নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে কাটাবো পবিত্র মাহে রমজান : রোজার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসায়েল, যা জেনে রাখা ভালো সকলেরই

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

ছবি: অন্তর্জাল।

কিভাবে কাটাবো পবিত্র মাহে রমজান : রোজার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসায়েল, যা জেনে রাখা ভালো সকলেরই

মাসের নাম রমজান যে কারণেঃ
'রমজান' বা ‘রামাদান’ শব্দটি আরবি ‘রামদুন’ মূলধাতু থেকে উদ্ভূত। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দহন, প্রজ্বলন, জ্বালানো বা পুড়িয়ে ভস্ম করে ফেলা। রমজান মাসে সিয়াম সাধনা তথা রোজা পালনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষ নিজের সমুদয় জাগতিক কামনা-বাসনা পরিহার করে আত্মসংযম ও কৃচ্ছ্রপূর্ণ শান্তিময় জীবনযাপন করে এবং ষড়রিপুকে দমন করে আল্লাহ তাআ'লার একনিষ্ঠ অনুগত বান্দা হওয়ার সামর্থ্য অর্জন করে। মাহে রমজান মানুষের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় অহংকার, কুপ্রবৃত্তি, নফসের দাসত্বকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় বলে এ মহিমান্বিত মাসের আরবি নাম ‘রামাদান’।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন। ২য় হিজরীর শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে সংযমী হতে পারো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

রোজা কি?
আমাদের দেশে ব্যাপক ব্যবহারের ফলে 'রোজা' শব্দটি অতি পরিচিত হলেও মূলতঃ 'রোজা' শব্দটি ফারসি । আরবিতে রোজাকে বলা হয় 'সওম'। 'সওম' এর বহুবচন 'সিয়াম'। 'সওম' বা 'সিয়াম' এর বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হল আল্লাহ তাআ'লার নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা।

রমজানের ফজিলত ও বরকত পরস্পরকে জানিয়ে দিতে হবেঃ
রমজানের ঠিক আগে আগেই রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের ফজিলত এবং বরকত সম্পর্কে সাহাবিদের জানিয়ে দিতেন। এ সম্পর্কে অনেকগুলো হাদিস রয়েছে। একটি হাদিস উল্লেখ করছি। রাসুল রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজান বরকতময় মাস। এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে এমন একটি মহিমান্বিত রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রষ্ঠ।’ (মুসলিম।)

আড়ম্বরহীন হতো রাসূলে পাক রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোজাগুলোঃ
জাকজমকহীন অনাড়ম্বর রোজা পালন করতেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহারি ও ইফতার ছিল সাধারণের চেয়েও সাধারন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। ভেজা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। ভেজা কিংবা শুকনো খেজুর কোনটাই না পেলে কয়েক ঢোক পানিই হত তাঁর দিয়ে ইফতার।’ (তিরমিজি।)

সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করা সুন্নাতঃ
রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করতে পছন্দ করতেন। ইফতারে দেরি করা তিনি পছন্দ করতেন না। তেমনিভাবে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহারিও ছিল খুব সাধারণ। তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেরি করে একেবারে শেষ সময়ে সেহরি খেতেন। সেহরিতে তিনি দুধ ও খেজুর পছন্দ করতেন। সেহরিতে সময় নিয়ে কঠোরতা করা তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করতেন না।

রমজানে বেশি বেশি ইবাদত করাও সুন্নাতঃ
অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদতের পরিমাণ বেড়ে যেত। বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবাহিত বাতাসের মত দান করতেন। রমজানে রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবরাইল (আ.) কে কোরআন শুনাতেন। আবার জীবরাইল (আ.) রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোরআন শুনাতেন।

রমজানে কিভাবে সময় কাটাতেন প্রিয় নবীজিঃ
রমজানের রাতে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব কম সময় বিশ্রাম নিয়ে বাকি সময় নফল নামাজে কাটিয়ে দিতেন। নির্ভযোগ্য হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিন সাহাবিদের নিয়ে ২০ রাকাআত সালাতুত তারাবিহ পড়েছেন। চতুর্থ দিন থেকে তিনি ঘরে আর সাহাবিরা বাইরে নিজেদের মতো নামাজ পড়তেন। খলিফা ওমর (রা.) এর সময় জামাতে তারাবিহ পড়ার প্রচলন হয়। আমাদের দেশে রমজান এলেই তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়, যা মোটেই কাম্য নয়। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভাষায়, তার সঙ্গী সাথী সাহাবায়ে কিরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম ছিলেন সত্যের মাপকাঠি। তারা সম্মিলিতভাবে ২০ রাকাআত তারাবিহ নামাজ আদায়ের যে জামাআত চালু করেছেন আজও পবিত্র দুই হারামাইন তথা মক্কার বাইতুল্লাহ এবং মদিনাতুল মুনাওয়ারাহর মসজিদে নববীসহ বিশ্বের সকল দেশের কোটি কোটি মুসলমানের আমলের মাধ্যমে তা অব্যহত রয়েছে। মহান সাহাবিগণের চেয়ে আমলে আখলাকে পরহেযগারিতে অধিক উচ্চতাসম্পন্ন কেউ যদি তারাবিহ নামাজের জামাআত কিংবা রাকাআত নিয়ে অহেতুক ঝগড়া করতে ইচ্ছুক হন, তাদের সাথে আমরা কোনোভাবেই ঝগড়ায় জড়াবো না। সর্বোপরি আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তারাবিহ সুন্নাত নামাজ। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হারাম। সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করার অধিকার আমাদের কারো নেই।

ইতিকাফ গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতঃ
শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিয়মিত আমল ছিল। এটা রমজানের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। ইতিকাফে কদরের রাত তালাশ করাই মূল উদ্দেশ্য। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, শেষ দশকে আমাদের মসজিদগুলো মুসল্লিশূন্য হয়ে যায়। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাওয়ালের চাঁদ দেখে রোজা ছাড়তেন। একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়, শাওয়ালের পহেলা রাত খুবই বরকতময়। এ রাতে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবিগণ ইবাদত বন্দেগী করে কাটিয়ে দিতেন। আমাদেরও উচিত তাদের মত ইবাদতময় জীবন গড়ে তোলা।

রমজানকে স্বাগতম জানিয়ে প্রিয়নবীর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভাষণঃ
মাহে রমজানকে স্বাগতম জানিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাবে তা সংগৃহীত রয়েছে খুব নিখুঁতভাবে। পাঠকদের জন্য মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঐতিহাসিক ভাষণটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিশিষ্ট সাহাবি হযরত সালমান ফারসি (রা.) হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভাষণটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার শাবান মাসের শেষ দিন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য এক গুরুগম্ভীর ভাষণ প্রদান করলেন। ওই ভাষণে প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে লোক সকল! তোমাদের উপরে এক মহান মাস! এক কল্যাণময় মাস! ছায়া বিস্তার করছে। এটা এমন এক মাস, যাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য এ মাসের রোজাকে ফরজ করেছেন এবং রাতে (সালাতুত তারাবি) নামাজ পড়াকে নফল করেছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় একটি সুন্নাত বা নফল কাজ করবে, আল্লাহ তাকে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করার সমান সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ পালন করবেন, অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ পালনের সওয়াব তার আমলনামায় আল্লাহতায়ালা লিখে দিবেন।

এটা পরস্পরিক সহানুভূতির মাস। এটা ঐ মাস যাতে মুমিন ব্যক্তির রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে এটা তার পক্ষে তার গুনাহ সমূহের জন্য ক্ষমা স্বরুপ হবে এবং তার নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। আর তাকে রোজাদারের সমান সাওয়াব দান করা হবে এতে তার সাওয়াব হতে কিছুই কমানো হবেনা।

হাদীস বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি এমন সামর্থ রাখে না যা দ্বারা রোজাদারকে ইফতার করাতে পারে। তখন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তায়ালা এ সাওয়াব ঐ ব্যক্তিকেও দান করবেন যে কোন রোজাদারকে এক ঢোক দুধ দ্বারা, একটি খেজুর দ্বারা অথবা এক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করাবে। যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে পরিতৃপ্তির সাথে ভোজন করায় আল্লাহ তায়ালা তাকে হাউজ কাউসার হতে পানীয় পান করাবেন। ফলে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। এটা এমন একটি মাস যার প্রথম অংশ রহমত, মধ্য অংশ ক্ষমা আর শেষ অংশ জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভের মাস। যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের অধিনন্তদের কর্মভার হালকা করে দিবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করবেন। (বায়হাকি শরিফ এবং মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নম্বর : ১৮৬৮।)

এ হাদিসে প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বলেছেন যেনো তার উম্মত রোজা সম্পর্কে আরো বেশি আগ্রহী এবং উদ্যমী হয়। আমরা যেনো বেশি বেশি সুন্নাত-নফল এবং ফরজ ইবাদত করে মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিল করতে পারি- এ বিষয়ে আমাদের আরো বেশি যত্মশীল হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মাহের রমজানের পূর্ণ ফয়েজ এবং বরকত দান করুন।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন মাসআলা জানারঃ
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন মাসআলা জানার। ফরজ বিধান এই রোজা সঠিকভাবে পালন করতে হলে জানতে হবে কোন অবস্থায় রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়, আবার কোন অবস্থায় রোজা ভঙ্গ হয় না। অর্থাৎ রোজার যাবতীয় বিধি-বিধান জানা একজন মুমিনের অবশ্য কর্তব্য। তাই রোজার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক মাসয়ালা-মাসায়েল উপস্থাপন করছি-

এক. ইনজেকশন (Injection):
ইনজেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (জাওয়াহিরুল ফতওয়া)

দুই. ইনহেলার (Inhaler):
ইনহেলার দিয়ে মূলত: শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ঔষধ স্প্রে করে মুখের ভিতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এভাবে মুখের ভিতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ইমদাদুল ফতওয়া)

তিন. এনজিওগ্রাম (Angio Gram):
হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়া দিয়ে কেটে বিশেষ রগের ভিতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিওগ্রাম। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরনের ঔষধ লাগানো থাকে, তারপরেও রোজা ভাঙ্গবে না।

চার. এন্ডোসকপি (Endos Copy):
চিকন একটি পাইপ, যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলিতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এই নলে যদি কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের ভিতর দিয়ে পানি/ ঔষধ ছিটানো হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, আর যদি কোন ঔষধ লাগানো না থাকে তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

পাঁচ. লেপারোসকপি (Laparoscopy):
শিক জাতীয় একটি যন্ত্র দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভিতরের কোন অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এতে যদি ঔষধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে অন্যস্থায় রোজা ভাঙ্গেব না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)

ছয়. অক্সিজেন (OXzgen):
রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

সাত. মস্তিষ্ক অপারেশন (Brain Operation):
রোজা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)

আট. রক্ত নেয়া বা দেয়া:
রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে বা শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভাঙ্গবে না। (আহসানুল ফতওয়া)

নয়. সিস্টোসকপি (cystoscop):
প্রসাবের রাস্তা দিয়ে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় এর দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। (হেদায়া)

দশ. প্রক্টোসকপি (proctoscopy):
পাইলস, অর্শ, ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোসকপি বলে। মলদ্বার দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে ব্যথা না পায় সে জন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন জাতীয় কোন পিচ্ছিল বস্তু ব্যবহার করা হয়। নলটি পুরোপুরি ভিতরে প্রবেশ করে না। চিকিৎসকদের মতানুসারে ঐ পিচ্ছিল বস্তুটি নলের সাথে মিশে থাকে এবং নলের সাথেই বেরিয়ে আসে, ভেতরে থাকে না। আর থাকলেও তা পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে। যদিও শরীর তা চোষে না কিন্তু ঐ বস্তুটি ভিজা হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ফতওয়া শামী)

এগারো. কপার-টি (Coper-T):
কপার-টি বলা হয় যোনিদ্বারে প্লাস্টিক লাগানোকে, যেন সহবাসের সময় বীর্যপাত হলে বীর্য জরায়ুতে পৌঁছাতে না পারে। এ কপার-টি লাগিয়েও সহবাস করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কাযা কাফফারা উভয়টাই ওয়াজিব হবে। (দেখতে পারেন মুফতি তাকি ওসমানির রমজানের ৩০ টি মাসআলা)

বারো. ডি এন্ড সি (Dilatation and Curettage):
ডায়লেশন অ্যান্ড কিউরাটেজ (ডি অ্যান্ড সি) হল একটি ছোট সার্জিক্যাল প্রসিডিওর। এই প্রসিডিওরে সারভিক্স পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে গর্ভাশয় বা ইউট্রাইন লাইনের পাশে কোনও ক্ষত আছে কিনা সেটাও দেখা হয়। গর্ভধারণের আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে এই পন্থা গ্রহনের মাধ্যমে জীবিত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসা। এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে। অযথা এমন করলে কাযা কাফফারা উভয়টি দিতে হবে এবং অবশ্যই এই কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ফিরে আসতে হবে। (হেদায়া)

তেরো. এম আর (M.R):
এম আর হল গর্ভ ধারণের পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এম আর সিরিঞ্জ প্রবেশ করিয়ে জীবিত কিংবা মৃত ভ্রণ নিয়ে আসা। যার পর ঋতুস্রাব পুণরায় হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে। কিন্তু যদি রাতের বেলা করা হয় তাহলে দিনের রোজা কাযা করতে হবে না। (ফতহুল কাদীর)

চৌদ্দ. স্যালাইন (Saline):
স্যালাইন নেয়া হয় রগে, আর রগ যেহেতু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়, তাই স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না, তবে রোজার কষ্ট লাঘবের জন্য স্যালাইন নেয়া মাকরূহ। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম)

পনেরো. টিকা নেয়া (Vaccine):
টিকা নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, টিকা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তায় ব্যবহার করা হয় না। (দেখতে পারেন মুফতি তাকি ওসমানির ৩০ টি মাসআলা)

ষোল. ঢুস (Douche):
ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভিতরে প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য স্থান। (ফতওয়ায়ে শামী)

সতেরো. ইনসুলিন গ্রহণ করা: (Insulin):
ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

আঠারো. দাঁত তোলা:
রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েজ আছে। তবে অতি প্রয়োজন না হলে এমনটা করা মাকরূহ। ঔষধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুথু থেকে বেশি অথবা সমপরিমাণ রক্ত যদি গলায় যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (আহসানুল ফতওয়া)

উনিশ. পেস্ট, টুথ পাউডার ব্যবহার করা:
রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ। কিন্তু গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

বিশ. নাইট্রোগ্লিসারিন (Nitro Glycerin):
এরোসল জাতীয় ঔষধ, যা হার্টের জন্য দুই-তিন ফোটা জিহ্বার নিচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে। ঔষধটি শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ঔষধের কিছু অংশ গলায় প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব- এতে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)

একুশ. কানে ঔষধ প্রদান করা :
কানে ঔষধ, তেল ইত্যাদি ঢুকালে রোজা ভেঙে যাবে। তবে গোসল করার সময় অনিচ্ছায় যে পানি কানে ঢুকে তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন পানি গলায় না চলে যায়। (মাকালাতুল ফিকহিয়া)

বাইশ. চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করা :
চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করার দ্বারা রোজা ভাঙবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় অনুভব হয়। (হেদায়া)

তেইশ. নাকে ঔষধ দেয়া :
নাকে পানি বা ঔষধ দিলে যদি তা খাদ্যনালীতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা করতে হবে। (ফতওয়া রাহমানিয়া)

চব্বিশ. ডায়াবেটিসের ‍সুগার মাপার জন্য রক্ত নিলেঃ
ডায়াবেটিসের ‍সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোটা রক্ত নেয়া হয়, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

পচিশ. আলট্রাসনোগ্রাম (Ultrasongram):
আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় যে ঔষধ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সবই চামড়ার উপরে থাকে, তাই আলট্রাসনোগ্রাম করলে রোজা ভাঙবে না। (হেদায়া)

ছাব্বিশ. মেসওয়াক করা :
শুকনা বা কাঁচা মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। চাই যখনই করা হোক না কেন। (ফতওয়া শামী)

সাতাশ. মুখে ঔষধ ব্যবহার করা :
মুখে ঔষধ ব্যবহার করে তা গিলে ফেললে বা ঔষধ অংশ বিশেষ গলায় প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যাবে। গলায় প্রবেশ না করলে রোজা ভাঙবে না। (ফতওয়া শামী)

আটাশ. রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে:
রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে খুব বেশি পরিমাণে রক্ত দেয়া যার দ্বারা শরীরে দুর্বলতা আসে, তা মাকরূহ।

উনত্রিশ. সিরোদকার অপারেশন (Shirodkar Operation):
সিরোদকার অপারেশন হল অকাল গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জরায়ুর মুখের চতুষ্পার্শ্বে সেলাই করে মুখকে খিচিয়ে রাখা। এতে অকাল গর্ভপাত রোধ হয়। যেহেতু এতে কোনো ঔষধ বা বস্তু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি স্থানে পৌঁছে না তাই এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না।

ত্রিশ. নকল দাঁত মুখে রাখা:
রোজা রেখে নকল দাঁত মুখে স্থাপন করে রাখলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। (ইমদাদুল ফতওয়া)

কৃতজ্ঞতাঃ
বিশ্ববরেণ্য আলেম জাস্টিস মুফতি মুহাম্মদ তাকি ওসমানি দামাত বারাকাতুহুর লেখা থেকে সহযোগিতা নেয়ার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।

শেষের প্রার্থনাঃ
মাসআলাগুলো জানা থাকলে কোনো পরিস্থিতিতে কাজে লেগে যেতে পারে। সকলের কল্যান কামনা করছি। পবিত্র মাহে রমজানের রহমত, বরকত এবং ক্ষমা আল্লাহ পাক আমাদের সকলের নসিব করুন। রমজানের বরকতে করোনা নামক ভাইরাসের কবল থেকে পৃথিবীবাসী সকল মানুষকে আল্লাহ পাক রক্ষা করুন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাই ইসলাম নিয়ে লিখেছেন । পড়ে ভালো লাগলো। ইসলাম অতীত এবং আধুনিক হতে যাবে কেন। যেসব উপসর্গ করলে রোজা হবে না তা অতীতেও ছিল এবং এখনো আছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো কথা বলেছেন। আচ্ছা, সহজভাবে নিলে এটার ব্যাখ্যা আছে। যাক, আপনার পরামর্শ কি? আমি কি পোস্টের শিরোনামটা পাল্টে দিব?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি একটা সময়ে এসে আবিষ্কার হয়েছে। যেগুলো ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় ছিল না। যেহেতু বিষয়গুলো তখন ছিল না, বিজ্ঞানের আশির্বাদে পর্যায়ক্রমে এসেছে, তাই সেগুলো বুঝাতেই 'আধুনিক' শব্দটি ব্যবহার করেছি। ইসলাম তো সবসময়ই আধুনিক, সর্বাধুনিক, সতত আধুনিক। কিয়ামত পর্যন্ত থেকেও যাবে ইনশাআল্লাহ।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার আপত্তিকে গ্রহন করে শিরোনামটা পাল্টে দিলাম।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনার ভালো করুক।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আপনার জন্যও একই দুআ।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Thank you dear brother

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



পুনরায় ফিরে এসে মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকার দুআ।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সওমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করেছেন, আশাকরি এটা অনেকের উপকারে আসবে। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা আপনাকে এর জন্য উত্তম বিনিময় দান করুন!
সব দানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দান হচ্ছে জ্ঞানের আদান প্রদান করা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরান। আলহামদুলিল্লাহ। আপনার আগমন এবং পোস্ট মূল্যায়নে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

একটি চমৎকার কথা বলেছেন- সব দানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দান হচ্ছে জ্ঞানের আদান প্রদান করা।

আপনার উপরোক্ত সুন্দর কথাটির সমর্থনে একটি হাদিস মনে পরলো। বায়হাকীর এক হাদিসে এসেছে- আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল সে, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করলো, অতপর তা ছড়িয়ে দিলো। (বায়হাকী)

আল্লাহ পাক পরিবার পরিজন সকলকে নিয়ে আপনাকে কল্যানে রাখুন।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১২

জাফরুল মবীন বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, প্রিয় ভাই, সুন্দর দুআ রেখে যাওয়ায় শুকরিয়া। একই দুআ আপনার জন্যও।

পরিবার পরিজন সকলকে নিয়ে আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্বাস্থ্যে ভালো রাখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.