নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ক'দিন যাবত অনেককেই দেখেছি, অরিত্রী এবং তার বাবা মাকে দোষারোপ করে আসছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এই প্রতিবেদনের আলোকে তাদের নিকট বিনীত কিছু জিজ্ঞাসা-
১। কমিটি বলছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আখতার এবং শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অরিত্রীর বাবা-মার সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের নির্দয় আচরণ অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।
অশোভন আচরন, ভয়ভীতি প্রদর্শন কেন করা হল?
২। কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, ২ ডিসেম্বর দিবা শাখায় প্রতিষ্ঠানের ১২৮ নম্বর কক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালে আনুমানিক ৩ টা ২০ মিনিট থেকে তিনটা ২৫ মিনিটের সময় দুই পরিদর্শক অরিত্রীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। অরিত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে ওই দিনের পরীক্ষার বিষয়ের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসের অংশটুকু ছবি তোলা ছিল। এরপর দুই পরিদর্শক মোবাইল পাওয়ার পর উত্তরপত্রের সঙ্গে মোবাইলে ধারণ করা বিষয়ের কোনো মিল আছে কি না তা নিশ্চিত না হয়েই অরিত্রীকে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন ৩ ডিসেম্বর অভিভাবকসহ অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তবে কক্ষ পরিদর্শকেরা অরিত্রীকে কোনো তিরস্কারমূলক কথা বলেননি বলে ছাত্রীরা মত দেয়।
এই পয়েন্টটিতে প্রশ্ন আসে, উত্তরপত্রের সাথে মোবাইলে ধারন করা বিষয় মিলিয়ে দেখা দুই পরিদর্শকের কি উচিত ছিল না? তারা তা করেননি।
৩। ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩ ডিসেম্বর অরিত্রী অধিকারীর বাবা দিলীপ অধিকারী ও তাঁর স্ত্রী আনুমানিক ১০টায় বিদ্যালয়ে যান এবং কিছু সময় অবস্থান করার পর অনুমতি সাপেক্ষে শাখা প্রধান জিনাত আখতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জিনাত আখতার ইন্টারকমে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী ‘নকলকারীকে’ আর পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন এবং শিক্ষার্থীর বাবা-মার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। শুধু তাই নয়, অরিত্রীকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। শাখা প্রধানের সঙ্গে অরিত্রীর বাবা-মা দেখার করার সময় বাবাকে একটি ময়লা চেয়ারে বসতে বলেন। কিন্তু অসুস্থ মাকে বসতে বলেননি। অরিত্রীর মা শাখা প্রধানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংরক্ষিত আছে।
অরিত্রী পরিক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল, এটা সত্য। তবে সে যে মোবাইল দেখে তা থেকে নকল করেছে- এমন প্রমান পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও তার উল্লেখ নেই। অতএব প্রশ্ন হচ্ছে, মোবাইল বহন করার অপরাধে তার শাস্তি হতেই পারে। আমাদেরও তাতে পূর্ন সায় রয়েছে। কিন্তু এই লঘূ অপরাধে তাকে টিসি ধরিয়ে দেয়ার হুমকি কেন দেয়া হল? এবং এটা তার বাবা মাকে ডেকে এনে কেন এভাবে করা হল?
৪। শাখা প্রধানের কাছ থেকে হতাশ হয়ে তাঁরা শেষ সুযোগের আশায় অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অরিত্রীর ভুলকে স্বীকার করে তাঁর বাবা অধ্যক্ষের কাছে হাতজোড় করে শেষবারের মতো তাঁর মেয়েকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের চলমান নীতিমালা জানিয়ে বলেন, তাঁর মেয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে আগামী দিনে এসে মোবাইলসহ টিসি নিয়ে যেতে বলেন। এই ঘটনার সময় অরিত্রী ও তার মা অধ্যক্ষের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কখনো অসুস্থ মাকে বসতে বলেননি। অরিত্রী দাঁড়িয়ে তাঁর বাবা-মার অনুনয়-বিনয় ও আকুতি পর্যবেক্ষণ করার পর যখন দেখতে পায় তাঁর বাবা মায়ের আবেদন রক্ষা করা তো দূরের কথা বরং তাদের অপমান করা হচ্ছে, তখন সে বাবা-মাকে কিছু না বলে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে যায়। কিন্তু তার বাবা-মা তখনো শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে অনুরোধ করে যাচ্ছিলেন। শেষ ভরসা হারিয়ে মা বাসায় চলে যান এবং বাবা পরিচালনা কমিটির সভাপতির শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টি পুন: বিবেচনার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেন। কিন্তু কোনো সমাধান তিনি পাননি। এ ছাড়া তিনি অন্য কোনো মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন কি না সে চিন্তায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন। আনুমানিক বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে বাসা থেকে ফোনে আসে। বলা হয়, অরিত্রী বাসার কক্ষে দরজা আটকে দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অরিত্রীর বাবা বাসায় ফিরে যান এবং দরজা ভাঙতে না পেরে ভেন্টিলেটর ভেঙে দেখতে পান অরিত্রী ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়েছে। তাকে দ্রুত নামিয়ে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
অরিত্রীর ভুলকে স্বীকার করে তাঁর বাবা অধ্যক্ষের কাছে হাতজোড় করে শেষবারের মতো তাঁর মেয়েকে পরীক্ষা দিতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাকে ফিরিয়ে দেয়া হল কোন্ যুক্তিতে? এই ধরনের নির্দয় আচরন কি কোনো শিক্ষাগুরুর সাথে যায়?
৫। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় খাতায় যে উত্তর লিখেছে তার সঙ্গে জব্দ করা মোবাইলে ধারণ করা বিষয়ের সঙ্গে কোনো মিল আছে কি না তাও যাচাই করে দেখা হয়নি। তদন্তে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়েছে যে, উত্তরপত্রের সঙ্গে মোবাইলে ধারণ করা বিষয়ের কোনো মিল নেই।
পয়েন্টটি আগেই এসেছে। ৩ নং পয়েন্ট দ্রষ্টব্য
৬। শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়ার যে হুমকি দেওয়া হয়েছে তার আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ সংক্রান্ত ১৯৬১ সালের আইনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, আইনে তাৎক্ষণিক এ ধরনের কোনো শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। এই হুমকি ও শিক্ষার্থীর সামনে অপমান ও অপদস্থ করার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় অরিত্রী আত্মহননের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এ সংক্রান্ত ১৯৬১ সালের আইনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, আইনে তাৎক্ষণিক এ ধরনের কোনো শাস্তি দেওয়ার সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও কেন এমনটি করা হল, যার ফলে অবুঝ একটি মেয়েকে বেছে নিতে হল, আত্মহত্যার মত জঘন্য পথ?
৭। কমিটি বলছে এই অবস্থা এক দিনে তৈরি হয়নি। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধান (শিফট ইনচার্জ) অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান না এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সদাচরণ করেন না। হঠাৎ সাক্ষাতের সুযোগ হলেও তাঁরা অভিভাবকদের সঙ্গে চরম অশোভন আচরণ করেন বলে তদন্তকালে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কাউন্সেলিং বা মতবিনিময় না করে কথা কথায় টিসি দেওয়ার ভয় দেখান।
উদ্ধত আচরন তাহলে তাদের আদৌ নতুন কোনো বিষয় নয়! কী বলা যাবে?
৮। তদন্ত কমিটি ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত এবং এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) বন্ধ করা হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির এছাড়া আর কীইবা বলার আছে?
৯। কমিটি মনে করে, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি এই পরিস্থিতিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেনি। কমিটির মনে হয়েছে, পরিচালনা কমিটি অভিযুক্তদের রক্ষার চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান পরিচালনা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে কমিটি মনে করে।
পরিচালনা কমিটির আস্কারায় এই ধরনের শিক্ষকগন অভিভাবকদের থোরাই কেয়ার করতেন বলেই মনে হয়। ভবিষ্যত কী?
কৃতজ্ঞতা: প্রথম আলোতে প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনের সহায়তায় এই পোস্টটি লেখা হয়েছে।
ঘুরে আসতে পারেন অরিত্রীকে নিয়ে আমার আগের পোস্ট-
না ফেরার দেশে চলে যাওয়া অরিত্রী; দু:খকাতর বর্নমালার লুকানো কিছু কান্না।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ওয়াআলাইকুমুসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ।
প্রথমেই আপনার আগমনে মুগ্ধতা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনেক ভালো থাকুন।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
মুগ্ধতা, কবি ভাই।
বিষয়টি নিয়ে অনেকের একতরফা মন্তব্যগুলো দেখে দেখে বিরক্ত। সেকারনেই এই পোস্ট। অরিত্রীকে নিয়ে আগেও একটি পোস্ট ছিল।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: দারুন লিখছেন। সত্য কথা গুলি ফুটে উঠেছে...........
শুভ কামনা রইল।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্য।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: আমাদের স্কুলে একটি বাচ্চা পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে এলো এবং সে সেটা দেখে লিখছিলো। আমাদের এক টিচার সেটা দেখে সুপারভাইসরকে জানালো। বাচ্চাকে কিচ্ছু বললোনা। উনি বললেন শুধু দেখে রাখো কোন প্রশ্নটা সে লিখছে এবং তাকে এখন কিচ্ছু বলো না।
পরীক্ষার পরে শুধু সেই প্রশ্নটার মার্কস কেটে রাখা হলো। এবং কেটে রাখবার কারণ সম্পর্কে বাবা মাকে জানানো হলো। বাচ্চাটার সাথে কোনো বাজে ব্যবহার না করার উপদেশ দেওয়া হলো মাকে। বলা হলো তাকে বুঝাতে যে মোবাইল নিয়ে হলে ঢোকা রুলের বাইরে সেটা তাকে মানতে হবে। আর কেনো এই রুল তা নিয়ে বাচ্চার সাথে টিচার সুন্দর আলোচনা করলো । সে কেনো নিয়েছিলো তাতে উপকার না হয়ে কেমন অপকার হলো এখন নিজের স্কুল বলে তাকে শুধুই ঐ প্রশ্নের উত্তর কাটা হয়েছে। ও লেভেলে সেটা একেবারেই হবে না পুরো পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যাবে এসবই বুঝানো হলো। এই ঘটনা যতদূর সম্ভব ছোট পরিসরেই রাখা হলো।
একারনেই আমাদের স্কুলে বাচ্চারা, টিচারেরা এবং প্যারেন্টসরা সহাবস্থানে কমফোর্ট যোনে থাকছি।
এরজন্য প্রয়োজন টিচার্স ট্রেইনিং এবং মনিটরিং।
যাইহোক পরীক্ষার হলে মোবাইল টানাটানি মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যা একটি শিশুর সারাজীবনের ট্রমা হতে পারে। অবশ্য আমরা বা আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এমন অনেক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই বড় হয়েছেন।
যাইহোক সে যুগ হয়েছে বাসি
এখন ভেবে চিন্তেই পা বাড়াতে হবে .....
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাদের স্কুলে একটি বাচ্চা পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে এলো এবং সে সেটা দেখে লিখছিলো। আমাদের এক টিচার সেটা দেখে সুপারভাইসরকে জানালো। বাচ্চাকে কিচ্ছু বললোনা। উনি বললেন শুধু দেখে রাখো কোন প্রশ্নটা সে লিখছে এবং তাকে এখন কিচ্ছু বলো না।
পরীক্ষার পরে শুধু সেই প্রশ্নটার মার্কস কেটে রাখা হলো। এবং কেটে রাখবার কারণ সম্পর্কে বাবা মাকে জানানো হলো। বাচ্চাটার সাথে কোনো বাজে ব্যবহার না করার উপদেশ দেওয়া হলো মাকে। বলা হলো তাকে বুঝাতে যে মোবাইল নিয়ে হলে ঢোকা রুলের বাইরে সেটা তাকে মানতে হবে। আর কেনো এই রুল তা নিয়ে বাচ্চার সাথে টিচার সুন্দর আলোচনা করলো । সে কেনো নিয়েছিলো তাতে উপকার না হয়ে কেমন অপকার হলো এখন নিজের স্কুল বলে তাকে শুধুই ঐ প্রশ্নের উত্তর কাটা হয়েছে। ও লেভেলে সেটা একেবারেই হবে না পুরো পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যাবে এসবই বুঝানো হলো। এই ঘটনা যতদূর সম্ভব ছোট পরিসরেই রাখা হলো।
আপনার মূল্যবান কমেন্টে প্রথমেই অভিনন্দন।
এমন সুন্দর কালচার যদি সবখানে, সবগুলো স্কুলে, সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হতো তাহলে কতই না সুন্দর হতো।
আর এ ক্ষে্ত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, আপনি বলে দিয়েছেন- টিচার্স ট্রেইনিং এবং মনিটরিং। সম্পূর্ন সহমত।
অনেক ভালো থাকুন। শুভকামনাসহ।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
হাবিব বলেছেন: আসল কথা উঠে এসেছে............
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। মন্তব্যে আসায় ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতাসহ।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি বলতে কি ছাত্রী ও অভিভাবকদের জোড়ালো আন্দোলন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালচনার ঝড় ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে যে টুকু সুফল পাওয়া গিয়েছে সেটা হচ্ছে প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অপসারন এবং এরং অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে স্কুলের একজন সিনিয়র শিক্ষিকাকে ।
কিন্তু প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে দরকার ছিল এদের গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা। একমাত্র তাহলেই সম্ভব স্কুল প্রসাষনে দীর্ঘমেয়াদী সস্কার। কিন্তু নিরাপরাধ শিক্ষিকাকে বেয়াইনিভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়ে মুল অপরাধীদের ধরা ছোয়ার বাইরে রেখে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার এই প্রচেষ্টায় বোঝা যায় যে এখন পর্যন্ত যতটূকু পরিবর্তন হয়েছে তা সাময়িক এবং আবার কয়েকদিন পরেই স্কুল প্রসাষন ফিরে যাবে পুর্বের অরাজক অবস্থায়।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। অশেষ ধন্যবাদ।
আন্দোলন না হলে এসবের কিছুই হয়তো করা হত না। এসব স্কুলের গভর্নিং বডির লোকজনের কাহিনী রূপকথাকেও হার মানাবে মনে হয়।
কিন্তু কার গোয়াল আর কে দেয় ধুয়া।
উলটপালট করে দে মা, লুটেপুটে খাই -সমাজের অধিকাংশ বিষয়ে এই অবস্থা যে জাতির, তাদের আর কিইবা আশা করার থাকতে পারে?
অনেক ভালো থাকুন।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
নতুন বলেছেন: শিক্ষিককে কারাগারে পাঠানো ঠিক হয় নি।
তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেটার জবাব তারা দেবেন... যদি আত্নহত্যার প্ররোচনার বিষয়টা প্রমানিত হয় তবে তারা সাজা পাবেন।
আমার মনে হয় না তারা পালিয়ে যাবেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
আমারও তাই মনে হয়। একজন মাত্র চুনোপুটি শিক্ষিকাকে কারাগারে পাঠানো ঠিক হয়নি। বাকি দুইজন, যারা আসল ভিকটিম, যাদের নিকট থেকে চূড়ান্ত অপমান ও হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অরিত্রীর বাবা মাকে। মেয়ের সামনে আত্মসম্মান খুইয়েছেন শিক্ষাগুরুর হাতে। যাদের উদ্ধত আচরন অরিত্রীকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। এদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন ছিল।
পালিয়ে যাওয়া না যাওয়া কোনো ফ্যাক্টর নয়।
কে পালিয়ে যায়? ক'জন পালায়? ব্যারিস্টার মইনুল পালিয়ে যাবেন? যেতেন? আরও আরও যারা কারাগারে রয়েছেন, 'পালিয়ে যাবেন না' -তারা এই কথার নিশ্চয়তা দিলেই কি তাদের ছেড়ে দেয়া হবে?
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তদন্ত প্রতিবেদনে আসল ঘটনা প্রকাশিত হলো। তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে আমার এখনও মনে হচ্ছে, এই ঘটনার যথাযথ বিচার হবে না। যেটুকু করা হয়েছে, সেটা আইওয়াশ। ক্ষমতাবানরা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাবে।
নয়তো যেখানে অধ্যক্ষ আর শাখা প্রধান মূল দোষী, তাদেরকে বাদ দিয়ে শ্রেণী শিক্ষিকাকে বলীর পাঠা বানানো হলো কেন?
গভর্ণিং বডি-ও দেখি ধরা-ছোয়ার বাইরে!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়।
তবে আমার এখনও মনে হচ্ছে, এই ঘটনার যথাযথ বিচার হবে না। যেটুকু করা হয়েছে, সেটা আইওয়াশ। ক্ষমতাবানরা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাবে।
নয়তো যেখানে অধ্যক্ষ আর শাখা প্রধান মূল দোষী, তাদেরকে বাদ দিয়ে শ্রেণী শিক্ষিকাকে বলীর পাঠা বানানো হলো কেন?
গভর্ণিং বডি-ও দেখি ধরা-ছোয়ার বাইরে!
আপনার কথায় সহমত। কেন জানি, আমারও মনে হয়, বিচারের বানী বরাবরের মত নিভৃতে কেঁদে যাবে এখানেও। আমরা চাই, সকল ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক।
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিচার বিশ্লেষন করেছেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: সঠিক বিচার করা উচিৎ, এটি দেখে আরো হাজার শিক্ষকগণেরা শিক্ষা পাবেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।