নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব কারণে পরাজিত হতে পারেন ট্রাম্পঃ

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

ছবি অন্তর্জাল।

চলমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব কারণে পরাজিত হতে পারেন ট্রাম্পঃ

হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট জো বাইডেন- মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বশেষ জনমত জরিপ এমনটাই বলছে। দেশ বিদেশের বিশ্লেষকদের মতে, আজ ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঘায়েল হতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণগুলো একটু দেখি-

করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতা :

বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ দেশ আমেরিকা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর সংক্রমিত হয়েছে ৯০ লাখ। এখনো গড়ে প্রতিদিন ৮৯ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে। মার্কিন বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকায় এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু- করোনাভাইরাস।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থতা এবং এ নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান শুধু আমেরিকা নয়, বরং বিশ্বজুড়েই বেশ সমালোচিত। বিবিসির জরিপ বলছে, প্রতি দশজনে সাত জন আমেরিকানই মনে করছেন করোনা ইস্যুতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং বিশ্লেষক জো গার্সটেনসন বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনাভাইরাসের মোকাবেলা যা করছেন অধিকাংশ আমেরিকান তাতে খুশি নন।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের জনসভার কারণে অতিরিক্ত ৭০০ জন মারা গেছেন। কারণ, তার নির্বাচনী সভাগুলোয় স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। সামাজিক দূরত্ব ছিল উপেক্ষিত।

ট্যাক্স ফাঁকি :

প্রেসিডেন্ট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন, আমেরিকানরা তা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না। নির্বাচনে এটি প্রভাব ফেলবে। চীনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার বিষয়টিও তার জন্যে নেতিবাচক হয়েছে। গত নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে হিলারি ক্লিনটনের ইমেল কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছিল, যার সুবিধা পেয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার তেমন কিছু নেই। উল্টো ট্রাম্পের নানা কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হচ্ছে। আগাম ভোটের রেকর্ড গড়ে উঠেছে, যা ট্রাম্পের বিপক্ষে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অর্থনৈতিক অবস্থান :

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছেন। তার নীতিতে বড় ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে মানুষ। তাই আমেরিকার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের পরিবর্তে জো বাইডেনকে বেছে নিতে পারেন।

উদ্ভট মন্তব্য :

করোনাসহ নানা ইস্যুতে উদ্ভট মন্তব্য করে বেশ সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবশেষ জনমত জরিপেও পিছিয়ে থাকা তা-ই প্রমাণ করে।

গণমাধ্যম বিরোধী অবস্থান :

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, গণমাধ্যমগুলো যেসব খবর প্রচার করে তার বেশিরভাগই মিথ্যা ও বানোয়াট। ট্রাম্প তার সরকারের সমালোচনাকারী গণমাধ্যমগুলোকে মিথ্যা খবর প্রচারকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রায় সময়ই টুইট বার্তায় তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের জন্য সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, নিউইয়র্ক টাইমস, এবিসি, সিএনএন শুধু আমার শত্রু নয় বরং এরা আমেরিকার জনগণের শত্রু।

জো বাইডেন জিতে গেলে সত্যিই কি দাঙ্গা বাধাবেন ট্রাম্প?

ট্রাম্প স্পষ্টতই হুমকি দিয়েছেন যে, পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর তিনি করবেন না। তিনি তার সমর্থকদের রাস্তায় নামানোর কথাও ব্যক্ত করেছেন। তার কথার মানে দাঁড়ায়, তিনি হেরে গেলে পরিষ্কার দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে দিবেন। এসব আলামত এবং লক্ষণ বিবেচনায় কোন কোন বিশ্লেষক নির্বাচন পরবর্তী আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের আশংকাকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এই আশঙ্কার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প নিজে যেমন মারমুখী এবং আত্মস্বীকৃত বর্ণবাদী তার অধিকাংশ সমর্থকও তার মত একই খুড়ে মাথা মুড়ানো।

তবে অনেক বিশ্লেষকই বলছেন, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করা যায় না। ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন যদি অল্প ভোটেও এগিয়ে থাকেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আইনজীবী ঠিক করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেনও। আর আদালতে গেলে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে ট্রাম্পের। তাই হোয়াইট হাউসে যেতে বড় ব্যবধানেই জিততে হবে জো বাইডেনকে। চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করা ছাড়া এই মুহূর্তে করার তেমন কিছু নেই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



সহমত পোষন করায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে ট্রাম্প এর মারমুখী আচরণে তার উপর অনেক আমেরিকানই বিরক্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে তার ফিরে না আসাই ভালো।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেষ লাইনে বলেছেন, চুড়ান্ত ফলাফল দেখতে কয়েকদিন সময় লাগবে!

-এই কম্প্যুটারের যুগে এই অবস্হা কেন?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



কয়েক দিন তো কমই বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ লেগে গেলেও অধৈর্য্য হওয়ার কিছু নেই। সিস্টেম যেভাবে স্টাবলিশ করা হয়েছে সেভাবেই তো চলবে। তবে আমার ধারণা, ইচ্ছে করলে এক দিনেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমস্ত কাজবাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। কিন্তু কেন এমন দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কার্যক্রমকে প্রলম্বিত করা হয়েছে, উহারাই ভালো জানেন। আপনিও কিছুটা জানেন হয়তো। :)

যতটুকু ধারণা, আপনি তো ওখানকার ভোটার। তা এবারের ভোট কিভাবে দিলেন, অভিজ্ঞতাটা জানালে ভালো লাগতো।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০

করুণাধারা বলেছেন: আপনার সকল পোস্টেই আমি আপনার সাথে একমত, এই পোস্টেও। একটি মাত্র পোস্টে আপনার সাথে একমত হতে পারি নি, তাই সেটা নিয়ে পোস্ট দিলাম কারন এতবড় মন্তব্য করা যেত না। আশাকরি পজিটিভলি নেবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি এত সুচিন্তিত, সূক্ষ্ম এবং বিনয়ী যে, মাঝে মাঝে ঈর্ষা করতে ইচ্ছে হয়। এত দিনের সংসার, সরি! ব্লগ জীবন আমাদের, তারপরেও কোনো বিষয়ে বলতে গেলে এত দ্বিধা সংকোচের কি আছে? সোজাসুজি বলতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আপনার প্রতি আস্থা রয়েছে। মাঝে মাঝে আপনার প্রোফাইলে দেয়া দাওয়াতনামায় চোখ পড়লে মুগ্ধ হই। চমৎকার আহবান জানিয়ে রেখেছেন- জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো---

আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর। অফলাইনে দেখেছি। আসলে ইসলাম কোনো বিষয়কে মানুষের সাধ্যের বাইরে চাপিয়ে দেয় না। তবে আমি মনে করি, আপনার উপস্থাপিত বিষয়টির সমাধান আপনার পোস্টেই রয়েছে। এই ধরণের শাখাগত কোনো কোনো মাসআলার ক্ষেত্রে আলেম উলামাদের মধ্যে মতভিন্নতা দেখা দিলে যে পক্ষের বা যাদের অভিমত অধিক গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, আপনি সেই মত গ্রহণ করতে পারেন। এটা সহজ সমাধান।

এর বাইরে কোনো জটিল ও কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে, অতিব মাত্রার ওজরজনিত কারণে ক্ষেত্রবিশেষে ইসলাম ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেয়। উদাহরণতঃ একজন এমন রোগী যিনি কি না অনেক বেশি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, উপরন্তু তার রোজা রাখারও ইচ্ছে। ইনহেলার ব্যবহার না করলে তার সমস্যা অন্য কোনোভাবে কাটে না। এই ধরণের বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্দিষ্ট অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজাবস্থায় ইনহেলার ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার অবকাশ থাকতে পারে।

আপনার পোস্টে মন্তব্য নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। অসংখ্য অভিনন্দন।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২০

শাহাদাত* বলেছেন: দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প‌ই ক্ষমতায় আসছেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



তাই যদি হয়, আমেরিকার দুর্ভোগ বাড়বে নিশ্চিত।

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

রাশিয়া বলেছেন: ট্রাম্প যদি পরাজিত হয়, তার একমাত্র কারণ হবে মুসলিম ও ইসলামী বিশ্বের প্রতি তেমন একটা আক্রমণাত্মক না হওয়া। ট্রাম্পের আগে যে দুইজন রিপাবলিকান নির্বাচিত হয়েছিল, তার হল যথাক্রমে সিনিয়র ও জুনিয়র বুশ - দুজেনেই বিশেষত মুসলিম দুনিয়ার বিরুদ্ধে 'যুদ্ধবাজ' প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল। নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের তর্জন গর্জন শুনে আমেরিকার সাদা চামড়ারা ভেবে নিয়েছিল যে তিনি বুঝি মুসলিম দুনিয়াকে হীনবল করে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারবে, তাই ২০১৬ নির্বাচনে তাকে ভূমিধ্বস বিজয়ী করেছিল। কিন্তু গত চার বছর তাঁদের প্রত্যাশার বেলুন চুপসে গিয়েছে। ৫/৬ টি মুসলিম দেশ প্লাস উত্তর কোরিয়া থেকে ইমিগ্রেশন বন্ধ করা ছাড়া মুসলিম দুনিয়ার বিরুদ্ধে তেমন শক্ত কোন অবস্থানই নিতে পারেননি। উপরন্তু তার অকর্মণ্যতার কারণে তুরস্ক বা ইরানের মত দেশগুলো তাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী করেছে। তাই আমেরিকানরা ট্রাম্পকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাইবেনা - এটাই স্বাভাবিক। ফ্রান্সের ঘটনায় ট্রাম্প মুখ না খুললেও বাইডেন খুলেছেন এবং যথারীতি তার অবস্থান ছিল তথাকথিত বাক স্বাধীনতার পক্ষে।

আর মাত্র ৬১ ভোট পেলেই বাইডেন সাদা ঘরে ঢুকে যাবেন - ট্রাম্পের কাছ থেকে তা আরো ১৫২ ভোট দূরে। ট্রাম্পের দিন শেষ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এটা ঠিক বলেছেন, ট্রাম্পের বাচালতাই সার। আগেকার দুই রিপাবলিকান দেশে দেশে মুসলিমদের রক্তের সাগর বইয়ে মানব হত্যার কদর্য যে ইতিহাস রেখে গিয়েছেন, ট্রাম্প কিছুটা পাগলামি করলেও, সভাসমাবেশ, সাক্ষাৎকার ইত্যাদিতে এলোমেলো কিছু হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা বললেও এমন রক্তখেকো তাকে কখনোই বলা যাবে না। এই দিক থেকে তাকে ভালোই বলতে হবে।

তবে এর বিপরীতে তিনি যে বর্ণবাদী, কথা কাজে তার প্রমান তিনি বারংবার দিয়েছেন। মুসলিমদের আমেরিকা প্রবেশে বাধাদান কিংবা কৃষ্ণদের উপরে অন্যায় অত্যাচারে তার নিরবতাকে অনেকেই তার সমর্থন হিসেবে দেখেছেন। এসব কারণে স্বীকার করতেই হবে, বর্ণবাদের পক্ষের তার এসব পরিচয় তাকে বিশ্ববাসীর মন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

জো বাইডেন এলে আবার অশান্তির পথে না হাটলেই ভালো। শান্তি চাই। তারাও শান্তির পথকে বেছে নিক, সেটাই চাই।

মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন। ভালো থাকার দুআ সবসময়।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। ট্রাম্পের বর্ণবাদী ও মুসলিমবিদ্বেষী ট্রাম্প কার্ড কাজ দিয়েছে এই নির্বাচনে। ব্ল্যাক লাইভ মেটারের আন্দোলনের সময় লুটপাট ও দাঙ্গা অনেকে পছন্দ করে নাই, তারা স্বভাবতই ট্রাম্পের ভূমিকাকে সমর্থন করেছেন।
ফ্লোরিডার ল্যাটিনোরা ট্রাম্পের কমুনিস্ট বিরোধিতাকে পছন্দ করেছে । সম্প্রতি ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়াতে সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডও ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী মনোভাবের পক্ষে গিয়েছে ও শেষ মুহূর্তে অনেক দোদুল্যমান ভোটারকে ও ভারতীয়দের ট্রাম্পের প্রতি ঝুঁকতে সাহায্য করেছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে দ্বিমত পোষন করছি না, কিন্তু বাস্তবতা কি এ কথার পক্ষে? ভাবসাব দেখে তো এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, বাইডেনই এগিয়ে। প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ৪ নভেম্বর ২০২০, ১০:৩০ প্রকাশিত রিপোর্টে লিখেছে- মার্কিন নির্বাচনে ফলাফলের পূর্বাভাসে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লক্ষ করা যাচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন ১৩টি অঙ্গরাজ্যে জিতেছেন আর ট্রাম্প জিতেছেন ১৬টি অঙ্গরাজ্যে। তবে ইলেক্টোরাল ভোটের হিসাবে ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। ইলেক্টোরাল ভোটে বাইডেন পেয়েছেন ১৩১ আর ট্রাম্প ১০৮।

বিস্তারিত দেখতে পারেন- ট্রাম্প-বাইডেন: ফল যাচ্ছে কোন পক্ষে?

তবে এসব রিপোর্ট দেখে শেষ কিছু ভাবার সুযোগ আপাততঃ নেই। অপেক্ষা করছি।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জো বাইডেনই এগিয়ে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউ্সের দিকে। ফক্স নিউজের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জো বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোট দাঁড়িয়েছে ২২৩ আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৬৬। যে প্রার্থী ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হবেন। ভোটের হিসাবে বাইডেন পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রথম আলোর সর্বশেষ রিপোর্ট- ট্রাম্পের রাজ্যে বাইডেনের হানা

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: তাই বিশ্বের অধিকাংশ শান্তিকামী মানুষকে হতাশায় ডুবিয়ে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনাই অনেক বেশি। বর্তমান সময়টাই ট্রাম্প, মোদী, ম্যাক্রো ও এরদোগোয়ানের মতো উগ্র চরমপন্থীদের উত্থানের স্বর্ণযুগ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

রাশিয়া বলেছেন: ফলাফল তো মনে হচ্ছে ঘুরে যাচ্ছে। বাইডেন অলরেডি ২২৩ ভোট পেয়ে গেছেন। তিনটি রাজ্যে এগিয়ে, মানে তিনি আর বড়জোড় ১৮ ভোট পেতে পারেন, যা জেতার জন্য যথেষ্ট নয়। ট্রাম্পের জন্য এখনো টেক্সাস(৩৮), ফ্লোরিডা (২৯), পেনসিলভেনিয়া (২০), জর্জিয়া ও মিশিগান (১৬), উত্তর ক্যারোলিনা (১৫) স্টেটগুলি রেডি আছে। মনে হচ্ছে ২০০৪ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ট্রা্ম্প এবারো ট্রাম কার্ড দেখাবে - সময় শুধু অপেক্ষার!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অঘটনের শঙ্কা একেবারেই যে ছিল না- তা নয়, তবে সব শঙ্কা-আশঙ্কা-উত্তেজনা ছাপিয়ে ট্রাম কার্ড শেষমেষ ট্রাম্পের নিজেরই সম্ভবতঃ দেখতে হচ্ছে....

কারণ, ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন ইতোমধ্যেই ২৬৪টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট। ২৭০টি নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট হতে জো বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ৬ ইলেকটোরাল ভোট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.