নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
যেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের উপসর্গসমূহ বন্ধ করতে হবেঃ
ধর্ষণ আগেও ছিল কিন্তু ইদানিং এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কি? আগে কালেভদ্রে ধর্ষনের খবর শোনা যেত। এখন মুহূর্তে মুহূর্তে ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। রেডিও, পত্র পত্রিকা, টেলিভিশনসহ ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার সর্বত্র, সকল মিডিয়ায় ঘুরেফিরে এই একই খবর। একটু পরপর নতুন নতুন ধর্ষনের খবর। গণধর্ষনের খবর। এসব খবর দেখে দেখে ক্লান্ত চোখ এখন পালিয়ে বাঁচতে চায়। পত্রিকা আর পড়তে ইচ্ছে হয় না। বাসায় পত্রিকা রাখা বন্ধ করেছি - বাচ্চাদের কাছ থেকে বিব্রতকর প্রশ্নে লজ্জিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য। বাচ্চা আমাকে প্রশ্ন করেছে ধর্ষন কি আব্বু? ধর্ষন কেন করে মানুষ?
ছোট বাচ্চার মুখের এই প্রশ্নের কি উত্তর দিব? মাঝে মাঝে বিদ্রোহী মন বলে ওঠে, এই সমাজ সংসার, সব কিছু ছেড়েছুঁড়ে নিবিড় ছায়াঘেরা বনবীথি কিংবা দূর অজানা নির্জন পাহাড়ে চলে যেতে পারতাম যদি! যেখানে মানুষ নেই, যেখানে ধর্ষনের কোনো ঘটনা নেই, একই নারীকে পৌনপুনিক ধর্ষিত হতে হয় না, যেখানে ধর্ষনের বিচারের নামে প্রহসনও নেই!
ধর্ষন বন্ধ করার জন্য কি করা যায়?
ধর্ষন বন্ধে সরকার সচেষ্ট। সরকার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের আইন করেছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এই আইন ধর্ষন বন্ধ করতে পারবে কি? আসলে সরকারের একার পক্ষে ধর্ষন বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য শুধু কঠোর আইন চালু করলেই হবে না, এ আইন দ্রুত যথাযথ স্থানে প্রয়োগ করতে হবে।
যেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের উপসর্গসমূহ বন্ধ করতে হবেঃ
যেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের উপসর্গসমূহ বন্ধ করতে হবে। অশ্লীল ওয়েব সিরিজ, ভারতীয় নিম্নরুচীর অশ্লীল চলচ্চিত্র, পর্নোগ্রাফি, সিনেমা, নাটক, টেলিফিল্ম ও ইন্টারনেটে সকল প্রকার নগ্নতা, যৌনতা-অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা চলছে। অনেকেরই অভিমত, এই সব নগ্ন ও ধর্ষণের দৃশ্য দেখে শিখে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টার কারণেই সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যুব সমাজের নৈতিক অধঃপতন রোধ এবং কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের চারিত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে সরকারকে আরো সচেতন হতে হবে। পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহভীরুতা, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, মানবিক মূল্যবোধের সঠিক চর্চা করতে হবে। শিক্ষার সকল স্তরে মুসলমানদের জন্য ইসলামী শিক্ষা এবং নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। মেয়েদের জন্য ইসলামি শরিয়া মোতাবেক পর্দা ও শালীন পোশাক পরিধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
নতুন বলেছেন: এখন বিশ্বায়নের যুগ। তাই কোন একটা ধমীর্য় আইডিয়া দিয়ে সমাজ নিয়ন্ত্রন করা যাবেন।
সমাজে মানবতার উপরে ভিক্তি করে নৈতিকতার শিক্ষা সবাইকে দিতে হবে।
তখন সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
তার উদাহরন সভ্য ইউরোপিয়ান অনেক দেশেই আছে।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২০
নতুন বলেছেন: পর্ণ, এলকোহল বিশ্বের সমাজে এমন ভাবে শিকড় গেড়েছে তার মূল উতপাটন করা অসম্ভব।
কিন্তু এসবকে সাথে নিয়েই সবাইকে বেচে থাকতে হবে।
আমাদের দেশে যেটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে কারন দেশে দূনিতির কারনে সাজা হচ্ছে না। যদি সঠিক সাজা হয় তবে মানুষ আইন মেনে চলবে।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পুরো পৃথিবীতে যদি ইসলাম ধর্ম থাকতো এবং সকলে তা সুন্দর ভাবে মানতো তাহলে পৃথিবী টা আনন্দময় হতো।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
এম ডি মুসা বলেছেন: রাজীব নূর ভাই আমি আপনার সাথে একমত নয়। আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর যুগে একদল মুনাফিক ছিল মুসলমান নামধারী ওরা উপরে আল্লাহকে অস্বীকার করতো এবং গোপনে মহানবী সাল্লাম এর বিরোধিতা আল্লাহর বিরোধিতা করতে
আল্লাহ এদের জন্য এটা সূরা নাযিল করেছেন সুরা মুনাফিক। কিন্তু দেখেন আসলেই ইসলাম থাকুক ইসলাম সত্যধর্ম আমরা আমাদের কাছে প্রত্যেক ধর্মের ভিতরে আসল সত্য মানুষ যদি থাকে মানুষ সত্য যদি থাকে পৃথিবীটা একটা শান্তিতে ধরে আমি এটা বলে মনে করি
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উপদেশগুলি ভালো কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে এইটাই প্রশ্ন।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় যৌনতা এক ধরনের মূলধন তথা লগ্নিযোগ্য সম্পদ হিসাবে বিবেচিত।চারিদিকে যৌন উত্তেজকের যে ছড়াছড়ি সেটা ইরোটিক ক্যাপিটালিজমের ফসল।বুঝে এবং না বুঝে এর সমর্থক অনেক।আর এ ব্যবসায় কর্পোরেট হাউস ও মিডিয়া এতটাই শক্তিশালী এবং কৌশলী যে এদেরকে রুখে দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
আর মৃত্যুদন্ড যৌন সহিংসতা কমাতে পারবে যৌক্তিক কারণে তা বিশ্বাস করি না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
রাশিয়া বলেছেন: যেনা ব্যাভিচার বন্ধ করা আপাতত সম্ভব নয়। বাংলা ও হিন্দী সিনেমার কল্যাণে যেনা ব্যভিচারকারীরা নিষ্পাপ প্রেমের নামে অনেক সহানুভূতি হাতিয়ে নিয়েছে। মানব ধর্মের অনুসারীরা এই লাইনেই ব্যাভিচারকে জায়েয করতে আদা পানি খেয়ে নেমেছে। তাদের ভাষায় "পারষ্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলন করলে তা অপরাধ তো নয়ই বরং স্বর্গীয়"। সমকামী ও পশুকামীদের মতে "আমার ভালোবাসার জন্য ঈশ্বর আমাকে পাপী করবেন, ঈশ্বর এতোটা নির্বোধ নন"। তাই যেনা ব্যাভিচারের বিচার করতে গেলে মাইনকা চিপায় পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
তবে ধর্ষণ এখনও আমাদের হাতে আছে। এইটা যেহেতু জোর জবরদস্তি করে করা হয়, এইটার বিচার করার সুযোগ আমাদের এখনও আছে, নয়ত কোন প্রকৃতিবাদী আবার এভাবে ধর্ষন জায়েয করতে পারে "সব প্রাণিই ধর্ষন করে, তাই মানুষ ধর্ষণ করলে তা পাপ হবেনা।" অথবা "ধর্ষন করা ন্যাচারাল ইন্সটিংক্ট - এটাতে বাধা দেয়া যাবেনা।"
এই গ্রুপটা সক্রিয় হবার আগেই আমাদেরকে ধর্ষকদের ধরে ধরে শাস্তি দিতে হবে। তবে মৃত্যুদন্ড কোনমতেই ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তি নয়। বিচি ফেলে চিরস্থায়ীভাবে খাসী করে দেয়া ছাড়া ধর্ষকের জন্য কোন শাস্তিই উপযুক্ত নয়।