নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামেদানের আলী সাদর গুহা - বিশ্বের অনন্য এক প্রাকৃতিক নিদর্শন

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩



ব্যতিক্রমধর্মী আলী সাদর গুহা:
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ইরানে প্রাকৃতিক অনেক বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। এই বৈচিত্রের কোনো কোনোটি একেবারেই ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম বলার কারণ হলো এ ধরনের নিদর্শন সমগ্র পৃথিবীতে বিরল। ইরানের ব্যতিক্রমধর্মী প্রাকৃতিক নিদর্শনের একটি হলো ‘গারে আলী সাদর’ বা ‘আলী সাদর’ গুহা। এই নামটি অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া।

কোথায় এটি?
ইরানের হামেদান শহর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি পাহাড়ের নীচে এই গুহাটি অবস্থিত।

গুহাটির বৈশিষ্ট্য:
হামেদানের এই গুহাটির ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্য হলো এর ভেতরে অসংখ্য লেক বা নালা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে আছে। লেকগুলো আঁকাবাঁকা। তবে লেকের পানি অসম্ভব স্বচছ। পানির কোনো রং নেই, গন্ধও নেই। স্বচ্ছতার কারণে পানির ভিতরে পাঁচ মিটার গভীর পর্যন্ত দেখা যায়। পানির স্বাদ সাধারণ মিষ্টি পানির মতোই। এর মধ্যে যে পানি তার গভীরতা হলো আট মিটার বা সাড়ে ছাব্বিশ ফুট। গুহার উচ্চতা প্রায় চল্লিশ মিটার বা এক শ’ বত্রিশ ফুট। তবে পানির এই গভীরতা সবসময় সমান থাকে না, মাঝেমধ্যে উঠানামা করে। পঞ্চাশ থেকে একশ’ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিশ থেকে চল্লিশ ইঞ্চির মতো হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে।



সাত কোটি বছরের পুরনো গুহা এটি:
গবেষকদের ধারণা, গুহাটির বয়স সাত কোটি বছরের কম নয়। প্রাচীন এই গুহাটি ১৯৬৩ সালে প্রথমবারের মতো আবিষ্কৃত হয়। তবে রহস্য অনুসন্ধানে গুহাটিতে খনন কাজ চলছে এখনো। সর্বপ্রথম হামেদানের পর্বতবাসী বা পর্বতারোহীরা এই রহস্যময় গুহাটি আবিষ্কার করেন। পাহাড়ের নীচের এই জলগুহাটির যতটুকু অংশ আবিষ্কৃত হয়েছে তার দৈর্ঘ্য প্রায় চব্বিশ কিলোমিটার। কৌতূহলী দর্শকরা পায়ে হেঁটে কিংবা নৌকা বেয়ে উপভোগ করতে পারেন গুহার ভেতরের বিচিত্র সৌন্দর্য্যে ভরা করিডোর।

যে পাহাড়ের নীচে অবস্থিত এ গুহা:
আলী সাদর গুহাটি যে পাহাড়ের নীচে অবস্থিত তার নাম ‘সরি কিয়েহ’। বাংলায় যার অর্থ- হলুদ প্রস্তর। পাহাড়টি খুব বেশি উঁচু নয়। আলী সাদর গ্রামের দক্ষিণ অংশে পাহাড়টির অবস্থান। এই পাহাড়ে আরও দুটি গুহা আছে। একটির নাম ‘সারব’ অপরটির নাম ‘সুবাশি’। আলী সাদর গুহা থেকে সাত এবং এগারো কিলোমিটার দূরে এই গুহাগুলোর অবস্থান। আলী সাদর গুহাটি সাফাভি শাসনামলে আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬২ সালে হামেদানের পর্বতারোহীরা প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করে গণমানুষের পরিদর্শনের উপযোগী করে তোলে এই গুহাটি। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এই গুহা ইরানের অন্যতম প্রাকৃতিক ট্যুরিস্ট স্পটে পরিণত হয়।

ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গেছে এই গুহায়:
সম্প্রতি আলী সাদর গুহার ভেতরে খনন কাজ চালিয়ে বেশকিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এসব নিদর্শন হিজরি চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীর বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রাপ্ত জিনিসপত্র থেকে প্রমাণিত হয় যে, সেলজুকি শাসনামলে এই গুহার ভেতর মানুষ বাস করতো। প্রাপ্ত জিনিসপত্রগুলো হলো বড়ো কলস, প্রদীপ জ্বালাবার জন্যে ব্যবহৃত পিলসূজ, এনামেল বা ধাতব এবং মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র।



এই গুহাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পানিগুহা:
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক বিস্ময়কর এই আলী সাদর গুহার উপর গবেষণা চালাবার জন্যে আসেন। তাদের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ এই গুহাটির বৈশিষ্ট্যগত স্বাতন্ত্র্যে চমৎকৃত হয়ে বলেছেন- 'আলী সাদর গুহাটি বিশ্বের অন্যান্য গুহার তুলনায় সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী এবং নিশ্চিতভাবে এই গুহাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পানিগুহা।'

দর্শকদের অন্যতম আকর্ষন এ গুহাভ্যন্তরের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ এবং দৃশ্য:
আলী সাদর গুহার ভেতরের অসাধারণ দৃশ্যাবলী, এর ভেতরের চমৎকার আবহাওয়া, সুনসান নীরবতা এতো বেশী চিত্তাকর্ষক যে, যে-কোনো পর্যটককেই আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে হামেদানের এই গুহাটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হাজার হাজার দর্শক প্রতি বছর এই গুহা দর্শনে হামেদান সফরে যান। পরিদর্শনকারীদের একটা বিরাট অংশই বিদেশি। বিশ্বের পর্যটকগণ ধীরে ধীরে অসম্ভব রহস্যময় এই পানিগুহার সাথে পরিচিত হচ্ছে।



অবাক বিস্ময়ে মহান স্রষ্টার সৃষ্টি-সৌন্দর্য্য দেখি:
যাইহোক, আলী সাদর গুহাটির ভেতরে আপনি যদি বেড়াতে যান, বিস্মিত হয়ে যাবেন। এতো সুন্দর করে, এতো শৈল্পিকভাবে গুহাটি সুসজ্জিত যে, দেখলেই মনে ভেসে উঠবে বিশ্ব স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অনুপম সৃষ্টি-সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলা চিত্র। কতভাবে, কত সুন্দর করে, কত বিচিত্রতা দিয়েই না তিনি সাজিয়েছেন এই সুন্দর ধরাকে!

ভেতরে যেভাবে যাওয়া যায়:
তো এর ভেতরে বেড়াতে গেলে আপনি বোটে যেতে পারেন। প্যাডেল বোট নিজে নিজে চালাতে পারেন, তা না হয় নৌকাচালক আপনাকে নিয়ে যাবে অপার রহস্যময় এই গুহার বিচিত্র কোণে। যেদিকেই তাকাবেন শুধু বিস্ময় আর বিস্ময় আপনাকে কর্মচঞ্চল এই পৃথিবী থেকে নতুন এক পৃথিবীতে নিয়ে যাবে। গুহার মাঝখানে আধা ঘণ্টা নৌকায় বেড়াবার পর আপনি ইচ্ছে করলে নেমে গিয়ে পায়ে হেঁটে উপরের দিকে উঠে যেতে পারেন।



গুহা থেকে ফিরে আসা যায় হেটে হেটে:
আনুমানিক পাঁচ শ’ সিঁড়ি উপরে গেলে আপনি ইচ্ছে করলে অন্য রুটে গুহামুখের দিকে ফিরে আসতে পারেন হেঁটে। হেঁটে আসতে গেলে আনুমানিক আধাঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে। এসময় আপনার কাছে মনে হবে আপনি যেন পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন। সে এক অভূতপূর্ব অনুভূতি।

পর্যটকদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় নানান সুবিধা:
স্থানীয় দর্শনার্থী এবং বিদেশী পর্যটকরা এই গুহা পরিদর্শন শুরু করেন ১৯৭৫ সাল থেকে। ১৯৯১ সালে আলী সাদর ট্যুরিজম কোম্পানি পুরো এলাকার উন্নয়নকাজ শুরু করে। বর্তমানে সেখানে হোটেল, অতিথিশালা, কাঠনির্মিত ভিলা এবং তাঁবু গাড়ার মতো প্রশস্ত জায়গা অহরহ এবং সহজলভ্য। এছাড়াও আছে বিনোদনের জন্যে সিনেমা-থিয়েটার ও খেলার মাঠ। খাওয়া-দাওয়ার জন্যে আছে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা।

আলী সাদরই সেরা:
সব মিলিয়ে আলী সাদর গুহা মনোরম একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসেবেও বিখ্যাত। এ ধরনের গুহা পৃথিবীতে খুবই বিরল। আমেরিকায় এ ধরণের একটি গুহা আছে ঠিকই, কিন্তু তার নীচে এই গুহাটির মত পানি নেই। এ ধরণের আরেকটি গুহা আছে ইন্দোনেশিয়ায়। তবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পানিগুহা হিসেবে এই আলী সাদর -এর খ্যাতি আজও অম্লান।



গুহাভ্যন্তরে দেয়ালের গা চুইয়ে পানি আসে:
আলী সাদর গুহার ভেতরে দেয়ালের গায়ে রয়েছে পিওর ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের পলেস্তারা। এগুলো চুইয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ে। আবার গুহার নীচের ফোয়ারা থেকে পানি আসে। এ দুটোই গুহার ভেতরের পানির প্রধান উৎস।

কোনো দূষণ নেই গুহা এবং গুহাভ্যন্তরে:
গুহার অভ্যন্তরীণ পরিবেশ বা দৃশ্য অসম্ভব সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কোনো রকমের দূষণ নেই ভেতরে। একেবারে সুনসান নীরবতা ভেতরে। গুহার ভেতরের কোনো কোণে যদি একটি মোম জ্বালানো হয় ওই মোমের শিখা একটুও নড়বে না।



https://landbeauties.com, পার্সটুডে, http://www.banglatribune.com এবং http://www.dailysangram.com অবলম্বনে।

ছবি: অন্তর্জাল।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,





অপূর্ব সুন্দর আর নৈসর্গিক একটি গুহার কথা জানিয়েছেন চোখকাড়া ছবি আর সাবলীল বর্ণনায়। এই গুহা সম্পর্কে আগে জানা ছিলোনা।

সৃষ্টি তো আসলেই বিস্ময়কর !

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



কিছুটা দেরিতে উত্তরে আসায় দু:খিত!

আপনার শুভাগমন এবং লাইকসহ প্রথম আন্তরিক মন্তব্য পোস্টটিকে সম্মানিত করেছে। আপনার মন্তব্যের এই উত্তরটিতে প্রিয় কা_ভা ভাইকেও অভিনন্দন জানিয়ে রাখছি- কারণ, এই পোস্টে সর্বপ্রথম লাইকটি তিনিই দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা অাপনাদের মত বিদগ্ধজনদের প্রতি।

২| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন পোস্ট। এমন গুহা প্রাকৃতিক হলে অনেক সময় লাইমস্টোন ডিসলিউশন হয়ে সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাত কোটি বছর জিওলজিক টাইম স্কেলে বেশি বড় নয় ক্ষুদ্রই বলবো তবে মানব সভ্যতার ইতিহাসের তুলনায় বেশ প্রাচীন। অনেক কিছু জানা হলো আপনার পোস্টখানি পড়ে। :)

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার আগমন এবং মূল্যবান মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। আশা করছি, কুশলে অতিবাহিত করছেন মাহে রমজানের পবিত্রতার ছোঁয়া মেশানো এই সময়গুলো।

অনেক ভালো থাকুন প্রিয় কবি।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: প্রিয় নতুন নকিব ভাই,আল্লাহর সূষ্টি কতইনা অপরূপ, বলে শেষ করার মতন না। অনেক কিছু জানতে পারলাম এ গুহা সম্পর্কে।

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক কমেন্ট রেখে যাওয়ায়। ঠিকই বলেছেন- 'আল্লাহর সৃষ্টি কতইনা অপরূপ, বলে শেষ করার মতন না।'

নিরন্তর ভালো থাকার প্রার্থনা।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটি পোষ্ট।

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার!!
ইরান যাওয়া আমার অনেকদিনের টার্গেট। একদিন যাবো ইনশাআল্লাহ। :)

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন হবে। আপনি গেলে খুবই আনন্দ হবে। এমন অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক নিদর্শন বাস্তবে স্বচক্ষে দেখার মজাই হবে আলাদা। হৃদয়-মন আপ্লুত হবে। আর অবশ্যই আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর উপস্থাপনায় পোস্ট আকারে পেয়ে আরও বিস্তারিত জানার সুযোগ হবে আমাদের।

অনেক ভালো থাকুন প্রিয় ভাই।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন !!
চমৎকার বর্ননায় তখ্যবহুল লেখা।
ভালোলাগা।

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আগমনে মুগ্ধতা প্রিয় বোন। আন্তরিক মন্তব্যে ভালোলাগা জানিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা সবসময়।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন: দারুণ ! আপূর্ব পোষ্ট !

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যি! আপনি 'দারুন', 'অপূর্ব' বলা সাধারণ কোনো বিষয় নয়।

আগমনে কৃতজ্ঞতা। লাইকসহ মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন। ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় কবি।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



গুহাটি কাজে লাগবে; যেভাবে এটম বোমা বানানোর চেষ্টা করছে, একদিন এই ধরণের গুহায় বসবাস করতে হবে।

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ওরা কবে এটম ফ্যাটম ফাটিয়ে গুহায় যাবে তার ঠিক নেই। যে অনিন্দ্য সুন্দর আকর্ষনীয় গুহা, আপনি যদি রাজী থাকেন, চলুন আমরা দু'জন গিয়ে বসবাসের সূচনা করে আসি। দারুন জায়গা চাঁদগাজী ভাই। সামনের সামার ভ্যাকেশনে যাওয়া যায় কি না, দেখুন না!

শুভকামনা আপনার জন্য।

৯| ২৩ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়াও!

দারুন এক গুহার খবর জেনে ভাল লাগলো!
আচ্ছা -এই গুহা কি কোরআনে বর্ণিত গুহাবাসীদের ব্যবহৃত গুহা?
ইতিহাসের সাথে ধর্মীয় যোগসূত্র নিয়ে কি কোন গবেষনা হয়েছে?

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছেন। আল কুরআনে অনেকগুলো গুহার কথা আলোচিত হয়েছে বিভিন্ন প্রসঙ্গে। তবে ইরানের হামেদানে অবস্থিত এই গুহার সাথে কুরআনুল কারিমে বর্ণিত কোনো গুহার যোগসূত্র পাইনি।

আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি। শুভকামনা সবসময়।

১০| ২৩ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বাহ! জানা হলো

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুভকামনা।

১১| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম এবং জানলাম B-))

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যে।

শুভকামনা সবসময়।

১২| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:২৮

বলেছেন: নতুন তথ্য জানলাম +++

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ।

লাইকসহ মন্তব্য অনুপ্রাণিত করলো। শুভকামনা সবসময়।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অপূর্ব সুন্দর আর নৈসর্গিক একটি গুহার ছবি দেখে ও ঐতিহাসিক বিবরণ পাঠে অনেক তথ্য জাানা গেল ।
এমন একটি গুহার পর‌্যটন আকর্ষনতো অবশ্যই থাকবে ।
উল্লেখ্য যে আলী কদম নামে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় একটি গুহা আছে যেটার পর‌্যটন আকর্ষন বাড়ছে।

গুহা অভিযান কাহিনী পাঠ বরাবরই আমার কাছে ভাল লাগে । আমাদের সময় নবম ও দশম শ্রেণীর ইংরেজী পাঠ্য সুচীর আওতায় Modern Adventure নামক একটি পুস্তকে গুহা অভিযান এর উপর বেশ লস্বা চওরা একটি কাহিনী বেশ ছিল । সেটি পাঠে বেশ পুলকিত হতাম । সেই থেকে গুহা নিয়ে লেখা আমাকে অভিভুত করে ।
এই সামুতেও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী এলাকায় পাহাড়ের নীচে জিনুলান গিরি গুহায় দু:সাহসিক এডভেঞ্চার বিষয়ে আমার একটি পোষ্ট আছে ।

গুহা নিয়ে আমাদের ধর্মীয় যুগসুত্রও কম নহে । হেরা গুহায় আমাদের নবিজি ( সঃ) ধ্যান মগ্ন থাকাতেই তো আমরা পেয়েছি সত্যের সন্ধান , জগত পেয়েছে সত্যের আলো, মু্ক্তির পয়গাম ।

রমজানের শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথমেই এই পোস্টে আপনার আগমনের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

আলী কদম গুহাটির কথা উল্লেখ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এটি আমাদের দেশের অনন্য প্রাকৃতিক নিদর্শন এবং অবশ্যই অন্যতম পর্যটন আকর্ষনও বটে। এটির বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করছি-

আলী কদম গুহায় যেভাবে যাওয়া যায়:
কক্সবাজার থেকে সড়কপথে চকরিয়া। এরপর আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর। পাশেই সেনা জোন। তার পাশে মাতামুহুরী নদী- যা মিয়ানমারের পাহাড় থেকে সৃষ্টি হয়ে সর্পিল গতিতে আলীকদম, লামা, চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে।

সেনা জোনের পাশে (সেতুর নিচে) মাতামুহুরী নদী থেকে ডিঙি নৌকায় এবার যাত্রা করতে হবে নদীপথে।

সেতু থেকে নৌকায় আধা কিলোমিটার গেলে তৈন নদী। এই শাখা নদীর চার কিলোমিটার গেলেই আলীর পাহাড়। নৌকা থেকে নেমে পাহাড়ের দিকে হাঁটতে হবে। দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে পানি মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিস্তৃত সবুজের বুক চিরে ভয়াকুল পিচ্ছিল পথ। এ পথে হাটতে পা এক কদম এগোয় তো দুই কদম পেছনে যায়। এভাবে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হাঁটার পরে পাওয়া যাবে আলী কদম সুড়ঙ্গের দেখা। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা দুটো উঁচু পাহাড়ের একটির মধ্যভাগে দেখা যাবে সুড়ঙ্গে ঢোকার প্রবেশমুখ। নিচ থেকে প্রবেশমুখ পর্যন্ত ওঠানামার জন্য রাখা হয়েছে একটি লোহার সিঁড়ি। সিঁড়ি ভেঙে সুড়ঙ্গের মুখে পা রাখলে আপনার মনে হতে পারে- এভারেস্ট জয় করেছি।

সুড়ঙ্গের ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। একবারে গা ছমছমে অন্ধকার। এর মধ্যে গুহার ভেতরে রয়েছে ঝাঁক ঝাঁক বাদুড়। ভয়ংকর গুহা। পুরোপুরিভাবে গুহার ভেতরে অনেক দূর যাওয়া অসাধ্য। পর্যটকরা গুহাভ্যন্তরে ৬০-৭০ মিটার পর্যন্ত গিয়ে থাকেন। এর বেশি সামনে এগোনো বিপজ্জনক। সাপসহ বন্য প্রাণী থাকতে পারে—এই আতঙ্ক ভর করে পর্যটকদের উপরে।

স্থানীয় আদিবাসীদের অভিমত, এই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৭০০ মিটারের মতো হবে। পর্যটকদের সঙ্গী হয়ে তাদের ২০০ মিটার পর্যন্ত যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানা যায়।

এই সুড়ঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি:
দুর্গম পাহাড়ে আলীর সুড়ঙ্গটি কীভাবে তৈরি হলো? কে তৈরি করলেন? কেন করলেন—এই ইতিহাস অজানা। তবে এই সুড়ঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। জানা গেল, ১৮ জন আরাকানি (মিয়ানমার) রাজা রাজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে মুসলিম উপাধি ধারণ করেন। এর মধ্যে ১৪৩৪-৫৯ খ্রিষ্টাব্দে শাসন কাজ পরিচালনা করেন রাজা মংখারি। তাঁর মুসলিম উপাধি ছিল ‘আলী খাঁন’। ১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দে রাজত্ব করেন রাজা থাজাথা। তাঁর মুসলিম উপাধি ছিল আলী শাহ। এ কারণে এলাকার নাম আলীকদম। সুড়ঙ্গের নাম আলীগুহা হতে পারে।

জনশ্রুতি আছে, ৩৬০ আউলিয়া উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছিলেন। এঁদের মধ্যে একটি অংশ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামের জয় নিশান উড়িয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে আলী নামের কোনো আউলিয়া থাকতে পারেন। যাঁর পদধূলিতে নাম হয়েছে আলীকদম বা আলী গুহা। যারা পাহাড় নদী, ঝরনা আর অরণ্য পাছন্দ করেন-তাঁদের জন্য আলীকদম অনন্য স্থান। তাহলে আর দেরি কেন? বেরিয়ে আসতে পারেন সামনের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে।

গুহা অভিযান কাহিনী পাঠ বরাবরই আমার কাছে ভাল লাগে । আমাদের সময় নবম ও দশম শ্রেণীর ইংরেজী পাঠ্য সুচীর আওতায় Modern Adventure নামক একটি পুস্তকে গুহা অভিযান এর উপর বেশ লস্বা চওরা একটি কাহিনী বেশ ছিল । সেটি পাঠে বেশ পুলকিত হতাম । সেই থেকে গুহা নিয়ে লেখা আমাকে অভিভুত করে ।
এই সামুতেও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী এলাকায় পাহাড়ের নীচে জিনুলান গিরি গুহায় দু:সাহসিক এডভেঞ্চার বিষয়ে আমার একটি পোষ্ট আছে ।


গুহা অভিযান পাঠ আপনার নিকট ভালোলাগে জেনে আনন্দিত। আমাকেও এটি দারুনভাবে অভিভূত করে। গুহা নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণ, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচীতে গুহা অভিযান এর উপর লিখিত কাহিনীর উল্লেখ করায় অনেক কিছু জানার সুযোগ হল আমাদের।

গুহা নিয়ে আমাদের ধর্মীয় যুগসুত্রও কম নহে । হেরা গুহায় আমাদের নবিজি ( সঃ) ধ্যান মগ্ন থাকাতেই তো আমরা পেয়েছি সত্যের সন্ধান , জগত পেয়েছে সত্যের আলো, মু্ক্তির পয়গাম ।

অনেক সুন্দর বলেছেন। গুহার উল্লেখ রয়েছে আল কুরআনের বেশ কিছু স্থানে বিভিন্ন প্রসঙ্গ আলোচনায়। আর হ্যা, গারে হেরা, গারে সাওর প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র স্মৃতিধন্য হওয়ায় এই গুহাগুলো তো সারা পৃথিবীর কোটি কোটি বিশ্বাসীদের হৃদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত।

আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থাবস্থায় রাখুন। দীর্ঘজীবি করুন।

১৪| ২৪ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

এ.এস বাশার বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট......এই গুহা সর্ম্পেকে আগে জানা ছিলনা। ধন্যবাদ।

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। আগমনে কৃতজ্ঞতা। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১৫| ২৬ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান প্রতি উত্তরের জন্য ।
আমাদের দেশের আলী কদম গুহায় যাওয়ার বিস্তারিত বিবরণ ও গুহাটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলাম ।
সময় সুযোগ পেলে গুহাটি দেখতে যাব ইনসাল্লাহ ।
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.