নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
নবজাতকের কানে আজান; অন্যরকম ভাবনার একটি বিষয়:
সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথম কাজ হলো নবজাতকের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামাত দেয়া। হজরত আবু রাফে রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার ঘরে হাসান ইবনে আলি রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমা ভূমিষ্ঠ হলে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার কানে আজান দিতে দেখেছি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
নবজাতকের ডান কানে আজান আর বাম কানে ইকামত দেয়া হয়। পৃথিবীতে প্রচলিত বিধান হচ্ছে, নামাজ আদায়ের জন্য আজান এবং ইকামতের প্রয়োজন হয়। আজান এবং ইকামত দেয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে বাকি থেকে যায় শুধু নামাজ। তো প্রশ্ন আসতেই পারে, জন্মের পরপরই নবজাতকের কানে এই যে আজান কিংবা ইকামত দেয়া হল, এই আজান অথবা ইকামতের বিপরীতে কোনো নামাজ কি নেই? আর থেকে থাকলে সে নামাজ কখন আদায় করা হবে? আসলে এই প্রশ্নের উত্তর আমার নিকট মনে হচ্ছে, জন্মের পরপরই নবজাতকের কানে যে আজান কিংবা ইকামত দেয়া হয়ে থাকে, সেটারও নামাজ রয়েছে। নবজাতকের কানে আজান দেয়ার পরে সামান্য সময় অপেক্ষা করতে হয় আমাদের এবং একসময় অভিনব একটি নামাজের দৃশ্য আমরা ঠিকই প্রত্যক্ষ করি, যাকে বলা হয়- 'সলাতুল জানাযাহ' বা 'জানাজার নামাজ'। বেলাশেষে, জীবনাবসানের অব্যবহিত পরে অন্যদের এই 'সলাতুল জানাযাহ' বা 'জানাজার নামাজ' আদায় করার মাধ্যমে মূলত: জন্মের পরপরই কানে কানে শুনিয়ে দেয়া সেই আজান কিংবা ইকামতের জবাবটিই দেয়া হয়ে থাকে। আহ! ভাবনার বিষয়, জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষারও বিষয় বিচিত্র এই নিয়মের মাঝে- জন্মের পরপরই কানে আজানের একত্ববাদের সুমহান বানী শুনিয়ে দেয়া হয়েছিল যার, তার জীবদ্দশায় সে নামাজটি পড়ার সুযোগ তার আর থাকে না। সে নামাজ পড়ে নিতে হয় তাকে ছাড়াই। অন্যদের। কাছের জনদের। তারই জন্য অন্যরা সে নামাজ আদায় করেন। তাকে সামনে রেখেই। মাইয়্যিতের খাটে শুইয়ে রেখে।
আহ! মসজিদের কোনে রক্ষিত খাটিয়ায় শুইয়ে দিয়ে কবরে রেখে আসার পূর্বক্ষনে জীবনাবসানের পরে শেষ পার্থিব নামাজের অপূর্ব দৃশ্য! কি অদ্ভূত ভাবনার বিষয়! কি দারুন চিন্তার বিষয়! কি বুঝা যায় এ থেকে? আমাদের বুঝে নিতে হবে, আজান ইকামত তো হয়ে গেল, এখন বাকি রয়েছে নামাজের জন্য সকলের একত্রিত হওয়া এবং জামাআতের উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হওয়া। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়। অাজানের পরে কিছুক্ষন সময় দেয়া হয় মুসল্লীদের একত্রিত হওয়ার জন্য। যা খুবই সামান্য সময়। নবজাতকের বেলায়ও একইরকম মনে হয় বিষয়টি। তার ক্ষেত্রেও সময়ের পরিমান খুবই অল্প। এ সময়ের কোনো টাইম লিমিট নেই। নির্ধারণ করে কিছুই জানিয়ে দেয়া হয় না কাউকে। ৫, ১০ বা ২০, ৩০ কিংবা ৪০, ৫০ অথবা ৮০, ১০০ বছরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু সময়ের সমষ্টি। মাত্র এই সামান্য সময়ের অপেক্ষা। অতি ক্ষুদ্র প্রতীক্ষার সময়ের জীবন। তারপরেই জামাআতে দাঁড়িয়ে যাবেন মুসল্লীগন।
আমার কেন যেন বারবার মনে হয়, নবজাতকের কানে এই যে আজান ইকামত দেয়ার অভিনব সুন্দর পদ্ধতি, এই আজান ইকামতের মাধ্যামে, আজানের শুরুতে এবং শেষে 'আল্লাহু আকবার' তথা 'আল্লাহ মহান' শব্দ এই নতুন অতিথির কানে কানে বলে দিয়ে তাকে যেন স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে, 'হে নবাগত! তোমাকে যিনি জীবন দিলেন সেই স্রষ্টাই মহান! তাঁর চেয়ে বড় আর কেউ নেই। পার্থিব জীবনে লোভ লালসায় পড়ে তাকে ভুলে যেয়ো না। তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ো না। আর যে পার্থিব জীবনে প্রবেশ করতে চলেছো তুমি, মনে রেখো, তা বড়ই প্রলুব্ধকর, বড়ই প্রবঞ্চনাকর, বড়ই বিপদসঙ্কুল, সুতরাং ভুলে যেয়ো না তোমার আসল পথ, আসল ঠিকানা, আসল আবাস। লোভের বশিভূত হয়ে বিপথে চলে বিপদে পড়ো না। এই অল্প সময়ে, এই ক্ষুদ্রতম সময়ে প্রস্তুতি নাও দীর্ঘ-দীঘল অচেনা পারকালীন অন্তহীন পথের সফরের।'
আমরা কি পেরেছি, আমাদের জীবনের ক্ষুদ্রতা এবং সংক্ষিপ্ততা অনুমান-অনুধাবন করতে? পেরেছি কি প্রস্তুতি নিতে অন্তহীন পরকালের সফরের যাত্রী হতে?
ছবি: অন্তর্জাল।
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
তবে আমি ভালোভাবে বুঝিনি বিষয়টা... নবজাতকের জন্মের পরে আজান ও একামত দেয়ার পরে কি আমাদের নামাজ পড়তে হয়..? সেই নামাজের নিয়ম কি মানে কিভাবে করতে হয়... আরেকটা প্রশ্ন আমার। শরীর নাপাক অবস্থায় কোরান স্পর্ষ করা নিষেধ। আমরা যদি মোবাইলে কুরান তিলাওত করি সেটা কি নিষেধ, এই বিষয়ে মাসয়ালা কি..? আর বাস্তবে মানে সরাসরি কুরান তিলাওয়াত করা এবং মোবাইলে দেখে দেখে কুরান তিলাওয়া করার পার্থক্য কি..?
১. না, নবজাতকের জন্মের পরে আজান ও ইকামত দেয়ার পরে আমাদের বিশেষ কোনো নামাজ পড়তে হয় না। আমি জানাজা নামাজের কথা বলতে চেয়েছি।
২. শরীর নাপাক অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা নিষেধ -এটা সঠিক। শরীর নাপাক অবস্থায় কুরআন শরিফ মোবাইলে দেখে দেখেও তিলাওয়াত করা যাবে না। মোট কথা, শরীর নাপাক অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা এবং পাঠ করা (তা দেখে দেখে হোক কিংবা মুখস্ত হোক) উভয় কার্য থেকেই বিরত থাকতে হবে। এছাড়া মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর স্ক্রিনে কুরআন শরিফ দেখে পড়ার ফজিলত, কাগজে ছাপানো কুরআন শরিফ দেখে পড়ার ফজিলতের সমান হবে। তথা সব কিছুর বিধানই এক। তাই তা অজু ছাড়াও স্পর্শ করা যাবে না।
৩. আর বাস্তবে মানে, সরাসরি ছাপানো কুরআন শরিফ দেখে তিলাওয়াত করা এবং মোবাইলের সফটওয়্যার কিংবা পিডিএফ ফাইল অথবা ডক ফাইল ইত্যাদি দেখে দেখে তিলাওয়াত করার ভেতরে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের সামনে পরিদৃষ্ট কুরআনুল কারিম হচ্ছে মূল কুরআনের প্রতিচ্ছবি মাত্র। এ প্রতিচ্ছবি যেখানেই পরিদৃষ্ট হোক না, তা দেখে পড়া মানে কুরআনুল কারিম দেখে পড়া। এর হুকুম একই। চাই কুরআনের লিখিত রূপটি পাথরে খোদাই করা থাকুক, বা মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রীনে থাকুক, বা কোন কাগজ অথবা পাতায় লিখিত আকারে থাকুক। সব কিছুর বিধানই এক। অর্থাৎ দেখে পড়লে কুরআন দেখে পড়ার সওয়াব হবে।
৪. এছাড়া একই বিষয়ক আরেকটি মাসআলাহ হচ্ছে: কুরআনুল কারিমের সফটওয়ার ইন্সটলকৃত মোবাইল নিয়ে টয়লেটেও প্রবেশ করা যাবে না। তবে মোবাইলে থাকা কুরআন এ্যাপস যদি বন্ধ করা থাকে, তথা মোবাইল স্ক্রীনে পরিদৃষ্ট না থাকে, তাহলে উক্ত মোবাইল নিয়ে টয়লেটে প্রবেশে কোন সমস্যা নেই।
৫. এতদ্ব্যতিত 'মোবাইলে কুরআনুল কারিমের তিলাওয়াত শুনলে কি বাস্তবে স্বকন্ঠে তিলাওয়াতকৃত কুরআন শোনার মতোই সওয়াব পাওয়া যাবে কি না' -এ মাসআলাটিও জেনে রাখা ভালো। অবশ্য এই মাসআলাটি নিয়ে একটু মতানৈক্য রয়েছে, কিছু আলেম বলেছেন, টেপ রেকর্ডারে যে তিলাওয়াত হয় তা প্রকৃত তিলাওয়াতের মধ্যে পড়ে না। এ কারণে তা শুনলে সাজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয় না। যেহেতু রেকর্ডকৃত কুরআন শুনলে তিলাওয়াতে সিজদাহ ওয়াবিজ হয় না সুতরাং সাওয়াবও হবে না। আবার কিছু আলেম বলেছেন, প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে এখন সারা বিশ্বের যে কোনো কারীর কুরআন তিলাওয়াত ঘরে বসে শুনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ তিলাওয়াত শুনলে অবশ্যই সওয়াব হবে এবং সওয়াব না হওয়ার কোনো কারণ নেই। যেমন- হাদিস আমরা সরাসরি রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখে শুনিনি। আমরা কিতাব পত্রের মাধ্যমে তাঁর হাদিস পড়ছি। হাদিস এভাবে পড়ে এবং শুনে আমল করলে সওয়াব না হবার যেমন কোনো কারণ নেই, একইভাবে কুরআনুল হাকিমের তিলাওয়াত রেকর্ড করে শুনলেও একই কথা ধর্তব্য হবার কথা। আল্লাহ পাকই ভালো জানেন।
জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা খইর।
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখার বিশেষ একটি অংশ আপনার ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা।
২| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আহ্,,,,নবজাতকের কানে আযান ও ইকামত বিষয়টিকে কি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। অন্তরে গেথে গেছে আপনার লিখা। ভূমিষ্ট থেকে মৃত্যু, যে নামাযটা বাদ পরে সেই নামাযের আযান। এই ব্লগে এমন কিছু কুলাংগার আছে,,ভূমিষ্ট হওয়ার সময় হয়তো তাদের কানে আযান দেওয়া হয়নি,তাই শয়তান তাদের কানে প্রস্রাবের ফ্যাক্টরি খুলে বসেছে। এ জন্যই এসবদের কানে ভালো মন্দ আওয়াজের মাঝে কোন পার্থক্য রাখেনা।।। ভূমিষ্ট হওয়ার পর আযান আর ধর্মীয় শিক্ষাটটা তাদের বাবা মা যদি তাদেরকে দিত তাহলে কিছু কতিপয় ব্লগার ব্লগে এসে আযানের লাউড স্পীকারের বিরোধী পোষ্ট দিতো,এ সমস্ত শিক্ষত লোকেরাই মরার আগে টয়লেটে পড়ে মরে। ভালো থাকবেন নতুন নকিব। কি বলেছি আর কি বুঝাতে চেয়েছি আপনার হয়তো বোঝার বাকী থাকবেনা যখন মন্তব্যে নজর করবেন। আবার দেখা হবে হয়তো আপনার পোস্টে নয়তো আমার পোস্টে নয়তোবা কোন নাস্তিকের বিরুদ্ধে।
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দীর্ঘ আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ায়। কিছু লোক সর্বযুগে সর্বকালেই ছিলেন, আছেন এবং হয়তো থাকবেন। এরা আলো সহ্য করতে পারেন না। দ্বীন-ইসলামের অনেক বিষয়েই এদের আপত্তি। এই শ্রেণির লোকদের নিকটেই আজান কখনো অনুভূত হয় 'বেশ্যাদের খদ্দের আহবানের মত', কখনো আবার আজানের শব্দ এদের কাছে শব্দদূষণ বলে অনুমিত হয় ঠিকই, কিন্তু মাইকে গান বাদ্যের বিকট শব্দও এদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না কিংবা এদের নিকট সামান্য বিরক্তিকরও ঠেকে না। এদের জন্য কৃপা হয়। এদেরকে ঘৃণা নয় কখনোই, বরং বরাবরই শুভকামনা এবং পথপ্রাপ্তির প্রার্থনা এদের জন্য।
অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা অনি:শেষ।
৩| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে জানার আছে অনেক কিছু।
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আসলেই তাই।
ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভালো থাকুন। অনেক সুন্দর সময় কাটান।
৪| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার আগমনে কৃতার্থ। শুভকামনা জানবেন।
৫| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।
সুন্দর ও জানার মতো পোষ্ট।
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ওয়াআলাইকুমুসসালামু ওয়ারহমাতুল্লাহ।
আগমনে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। মাহে রমজানের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। আশা করছি, সার্বিক কুশলে পবিত্রতার ছোঁয়া মেশানো রমজানুল মোবারক অতিবাহিত করছেন।
আল্লাহ পাক আপনার কল্যান করুন।
৬| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন: আচ্ছা--
একামত, আজান আর জানাজার নামজ, এই তিনটা মিলে একটা সাইকেল পূর্ণ হচ্ছে। এটা জানতাম না, ভেবেও দেখি নাই এইভাবে। সুন্দর বলেছেন।
২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আসলেই ভাবনার বিষয়ই বটে! আমার নিকট বেশ কৌতুহলোদ্দীপক লাগে বিষয়টি। সেকারণেই তুলে ধরা।
বহু দিন পরে আপনার পদধূলি পড়লো বোধ হয় আমার কোনো পোস্টে। দুআসহ আন্তরিক অভিবাদন জানবেন।
৭| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে পেয়ে থাকি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম মর্জাদা দান করুন। আমিন।
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া, পুনরায় এসে সুন্দর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যাওয়ায়।
আল্লাহ পাক আপনাকে জ্ঞানে-গুনে সমৃদ্ধ করুন। রমজানুল কারিমের ফায়দা অর্জনের তাওফিক দান করুন।
৮| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১১
করুণাধারা বলেছেন: নবজাতকের কানে আজান নিয়ে আপনার অন্যরকম ভাবনা ভালো লাগলো। আমার বিশ্বাস,নবজাতকের কানে আজান দেয়া হলে তার মাথায় আল্লাহর নাম স্থায়ী হয়ে যায় আর তারপর বাকি জীবন সে আল্লাহর রাস্তা থেকে খুব একটা বিচ্যুত হতে পারে না। কিন্তু যদি অবস্থা এমন হয় যে, নবজাতকের জন্মের পরপর কোন কারনে তাকে আলাদা করে দেয়া হলো, তখন আর আযান দেয়া সম্ভব হয় না। আমি দেখেছি এমন বাচ্চা বড় হয়ে আল্লাহ ভীরু হয় না।
পোস্টে লাইক।
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন বলেছেন প্রিয় বোন। আপনার ভাবনাটাও অনেক সুন্দর এবং অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। জানি না, বাস্তবতা কতটুকু তবে জন্মের পরপরই একটি বাচ্চাকে যে ধরণের পরিবেশ-প্রতিবেশের ভেতর দিয়ে আসতে হয়, যদিও তার তখন কোনো কিছুই বুঝার বা বলার ক্ষমতা থাকে না, কিন্তু অবচেতনে স্বাভাবিকভাবেই জন্মের পর থেকে শুরু করে গোটা শৈশবে কাটিয়ে আসা সময়গুলোর একটি বিরাট প্রভাব তার জীবনে প্রতিফলিত হয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পোস্টে লাইক দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।
অনেক ভালো থাকুন।
৯| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৩২
কাতিআশা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুকরিয়া পাঠ এবং মন্তব্যে।
ভালো থাকার প্রার্থনা।
১০| ২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নকিব ভাই
বিষয়টা কখনো এভাবে ভেবে দেখিনি।
আসলেই ইসলাম ধর্ম মহান একটি ধর্ম।
মাহে রমজানের খোশ আমদেদ ও দোয়ার দরখাস্ত।
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন, আসলেই ইসলাম ধর্ম মহান একটি ধর্ম।
আপনার জন্যও মাহে রমজানের খায়ের বরকতের দুআ। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১১| ২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখার দ্বিতীয় প্যারাটা আরও পরিষ্কার করুন।
২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, কিছুটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সুন্দর লেখা, জাজাকাল্লাহ খায়ির...
তবে আমি ভালোভাবে বুঝিনি বিষয়টা... নবজাতকের জন্মের পরে আজান ও একামত দেয়ার পরে কি আমাদের নামাজ পড়তে হয়..? সেই নামাজের নিয়ম কি মানে কিভাবে করতে হয়... আরেকটা প্রশ্ন আমার। শরীর নাপাক অবস্থায় কোরান স্পর্ষ করা নিষেধ। আমরা যদি মোবাইলে কুরান তিলাওত করি সেটা কি নিষেধ, এই বিষয়ে মাসয়ালা কি..? আর বাস্তবে মানে সরাসরি কুরান তিলাওয়াত করা এবং মোবাইলে দেখে দেখে কুরান তিলাওয়া করার পার্থক্য কি..?
আপনাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছি। কিন্তু প্রশ্নগুলো অতীব প্রয়োজনীয়। জানতেই হবে যে।
নীচের লেখাটা খুব ভালো লেগেছে
এই আজান
ইকামতের মাধ্যামে তাকে যেন স্মরণ
করিয়ে দেয়া হচ্ছে, 'হে নবাগত! তোমাকে
যিনি জীবন দিলেন সেই স্রষ্টাই মহান!
তাঁর চেয়ে বড় আর কেউ নেই। পার্থিব
জীবনে লোভ লালসায় পড়ে তাকে ভুলে
যেয়ো না। তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ো না।
আর যে পার্থিব জীবনে প্রবেশ করতে
চলেছো তুমি, মনে রেখো, তা বড়ই প্রলুব্ধকর,
বড়ই প্রবঞ্চনাকর, বড়ই বিপদসঙ্কুল, সুতরাং
ভুলে যেয়ো না তোমার আসল পথ, আসল
ঠিকানা, আসল আবাস। লোভের বশিভূত হয়ে
বিপথে চলে বিপদে পড়ো না। এই অল্প
সময়ে, এই ক্ষুদ্রতম সময়ে প্রস্তুতি নাও দীর্ঘ-
দীঘল অচেনা পারকালীন অন্তহীন পথের
সফরের।'