল মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজার বাইরে মার্বেল ব্যবহার করেন।[১৪] আল-আশরাফ কানসুহ আল-গাউরি ১৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রওজার উপর পাথরের গম্বুজ নির্মাণ করেন।[১৫]


১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সবুজ গম্বুজ

রওজা মসজিদের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত।[৪] এটি গম্বুজের নিজে অবস্থিত যা ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের শাসনামলে নির্মিত হয়। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে গম্বুজে সবুজ রং করা হয় এবং এরপর থেকে এর নাম সবুজ গম্বুজ হয়।[৩]

সুলতান প্রথম আবদুল মজিদ ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ শুরু করেন। এতে মোট ১৩ বছর লেগেছিল।[১৬] মূল উপকরণ হিসেবে লাল পাথরের ইট ব্যবহার করা হয়। মেঝে ১২৯৩ বর্গ মিটার বৃদ্ধি করা হয়। দেয়ালে ক্যালিগ্রাফিক শৈলীতে কুরআনের আয়াত উৎকীর্ণ করা হয়। মসজিদের উত্তরে কুরআন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা নির্মিত হয়।[১৭]

সৌদি যুগ

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ মদিনা অধিকার করে নেয়ার পর অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য মদিনার বিভিন্ন সমাধিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। [১৮] তবে সবুজ গম্বুজটিকে অক্ষত রাখা হয়।[১৯]

১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর মসজিদে কয়েক দফা সংস্কার করা হয়। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে ইবনে সৌদ মসজিদের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে নামাজের স্থান বাড়ানোর জন্য স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার আদেশ দেন। এসময় কৌণিক আর্চযুক্ত কংক্রিটের স্তম্ভ স্থাপন করা হয়। পুরনো স্তম্ভগুলো কংক্রিট ও শীর্ষে তামা দ্বারা মজবুত করা হয়। সুলাইমানিয়া ও মাজিদিয়া মিনার দুটি মামলুক স্থাপত্যের আদলে প্রতিস্থাপন করা হয়। উত্তরপূর্ব ও উত্তরপশ্চিমে দুটি অতিরিক্ত মিনার যুক্ত করা হয়। ঐতিহাসিক মূল্যের কুরআন ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ রাখার জন্য পশ্চিম দিকে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করা হয়।[১৭][২০]

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ মসজিদের অংশ হিসেবে ৪০,৪৪০ বর্গ মিটার যুক্ত করেন।[২১] ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের শাসনামলে মসজিদ আরো সম্প্রসারিত হয়। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে এর নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার পর মসজিদের আয়তন দাঁড়ায় ১.৭ মিলিয়ন বর্গ ফুট।

৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্প্রসারণ কাজ ২০১২ এর সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয়। আরটি কর্তৃক পরিবেশিত সংবাদ অনুযায়ী এই সম্প্রসারণ সমাপ্ত হওয়ার পর এতে ১.৬ মিলিয়ন মুসল্লি ধারণ করা সম্ভব হবে।[২২] পরের বছরের মার্চে সৌদি গেজেট উল্লেখ করে যে সম্প্রসারণের জন্য যেসব স্থাপনা ধ্বংস করার দরকার ছিল তার ৯৫% সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ব দিকে দশটি হোটেলসহ কিছু বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।[২৩]

মসজিদে নববীর প্রশাসন নিম্নরূপ।

হারামাইনের প্রেসিডেন্ট : শাইখ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এবং শাইখ মুহাম্মদ বিন নাসির আল-খুজাইম

মসজিদে নববীর খতিব ও ইমামগন:

আবদুর রহমান আল হুসাইফি
সালাহ আল বুদাইর
আবদুলবারি আওয়াদ আল-সুবাইতি
আবদুল মুহসিন আল-কাসিম
হুসাইন আবদুল আজিজ আল-শাইখ
আহমাদ ইবনে তালিব হামিদ
আবদুল্লাহ বু'য়াইজান

ইমাম

শাইখ আবদুল্লাহ আল-বুয়াইজান
শাইখ আহমাদ তালিব হামিদ

মুয়াজ্জিন

শাইখ আবদুর রহমান
শাইখ ইসাম বুখারি
শাইখ সৌদ বুখারি
শাইখ ইয়াজ শুখরি
শাইখ সামি দিওয়ালি
শাইখ উমর সুনবুল
শাইখ মাজিদ হাকিম
শাইখ আশরাফ আফিফি
শাইখ আবদুল মজিদ আস সুরাইহি
শাইখ ফয়সাল নুমান
শাইখ ইউসুফ কামাল

অতিথি ইমাম

শাইখ আলি আল সুদাইস
শাইখ মুহাম্মদ আইয়ুব
শাইখ খালিদ আল মুহান্না
শাইখ সাদ আল গামদি
শাইখ খালিদ আল গামদি
শাইখ আবদুল্লাহ আল জুহানি
শাইখ মাহির আল মুয়াইকালি
শাইখ আবদুল ওয়াদুদ হানিফ
শাইখ ইমাদ জুহাইর হাফিজ

স্থাপত্য

মসজিদ দুই স্তর বিশিষ্ট এবং আয়তাকার। উসমানীয় নামাজের স্থানটি দক্ষিণমুখী।[২৪] এতে সমতল ছাদ এবং বর্গাকার ভিত্তির উপর ২৭টি চলাচলসক্ষম গম্বুজ রয়েছে।[২৫] গম্বুজের নিচের খোলা স্থানে ভেতরের স্থান আলোকিত করে। গম্বুজ সরিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্রাঙ্গণে থাকা স্তম্ভের সাথে যুক্ত ছাতাগুলো খুলে দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়।[২৬] মসজিদের চারপাশের বাধানো স্থানেও নামাজ পড়া হয় যাতে ছাতাসদৃশ তাবু রয়েছে।[২৭] জার্মান স্থপতি মাহমুদ বোদো রাশ্চ ও তার প্রতিষ্ঠান এই গম্বুজ ও ছাতাগুলো নির্মাণ করে।[২৮]

রিয়াদুল জান্নাহ

মসজিদের মধ্যে ছোট কিন্তু বিশেষ এলাকা রয়েছে যা রিয়াদুল জান্নাহ (জান্নাতের বাগান) বলে পরিচিত। এটি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা থেকে তার মিম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত। আগত তীর্থযাত্রীরা এখানে দোয়া ও নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। এখানে প্রবেশ সবসময় সম্ভব হয় না বিশেষত হজ্জের সময় মানুষ অনেক বেশি হওয়ার কারণে।

রিয়াদুল জান্নাহকে জান্নাতের অংশ হিসেবে দেখা হয়। সাহাবি আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত যে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘর থেকে মিম্বর পর্যন্ত স্থানকে জান্নাতের অংশ বলেছেন।[২৯]

রওজার বহির্ভাগ

রওজা মসজিদের সাথে অবস্থিত। এখানে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং প্রথম দুই খলিফা আবু বকর ও উমরের কবর রয়েছে। এর পাশে একটি কবরের জন্য খালি রয়েছে। ইসলাম অনুযায়ী ঈসা আলাইহিস সালাম আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন এবং এরপর তিনি মারা যাওয়ার পরে তাকে এখানে দাফন করা হবে। এই পুরো স্থান সবুজ গম্বুজের নিচে অবস্থিত। ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের শাসনামলে এই গম্বুজ নির্মিত হয় এবং ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে একে সবুজ রং করা হয়।[৩]

মিহরাব

মসজিদে তিনটি মিহরাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় নির্মিত হয় এবং বাকিগুলো পরবর্তী সময়ে নির্মিত হয়।[৩০]

মিম্বর

মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ব্যবহৃত মূল মিম্বরটি খেজুর গাছের কাঠ দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। পরে এর স্থলে অন্য মিম্বর বসানো হয়। ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে একটি তিন ধাপ বিশিষ্ট সিড়ি যুক্ত করা হয়। খলিফা আবু বকর ও উমর মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সম্মান দেখিয়ে তৃতীয় ধাপে পা রাখতেন না। তৃতীয় খলিফা উসমান এর উপর একটি গম্বুজ বসান এবং বাকি ধাপগুলো আবলুস কাঠ দিয়ে মুড়ে দেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৩৯৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বাইবার্স‌ মিম্বরটি সরিয়ে নতুন মিম্বর স্থাপন করেন এবং ১৪১৭ খ্রিষ্টাব্দে শাইখ আল-মাহমুদি নতুন মিম্বর স্থাপন করেন। ১৫শ শতাব্দীর শেষের দিকে কাইতবে মার্বেলের মিম্বর স্থাপন করেন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টেও এটি মসজিদে ব্যবহৃত হয়েছিল।[৩১]

মিনার

প্রথম মিনারগুলো ২৬ ফুট (৭.৯ মি) উচু ছিল যা উমর কর্তৃক নির্মিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৩০৭ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ ইবনে কালাউন বাব আল-সালাম নামক মিম্বর স্থাপন করেন। পরে চতুর্থ মুহাম্মদ এটি সৌন্দর্য‌মন্ডিত করেন। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের সংস্কার কার্যে‌র পর মোট মিনারের সংখ্যা দাঁড়ায় দশ যেগুলো ১০৪ মিটার (৩৪১ ফু) উচু। মিনারগুলোর উপর, নিচ ও মধ্যম অংশ যথাক্রমে সিলিন্ডার, অষ্টাভুজ ও বর্গাকার।[৩১]

হৃদয়ের অব্যক্ত কথামালা!

প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
আপনি আছেন মন ও মননে!
আপনি রয়েছেন অন্তরে অন্দরে! হৃদয়ের অলিন্দে অলিন্দে!
আপনার যুগ আমরা পাইনি! চর্মচোখে আপনাকে দেখিনি!
কিন্তু হৃদয়ের আয়নায় আপনি নিত্য মূর্তমান! আপনার নাম অঙ্কিত কলবের অভ্যন্তরে! বহির্ভাগে! চতুর্পাশ্বে!
আপনার পদচুম্বনের প্রত্যাশা থেকে ফিরিয়ে দেয়, দু:সাহস কার!

হে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
আপনাকে ভালবাসি! একটি মুহূর্ত, একটি দিন ভাবতে পারি না, যেখানে আপনি থাকেন অনুপস্থিত!
জীবনের প্রতিটি পর্বে, ওঠা-বসা-চলা-ফেরা-বলায় আপনি জড়িয়ে রাখেন মায়াময়তায়!
হে প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
এ ধরায় যা কিছু সৌভাগ্য আমার! সব আপনারই বদৌলতে!
আপনার জন্য এ জীবন যদি কুরবান করতে পারতাম! একে একে হাজারবার! কতই না উত্তম হত!

ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন এই সিরিজের পেছনের পর্বগুলোয়-

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২২)



চোখ জুড়ানো সবুজ গম্বুজ।



রৌদ্রকরোজ্জ্বল রওজা আতহারের বহির্ভাগের মসজিদে নববীর চত্বর।



রওজা শরীফের উপরের সুদৃশ্য লিখনচিত্র।



দূর থেকে তোলা মসজিদে নববী এবং নয়নাভিরাম গম্বুজে খাদরা।



রিয়াজুল জান্নাতে ঢোকার সময় উপরের দিককার মনোমুগ্ধকর হাদিসের চিত্রলিখন।



রিয়াজুল জান্নাতের আরেকটি চিত্রলেখা।



মিম্বারুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।



পৃথিবীর বুকে এক টুকরো জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাহ।



গাম্বাদে খাদরা, সবুজ গম্বুজ। যার সৌন্দর্য্য দেখে দেখে তৃপ্ত হয় না আশিকে রাসূলের অতৃপ্ত নয়ন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

সনেট কবি বলেছেন: সবুজ গম্বুজ মনে আলোড়ন তোলে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন প্রিয় কবি। আলোড়ন তোলারই তো বিষয়। ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো কি আপনার তোলা নকিব ভাই?
শেষের ছবিটাতে কি যেন লেখা?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ছবি আমি তুলিনি। রওজা শরিফের আশপাশের অনিন্দ্য সুন্দর এই লেখাগুলোর মর্মার্থ প্রকাশ করে একটি পর্ব দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ, তথ্য ও অভিজ্ঞতামূল পোষ্টের জন্য।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্যও অশেষ দোআ। শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিরিজটি অসাধারন। বই আকারে প্রকাশ করতে পারেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সুপরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। বই আকারে প্রকাশ করতে হলে কিভাবে এগুতে হবে? আপনি তো আলহামদুলিল্লাহ, এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। দয়া করে আরও একটু পথ বাতলে দিলে উপকৃত হতাম। পাশাপাশি আশা রাখি, পরামর্শদাতা হিসেবে আপনিও উপকৃত হবেন ইনশা-আল্লাহ। দ্বীনি বিষয়, বিশেষত: হজ্ব এবং উমরাহ সফরে গমনেচ্ছু কেউ যদি এই লেখাগুলো পড়ে সামান্যতম ফায়দা অর্জনে সক্ষম হন, তাহলে তার একটা অংশ অবশ্যই লেখক, পরামর্শদাতা, শুভানূধ্যায়ী প্রত্যেকেই প্রাপ্য হবেন।

অনেক ভাল থাকবেন। শুভকামনা সতত:।

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
হৃদয়ে ওঠে ঝড় শিহরন হিল্লোর
নাম স্মরণে তোমার
হে প্রিয় রাসুল সালাত ও সালাম
পাক চরণে তোমার!

নাই কোন শব্দ নাই কোন ভাষা
করি তোমার গুন প্রকাশ
আবেগের কম্পন হৃদয়ে থরথর
যেন ফেটে যায় হৃদয়াকাশ!

একবার যদি একবার পাইতাম
হে প‌্রিয় রাসুল
কদমবুসি করতাম তোমার
চরণে আকুল!

চোখের জলে ধুয়ে দিতাম
চরণ তোমার
নেক নজরে রেখো অধমে
শাফায়াতের কান্ডার!

প্রথম অংশের আবেগ সেইরকম ছুঁয়ে গেল মন। যার ফল এ ক'টি চরণ।


১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন না'তে রাসূল লিখেছেন। আহ্ স্নিগ্ধতা যেন কবিতার ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে! রাসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি কবি হৃদয়ের অকৃত্রিম ভালবাসা মূর্ত হয়ে উঠেছে ছন্দের ঐকতানে! প্রায় প্রতিটি পর্বেই আপনার এমন সাক্ষাত/ উপস্থিত হৃদ্যতাপূর্ন কাব্যকথায় সিক্ত হয়ে আসছে সিরিজটি! শুকরিয়া! প্রেরনা হয়ে থেকে যাবে আপনার সরব উপস্থিতি!

মোবারকবাদ! কৃতজ্ঞতা অনি:শেষ!

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একটা লিঙ্ক দিলাম, পড়ে দেখুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/farihanmahmud/28861183
আপনার জন্য আরো ভাল হয় প্রকাশক নীলসাধু'র সাথে যোগাযোগ করলে। তিনি ব্লগারদের অনেক বই ছাপিয়েছেন।
আরেকটি কথা, বইমেলা ২০১৯ এ বের করতে চাইলে এখুনি যোগাযোগ করুন, সময় বেশি নাই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ভাই। খলিল মাহমুদ ভাইয়ের ঐ পোস্টটি অফলাইনে পড়েছি। অসাধারন। অভিভূত হয়েছি তার নিপূন ধৈর্য্য নিয়ে প্রদত্ত পোস্ট দর্শনে। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তবে তাড়াহুড়ো করাটা আমার জন্য একটু কঠিন। সে কারনে সময় নিতে চাচ্ছি কিছুটা। আশা করছি, যথাসময়ে আবারও আপনার স্মরনাপন্ন হতে পারবো মূল্যবান পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনার জন্য।

অনেক ভাল থাকবেন, প্রার্থনা।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পড়লুম।

ওখানে বাইরে নামায পড়তে গরম লাগে না??

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



বলেন কি! প্রচন্ড গরম। পরিবেশ শীতল রাখার জন্য সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি ঠান্ডা পানি স্প্রে করা হতে থাকে। তাতে কিছুটা কাজ হয়। তাঁতানো আবহাওয়া। এত যে গরম, ঘাম হয় না ওখানে একটুও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.