নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
space-background ছবি: অন্তর্জাল
সূরাহ আদদাহর/ আল ইনছান, আয়াত-০১ এর মর্ম অবলম্বনে-
ছিলাম না - আছি - থাকবো না
আমি তো ছিলাম না-
আমার নাম নিশানা ছিল না
অস্তিত্বের চিহ্নমাত্রও ছিল না আমার
আমি জানতাম না- আমি আসবো
পৃথিবীর কর্দমাক্ত এই পথে পথে আমি হাটবো
মাটি-পাথর-ইট-ছনের কুটুরীতে হবে আমার বসত
ক্ষনিকের-
কিছু মুহূর্তের-
কিছু কালের-
খানিক সময়ের-
আমার গর্ভধারীনী প্রিয় মাতারও জানা ছিল না- আমি আসবো
তিনিও আমাকে চিনতেন না
আমার পিতারও অচেনা ছিলাম আমি
কোলে পেয়ে তবেই তারা চিনেছেন আমাকে
চমকে উঠেছেন অদ্ভূত আনন্দে
নেচে উঠেছে তাদেরও নরম মন
অচেনা আমাকে পেয়ে শিহরিত হয়েছেন
উচ্ছ্রাস-আনন্দে তারা তখন
কেঁদে দিয়েছেন হয়তো
চুমু খেয়ে বুকে তুলে নিয়েছেন
'অচেনা মানিক' প্রাপ্তির অনির্বচনীয় সুখের আভা
তখন তাদের চোখেমুখে
আমিও তো পৃথিবীর আলো-বাতাস এই মাঠ-ঘাট
এই কোলাহল-কদর্যতা কিছুই চিনতাম না
এখানের আলো-আঁধারির এই খেলা
আমার জানা ছিল না
উঁচু নিচুর প্রভেদ আমি জানতাম না
কালোয়-ধলোয় বিভেদের কুতসিত রূপ
আমি এখানে এসে দেখেছি
আবার এই আছি-
সামান্য সময়
কিছুকাল মাত্র
খুবই অল্প কিছু মুহূর্ত
সুখ-দু:খ হাসি-কান্নার ছন্দে
বিমলিন একেকটা দিন
দিনের পরে রাতের আগমন
কুয়াশাভেজা প্রভাতের বিমুগ্ধ অবয়ব
শীত-গ্রীষ্মের অমলিন সৌন্দর্য্য
পাহাড়-নদী-ঝর্ণা-গিরি-সাগর-কাননের হাতছানি
গ্রহ-নক্ষত্র সুশোভিত আলোকিত সুনিল আকাশ দেখি
পাখিদের কলতান শুনি
শিশুদের হাসি দেখি
ফুলের পাপড়ি ছুঁই, ছুঁয়ে দেখি
তাকিয়ে দেখি-
সময়গুলো আচমকা ফুরিয়ে যায়
আমার চলে যাবার ডাক আসে
আমি ফিরে যেতে উদ্যত হই
সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে
ব্যস্তত্রস্ততায়
মুহূর্তকাল আগপিছ না করেই
আবার আমার অনন্ত গন্তব্যে যাত্রা
আমি কোথায় যাব?
কোন অচেনা পথে যেতে হবে আমাকে?
একাকি আগের মত
সঙ্গীহীন
ছিলাম না - আছি - থাকবো না
এই তো জীবন
এই তো জনম
মানব জনম
আসা যাওয়ার চিরন্তন ধারা
সময়ের মত চিরন্তন অস্থির চলমান
বহতা নদীর মত কুলুকুলু বেগে বয়ে চলা মানবজীবন
আমাদের প্রাণের পথচলা
নিত্য সাতরে চলা-
অনন্তের পথে
অসীমের দিকে-
যিনি পাঠিয়েছেন
যিনি সৃজনের অমীয় সুন্দর ধারায় সাজিয়েছেন বসুন্ধরা
নিরন্তর আমরা ছুটে চলি তাঁর দিকে
তাঁর আহবানে
তাঁর সকাশে
তাঁর সন্নিকটে
এ যেন সৃষ্টির এক ভিন্ন খেলা
এই খেলা যিনি খেলছেন তিনি কে?
কি তার পরিচয়?
তিনি এক ও একক
অদ্বিতীয় লা- শারিক
তাঁর কেউ নেই
পুত্র পরিজন নেই
পিতা কিংবা মাতা নেই
তিনি চির মহিয়ান
চিরঞ্জীব
বিশ্ব জগতের সবকিছুর একক স্রষ্টা
একচ্ছত্র অধিপতি
রাজাধিরাজ
মালিক মহিয়ান
সর্বশক্তিমান-
তাকেই যদি আপন করে নিতে পারতাম!
সংযুক্তি: আল কুরআনের সূরাহ আদদাহর/ আল ইনছান, আয়াত-০১ নং আয়াতে কারিমা অর্থসহ-
هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنسَانِ حِينٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُن شَيْئًا مَّذْكُورًا
'মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না।' -সূরাহ আদদাহর/ আল ইনছান, আয়াত-০১
Has there not been over Man a long period of Time, when he was nothing - (not even) mentioned?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ।
শুভকামনা জানবেন।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কোরানের আয়াতে বর্ণিত আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালামকে
অসাধারণ ভাবে অনুধাবন করে কাব্যিক ছন্দে প্রকাশ করেছেন।
কোরানের আয়াতকে এভাবেই অনুধবান করে সকলের নীজ
জীবনে সকল কর্ম, সকল সাধনায় হোক তার সফল প্রতিপালন ।
সুরা আদ দাহ্রের শেষ দুটি আয়াতেও রয়েছে মুল্যবান কথা
আর আল্লার ইচ্ছা ব্যতিত তোমরা কোন বিষয়ের ইচ্ছা করতে পারনা;
আল্লাহ মহাজ্ঞানী প্রজ্ঞাময়(৩০)তিনি যাহাকে ইচ্ছা,স্বীয় রহমতে দাখিল
করিয়া লন; আর অনাচরীদের জন্য যন্ত্রনাময় শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন(৩১)।
কামনা করি জগত হতে দুর হোক সকল প্রকার অনাচার।আল্লা সহায় হোন।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ প্রিয় ড: এম এ আলী ভাই। আপনার আগমন এবং আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। আপনার অসাধারণ মন্তব্যটি আরেকটি পোস্টের কারণ হয়ে গেল। আজকের নতুন পোস্টটি নিবেদনও করেছি আপনাকে। সময় পেলে আশা করি দেখে আসবেন।
অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা নিরন্তর।
আজকের নতুন পোস্টটি- সূরাহ আদদাহর/ আল ইনছান এর শেষ দু'টি আয়াত কাব্যে অনুবাদের প্রচেষ্টা
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার -------------