নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
স্বাধীনতার মূলমন্ত্র লুকিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফায়....
প্রতিবছর ৭ জুন পালন করা হয় ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা ছয় দফা দাবিতে হরতাল পালন করেছিল। বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের সূচনা হয় তখন। মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহর 'দ্বিজাতিতত্ত্ব' থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন 'দুই অর্থনীতি'ভিত্তিক ছয় দফা কর্মসূচি। সাম্প্রদায়িক বিভেদভিত্তিক শাসন-শোষণের বেড়াজাল ছিন্ন করে, অর্থনীতির অসাম্প্রদায়িক চেতনাভিত্তিক স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পথে বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে ছয় দফা কর্মসূচিকে আখ্যায়িত করা হয় বাংলাদেশের 'ম্যাগনা কার্টা' হিসেবে।
এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন তখন।
এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপসহীন সংগ্রামের ধারায় উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি। পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ৬ দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।
পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহবান করা হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দিন অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬ দফা উত্থাপন করেন। পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এই দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬ দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়।
পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।
ছয় দফার মূল বক্তব্যঃ
৬ দফার মূল বক্তব্য ছিল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু'টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে। পূর্ব বাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপন।
বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ৬ দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় জবাব দেওয়া হবে।
৬ দফা কর্মসূচি জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমগ্র পূর্ব বাংলা সফর করেন। ৬ দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, জহুর আহমদ চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী গণসংযোগে অংশ নেন। যশোর, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন।
এই দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।
অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকেরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবার বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ছয় দফার দাবিগুলো সবিস্তারেঃ
প্রথম দফা : সরকারের বৈশিষ্ট্য হবে Federal বা যৌথরাষ্ট্রীয় ও সংসদীয় পদ্ধতির; তাতে যৌথরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন হবে প্রত্যক্ষ এবং সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে। কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার প্রতিনিধি নির্বাচন জনসংখ্যারভিত্তিতে হবে।
দ্বিতীয় দফা : কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব থাকবে কেবল প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় এবং তৃতীয় দফায় ব্যবস্থিত শর্তসাপেক্ষ বিষয়।
তৃতীয় দফা : পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দু'টি পৃথক মুদ্রা-ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যা পারস্পরিকভাবে কিংবা অবাধে উভয় অঞ্চলে বিনিময় করা চলবে। অথবা এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি মুদ্রা-ব্যবস্থা চালু থাকতে পারে এই শর্তে যে, একটি কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার অধীনে দুই অঞ্চলে দুটি রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে। তাতে এমন বিধান থাকতে হবে যেন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে সম্পদ হস্তান্তর কিংবা মূলধন পাচার হতে না পারে।
চতুর্থ দফা : রাজস্ব ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে। প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয়ের ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় রাজস্বের যোগান দেয়া হবে। সংবিধানে নির্দেশিত বিধানের বলে রাজস্বের এই নির্ধারিত অংশ স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে জমা হয়ে যাবে। এহেন সাংবিধানিক বিধানে এমন নিশ্চয়তা থাকবে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্বের প্রয়োজন মেটানোর ব্যাপারটি এমন একটি লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে যেন রাজস্বনীতির উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে থাকে।
পঞ্চম দফা : যৌথরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে, সেই অঙ্গরাজ্যের সরকার যাতে স্বীয় নিয়ণ্ত্রনাধীনে তার পৃথক হিসাব রাখতে পারে, সংবিধানে সেরূপ বিধান থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে, সংবিধান নির্দেশিত বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত অনুপাতের ভিত্তিতে অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে তা আদায় করা হবে। সংবিধান নির্দেশিত বিধানানুযায়ী দেশের বৈদেশিক নীতির কাঠামোর মধ্যে, যার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক সাহায্য সম্পর্কে চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে থাকবে।
ষষ্ঠ দফা : ফলপ্রসূভাবে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার কাজে সাহায্যের জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোকে মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
তা দাদা, যাহা বলিয়াছিলেন! মাত্রাটা কি একটু বেশি হয়ে গিয়েছে না কি?
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
৬ দফা নিয়ে হাদিসে ভবিষ্যত বাণী ছিলো?
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১০:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
গুহাবাসীদের আধুনিক সংস্করণ কিন্তু বাঙ্কার!
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, বেগম জিয়াও হয়তো ৬ দফার পক্ষে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেবেন।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্য ইতিহাস প্রকাশে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের আসল চেহারা বের হতে শুরু করেছে না কি?
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩০
কাছের-মানুষ বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধপোষ্ট এবং পরিশ্রমী পোষ্ট।
মনে হচ্ছে চাঁদগাজী সাহেবের আপনার পোষ্টটি পছন্দ হয়নি!!
০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই তো দেখছি! পাকি হানাদারদের সর্বগ্রাসী জুলূমের নাগপাশ ছিন্ন করে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি- কাউকে ইজারা দেয়ার জন্য নয়।
স্বাধীন দেশে সত্যমতের নির্ভীক প্রকাশ দেখলে কারও কারও কাছে যে তা অসহনীয় হয়ে উঠতেই পারে- এটা তার নমুনা মাত্র!
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। আমাদের মহান স্বাধীনতা এক দিনে অর্জিত হয় নি। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তবেই আমরা পেয়েছি একটি মানচিত্র একটি লাল সবুজ পতাকা । আমাদের চরম আরাধ্য স্বাধীনতা।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া। দারুন বলেছেন প্রিয় কবি ভাই। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের গর্বের ধন। স্বাধীনতার পেছনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অতুলনীয়।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
আল ইফরান বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই, আপনি সাধারণত রাজনৈতিক লেখা এড়িয়ে চলেন। তবে ৬ দফা নিয়ে আমার সীমিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং ধারণা আছে (যা ভুলও হতে পারে)
১। আপনি বোধহয় জানেন যে এই ৬ দফা প্রফেসর রাজ্জাক সাহেব লিখে দিয়েছিলেন। এই জিনিসের প্রবক্তা বংগবন্ধু ছিলেন না। (হিস্টরিকাল ফ্যাক্টঃ তর্ক করার উপায় থাকা উচিত না)
২। ৬ দফা কোনভাবেই স্বাধীনতার দলিল ছিলো না (I am sorry for being too straight)। এইটাকে আমি সর্বোচ্চ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দলিল হিসেবে স্বীকার করে নিতে রাজি আছি। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন থেকে চুড়ান্ত স্বাধীনতায় যাওয়ার যে রাস্তা (রাইট টু সেল্ফ ডিটারমিনেশন), সেইটা প্রয়োগ করার মত ধৈর্য্য এবং নৈপুণ্য আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ছিলো না। এই জন্যই ভারতের হস্তক্ষেপের সুযোগ হয়েছিলো এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে এখনো আমাদের ৩০ লাখ শহীদ ও অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা ইন্দো-পাক যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়।
৩। আপনি যদি ইতিহাস একটু গভীরভাবে পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখবেন যে বংগবন্ধু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভুট্রোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে চেয়েছেন। এজ আ ম্যাটার অফ ফ্যাক্ট, উনি ডিপ্লোমেটিক চ্যানেলে মার্কিন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবশ্যম্ভাবী সংঘাতকে এড়ানোর সর্বোচ্চ চেস্টা চালিয়েছিলেন এইটা প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু কেন পপুলার মবিলাইজেশন সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তা আজও প্রশ্নবিদ্ধ।
৪। আরো কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু ব্লগের উপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খাড়া সবসময় ঝুলছে। তাই আপাতত ক্ষান্ত হলাম
০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আপনার আন্তরিক এবং বিশ্লেষনমূলক মন্তব্য পেয়ে সত্যি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানবেন।
রাজনৈতিক টাইপের লেখা সাধারণত: আমি লিখিই না। এই লেখাটিও লিখতাম না। মূলত: এই লেখাটির পেছনে একটি প্রেক্ষাপট ছিল। ছয় দফার পেছনের কথাগুলো আমিও জানি। কিন্তু ছয় দফা তুলে তো ধরেছিলেন তিনিই।
অনেক ভালো থাকুন।
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঐতিহাসিক দলিল ছয়দফা
০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪০
আমি সাজিদ বলেছেন: আচ্ছা
০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি!
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: ছয় দফায় কি বঙ্গবন্ধুর একক পরিকল্পনা ছিলো?
আর কেউ ছিলো না?
০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
পরিকল্পনায় আরও অনেকেই যুক্ত ছিলেন কিন্তু বিষয়টি উপস্থাপন তিনিই করেছেন।
জাতিসংঘের কোনো অধিবেশনে কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী যখন ভাষন দেন, অনেক ক্ষেত্রেই সে ভাষন পূর্বেই অন্য কারও দ্বারা লিখিয়ে নেয়া হয়। তাই বলে ভাষন কিন্তু সেই লিখে দেয়া ব্যক্তির - এমন কথা কেউ বলেন না। আমার মনে হয়, এখানেও ঠিক তেমনই।
ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার ছয় দফা ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে এই গবেষণামূলক কাজ ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে।
০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ছয় দফা ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে এই গবেষণামূলক কাজ ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে।
আমার বুঝি ছয় দফা! আমার তো দফা কয়েক ডজন!
এটাই যে গবেষনা- কে জানতো তা! গবেষনা কাকে বলে সেটা বুঝা গেল এতক্ষনে তাহলে! যাক, ভালো।
ভালো থাকুন সবসময়।
১১| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আল ইফরান @ ৬ দফা প্রফেসর রাজ্জাক সাহেব লিখে দিয়েছেন , এটা আপনি কোথায় পেলেন ??
২/ ভারতীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া আপনি স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারতেন ??? আপনি হতেন পাকিস্তানি উগ্রবাদী । যেটা পাকিস্তানের তরুণরা হচ্ছে ।
৩/ বঙ্গবন্ধু আপনার মত বেকুব ছিল না বলেই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল । পপুলার মবিলাইজেশন সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন ??? ৭ই মার্চের ভাষণ তাহলে কি ছিল ?
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
তিনি আপনার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন।
১২| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: 'বঙ্গবন্ধু ও নতুন নকিব ' এই শিরোনামে বই লিখে ফেলুন। বেস্টসেলার হলেও হতে পারে সামনে।
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
শুরুটা আপনিই না হয় করে দেখালেন....
সো স্টার্ট ইট প্লিজ...
ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
আল ইফরান বলেছেন: @ ডার্কম্যান
১। এইটা আহমেদ সফা প্রফেসর রাজ্জাককে নিয়ে লেখা বইতে দাবী করেছেন আর তাতে যদি আপনার সন্তুস্টি না হয়, তাহলে 'স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা' বইটা পড়ে নিয়েন। সেখানে ৬ দফার আর্কিটেক্ট হিসেবে রুহুল কুদ্দুস সিএসপির কথা বলা আছে।
২। সবজায়গায় পাকিস্তান খুজে বেড়ানো আপনার মানসিক সমস্যা। আমি কি বলেছি আর আপনি কি উত্তর দিয়েছেন সেটা ভেবে দেখুন।
৩। ৭ই মার্চের ভাষণ কাদের চাপে পড়ে উনি দিয়েছেন তা আশা করি জানেন, আর না জেনে থাকলে মনসুর সাহেবের রাজনীতির ৫০ বছর পড়ে নিয়েন। উনি যদি সবকিছু এতই ভালো বুঝতেন, তাহলে তাজউদ্দিনের সাথে ওনার সংঘাত কেন হল? পাকিস্তান প্রত্যাবর্তিত অফিসাররা কেন অগ্রাধিকার পেল স্বাধীন রাস্ট্র গঠনে?
প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে লিখুন, না জানা থাকলে পড়ুন এবং ভাবুন। ব্যক্তিগত আক্রমণ নোংরা মানসিকতার মানুষদের কাজ।
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। ঝগড়া নয়, চাই সুস্থ আলোচনা ও যুক্তিসঙ্গত মতামত।
১৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইতিহাসের পথ বেয়ে কিছুটা অতীত বিচরণ হলো এ লেখায়।
আমরা তো অনেকেই ছয় দফা, ছয় দফা করে থাকি। কিন্তু ছয় দফায় প্রকৃত কী কী ছিল, তা ক'জনাই বা জানি!
অনুসন্ধানী এ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, এবং পোস্টে প্লাস + +।
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ সামান্য এই লেখাটিকে মূল্যায়ন করে যাওয়ায়।
আপনার উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে। আল্লাহ পাক দীর্ঘজীবি করুন আপনাকে।
১৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আল-ইফরান
১/ আহমদ ছফা যা লিখেছেন তার সবটাই সঠিক বলে মনে হয় না। সিএসপি রুহুল কুদ্দুস নিজে দাবি করেছেন ৬ দফার দলিল সম্পূর্ণ তার তৈরি । সুতরাং আহমদ ছফার বক্তব্য মিথ্যা । বঙ্গবন্ধু কারো কারো সামনে সিএসপি রুহুল কুদ্দুসকে দেখিয়ে বলেছিলেন ৬ দফা রুহুল কুদ্দুসের তৈরি ।
২/ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে খাটো করে দেখার প্রবণতা আমাদের দেশের একশ্রেণীর মানুষের রয়েছে। এদের আমি রাজাকারের উত্তরসূরি বলে মনে করি ।
৩/ পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসার বলতে কাদের বুঝিয়েছেন ?? সামরিক নাকি বেসামরিক ?? আপনার মত জ্ঞানী না হওয়ায় বুঝতে পারলাম না । একটু বুঝিয়ে বলুন।
৪/ তাজউদ্দিনের সাথে নিশ্চয়ই মেজর কোন কারণে পার্থক্য হয়েছিল।
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ আপনাকে আবারও। সুস্থ আলোচনা ও যুক্তিসঙ্গত অভিমত প্রকাশই স্বাধীন মুক্ত মতামতের পরিচায়ক।
১৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ৬ দফা
০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৭| ১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
আল ইফরান বলেছেন: @ ডার্কম্যান
১। আমার কাছে তুলনামুলক পর্যালোচনায় রুহুল কুদ্দুস সিএসপিকেই মনে হয়েছে। রুহুল কুদ্দুস সাহেবের পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক ছিলেন বলে আমি জানি। সেখানে প্রফেসর রাজ্জাক সাহেবের ভুমিকা কি ছিলো তা ঠিক পরিষ্কার না। তবে ৭১' পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাপ্রবাহে বুঝা যায় যে বঙ্গবন্ধুর সাথে ওনার একটা গুরুত্বপুর্ন কানেকশান ছিলো।
২। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে খাটো করে দেখানোর উদ্দেশ্য আমার কখনোই ছিলো না। ভারতের একটা ভেস্টেড ইন্টারেস্ট ছিলো, আমি কেবল এইটা বলতে চেয়েছি।
৩। আমি উভয়ক্ষেত্রকেই বুঝিয়েছি। আমি জ্ঞানী নই, ইতিহাসের উৎসাহী ছাত্র কেবল।
৪। আমার প্রশ্নটা এই জায়গাতেই ছিলো। এখানে আমাদের পড়াশুনা, গবেষণা এবং জ্ঞানের ঘাটতি আছে বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
৬ দফার উপর কোন হাদিস আছে?