নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইলাতুল কদর: রহমতের বৃষ্টিঝরা মহিমান্বিত এক রাত....

১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৪০

ছবিঃ অন্তর্জাল।

লাইলাতুল কদর: রহমতের বৃষ্টিঝরা মহিমান্বিত এক রাত....

ইসলামী জীবনাচারে অভ্যস্ত এবং ইসলামী আকিদায় বিশ্বাসী মুমিনদের জন্য শবে কদর অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত অসাধারণ একটি রাত। এ রাতের মর্যাদা এবং গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা কুরআন মজিদে একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাজিল করেছেন। অন্য কোনো রাত, দিন কিংবা মাসের ফজিলত বর্ণনায় পূর্ণাঙ্গ কোন সূরা নাজিল হয়নি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন,

إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ

‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি মহিমান্বিত রাতে। আর আপনি কি জানেন, মহিমান্বিত রাত সম্বন্ধে? মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ অর্থাৎ, জিবরাইল আলাইহিস সালাম অবতীর্ণ হন, প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সে রাত ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ -সূরা কদর

শাব্দিক অর্থে লাইলাতুল কদরঃ
'লাইলুন' আরবি শব্দ। অর্থ রাত। আর আমরা যে বলি শবে কদর। এই 'শব' টি হচ্ছে ফারসি শব্দ। এর অর্থও রাত। কদর অর্থ সম্মান। এই রাতটি অত্যন্ত সম্মানিত এবং বৈশিষ্ট্যময় হওয়ায় একে শবে কদর বলা হয়। কদরের অন্য একটি অর্থ হল তকদীর।

যে কারণে আমাদের শবে কদর প্রদান করা হয়েছেঃ
এক দিন রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনি ইসরাইলের চারজন নবীর কথা বললেন, যারা আশি বছর পর্যন্ত নিরলসভাবে আল্লাহ পাকের ইবাদতে মশগুল ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে এক মুহূর্তের জন্যও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার হুকুমের বরখেলাফ করেননি। এই চারজন নবী হলেন হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম, হযরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম, হযরত হিজকিল আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইউশাবিন নুন আলাইহিস সালাম। সাহাবায়ে কেরাম একথা শুনে খুবই আশ্চর্যান্বিত হলেন।

হযরত ইবনে জবীর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু অপর একটি ঘটনা এভাবে বর্ণনা করেন যে, বনি ইসরাইলের জনৈক আবেদ সমস্ত রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং সকাল হলেই জেহাদের জন্য বেরিয়ে পড়তেন, তিনি এক হাজার মাস পর্যন্ত এভাবে কাটিয়ে দেন। এসব কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়লেন যে, তাদের পক্ষে এত ইবাদত করা সম্ভবই না। কারণ, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, 'আমার উম্মতের অধিকাংশই ৬০-৭০ বছরের মধ্যেই ইন্তেকাল করে যাবে।'

কাজেই তাদের সমান বয়স এই উম্মতের না থাকার কারণে এত ইবাদত করা সম্ভব নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা সূরা কদর নাজিল করে সাহাবায়ে কেরামকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন।

যা নিহিত রয়েছে কদরের রাতেঃ
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইরশাদ করেন,

لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ

‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ অর্থাৎ এক হাজার মাস আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার ইবাদত (নফল) করার চেয়ে এই একটি রাত ইবাদত করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

মহিমান্বিত এ রাতে হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম অসংখ্য ফেরেশতা সাথে নিয়ে এ ধূলির ধরায় নেমে আসেন। ফেরেশতাগন এসে যেসব বান্দাদের দন্ডায়মান ও বসা অবস্থায় নামাজ এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার জিকির, কুরআন তেলাওয়াতরত অবস্থায় পান, তাদের জন্য ছলাত অর্থাৎ রহমতের দুআ করতে থাকেন। হাদিসের ভাষ্যে জানা যায়, এই ফেরেশতাগণের এই কার্যক্রম চলতে থাকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।

শবে কদরের তারিখঃ
পবিত্র কুরআনুল হাকিম দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, শবে কদর রমজান মাসে। তবে সঠিক তারিখ সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কিছু মত পরিলক্ষিত হয়। যেমন-

তাফসীরে মাজহারীর বর্ণনা মতে, শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে আসে। সহীহ হাদীস দৃষ্টে এই দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অধিকাংশ ইমামগণ এ মতই পোষণ করেন। সহীহ বোখারীর রেওয়ায়েতে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজানের শেষ দশকে শবে কদর তালাশ কর। আর মুসলিম শরীফের রেওয়ায়েতে আছে, শেষ দশকে বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ কর।

ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে রমজানের ২১তম রাত শবে কদর। কেউ ২৯তম রাতে শবে কদর বলেছেন। হযরত মা আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা এরও এই মত। এই তারিখ সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এবং হযরত আবি ইবনে কাব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেছেন যে, শবে কদর ২৭তম রাতে অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রমাণ দিতে গিয়ে তারা বলেছেন, হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার মুসনাদে হযরত ওমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে রেওয়ায়েত করেছেন, সাহাবাদের মধ্যে একটি প্রচলিত নিয়ম ছিল যে, রমজান মাসের শেষ ১০ রাতে তারা যে স্বপ্ন দেখতেন তা তারা রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে পেশ করতেন। তারা যে স্বপ্ন দেখতেন সেগুলো রমজানের ২৭ তারিখের রাতই হয়ে থাকতো। এতে বোঝা যায় যে, শবে কদর ২৭তম রাতেই হয়ে থাকে।

কদরের রাত নির্ধারণ নিয়ে প্রায় ৪০টি মতের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায় রমজানের দশ দিনের বেজোর রাত গুলোর মধ্যেই রয়েছে কদর।

হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত- হযরত উবাইদা ইবনে সামেত (রা.) বর্ণনা করেছেন। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোর রাত গুলোর যেমন-২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ বা শেষ রাতের মধ্যে রয়েছে কদরের রাত)” (মুসনাদে আহমদ)

হযরত আয়েশা (রা.) বলেন। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- 'আমাকে শবে কদর দেখানো হয়েছে। তারপর আমি তা ভুলে গিয়েছি বা আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব, তোমরা রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর সন্ধান কর।' (বুখারী)

এ রাতকে গোপনীয় রাখার রহস্য হল- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা দেখতে চান এ রাতের বরকত, ফজিলত ও কল্যাণলাভের জন্য কে কতটুকু প্রচেষ্টায় প্রবৃত্ত হয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার উদ্দেশ্য হলো, মহামূল্যবান এ রাতের অনুসন্ধানে বান্দাগন সাধনা করুক। মূলতঃ এ রাতটিকে অস্পষ্ট রাখার ফলে যে সুবিধাগুলো হয়েছে তা হচ্ছে-

১. এ কারণে আজকেই শবে কদর কি না ভাবতে ভাবতে অনেকগুলো রাত ইবাদত করার সুযোগ হবে।
২. তা না থাকলে এ দিনটি ছুটে গেলে পরবর্তী রাতগুলোতে মন ভরে ইবাদতের মাধ্যমে সে ক্ষতি পুরনের মানসিকতা থাকতো না।
৩. যতগুলো রাত এভাবে ইবাদতে কাটাবে প্রত্যেকটারই স্বতন্ত্র প্রতিদান মিলবে।

মহিমান্বিত এ রাতটির অনন্য কিছু নিদর্শনঃ
লাইলাতুল ক্বদর চেনার কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে। যেমন-

(১) ক্বদরের রাত পেরিয়ে যখন সকাল হবে, সেদিনকার সূর্যোদয় হবে সাদা হয়ে কিরণহীন অবস্থায়। হযরত উবায় ইবনে কাব (রাঃ) থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘আর তার আলামত হলো সেদিনকার সকালের সূর্যোদয় ঘটবে সাদা আকারে, যার কোনো কিরণ থাকবে না।’ (বুখারীঃ ১৮৮৯)

অবশ্য এ আলামতটি কদরের রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর সকাল বেলায় জানা যাবে। এর হেকমত (বা রহস্য) হচ্ছে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধানে বান্দাদেরকে অধিক পরিশ্রমী করে তোলা, এবং যারা এ রাতের ফযীলত পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করেছে তাদেরকে আনন্দিত করা।

(২) হযরত ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বুখারী ও মুসলিমের একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কয়েকজন সাহাবী নিদ্রারত অবস্থায় দেখেন যে, লাইলাতুল ক্বদর রমজানের শেষ সাত দিনের মধ্যে অবস্থিত। রাসালুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি দেখছি যে তোমাদের স্বপ্ন লাইলাতুল ক্বদর রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার ব্যাপারে এক হয়েছে। অতঃপর যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করতে চায় সে যেন এই সাত দিনে তালাশ করে”। [সহীহ বুখারীঃ ৩য় খণ্ড, অধ্যায় ৩২ “তারাবী”, ১৮৮৮; সহীহ মুসলিমঃ ২৬২৭]।

এছাড়া বিভিন হাদিসে আরও কিছু (সহজে লক্ষণীয়) আলামত বর্ণিত হয়েছে—

(১) এই রাত অন্য রাতের তুলনায় অধিক উজ্জ্বল হবে।

(২) আকাশ পরিচ্ছন্ন এবং আলোকিত দেখা যাবে।

(৩) তারকারাজি খুব স্পষ্ট ও উজ্জ্বল হবে।

(৪) এই রাতের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

(৫) মৃদু-মন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

(৬) এই রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

(৭) এই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

(৮) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।

(সূত্রঃ সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)



হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এর মতামত ও যুক্তিঃ
হযতর ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যে যুক্তি দিয়েছেন সেটি হলো সংখ্যা অর্থাৎ যখন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো যে, শবে কদর শেষ দশ রাতে বেজোড় রাতে হবে আর সে সংখ্যাগুলো হল ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাত। অর্থাৎ- ১, ৩, ৫, ৭, ৯। এই পাঁচটি সংখ্যা সম্পর্কে যদি বিশেষভাবে গবেষণা করা হয় তাহলে ৭ সংখ্যাটিই বিশেষ মর্যাদা রাখে। কারণ, আল্লাহ পাক ৭ সংখ্যাটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। যেমন-
(১) আল্লাহপাক ৭টি আসমান সৃষ্টি করেছেন।
(২) পৃথিবীর সংখ্যা ৭।
(৩) রাতদিনের সংখ্যা ৭।
(৪) সাফা মারওয়াতে ৭ বার সায়ী করতে হয়।
(৫) কাবা শরীফও ৭ বার প্রদক্ষিণ করতে হয়।
(৬) শয়তানকেও ৭ বার কংকর মারতে হয়।
(৭) মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ৭ পর্যায়ে। যেমন: ক. মৃত্তিকার সারাংশ, খ. শুক্র, গ. জমাট রক্ত, ঘ. মাংস পিন্ড, ঙ. অস্থিপিঞ্জর, চ. অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃতকরণ, ছ. সৃষ্টির পূর্ণত্ব অর্থাৎ রূহের সংযুক্তকরণ।
(৮) ৭ বস্তুকে মানুষের খাদ্য করেছেন।
(৯) মানুষের মাথায়ও আল্লাহ পাক ৭টি ছিদ্র দিয়েছেন। যেমন- দুই কান, দুই চোখ, নাকের দুই ছিদ্র এবং মুখ।
(১০) কুরআনের কিরাআতও ৭ প্রকারের।
(১১) আল্লাহ পাকের দরবারে শরীরের ৭টি অংশ জমিনে স্থাপন করার দ্বারা সিজদা করা হয়। যেমন- দুই পা, দুই হাটু, দুই হাত এবং মুখমন্ডল।
(১২) দোযখের সংখ্যা ৭।
(১৩) দোযখের দ্বারও ৭।
(১৪) দোযখের স্তরও ৭।
(১৫) আসহাবে কাহাফের সংখ্যাও ছিল ৭।
(১৬) আদ জাতি ধ্বংস হয়েছিল ৭ রাতে।
(১৭) হযরত ইউসুফ (আ.) ৭ বছর জেলে কাটিয়েছিলেন।
(১৮) সূরা ইউসূফে যে গাভীর কথা বলা হয়েছে, এদের সংখ্যাও ছিল ৭।
(১৯) দুর্ভিক্ষও ৭ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
(২০) সাফল্যের বছরও ছিল ৭।
(২১) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ১৭ রাকাআতেও আছে ৭।
(২২) আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘হজ্জ্বের পর ৭টি রোজা রাখ।’
(২৩) ৭টি সম্পর্কের মহিলার সাথে বিবাহ হারাম।
(২৪) রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কোনো বরতনে কুকুর মুখ দেয় তাহলে একে ৭ বার পানি দ্বারা ধৌত কর।’
(২৫) এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, হযরত আইয়ুব (আ.) ৭ বছর পর্যন্ত অসুস্থ ছিলেন।
(২৬) হযরত মা আয়েশার যখন বিয়ে হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ৭।
(২৭) রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার উম্মতের শহীদ ৭ প্রকারের।’ যেমন- ক. যে ব্যক্তি জেহাদে শহীদ হয়, খ. প্লেগ রোগে মৃত্যুবরণ, গ. ক্ষয়রোগে মৃত্যুবরণ, ঘ. পানিতে ডুবে মৃত্যু হলে, ঙ. আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করলে, চ. কলেরা বা দাস্ত হওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করলে, ছ. স্ত্রীলোক যদি নেফাসের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
(২৮) আল্লাহ পাক কুরআন মজিদে যে কসম খেয়েছেন তার সংখ্যা ৭। যেমন- সূর্য, মধ্যাহ্ন, চাঁদ, দিন, রাত, আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তার।
(২৯) হযরত মূসা (আ.) এর লাঠিও ছিল ৭ গজ লম্বা।
(৩০) পরিশেষে একটি দলিলই বোধ হয় ২৭ তারিখ শবে কদর হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট, আর এটি হল কুরআন পাকের ৯৭ নং সূরা কদরে আল্লাহ পাক লাইলাতুল কদর শব্দটি ৩ বার উল্লেখ করেছেন। এই লাইলাতুল কদর লিখতে অক্ষর লাগে ৯টি। কাজেই ৩ বার ৯টি অক্ষর ব্যবহার করায় অক্ষরের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭টিতে। আর এটিই শবে কদর ২৭ তারিখে হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
(৩১) সূরা কদরকে আল্লাহ পাক কুরআনে ৯৭ নং এ স্থান দিয়েছেন। এখানেও রয়েছে ৭ সংখ্যাটি।
(৩২) নামাজ পড়তে ৭টি ফরজের প্রতি গুরুত্ব না দিলে নামাজই হবে না।
(৩৩) অজু নষ্ট হয়ে যাবার কারণও কিন্তু ৭টি।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটিই বোঝা গেল যে, আল্লাহ পাক অধিকাংশ জিনিসকে ৭ এর হিসেবে তৈরি করেছেন। যদি শবে কদর রমজান মাসের শেষ ১০ রাতে হয় তবে উপরের বর্ণনা মতে ২৭ তরিখে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সঠিক বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ তাআ'লা অবহিত।

এ রাতের ফজিলতঃ
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 'যে ব্যাক্তি কদরের রাতে ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্য দাঁড়ালো তার পেছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।' (বুখারী ও মুসলিম)

এ রাতে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সারা রাত শুধু আল্লাহ তাআ'লার রহমত, কল্যাণ ও শান্তিতে পরিপূর্ণ থাকে। ফিতনা, দুষ্কৃতি ও অনিচ্ছাকারীতার প্রভাব তখন ছিটেফোঁটাও থাকে না।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কদরের রাতে ফেরেশতার সংখ্যা পাথর কনার চেয়েও বেশি হয়ে থাকে। ফলে শয়তানের রাজত্ব বাতিল হয়ে যায় এবং সে রাতে লোকেরা শয়তানের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে।

রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- যখন কদরের রাত উপস্থিত হয় তখন আল্লাহ্ তায়ালা জিবরাঈল (আ.)কে নির্দেশ দেন এবং তদনুযায়ী জিবরাঈল (আ.) একদল ফেরেশতা নিয়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। আর তাদের সাথে সবুজ বর্ণের একটা নিশান থাকে। অতঃপর তারা নিশানটিকে কা’বা ঘরের মাঝখানে গেড়ে দেন।

জিবরাঈল (আ.) এর একশ’ ডানা (পাখা) আছে, সেগুলোর মধ্যে এমন দু’টি ডানা আছে যা তিনি কদরের রাত ছাড়া কোন রাতে খোলেন না। তিনি সে ডানা দু’টি এই রাতে বিস্তৃত করেন এবং তা পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি ফেরেস্তাগণকে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। ফেরেস্তাগণ ঐ সমস্ত লোককে সালাম করতে থাকে যারা দাঁড়িয়ে, বসে ইবাদত করে আর নামাজ পড়ে এবং যারা আল্লাহকে স্বরণ করে, তারা তার সাথে করমর্দন করে এবং তাদের দোয়ায় ও শামিল হয়ে আমিন আমিন বলতে থাকে উজর উদয় হওয়া পর্যন্ত। অতঃপর ফজর হলে জিব্রাঈল (আ.) উচ্চস্বরে বলেন, হে ফেরেস্তাগণ! চল, চল, তখন ফেরেস্তাগণ বলে হে জিব্রাঈল রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুমিন উম্মতের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রয়োজনগুলো সম্বন্ধে আল্লাহ্ তায়ালা কি করলেন? উত্তরে তিনি বলেন আল্লাহ তায়ালা এ রাতে তাদের প্রতি সুদৃষ্টি নিয়োগ করেছেন এবং তাদের ক্ষমা করেছেন। (আত তারগীর, ওয়াত তারহীব)

মহামূল্যবান রাতের কল্যাণ হতে বঞ্চিত যারাঃ
রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- রমজান মাসে এমন একটি রাত আছে যা হাজার মাস হতে উত্তম যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে, সে সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে। এর কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না।” (ইবনে মাজাহ, মিশকাত, আত তারগীব)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বণির্ত, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা কদরের রাতে উম্মতে মুহাম্মদীর দিকে তাকান এবং তাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করেন তবে চার ব্যক্তি দয়ার আওতায় পড়ে না-

১. মদ পানকারী ২. পিতা-মাতার সাথে সর্ম্পক ছিন্নকারী ৩. হিংসুক-নিন্দুক ৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী।

অন্যদিক এ যারা বিশ্বাসগত ভাবে মুনাফিক, ইসলাম ও কুফরের সাথে যখণ যেটা প্রয়োজন সেটাকে গ্রহণ করে, এরাতে তারাও বঞ্চিত হবে। তবে তারা যদি খালেস ভাবে তওবা করে পবিত্র জীবন যাপনের চেষ্টা করে আল্লাহ নিজ করুনা ও দয়ার মাঝে তাদের ও শামিল করবেন।

এ রাতে আমাদের করণীয়-
আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত- রমজানের শেষে দশক শুরু হলে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদরের রাত লাভের উদ্দেশ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতেন, রাত্রি জাগরণ করতেন এবং নিজ পরিবারকে জাগাতেন।” (বুখারী, মুসলিম)

হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকে এত বেশি পরিশ্রম ও ইবাদত করতেন যা তিনি অন্য সময়ে করতেন না। তিনি রমজানের শেষ দশকে কে এমন কিছু নেক কাজের জন্য নির্দিষ্ট করতেন যা মাসের অবশিষ্টারশের জন্য করতেন না। এর মধ্যে রাত্রি জাগরণ অন্যতম।” (মুসলিম)

হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানা উঠিয়ে ফেলতেন, স্ত্রীদের থেকে দূরে থাকতেন এবং ভোর রাতে সেহরীর সময় সন্ধ্যাবেলার খাবার খেতেন।” (তারবানী)

তাই এই মহিমান্বিত রাতটিতে যেসব আমল আমরা অধিক পরিমানে করতে পারি সেগুলো হচ্ছে-

১। ইসতিগফার বেশি বেশি পাঠ করা।

২। বেশী বেশী দরুদ অর্থাৎ সালাত ও সালাম পাঠ করা। নিম্নোক্ত দরুদ পড়া উত্তম-

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ، اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৪০৮, নং ৩৩৭০; মুসলিম, নং ৪০৬।

৩। সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)

৪। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (কমপক্ষে ১০০ বার)

৫। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা- শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ'লা কুল্লি শাইয়্যিন কদির।" (কমপক্ষে ১০০ বার)

৬। আল্লাহুম্মা ইন্নাকা 'আফুউন তুহিব্বুল 'আফওয়া ফা'ফু 'আন্নী। (‎‏(اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفُ عني‏ উক্ত দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন।

৭। দুআ ইউনুস - "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যলিমীন" পাঠ করা।

৮। "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল 'আযীম।" (কমপক্ষে ১০০ বার) ।

৯। "সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার" (কমপক্ষে ১০০ বার) ।

১০। "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ" বেশি বেশি পড়তে পারেন।

১১। "সুবহানাল্লাহিল 'আযিমি ওয়াবি হামদিহ" (যত বেশি পড়া যায়)

১২। সূরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।

১৩। সুবহানআল্লাহ ,আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবর (১০০ বার বা তার চেয়ে বেশি)

১৪। প্রতি ওয়াক্ত এ নামাজ শেষে তিনবার এই দুআ পড়া :

اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

'আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান্নার।

'হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।' আবূ দাউদ, নং ৭৯২; ইবন মাজাহ্‌ নং ৯১০। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩২৮।

উল্লিখিত যিকর আযকারের পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার নিকট বর্তমান দুরবস্থার জন্য, বিশ্ববাসী করোনামুক্তির জন্য, আমাদের পাপরাশি মার্জনার জন্য অধিক পরিমানে দুআ মুনাজাত করবো। কায়োমনোবাক্যে অশ্রুবিগলিত কন্ঠে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো। আশা করা যায়, তিনি অবশ্যই আমাদের ক্ষমা করবেন। আমাদের প্রতি তাঁর অবারিত রহমতের বৃষ্টিবর্ষন করবেন।

কষ্ট করে দীর্ঘ পোস্ট পাঠে কৃতজ্ঞতা। সকলের কল্যান কামনা করছি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

২| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আললাহ আমাদের সকলকে রমজানের রহমত,বরকত এবং মাগফেরাত নসিব করুন এবং শবেবরাতের পরিপূর্ণ আমল করার তওফিক দিন ও ক্ষমা নসিব করুন।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন।

৩| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পিথিবীতে এরাত বহুবার এসেছে। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আসতেই থাকবে।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ঠিক।

৪| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুরা ক্বদর পড়েছি অর্থসহ ।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন!

৫| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট। লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করা ও একটি নেক কাজ। সুরা ফাতিহা তে আয়াত সংখ্যা ৭। লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই রাতে দোয়া কবুল হয়। আমরা সবাই করোনা মুক্ত পৃথিবীর জন্য দোয়া যেন করি সবাই। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ দের সারা পৃথিবীর মানুষদের আল্লাহ এই মহামারী থেকে যেন নাজাত দেন আর আখেরাতে জান্নাত।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্য। শুকরান।

৬| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:০৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: জীবনে একটিবারের জন্য মকবুল ক্বদরের রাত পাওয়ার তৌফিক দিও গো আল্লাহ।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন। আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.