নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিজদাবস্থায় পরপারে যাত্রা ; ঈর্ষণীয় এমন মৃত্যু কে না চায়!......

২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:০৮

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

সিজদাবস্থায় পরপারে যাত্রা ; ঈর্ষণীয় এমন মৃত্যু কে না চায়!......

মৃত্যু অমোঘ। জন্মিলে মরিতে হইবে, কে কোথায় অমর কবে! অমর কেউই নন। আমরাও নই। যেতে হবে। একে একে সকলকেই যেতে হবে। কিন্তু এই যাওয়ার ধরণটা সবার একইরকম হয় না। মহাসৌভাগ্যবান কারও কারও এমনও মৃত্যু নসিব হয় যা হয়ে থাকে ব্যতিক্রমী এবং ঈর্ষণীয় বটে। এমনই দু’টি ঈর্ষণীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সদ্য বিগত এবছরের পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন। সংবাদে আমরা জেনেছি যে, নামাজে সিজদারত অবস্থায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার দু’জন মাহবূব বান্দার ইনতিকাল হয়েছে। একজন হলেন, চট্টগ্রামের সুপ্রাচীন ও সুপ্রসিদ্ধ জিরি মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ তৈয়ব রহ. এবং দ্বিতীয় জন হলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের শেলাচাপরি গ্রামের বাসিন্দা এবং শাহজাদপুর উপজেলার নন্দলালপুর আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র প্রভাষক মাওলানা আইয়ুব আলী রহ.।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাওলানা আইয়ুব আলী রহ. এর পৈত্রিক নিবাস সাথিয়া উপজেলার চিনানারী গ্রাম। কিন্তু তিনি বসবাস করতেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের শেলাচাপরি গ্রামে এবং শাহজাদপুর উপজেলার নন্দলালপুর আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তার বাবার নাম মৃত দেরাজ আলী মুন্সী।

আর অন্যজন অর্থাৎ, আল্লামা শাহ তৈয়ব রহ. রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ শেষে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঈদের আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ শরীর নিয়েই ঈদের দিনের আগের তাৎপর্যপূর্ণ রাতের নফল নামাজ পড়ছিলেন তিনি। সেখানে নামাজের ভেতরে এক সময় সিজদারত অবস্থায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা তাকে কবুল করে নেন তাকে।

সিজদায় নৈকট্যলাভ হয় মহান মালিকেরঃ

মূলতঃ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু মুহূর্তের সমষ্টিই আমাদের জীবন। আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু মুহূর্তের সমন্বয়েই আমাদের প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত। নানান কাজে, নানাবিদ কাজে পেরিয়ে যায় আমাদের দিবসযামীর ক্ষণগুলো, মুহূর্তগুলো। তবে আমাদের দিন-রাতের সময়গুলো যত রকম অবস্থার ভেতর দিয়ে অতিবাহিত হয়, এসবের মধ্যে সিজদা হচ্ছে সর্বোত্তম অবস্থা। হাদিস শরিফে এসেছে-

عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: أقرب ما يكون العبد من ربه و هو ساجد فأكثروا الدعاء

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 'বান্দা তার রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয় যখন সে সিজদারত থাকে। সুতরাং, তোমরা (সিজদারত অবস্থায়) অধিক হারে দুআ কর, (কারণ, এই সময়ের দুআ কবুলের অধিক আশা করা যায়)।' -সহিহ মুসলিম: ৪৮২।

পবিত্র কুরআনুল হাকিমের সর্বপ্রথম নাযিলকৃত সূরার সর্বশেষ দু'টি আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন,

وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ

‘সিজদা করুন এবং কাছে আসুন।’ -সূরা আলাক : ১৯

আয়াতের মর্ম চিন্তা করলেই সিজদার গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়।

এমন কল্যানের মৃত্যু কার না প্রত্যাশা!

আমাদের কার মৃত্যু কখন হবে, কোন অবস্থায় হবে, কোথায় হবে- আমরা কেউই তা জানি না। সবাই তো আমরা বাঁচতে চাই। বেশি দিন বাঁচতে চাই। দীর্ঘ হায়াত কামনা করি। সুন্দর এ পৃথিবীর মায়ায় জড়িয়ে থাকতে চাই। যেতে চাই না পরপারের অদেখা ভূবনে। কিন্তু সবার এ কামনা পূরণ হয় না। কারো হয়, কারো হয় না। প্রত্যেকের মৃত্যুর সময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার নিকট নির্ধারিত। সুনির্ধারিত। নির্ধারিত-সুনির্ধারিত সেই সময়েই মৃত্যুর ফেরেশতা এসে হাজির হন। মৃত্যু আসন্ন লোকটি তখন কোন অবস্থায় আছেন তা দেখা হয় না। দেখার সুযোগ নেই। সিস্টেম নেই। পথ ও পদ্ধতি নেই। ভালো অবস্থায় থাকলে তার জন্য সৌভাগ্য যে, তার জীবনের শেষ সময়টায় বিদায়লগ্নটা একটি ভালো আমলে অতিবাহিত হয়েছে। আর মন্দ অবস্থায় থাকলেও কোনো কিছু করার অবকাশ থাকে না, ভালো অবস্থায় ফিরে আসার জন্য মূহুর্তকাল সময়ও দেয়া হয় না। আমাদের চব্বিশ ঘন্টা সময় আবর্তিত হয় ভালো-মন্দ নানা অবস্থায়। যদি কারো কাছে মৃত্যুর ফিরিশতার সাক্ষত হয় এমনই একটি অবস্থায় যে, তিনি তখন সিজদারত, তাহলে সেটি কত বড়ই না সৌভাগ্যের বিষয়! এমন মৃত্যু কে না চায়! এমন কল্যানের মৃত্যু কার না প্রত্যাশা!

উত্তম মৃত্যুর জন্য আমাদের যেসব আমল করা জরুরিঃ

সংক্ষিপ্ত পরিসরে এখানে আমরা জানার চেষ্টা করবো একটি ভালো মৃত্যু, উত্তম মৃত্যুর জন্য আমরা কী কী আমল করতে পারি। এক হাদিসে এসেছে-

عن علي رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: من سره أن يمد له في عمره، و يوسع له في رزقه، و يدفع عنه ميتة السوء فليتق الله و ليصل رحمه.

হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: 'যাকে একথা আনন্দিত করে যে, তার হায়াত দীর্ঘ করা হবে, তার রিযিকে প্রশস্ততা দান করা হবে এবং মন্দ অবস্থার মৃত্যু থেকে তাকে হেফাজত করা হবে সে যেন আল্লাহ তাআ'লাকে ভয় করে (অর্থাৎ, গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে) এবং আত্মীয়তার হক আদায় করে।' -মুসনাদে আহমাদ: ১২১৩

আরেক হাদিসে এসেছে-

عن أنس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن الصدقة لتطفئ غضب الرب، وتدفع ميتة السوء.

হযরত আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: 'নিশ্চয় সদকা রবের ক্রোধ নিভিয়ে দেয় এবং মন্দ অবস্থার মৃত্যুকে রোধ করে।' -জামে তিরমিযি: ৬৬৪

মন্দ অবস্থার মৃত্যুর ব্যাখ্যা:

ميتة: وهي الحالة التى يكون عليها الإنسان في الموت. قال العراقى: الظاهر أن المراد بها ما استعاذ منه النبي صلى الله عليه وسلم الهدم و التردى و الغرق و الحرق و يتخبطه الشيطان عند الموت و أن يقتل في سبيل الله مدبرا. وقال بعضهم هي موت الفجاءة، و قيل ميتة الشهرة كالمصلوب مثلا. انتهى. تحفة الأحوذي.

অর্থাৎ, মন্দ অবস্থার মৃত্যু বলে উদ্দেশ্য হচ্ছে যেসব মৃত্যু থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় চেয়েছেন। দেয়াল ধ্বসে, উঁচু স্থান থেকে পতিত হয়ে, পানিতে ডুবে, আগুনে পুড়ে, মৃত্যুকালে শয়তান দ্বারা বিপথগামী হয়ে ও জেহাদের ময়দান থেকে পলায়নরত অবস্থায় মারা যাওয়া। কেউ কেউ বলছেন এর দ্বারা উদ্দেশ্য আকষ্মিক মৃত্যু। আবার কেউ বলছেন, প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সাজার মৃত্যু। (তিরমিযির উল্লেখিত হাদিসটির ব্যাখ্যায় তুহফাতুল আহওয়াযি)

কোন কবিরা গোনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া হচ্ছে মুমিনের সবচেয়ে জঘন্য মৃত্যু। যেমন ডাকাতি করতে গিয়ে বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কেউ মারা গেলো।

উপরের হাদিস দু’টোতে মন্দ অবস্থার মৃত্যু থেকে বাঁচতে মোট তিনটি আমলের কথা বলা হয়েছে। যথা-

১. তাকওয়া অবলম্বন করা। আল্লাহকে ভয় করে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা। কখনো গোনাহ হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা-ইস্তেগফার করে নেওয়া।
২. আত্মীয় স্বজনের হক আদায় করা।
৩. দান-সদকা করা।

সিজদা বান্দার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ও অবস্থাঃ

সিজদা বান্দার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ও অবস্থা। সিজদায় রয়েছে মহাপরাক্রমশালী দয়ালু আল্লাহ তাআ'লার প্রতি বিনীত হওয়ার আনন্দ। আছে পরম করুণাময় দয়াময় আল্লাহ তাআ'লার আনুগত্যের সৌন্দর্য্য। সিজদার মুহূর্তগুলো এমন বরকতময় ও মহত্ত্বপূর্ণ, যার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। সিজদায় রয়েছে অনির্বচনীয় স্বাদ ও তৃপ্তি। তাতে আছে এমন এক প্রফুল্লতা যা কোনো কলম ও কালির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়, যা সিজদাকারীকে জমিনের সংকীর্ণ গন্ডি থেকে আসমানের প্রশস্ত পরিসরের সুউচ্চতায় নিয়ে যায়। সসীম পৃথিবীতে অবস্থান করেই অসীমের সন্ধানে ব্যাপৃত হয় সিজদাকারী ব্যক্তি।

হাদিসে বর্ণিত আমলগুলোর প্রতি আমরা যতবেশি যত্নবান থাকবো ততবেশি ভালো মৃত্যুর আশা করতে পারবো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের উত্তম মৃত্যু নসিব করুন।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২২

আমি সাজিদ বলেছেন: যে পুলিশ দেশের জন্য সেবা করতে করতে মারা গেলো, যে ডাক্তার রোগী দেখতে দেখতে মারা গেলো তাদের মৃত্যু কি ঈর্ষনীয় নয় আপনার কাছে?

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



যে পুলিশ দেশের জন্য সেবা করতে করতে মারা গেলো, যে ডাক্তার রোগী দেখতে দেখতে মারা গেলো তাদের মৃত্যু কি ঈর্ষনীয় নয় আপনার কাছে?

-কেন নয়! মানবতার কল্যানে, মানুষের সেবায় যারা অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেন তাদের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যুর মত নয়। তাদের নিয়ে নিশ্চয়ই গর্ব করার বিষয় রয়েছে।

আপনার সাথে তেমন বেশি ডিসকাশন হয়নি এবং আমি অধম সম্মন্ধে আপনার তেমন কোনো ধারণা না থাকার কারণেই এমন হালকা একটি প্রশ্ন করেছেন। দুঃখিত, ব্লগে বেশি সময় দিতে পারি না বলে। আরও বেশি সময় এখানে থাকতে পারলে আপনাদের মত জ্ঞানী গুণীদের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে পারা যেত।

অনেক ভালো থাকবেন।

২| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ‘সিজদা করুন এবং কাছে আসুন।’ -সূরা আলাক : ১৯
আয়াতের মর্ম চিন্তা করলেই সিজদার গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়।

.....................................................................................
নেক বান্ধা সিজদার মাধ্যমে আল্লাহ তাআ'লার আনুগত্যের প্রকাশ ঘটায় ।
মাওলানা আইয়ুব আলী রহ. এবং মাওলানা আইয়ুব আলী রহ.।এর আত্নার মাগফেরাত কামনা করি ।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। শুকরিয়া।

৩| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: যে পুলিশ দেশের জন্য সেবা করতে করতে মারা গেলো, যে ডাক্তার রোগী দেখতে দেখতে মারা গেলো তাদের মৃত্যু কি ঈর্ষনীয় নয় আপনার কাছে?

৪| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকটি প্রশ্ন নবী মোহাম্মদ বিষের যন্ত্রনায় জীবিত থাকতেই তার অঙ্গসমূহে পচন ধরেছিলো, আলী উসমান ওমর বা মুয়াবিয়া আয়েশাকে যেভাবে হত্যা করেছেন অথবা হাসান হুসেনের (একজনকে বিষ খাইয়েছিলেন তারই স্ত্রী) মৃত্যুকে আপনি কিভাবে দেখেন?

৫| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: @আমি সাজিদ বলেছেন: যে পুলিশ দেশের জন্য সেবা করতে করতে মারা গেলো,
যে ডাক্তার রোগী দেখতে দেখতে মারা গেলো তাদের মৃত্যু কি ঈর্ষনীয় নয় আপনার কাছে?

.......................................................................................................................
আপনি যা বলছেন তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে আমার জানা মতে, মহামারীর যুদ্ধক্ষেত্রে
সন্মুখ যুদ্ধে মারা গেলে শহীদি মর্যাদা পাবেন ।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: প্রেক্ষাপট ভিন্ন বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সোজা প্রশ্ন, লেখককে। ঈর্ষনীয় ভাবে নাকি ভাবে না? উনি মানে নতুন নকিব উত্তর দিক। হ্যাঁ নাকি না? এর এই যে আলেম সাহেব মারা গেলেন, উনি কি শহীদি মৃত্যুর মর্যাদা পাবেন?

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সিজদাবস্থায় কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার শহিদী দরজাপ্রাপ্তির কথা কোনো হাদিসে পাইনি। কিন্তু পোস্টের মূল কথা হচ্ছে, সিজদার অবস্থাটি নিঃসন্দেহে একটি উত্তম অবস্থা। এই সময়ে আল্লাহ তাআ'লার ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে যাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।

৭| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইসলামে সরাসরি কোনো রুলিং বা উল্লেখ নেই সেজদায় মারা যাওয়া সর্বোতকৃস্ট। বরংচ হাদিস ঘাটলে কলেমা পড়াবস্থায় মরলে বা জিহাদে আমাদিয়া ইশতিশাদী ইনঘিমাস করলে অথবা পেটের পীড়া ও মহামারী বা আগুনে বা পানিতে পুড়ে মরলে সেটা সর্বোতকৃস্ট। এগুলো সরাসরি ভাবেই বলা।
পাঁচ ধরনের মৃত্যু শাহাদাত হিসেবে গণ্য। প্লেগ রোগে মৃত্যু, পেটের পীড়ায় মৃত্যু, পানি ডুবে মৃত্যু, কোন কিছু ধ্বসে পড়ে মৃত্যু এবং আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হওয়া।” [সহিহ বুখারি (২৮২৯) ও সহিহ মুসলিম (১৯১৫)]
আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়,তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত। আল্লাহ নিজের অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তার প্রেক্ষিতে তারা আনন্দ উদযাপন করছে। আর যারা এখনও তাদের কাছে এসে পৌঁছেনি তাদের পেছনে তাদের জন্যে আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ, তাদের কোন ভয় ভীতিও নেই এবং কোন চিন্তা ভাবনাও নেই। আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের জন্যে তারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং তা এভাবে যে, আল্লাহ, ঈমানদারদের শ্রমফল বিনষ্ট করেন না।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৯-১৭১] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে নিহত হয় সে শহিদ এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে মারা যায় সেও শহিদ।”[সহিহ মুসলিম, ১৯১৫] ৫. প্লেগ রোগে মারা যাওয়া। দলীল হচ্ছে নবী আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “প্লেগ রোগে মৃত্যু প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য শাহাদাত।”[সহিহ বুখারী (২৮৩০) ও সহিহ মুসলিম (১৯১৬)]
মুমিন কপালের ঘাম নিয়ে মৃত্যুবরণ করে।”[মুসনাদে আহমাদ (২২৫১৩), জামে তিরমিযি (৯৮০), সুনানে নাসায়ি (১৮২৮)

যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।” [সুনানে আবু দাউদ, ৩১১৬], সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে (২৬৭৩)
আবু দাউদ (৩১১১) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী জুমা (বাচ্চা) নিয়ে মারা যায় তিনি শহিদ।”।

বরংচ যে লোক সেজদারত অবস্থায় হার্ট এটাক করলো তাকে যদি সরাসরি হাসপাতালে নেয়া বা সেখানে পিসিআর (মেইন টার্মটা ভুলে গেছি এখানে ব্যাপারটা ভালো ব্যাখ্যা করা আছে) দিয়ে বাঁচানো যেতো।

বরংচ এমন ভুল ব্যাখ্যা বা বিশ্বাসের কারনে একটা মানুষকে মরতে দেয়া হলো বিনা চিকিকসায়। নৈতিক কারনে এটা একটা অপরাধ হিসেবে মনে করি।

ভুল বিশ্বাস এবং টেবিল চেয়ারে বসে বানানো রুলিং যে আসলেই ক্ষতিকর সেটার প্রমান এই পোস্ট হতে পারে

৮| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হোন। নামাজের মধ্যে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে আল্লাহপাক দিয়ে দেন। তাই আমাদের বেশি বেশি নামাজ পড়তে হবে।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। শুকরিয়া।

৯| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ঈমানী অবস্থায় মৃত্যু

আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন-
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যে কোন
প্রাণীই হোক তার উপর মৃত্যু একবার আসবেই। ভালো হোক
খারাপ হোক তাকে মরতে হবে।
হাদীস শরীফে একথাও বলা হয়েছে যে, কিছু মানুষ জীবনভর
ইবাদত করে এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। কিন্তু মৃত্যুর নিকটবর্তী
সময়ে পাপাচারে লিপ্ত হয়। ফলে তার মৃত্যু হয় অশুভ অবস্থায়। আর
মৃত্যুর সময় যে বা যারা ঈমানি কালেমা পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ
করবে তাদের পরকালীন জীবন হবে সহজ ও সফল।

মাওলানা আইয়ুব আলী রহ. এবং মাওলানা আইয়ুব আলী রহ.
দ্বয়ের মৃত্যু হয়েছে ঈমান অবস্থায়। আমরার তাদের
্আত্নার মাগফেরাত কামনা করি ।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাগত।

শুভকামনা। ঈদ মুবারক।

১০| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবাই চায় কিন্তু ঠকবাজেরা বেশী চায়

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নতুন বলেছেন: সিজদায় মৃত্যু আপনার ভালো লেগেছে এটা আপনার মনের অনুভুতি মাত্র।

সিজদায় মৃত্যুর সময় আল্লাহের সান্নিধ্যে থাকে এবং এটা ভালো মানের মৃত্যু এটা উদ্ভুধ যুক্তি। এবং রাসুল সা: তিনিও কিন্তু সিজদায় মারা যান নাই।

সিজদায় মারা গেলে তারা শহীদি মজ`দা পাবেনা। ( যেটা সবচেয়ে সন্মানের )

সিজদায় মারা যারা যায় তারা সম্ভবত acute cardiac arrest এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এতে মৃত্যু যন্ত্রনা কম হয়। খুবই অল্প সময়ে মারা যায়। কয়েক মিনিটেই মানুষটি জ্ঞান হারায় এবং হৃদপিন্দের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়ে মারা যায়।

সঠিক সময়ে সিপিআর দিলে ৮% মানুষ সুস্হ হতে পারে।

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সিজদাবস্থায় মৃতদের আমিও শহিদ বলিনি পোস্টে।

বলতে চেয়েছি, এটা সৌভাগ্যজনক মৃত্যুর একটা অবস্থা।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.