নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে না এলে যে জিনিষগুলো হয়তো জানাই হত না.........

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫০

ছবি: অন্তর্জাল।

ব্লগে না এলে যে জিনিষগুলো হয়তো জানাই হত না.........
আমার ব্লগ জীবনে প্রবেশের চিত্রটা আর দশজনের থেকে একটু ভিন্নরকম ছিল। ২০১০ কি ২০১১ সালের দিককার কথা। কোনো একটা কিছু খুঁজতে গুগল করছিলাম। গুগল মহাশয় অতি সদয় হয়ে অন্যান্য পেইজের মত সামুর একটা লিঙ্কও আমার সামনে তুলে ধরে। ক্লিক করে ঢুকলাম সেখানে। সে লেখাটা দেখার পরে অভ্যাসবশতঃ ওয়েবসাইটটি সম্মন্ধে একটু আইডিয়া নেয়ার জন্য 'প্রথম পাতা' আইকনে ক্লিক করে সামুর হোম পেইজে চলে আসি। সামুর সাথে পরিচয় পর্বটা এমনই ছিল।

সামুতে লিখতে গিয়ে .........
সামুতে লিখতে গিয়ে কতজনকে কতভাবে নাকাল হতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। অত্যন্ত রসালোভাবে ভূয়া মফিজ ভাই তার কোনো এক পোস্টে এই বিষয়ক হৃদয় বিদারক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন একবার। নাকানি চুবানি তো আছেই। ঝগড়া, টুকটাক মতবিরোধ থেকে শুরু করে বউয়ের হাতে অনেকের শুধু মারটাই খাওয়া বাকি! তবে এমন অবস্থা সব ব্লগারের নয়। যারা নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজনাদির প্রতি সচেতনতা প্রদর্শন করে ব্লগে সময় দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যালেন্স রক্ষা করে চলতে অপারগ তারাই হয়তো এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে থাকতে পারেন। অর্থাৎ, অবস্থা যাদের এমন পর্যায়ে চলে যায় যে,

ব্লগে ডুবে হারিয়ে খেই-
ঘর সংসারের খবর নেই।

এমন অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সামঞ্জস্য রক্ষা করেই চলা উচিত।

সামু না স্ত্রী, কাকে বেশি সময় দিবেন?
অনেকে সামুতে দিনরাত সময় দেয়ার ফলে এমন প্রশ্নের উদ্ভব হয় যে, সামু না স্ত্রী, কাকে বেশি সময় দিবেন? সামু আসলে সামুর স্থলে সঠিক। বাংলা ভাষার চমৎকার একটি প্লাটফরম। লেখার জায়গা। শেখার জায়গা। নিজেকে চেনার জায়গা। অন্যদের সম্মান করতে শেখারও এটি আদর্শ ঠিকানা। এই প্লাটফরম এর সাথে স্ত্রীকে তুলনা করার কিছু নেই। স্ত্রী কিংবা স্বামী একে অপরের পরিপূরক। ভার্চুয়াল কোনো সাইট স্বামী বা স্ত্রীর বিকল্প হতে পারেন না। সুতরাং, এখানেও ঐ আগের কথাটিই মাথায় রাখা চাই। প্রয়োজন এবং অবস্থা অনুযায়ী সময়ের সঠিক ব্যবহারই এই ধরণের অবান্তর প্রশ্ন উত্থাপনের আশঙ্কা দূর করতে পারে।

সামুর কারণে চাকরি হারানোর ঘটনা............
সামুতে লেগে থাকার কারণে ইতোপূর্বে আমরা জনৈক প্রিয় ব্লগারের (নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না) চাকরি হারানোর ঘটনা জানতে পেরেছিলাম। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা জেনে তখন সত্যি মর্মাহত হয়েছি। পূর্ণ সতর্কতার সাথে চলার মাধ্যমে এই ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনার হাত থেকে আত্মরক্ষায় অবশ্যই মনযোগ থাকা উচিত আমাদের।

সামু দু'হাত খুলে লিখতে শিখিয়েছে...........
সামু আমাকে কি দিয়েছে? কিছু কি দিতে পেরেছে আদৌ? না কি শুধুই সময়ের অপচয়? বছরের পর বছর পরে আছি সামুতে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন এর দরবারে সামু পরিবারের সকলের জন্য হৃদয় নিংড়ানো কল্যানের দুআ। সামুতে এসে কিছু না পেলেও লেখার স্বাধীনতা পেয়েছি। দু'হাত খুলে লিখতে পেরেছি। হৃদয়ে জমে থাকা কথার মুক্তো দিয়ে মালা গাঁথার অবারিত সুযোগ দিয়েছে সামু। সামু জ্ঞানের আলোকিত মশাল যেন, এর বিচ্ছুরিত আলোক আভায় নিজেকে নিয়তই ধুয়ে নিচ্ছি, শুদ্ধ-পরিশুদ্ধ করছি, ভেঙ্গে চূড়ে নতুন করে আবার নিজেকে গড়ে তুলছি প্রতি দিন।

কঠোর প্রতিমতকেও সম্মান করতে শিখিয়েছে সামু...........
একটা সময় ছিল যখন বিরুদ্ধ মতকে মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর ছিল। বিশেষ করে ধর্মীয় ইস্যুতে উল্টোপাল্টা বক্তব্য এমনকি আল্লাহ রাসূলকে গালিগালাজসহ নানান ধরণের কুৎসা ও অবান্তর কথাবার্তা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাতো। কখনো কখনো এমনও হয়েছে, এসব দেখে নিরবে অশ্রু বর্ষন করে আল্লাহ তাআ'লার কাছে দু'হাত তুলে তাদের সঠিক পথপ্রাপ্তির জন্য কেঁদেছি। দুআ করেছি। নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশের এছাড়া আর কোনো পথ জানা ছিল না তখন। সামুতে আমার লেখালেখির প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু কিছু ব্লগারের সাথে টুকটাক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সহনশীলতার অনেকগুলো স্তর রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, তখনকার স্তর আর এখনকার স্তরের মধ্যে অনেক প্রভেদ রয়েছে। এই প্রভেদ এবং পার্থক্যের পেছনে সামুর ভূমিকা এবং অবদান অনেক।

সামুতে আগে অনেকে থাকলেও এখন কিন্তু একাই............
হ্যা, এখন একাই লড়ে যাচ্ছেন। একাই আল্লাহ, রাসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে গালিগালাজসহ নানান ধরণের কুৎসা রটনা ও অবান্তর কথাবার্তার সকল দায়িত্ব মনে হচ্ছে নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। শত প্রতিকূলতার ভেতরেও তিনি থেমে যান না। ভেঙ্গে পড়েন না। আমাদের মত অন্ধবিশ্বাসীগণের(!) অম্ল মধুর একটু আধটু বিরোধিতা তার চলার পথকে কন্টকাকীর্ণ করতে পারে না। তিনি তার পথে অনঢ়। যাক, তার জন্য শুভকামনা। কারণ, আল্লাহ পাক যদি তার এতকিছু উল্টোসিধা কাজকাম সহ্য করে তাকে আলো-বাতাস দিয়ে, খাবার-পানীয় দিয়ে, প্রেম-ভালোবাসা-মমতা দিয়ে লালন পালন করতে পারেন; তার প্রতি সামান্য সহনশীলতা প্রদর্শনে আমার সমস্যাটা কোথায়?

আমি যদি সত্যিকারার্থে আল্লাহ তাআ'লাকে ভালোবাসার দাবিদার হয়ে থাকি, তাহলে তাঁর সৃষ্টিকূলের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন আমার উপর অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আর হাদিসে তো এসেছে, 'গোটা সৃষ্টিজগত আল্লাহ পাকের বৃহত্তর পরিবারের মত।' সুতরাং, ভালোবাসা সবসময়। সবার জন্য। আল্লাহ পাক তার কল্যান করুন। তাকে পরিচালিত করুন আলোকিত পথে।

কঠিন প্রতিকূলতাকে জয় করার অদম্য বাসনা...........
সামু বন্ধের সে দিনগুলোয় মনে হত যেন, আমি নিজেই বুঝি আটকে আছি। মন মানতো না। প্রাণ খুলে লিখতে না পারার কষ্ট নিয়ে সেই প্রতিকূলতাকে জয় করার দৃঢ় মনোবল কখনো হারাইনি। অদম্য এই মনোবলে সামুর যোগান ছিল, প্রেরণা ছিল।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাামু'র সুন্দর মূল্যায়ন করেছেন। আপনার বাকি ব্লগযাত্রা নিষ্কন্টক হোক!
শুভকামনা রইলো....

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম মন্তব্য, প্রথম লাইকপ্রাপ্তি পোস্টের স্বার্থকতা।

ভালো থাকুন, প্রার্থনা সবসময়।

২| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা আপনার একেবারেই অন্য ধরনের লেখা নকীব ভাই। খুবই ভালো লাগলো। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে আটকে না থেকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর লিখতে পারেন, মতামত দিতে পারেন। তাহলে আমরা, সামুবাসী আরো সমৃদ্ধ হই। এটা অবশ্য আমার মনের কথা। আশাকরি অন্যভাবে নিবেন না।

সামু'তে লিখে দেশের কোন পরিবর্তন হয়তো আনা যায় না, কারো মনোজগতেও হয়তো পরিবর্তন আনা যায় না; তবে মনের ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ, বেদনা তো প্রকাশ করা যায়। সামু অনেক ধৈর্য্য নিয়ে এসব শোনে। এমন শ্রোতা আপনি কোথায় পাবেন? এদিক থেকে সামু আমার মতে বউয়ের থেকেও ভালো। :P

সেজন্যেই সামু'র জন্য এক বুক ভালোবাসা বুকে লালন করি।

অ.টঃ আমার বউ এই মন্তব্য দেখলে আমার খবর আছে!!! =p~

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যের একেবারে শেষের লাইনটা পড়ে না হেসে পারিনি। আপনার নাম কিন্তু এই পোস্টে একবার এসেছে। চোখে পড়েছে কি?

ভাবীকে সালাম। আশা করি, আপনার এই মন্তব্য দেখলেই বুঝে যাবেন যে, আপনি নিছকই মজা করার জন্য এমনটা বলেছেন। আর স্বাভাবিকভাবেই আপনার প্রতি তার আন্তরিকতা অক্ষুন্ন রাখবেন।

সামু'তে লিখে দেশের কোন পরিবর্তন হয়তো আনা যায় না, কারো মনোজগতেও হয়তো পরিবর্তন আনা যায় না; তবে মনের ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ, বেদনা তো প্রকাশ করা যায়। সামু অনেক ধৈর্য্য নিয়ে এসব শোনে। এমন শ্রোতা আপনি কোথায় পাবেন? এদিক থেকে সামু আমার মতে বউয়ের থেকেও ভালো। :P

-একেবারে মনের কথা বলেছেন।

বৈচিত্র্যপূর্ণ লেখার যে কথা বলেছেন, তার জন্য চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।

৩| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সত্য লিখেছেন।

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সামু নিয়ে একেক জনের মনের কথা একেক রকম হলেও কিছুটা কমন মিল সবারই এক।

সুন্দর বিশ্লেষন।

ভাল থাকুন প্রিয় ভাই।

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া।

৫| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেদুইন রাজ্যের রূপকথা নিয়ে ম্যাঁওপ্যাঁও করাই আপনার কাজ ব্লগে।

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার স্বপ্নের নিউইয়র্কও ধীরেধীরে বেদুঈনদের আবাসে পরিনত হতে চলেছে মনে হয়!

বি: দ্র: পথেঘাটে উর্বশী রূপবতীদের সাথে অকারণ ম্যাওপ্যাও থেকে বিরত থাকা স্বাস্থ্যের জন্য হীতকর।

৬| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সামুর বিকল্প নেই।

শুভেচ্ছা রইলো :)

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, শুভেচ্ছা।

৭| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: ব্লগে আপনার অভিজ্ঞতা শুনে ভাল লাগল।

আপনার সমসাময়িক সময়ে তাহলে আমিও ব্লগিং শুরু করি। আমি ২০১০ এ প্রথম আলো ব্লগে ব্লগিং শুরু করি। আমার অনেক পছন্দের একটি ব্লগ ছিল প্রথম আলো। প্রথম আলো ব্লগ বিলুপ্ত হবার পর আরও অনেকগুলো ব্লগে থিতু হবার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনটাতেই নিজের মনে হচ্ছিল না। সামুতে এলাম অবশেষ তাও ৪ বছর হয়ে গেল। এখানকার ব্লগের মিথস্কিয়াতে মুগ্ধ হলাম।

সহনশীলতার অনেকগুলো স্তর থাকে, ঠিকই বলেছেন। আপনার মত আমারও একই রকম উপলব্ধি।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। আপনি তো মা-শাআল্লাহ, বেশ অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

থাকুন, সামনের দিনগুলোতে অনেক কথা হবে ইনশাআল্লাহ।

৮| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: লেখালেখিটাই আসলে একটা নেশার মত, সামুতে এসে এই নেশাটা হয়ত আরো বাড়িয়ে দেয় ।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আমারও সেরকমই মনে হয়েছে। বিশেষ করে সামুতে আসার পরপরই ব্লগ জীবনের প্রথম দিককার দিনগুলোতে এই ঝোকটা অন্যরকম বেশি ছিল।

৯| ০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: ব্লগে না এলে কে সময়ের সেরা চিন্তক কে দার্শনিক এটা আমি জানতাম না

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জানতে যখন পেরেছেন, দয়া করে বাকি লোকদের সাথে শেয়ার করুন যাতে তারাও জেনে নিতে পারেন সময়ের সেরা চিন্তক এবং দার্শনিককে।

ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ব্লগনিয়ে আপনার সুন্দর সবকয়টা কথা ভাল লেগেছে। আপনাকে আমাদের সাথে পেয়ে আমরাও গর্বিত।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি ব্লগে পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্তদের অন্যতম। মোবারকবাদ।

অনেক কথা হবে ইনশাআল্লাহ।

১১| ০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সময়োপযোগী শিক্ষণীয় ও বিশ্লেষণমূলক পোষ্ট। আপনাকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা । জয়তু সামূ।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্লগে আপনার সার্বক্ষণিক উপস্থিতি সত্যি প্রেরণাদায়ক। পরিবার-পরিজনসহ আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করছি।

১২| ০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

আল ইফরান বলেছেন: এই ব্লগে বিচরন শুরু সেই ২০০৮ থেকে (রেজিষ্ট্রেশন অবশ্য পরে করেছিলাম)।
আপনি ৪ নাম্বার পয়েন্টে যার কথা বলেছেন তাদের একটা বড় গ্রুপ ছিলো ব্যাক টু দ্যাট পিরিয়ড।
এই গ্রুপটা বা তাদের অবশিষ্টাংশের সাথে তর্কে না জড়ানোর কারন ছিলো (এখনো আছে) জ্ঞানের স্বল্পতা।
তবে এদের লেখায় যুক্তিতর্ক আছে এবং মতের মুক্ত প্রকাশকে আমি সমর্থন করি।
আপনার লেখা অফলাইনে পড়ি, মন্তব্য করা হয় না খুব বেশি।
ব্লগে আমার সবচাইতে বড় অর্জন পরমতসহিষ্ণুতা।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনি ঠিক ধরেছেন। এদের কাজকর্ম দেখে মাঝে মাঝে আমার হাসি পায়। এদেরকে গ্রুপাকারে হয়তো দেখিনি, তবে একজনকে দেখে কিছুটা ধারণা করতে পারি তাদের সম্মন্ধে।

তবে এদের লেখায় যুক্তিতর্ক আছে এবং মতের মুক্ত প্রকাশকে আমি সমর্থন করি।

-ধন্যবাদ, আপনাকে এমন মনোভাব পোষন করায়। তবে কারও লেখায় যুক্তিতর্ক থাকার পরেও ভিন্নমত এবং সেই মতের লোকদের যাচ্ছেতাই গালিগালাজ করাকে আমি মুক্তমত মনে করি না এবং এমন কিছুকে সমর্থনও করি না। সম্ভবত: আপনিও সেটাই ভাববেন।

আপনার লেখা অফলাইনে পড়ি, মন্তব্য করা হয় না খুব বেশি।

-মাঝে মাঝে অনলাইনে এসে একটু আধটু হাই হ্যালো বলে গেলে বাকিরা সজাগ হবে।

ব্লগে আমার সবচাইতে বড় অর্জন পরমতসহিষ্ণুতা।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।


-দারুন কথা। সত্যিই এটা অন্যতম অর্জন। দীর্ঘজীবি হোক সামু।

শুভকামনা।

১৩| ০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক তার প্রতি সামান্য সহনশীলতা প্রদর্শনে আমার সমস্যাটা কোথায়? এবং সুতরাং, ভালোবাসা সবসময় এই বাক্যের জন্য আপনার প্রতি স্যালুট।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রতিও আন্তরিক অভিবাদন।

১৪| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যের একেবারে শেষের লাইনটা পড়ে না হেসে পারিনি। আপনার নাম কিন্তু এই পোস্টে একবার এসেছে। চোখে পড়েছে কি? অবশ্যই! মাই প্লেজার!! পুরোটা না পড়ে আমি সাধারনতঃ মন্তব্য করি না। কোন কোন সময়ে প্রথম স্থান দখল করার জন্য মন্তব্য করলেও জানিয়ে দেই যে, পোষ্ট পড়ি নাই, পড়ে বিস্তারিত মন্তব্যে আসছি!! :)

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি আগেই জানি, আপনার চোখ এড়ানো যেমন তেমন ব্যাপার না। আপনার হচ্ছে 'বাজের চোখ'! 'বাজ পাখি' মানে জানেন তো! আমাদের গ্রামাঞ্চলে বড় মাছ শিকারি পাখিকে 'বাজ পাখি' বলে। এদের দৃষ্টিশক্তি বড়ই প্রখর। চোখ দু’টো খুবই কমনীয়।

আন্তরিক অভিনন্দন।

১৫| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার উপলব্ধি।।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



শুভকামনা সবসময়।

১৬| ০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় নকিবভাই। চমৎকার অভিব্যক্তি। ++

শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



সামান্য স্মৃতিকথার মত। আপনাদের মত সুসাহিত্যিকদের পাশে থাকার সৌভাগ্যকে সামুর অবদান মনে হয়। ভালো লাগে।

কৃতজ্ঞতা ভাই।

১৭| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,




ঠিকই বলেছেন - সামু দু'হাত ভরে লিখতে শিখিয়েছে।
লিখুন দু'হাত ভরেই আর হরেক বিষয় নিয়ে।

ভালো থাকুন আর নিরাপদে...........

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সামুতে না এলে এত লেখালেখি হয়তো আমার হয়েই উঠতো না। এইক্ষেত্রে ফেইসবুকের ব্যবহার আমার তেমন পছন্দের না। ফেইসবুকে যদিও অনেকে লিখে থাকেন কিন্তু কেন জানি ওটাকে আমার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের একটা বাজার বাজার জাতীয় স্থান বলে মনে হয়। কিন্তু ব্লগ হচ্ছে- বিশেষ শ্রেণির শিক্ষিত, সচেতন এবং আধুনিক লোকদের মতামত দেয়ার স্থান। এটার বিশেষত্ব এখানেই।

ভালো থাকুন আপনিও নিরন্তর..............

১৮| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৮:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগ হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেতন ছাড়া।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক, বেতন ছাড়া চাকরির মত।

১৯| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১২:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনেকদিন পর লগইন করলাম মন্তব্য করার জন্য ।
চমৎকার লিখেছেন।
সামু ভাবতে শিখিয়েছে
সামু লিখতে শিখিয়েছে ।

চাকরি হারানো নিয়ে যে কথাটা লিখেছেন ওটা আমার ঠিক মনে আছে । তাৎক্ষণিক মজা পেলেও ঐ কথাটার বিশাল মানে আছে। অন্যরা পেপার পড়ে, নেট ঘাটে আর আমি অফিসে ব্লগ ওপেন করি। এটা নিয়ে ঝামেলা কম হয়নি। পেপার টেপার নায়ক নায়িকা বিনোদন সমস্যা নাই। ব্লগে সমস্যা। অফিস কি কবিতা লেখার জায়গা !

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মানুষের কিছু ভুল কনসেপ্ট এর কারণে সমস্যাটা বেড়ে যায়। নেটে ঢুকে পেপার দেখেন, ফেইসবুকে সারা দিন পড়ে থাকেন- সমস্যা নেই, সমস্যা শুধু ব্লগের নাম নিলেই। মানুষের অজ্ঞতা ধীরে ধীরে কেটে যাবে।

একরাশ মুগ্ধতা আন্তরিক মন্তব্যে। শুভকামনা।

২০| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার বলেছেন। সামু আমাদের সত্যিকারে লেখক হতে কিংবা সিরিয়াসলি লেখতে উৎসাহ ও সাহস যুগিয়েছে। আপনি ব্লগের একজন সজ্জন মানুষ। নিজের বিশ্বাস আর ভালো লাগার বিষয়গুলো নিয়ে লিখেন। বিরুদ্ধচারীদের মতামতকে নিজের পোস্টে সাধুবাদ দেন। এটা ব্লগিং না করলে হয়তো শেখা হতো না। ব্লগর প্রতি আপনার ভালোবাসা অটুট থাকুক। লিখুন নিজের বিশ্বাসের জায়গা থেকে। শুভ কামনা রইলো।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সামুতে আপনার আগমন এবং সামু জয় করে নেয়াটা ছিল ঝড়ের মত। খুব অল্প সময়ে কিছু সমৃদ্ধ পোস্ট উপহার দিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছিলেন তখন।

আপনার মত পদাতিক চৌধুরি ভাইও। তিনিও এলেন এবং জয় করে নিলেন। যদিও তার লেখার বিষয় এবং ধরণ ভিন্ন। আপনারা দু্ই চৌধুরি সাহেবই আমার অতি প্রিয় ব্যক্তিত্বদের অন্যতম।

আশা করছি, সামনের দিনগুলো আরও চমৎকার হবে। ইনশাআল্লাহ পাশে পাব, পাশে থাকবো।

শুভকামনা সবসময়।

২১| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ৩:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আল্লাহর ভরসাতেই এখন পর্যন্ত আছি(তিন মাস কয়েক দিন)প্রথম মাসেই ঝেটিয়ে বিদেয় করতে চেয়ে ছিল কয়েক জন।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধৈর্য্যধারণ করে চলতে থাকুন। পারতপক্ষে কারও সাথে ঝগড়ায় যাবেন না। অপরের মতামতকে সম্মান জানিয়ে চলুন।

অনেক কথা হবে ইনশাআল্লাহ।

ভালো থাকুন আপনিও নিরন্তর..............

২২| ০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ব্লগে না এলে যে জিনিস গুলো হয়তো জানাই হতো না সে সব বিষয়ে সুন্দর একটি ফিরিস্তি সাথে সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানা গেল ।

১) সামুতে লিখতে গিয়ে অনেকেই বিবিধভাবে নাকাল হয়েছেন মর্মে দেখা যায়। ব্লগের বাইরে পারিবারিক ভাবেও অনেকে যে নাকাল হন তাও এখন জানা গেল । তবে আমি মনে করি সামুতে যারা নাকাল হন তারা মুলত পুরাতন জানাশুনা ব্লগারের মাধ্যমেই বেশী নাকাল হন, হঠাত করে গজিয়ে উঠা বিচিত্র নামদারী কিছু ব্লগারদেরকেও নাকাল কর্মে সক্রিয় দেখা যায় । যাহোক তেমন ক্ষেত্রে ব্লগের লেখা পাঠে সিলেকটিভ কিংবা মন্তব্য দানে বিরত থাকা যেতে পারে সে সাথে নীজের পোষ্টের লেখার উপর প্রভোকেটিভ মন্তব্যের উত্তর দানের বিষয়ে নন প্রভোকেটিভ কৌশলী কথা বলা যেতে পারে ।উল্লেখ্য আমার কোন পোষ্টে মন্তব্যের ঘরে কেউ এসে আমাকে যদি প্রভোকেটিভ মন্তব্য দিয়ে নাস্তানাবুদ করার চেষ্টা করেন তাহলেও তাঁর প্রোভোকেটিভ মন্তব্যে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে বিনয়ের সাথে যুক্তি এবং তথ্য উপাত্ত দিয়ে তা খন্ডন করার চেষ্টা করি।

২)সামুকে না স্রীকে বেশী সময় দিবে সেটা একজন ব্লগারের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার । তবে প্রয়োজন অনুযায়ী উভয় জায়গায় সময় দিয়ে ব্যালেন্স রক্ষা করা জরুরী তা না হলে পরিনামে জীবন হেল হয়ে যাবে ।

৩) সামুতে লেগে থাকার কারণে ইতিপূর্বে কারো চাকরি হারানোর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা শুনে মর্মাহত হলাম।পূর্ণ সতর্কতার সাথে চলার মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার হাত থেকে আত্মরক্ষা করা অবশ্যই উচিত । এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব একটি মতামত আছে । চাকরি যদি নিজের প্রতিষ্ঠানে হয় তাহলে খেয়ালখুশি মতো যা কিছু মনে চায় তিনি তা করতেই পারেন, অবশ্য এর পজিটিভ নিভেটিভ ফলাফল উনাকেই ভোগ করতে হবে ।তবে চাকুরী যদি সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠানে হয় তাহলে সেখানকার কর্মস্থলে কাজে নিয়োজিত থাকার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম কানুন এর ভিতরে থেকে শুধুমাত্র ব্রেক পিরিয়ড ব্যতীত অন্য সময় নিজের পছন্দমত কোন কাজ করার অবকাশ কিংবা ফুরসত পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ জানা মতে প্রতিটা কর্মস্থলেই লোক সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম, সে কারণে কাজও অনেক বেশি । অপরদিকে অফিসে যাদেরকে অফিসিয়েলী কম্পিউটার দেয়া হয় তাদের উপর অফিসের প্রয়োজন আনুযায়ী সৃজনশীল কাজ কিংবা বড় মাপের দায়িত্বশীলতাও অর্পন করা হয় । নিজের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীগনকেও কর্ম সময়ে অফিসের নিয়মকানুনের বেড়া জালের ভিতরে থেকেই তাদের দায়িত্ব সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে হয় ।তাই একজন চাকুরী জিবীর পক্ষে অফিসে থেকে সামুতে বিচরণের জন্য সময় দেয়ার অবকাশ খুবই কম । সামুর কোন পোস্ট মনযোগ দিয়ে পাঠের পর তার উপরে মন্তব্য লেখার জন্য যতটুকু সময় দেয়া প্রয়োজন তাও কিন্তু নেহায়েত কম নয় । সেই সময়টাতে অফিসের কাজের সময় অন্য কাজে নিয়োজিত থাকার বিষয়টি নৈতিকতা বিবর্জিত ও অফিসের নিয়মশৃংখলা পরিপন্থি কাজের পর্যায়ে পড়ে । তবে অফিসের প্রতি প্রতিশ্রুত দায়বদ্ধতা পুরণের পরে কেও যদি ফাক ফুকরে সামুতে বিচরণ করেন তাহলে হয়তো তা স্বাভাবিক ভাবে নেয়া হতে পারে।কিন্তু সামুতে বিচরণের সময় যদি বেশী ও নিয়মিত হয় এবং তা কতৃপক্ষের গোচরীভুত হয় তাহলে কতৃপক্ষ বিরক্ত হতে পারেন, এমনকি বিভিন্ন ধরনের ডিসিপ্লিনারি একশনেও যেতে পারেন । পরিনামে এমপ্লয়ী তার এহেন কর্মের জন্য কতৃপক্ষের তরফ হতে সর্বনিম্ন রিএকশন সেন্সাস তথা তিরস্কার থেকে শুরু করে সাময়িক বরখাস্ত কিংবা পার্মানেন্টলি বরখাস্ত হওয়ার সম্ভাবনার সম্মুখীন হতে পারেন ।এমতাবস্থায়, অফিসে থাকাকালীন সময়ে অফিসের দায়িত্বের বাইরে অন্য কোন কিছু নিয়ে সময় দেয়া খুব একটা যুক্তিসংগত নয়। সামুতে প্রতিদিন একটি করে নতুন পোষ্ট বা কারো কোন পোষ্ট মনযোগ দিয়ে পাঠ না করে অগনিত পোষ্টে যেন তেন মন্তব্য দেয়ার জন্য সামুতে দীর্ঘ সময় বিচরণ কারীদের নীজেদের পোষ্ট সংখ্যাই মুলত লম্বায়িত হয় । তারচেয়ে সামুতে থাকা অগনিত পোষ্টের মধ্যে নীজের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য কিংবা বিনোদন লাভের জন্য পসন্দমত পোষ্টে নীজের অলস/বা লেইজার পিরিয়ডে বিচরণ করলে এবং নিয়মিত বিরতিতে নীজের পোষ্ট প্রাকাশ করলে উভয় দিকেই ব্যালান্ম রক্ষা করে চলা যায় বলে মনে করি ।

৪) সামু দুহাত খুলে লিখতে শিখিয়েছে এটা একেবারে সহি কথা । সামু অনেককেই সুযোগ করে দিয়েছে বড় মাপের কবি ,সাহিত্যিক ও লেখক হিসাবে পরিচিতি পেতে । প্রতিবছর বই মেলায় সামুর অগনিত গুণী ব্লগারদের প্রকাশিত পুস্তকের সমাহারই তার পরিচায়ক । একজন ব্লগারকে সামু আদৌ কিছু দিতে পেরেছে কিনা সেটা একান্তই তার নিজস্ব মুল্যায়নের ব্যপার, তবে একজন ব্লগার এর পারফরমেন্সের বিষয়ে পাঠক ও সামু কতৃপক্ষের মুল্যায়নও বিভিন্ন সময়ে বিবিধভাবে সামুতে উঠে আসে। সেখান হতেও একজন ব্লগার নীজের প্রাপ্তিটুকু অনুভব করতে পারেন।

সামুতে বিচরণ শুধুই সময়ের অপচয় কিনা এ সম্পর্কে খুব প্রাসঙ্গিক নাহলেও কাছাকাছি পর্যায়ের একটি লেখার কথা মনে পড়ে যায়। বছর চারেক আগে সামু পরিবারে আমার সদস্য হওয়ার দিন কতেক পরেই ''যে সময়টা আমরা ব্লগে ব্যয় করছি, কখনও কি ভেবে দেখেছি তা আমাদের আখিরাতের জন্য কতটা কাজে লাগছে” ? শিরোনামে একজন ব্লগারের পোষ্টের প্রশ্নের প্রতি মনযোগ আকৃষ্ট হয়। মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হল লেখাটির কলেবর মন্তব্যের ছোট্ট পরিসরে বেমানান দেখাবে । তাই মন্তব্যটিকে সেখান হতে তুলে নিয়ে একটি পৃথক পোষ্ট আকারে দিয়েছিলাম ( লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন - Click This Link)
ব্লগে বিচরণ দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল ও নীজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য কতটা সহায়ক সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কালে প্রাসঙ্গিক ভাবেই এসে যায় হাদিস ও কোরানের মুল্যবান কিছু আয়াতের কথা । কারণ প্রত্যেক নর নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন অত্যাবশ্যকীয় মর্মে রয়েছে মহানবীর মুল্যবান দিক নির্দেশণা আর জ্ঞান অর্জন বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে বলতে শিখিয়েছেন :
‘’হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।‘’ ( সুরা তাহা, আয়াত ১১৪ )

তিনি (আল্লা) আরো বলেন “হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন( সুরা হুজরাত, আয়াত ১৩)।

আল্লার কালামের প্রতিটি অক্ষর পাঠে রয়েছে অনেক নেকী আর আল্লার কালাম পাঠের সাথে যদি তা কার্যে প্রতিফলন করা হয় তাহলে আরো অনেক বেশী নেকী । আল্লাহ মানব জাতিকে বিভিন্ন জাতিতে ও গোত্রে বিভক্ত করেছেন যাতে করে তারা পরস্পরে পরিচিত হতে পারে । এখানে জাতি ও গোত্রের কোন সীমা /পরিধি বা ক্ষেত্র সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই । পরস্পরে পরিচিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে । এতে অবশ্যই রয়েছে নেকী কেননা এটাতো কোরানের আয়াতেরই একটি বাস্তব প্রয়োগ। ব্লগে বিচরণকারী ভাই বোনেরা একটি ব্লগীয় গোত্র হিসাবে প্রতি নিয়তই একে অপরের সাথে পরিচিত হচ্ছেন , মতামত শেয়ার করছেন, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন । তবে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, কে ব্লগীয় সম্পৃতি রক্ষা করছেন আর কে তা বিনস্ট করছে তার সবকিছুর খবরই তিনি রাখেন । সম্পৃতি বিনষ্ট কারীদের প্রকাশ্য প্রয়াসকে অবশ্য ব্লগ কতৃকক্ষও বেশ দক্ষ হাতে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রন করছেন ।
যাহোক, যখন আল্লাহ তার বান্দাকে জ্ঞান দান করেন তখন সে আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে আরো বেশী জানবে এবং জানতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। সে যত বেশি জানবে আল্লাহর গুণাবলীর সঙ্গে সে আরো বেশী পরিচিত হয়ে ওঠবে। ফলে তার মনপ্রাণ সৃষ্টিকর্তার উপাসনার জন্য আরো বেশী যোগ্য ও নিষ্ঠাবান হয়ে উঠবে, বিনীতভাবে তাঁর কাছে সমর্পণ করতে পারবে, তার হৃদয়ে আল্লার প্রতি প্রেম ও মহব্বত সৃষ্টি হবে । আল্লার সৃস্টি সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য একজন ব্লগার, যে নিয়মিত ব্লগে বিচরণ করে সে অন্য যে কোন শিক্ষা মাধ্যমের চেয়ে অতি অল্প আয়াসে উম্মোক্ত ব্লগ ভান্ডার থকে প্রচুর সচিত্র জ্ঞানগর্ভ তথ্য আহরণ পুর্বক নীজ জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে । ব্লগ ভান্ডার থেকে জ্ঞান আহরণের বিষয়ে এর বেশী আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না । সঠিক বিষয়ে এবং সঠিকভাবে ব্লগে বিচরণ করলে ইহকাল ও পরকাল দুজায়গাতেই উপকারে আসবে ।

ব্লগে যে যত বেশী বিচরণ করতে পারবে সে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা, শিল্প সাহিত্য, সমাজকল্যান, রাজনীতি , সমাজনীতি, অর্থনীতি ও ধর্মীয় বিষয়ে তত বেশী জ্ঞান লাভ করতে পারবে । অন্য কিছু বাদই দিলাম শুধু মাত্র ধর্মীয় বিষয়ে কোরান ও হাদিস নিয়ে যে সকল আলোচনা সামুতে প্রতিনিয়ত হয় তা নিয়েই যে কেহ ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতে পারে । তাছাড়া ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে নিবিষ্ট মনে একাগ্র চিত্তে আরো অনেক সময় দিতে হয় এর পিছনে । এখানে ইসলামের কল্যানে, নির্যাতিত মানবতার কল্যানে, ইসলামের বিরোদ্ধে বিধর্মীদের প্রচারণা ও যাবতীয় প্রোপাগান্ডার বিষয়ে শক্ত হাতে কলমের যুদ্ধ তথা জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার অপুর্ব একটি সুযোগও এখানে বিদ্যমান । কারণ ব্লগটাই হলো মুক্ত চিন্তা প্রকাশের শক্তিশালী একটি মাধ্যম । এখানে উল্লেখ্য যে, অবিশ্বাসীদেরকে আল্লার প্রতি বিশ্বাসে ফিরিয়ে আনার জন্য দ্বীন ও ইসলামের পথে আনার লক্ষে কাজ করা তথা জিহাদে সামিল হওয়াকে অনেকেই অতি উচ্চমাত্রার পুণ্যের কাজ বলে বিশ্বাস করেন ।
অবশ্য আখেরাতে কার কি হবে সেটি আলেমুল গায়েব একমাত্র আল্লাই ভাল জানেন । যাহোক, ব্লগের পিছনে ঘন্টার পর ঘন্টা , দিনের পর দিন , বছরের পর বছর পার করে অনেকেই, পারলে সকলেই নীজ নীজ কাংখিত ক্ষেত্রে প্রভুত জ্ঞান ও অশেষ পুণ্য অর্জন করে আখিরাতের সুখের জন্য সম্বল নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারেন । তবে ব্লগে বিচরণের পাশাপাশি নীজেদের চরিত্রকে পুত পবিত্র রেখে কোরান ও সুন্নার আলোকে অত্যাবশ্যকীয় ধর্মীয় বিধানাবলী যথানিয়মে নিয়মিতভাবে প্রতিপালন ও করতে হবে । তারপরেও আখিরাতের প্রতিফল একমাত্র আল্লারই হাতে । তবে একথা নির্ধিদায় বলা যায় নিয়ত ও সৎকর্ম তথা আমল গুনেই পুণ্য প্রাপ্তি সাথে জাগতিক ও পারলোকিক মঙ্গল সাধন ।

৫) সামুতে আগে অনেকে থাকলেও এখন কিন্তু একাই, এ প্রসঙ্গে আপনার মুল্যায়ন অনেকাংশে সঠিক । তবে সবদিক না বুঝে শুনে কেও যদি কিছু করেন তবে তার অবস্থা আখেরে হয় ঝাঁপ দেয়ার মত( ঝাঁপ এর অভিধানিক অর্থ হলো উচ্চ থেকে নিন্মে পতন)।

৬) সামু বন্ধ থাকার দিন গুলিতে কঠিন প্রতিকূলতাকে জয় করার জন্য আপনি সহ অনেকেই অদম্য বাসনা ও মনোবল হারাননি বলে সামু আজ টিকে আছে সগৌরবে । আপনার এ পোষ্টের কল্যানে সকলের প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা । সামুর সে কঠীন দিনগুলিতে যে কয়জন সামুতে দিবানীশি লগইন থেকে সক্রিয় ছিলেন তার মধ্যে আমিউ একজন ছিলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ, আলী ভাই। এতবড় এবং দীর্ঘ মন্তব্য! প্রতিটি পয়েন্ট ধরে ধরে চমৎকার মতামত! সময় নিয়ে আপনার মন্তব্যে আবার আসবো ইনশাআল্লাহ।

অনেক ভালো থাকবেন সেই প্রত্যাশায়.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.