নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা: স্পেনের পর মাইকে আজানের অনুমতি নেদারল্যান্ডস- জার্মানির

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯



করোনা: স্পেনের পর মাইকে আজানের অনুমতি নেদারল্যান্ডস- জার্মানির

সাড়ে ৫০০ বছর পর স্পেনে প্রকাশ্যে আজান: একইপথে নেদারল্যান্ডস-জার্মানি
ক'দিন পূর্বে মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সাড়ে ৫০০ বছর পর প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি দিয়েছিল স্পেন। এবার স্পেনের দেখানো পথ হাটা শুরু করেছে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানি। এই প্রথম প্রকাশ্যে মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশ দু'টি।

মৃত্যুভয় তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ করে দিয়েছে:
মহামারি করোনা ভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে ইউরোপ। করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে স্পেনই প্রথম আজানের অনুমতি দেয়। তারা হয়তো ইসলাম নিয়ে আশাবাদী। তাদের ভেতরে ইসলাম ধর্মের প্রতি এই ভক্তি, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা কে জাগিয়েছে? এতদিন তারা তো প্রকাশ্যে উচ্চ আওয়াজে আজান সহ্য করতেন না!

প্রকাশ্যে মাইকে আজান: রাস্তায় উৎসুক মানুষ:
স্পেনের দেখাদেখি নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি তাদের দেশে অবস্থিত মসজিদগুলো থেকে মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়ার অনুমতি দেয়। ফলে জার্মানির ৫০টিরও বেশি মসজিদে এবারই প্রথম মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়া হয়। হঠাৎ মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান শুনে মসজিদের আশপাশের অসংখ্য উৎসুক মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

নিষেধাজ্ঞার দেয়াল ভেঙ্গে দিল করোনা আতঙ্ক :
জার্মানির সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে একত্রিত হওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে। দেশটির মুসলমানদের তথ্য মতে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে নিজেদের মনোবল চাঙা করতেই মসজিদে মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি দেয় দেশটি। এমনিতে দেশটিতে মাইকে আজান দেয়ার ওপর রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। বাহ্যিকভাবে এসব দেশ তাদের নীতি আদর্শ এবং কাজকর্ম দ্বারা ইতোপূর্বে যদিও ইসলাম ধর্ম এবং ধার্মিক মুসলিমদের প্রতিপক্ষ মনে করে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে আসছে তবু করোনার এই সময়ে তাদের দেশের মসজিদগুলোতে প্রকাশ্য মাইকে জানের অনুমতিদান চিন্তাশীলদের নিশ্চয়ই ভাবনার খোঁড়াক যোগায়।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

পলাতক মুর্গ বলেছেন: নসিহত করার জন্য মৃত্যুই যথেষ্ট।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: স্পেনের ঘটনাটা কি ২০১৭ সালের?? যদি ২০১৭ সালের হয়ে থাকে তাহলে করোনার সাথে এর জোড়া লাগানোর কোন হেতু আছে কি?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাগত আপনাকে।

দয়াপূর্বক দেখুন-

https://www.google.com/amp/s/www.bd-pratidin.com/amp/coronavirus/2020/04/05/517875

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবাই মনে করছে আকাশে সমাধান ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। বিড়াল গাছে কিন্তু এমনি এমনি ওঠে না।

ইতালির প্রধানমন্ত্রীও তো কয়েকদিন পূর্বে আকাশের মালিকের দিকে হাত তুলে বলেছিলেন- এই মহামারির হাত থেকে বাঁচানোর তিনি ছাড়া আর কেউ নেই।

শুভকামনা।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: স্পেন নেদারল্যান্ড বাদ নিজের দেশে নামাজ রোজার অবস্থা কি সেটা বলেন??

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদের দেশের অবস্থা আর কি বলবো! প্রতিটি মসজিদে আগের তুলনায় অনেক বেশি মুসল্লি বেড়ে গিয়েছিল। এর কারণ হয়তো তারা বিশ্বাস করেন যে, রোগ মহামারি যিনি দেন, তিনিই এগুলো দূর করবেন। তবে তাদের জানার ভেতরে কিছু ঘাটতি রয়েছে। তারা হয়তো জানেন না, মহামারির সময়ে ইসলামের কি নির্দেশনা রয়েছে।

এই মুহূর্তে নামাজের জামাআত, তাবলীগ জামাআত, দোয়া মাহফিলসহ সব ধরণের লোকসমাগম এড়িয়ে চলাই ইসলামের নির্দেশ। আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রহ.) মহামারি সম্পর্কে তার অনবদ্য গ্রন্ত্র ‘বিযলুল মাউন ফি ফাযলুত ত্বাউন’ এ দু'টি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।

প্রথম ঘটনাঃ দামেস্কে একবার মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন তারা হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেছিলেন। আগে প্রতিদিন ৫০ জন করে মারা যেত দোয়া মাহফিলের পর হাজার মানুষ মারা যেতে লাগল।

দ্বিতীয় ঘটনাঃ একইরকমভাবে ৮৩৩ হিজরি সনে মিশরের রাজধানী কায়রোতে ব্যাপক আকারে মহামারি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সেই মহামারির হাত থেকে বাঁচতে কায়রোবাসী সকলে তিন দিন রোযা রেখে মরুভূমিতে গিয়ে দোয়া করেছিলেন। কিন্তু এই সম্মিলিত দোআ এবং জমায়েতের ফল হল হিতে বিপরীত। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দৈনিক হাজারে পৌঁছে গেল।

দোয়া মাহফিল ভালো নি:সন্দেহে। কিন্তু মহামারির সময় ঘরে অবস্থান করা ইসলামের নির্দেশ। আর এ কারণে ভয়াবহ ‘আমওয়াস’ মহামারির সময় আমর বিন আস (রা) বললেন- ‘হে লোকসকল, এ মহামারি হল আগুনের মত। যখন আসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই তোমরা পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়। তখন সকলে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেককে এখন সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরমুখী হতে হবে এবং ঘরকে মসজিদে রূপান্তর করতে হবে।

বিপরীতে মুষ্টিমেয় লোক, যারা সুস্থাবস্থায়ও ভুল করে মসজিদমুখী হতেন না, তারা মসজিদে জামাআত সীমিত আকারে দেখে খুশি হলেও হতে পারেন। তাদের জন্য শুভকামনা আমাদের।

আল্লাহ পাক এই মহামারি থেকে সকলকে নিরাপত্তা দান করুন।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৫

আধাপাগল বলেছেন: রাজীব নুর ভাইকে ভগবানের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হোক। তার উপদেশ মোতাবেক ভগবান তার কাজ কর্ম পরিচালনা করবে। রাজীব নুর ভাই যতটুকু বুঝে ও জ্ঞান রাখে, ভগবানেরও এত জ্ঞান নাই। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টও এমনটা দাবী করেছে। লিংক- https://www.bbc.com/news/world-asia-44610872

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, সবার জন্য দুআ চাই।

আপনার জন্য শুভকামনা।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: স্প্যানীয়রা যে বর্বর হত্যাকান্ড ও ধর্মান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রানাড থেকে মুসলিম সভ্যতা ধ্বংস করেছিলো, ইতিহাসে তার দ্বিতীয় কোনো নজির নাই।
আজ তাদের কান্ড দেখে ভূতের মুখে রাম-নাম প্রবাদ মনে পড়ছে।
১৯৯৬ বিটিভিতে প্রচারিত Réquiem from Granada টিভি ধারাবাহিকে এর সামান্য দেখানো হয়েচে।
বিস্তারিত জানতে চাইলে পড়েন https://en.wikipedia.org/wiki/Granada_War

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ গুড নিউজ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া।

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: নামাজ পড়ে কি এই রোগ থেকে বাচা যাবে? কোনো বিজ্ঞানী কি এই কথা বলেছেন?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি কি বলেছি যে, নামাজ এই রোগের ওষুধ?

তবে একথা ঠিক, রোগ যিনি দেন সুস্থতা প্রদানের ক্ষমতা নিশ্চয় তার রয়েছে। তিনি চাইলে বিনা ওষুধে কাউকে সুস্থ করতে পারেন। আবার কাউকে অসুস্থতা ছাড়াও মৃত্যু দিতে পারেন।

আমি বিজ্ঞানের পক্ষে। কিন্তু বিজ্ঞানই যে শেষ ভরসা নয় এই কথাটাতে দৃঢ় বিশ্বাসী। বিজ্ঞান অনেক কিছুর কুলকিনারা আজও করতে পারেনি। পারবেও না। এই যে 'পারবেও না' বললাম, এটা কিন্তু আমার কথা নয়, এটা আল কুরআনের আয়াতের মর্মার্থ।

আপনি বিজ্ঞান খুঁজে মৃত্যুর কোনো রহস্য পেয়েছেন কি না যদি দয়া করে জানাতেন!

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো সংবাদ। আল্লাহ সবাইকে হেদায়া দান করুণ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দান করুণ। আমিন।

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ।

শুকরিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.