নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরদমাখা কন্ঠে তিনি আর তিলাওয়াত করবেন না পবিত্র কুরআনুল কারিম

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৬

ছবিঃ অন্তর্জাল।

দরদমাখা কন্ঠে তিনি আর তিলাওয়াত করবেন না পবিত্র কুরআনুল কারিম

তিনি আর পাঠ করবেন না। দরদমাখা তার ভরাট কন্ঠে আর শোনা যাবে না পবিত্র কুরআনে হাকিমের হৃদয় সিক্ত করা মধুমাখা তিলাওয়াত। হ্যা, সুদানের বিশ্বখ্যাত কারী শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ রহ. এর কথা বলছি। তিনি আর নেই। গত ৫ নভেম্বর ২০২০ ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইনতিকাল করেছেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না- ইলাইহি রা-জিউন। আল্লাহ তাআলা তার কবরকে প্রশস্ত করুন, শান্তি, প্রশান্তি এবং প্রশস্তির আবাসে পরিণত করুন। সুদানের স্থানীয় একটি প্রোগ্রাম শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। মারাত্মক এ দুর্ঘটনায় তার তিন সফরসঙ্গীসহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনিও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ওমদুরমান থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে উত্তর রাজ্যের ওয়াদি হালফা থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সুদানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পরপরই শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ সিদ্দিককে একটি হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার আঘাত এতোটাই প্রকট ছিলো যে, হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিন ইনতিকাল করেন।

সুদানের ধর্ম বিষয়ক ও অনুদান মন্ত্রী নাসিরুদ্দিন মুফরেহ তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বলেন যে, 'ট্রাফিক দুর্ঘটনায় শেখ নুরাইনের চলে যাওয়ায় তিনি ব্যথিত।'

শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ সিদ্দিকের সাথে নিহত অন্য তিনজন হলেন: আলী ইয়াকুব, আবদুল্লাহ আওয়াদ আল-কারিম এবং মুহান্নাদ আল-কিনানী। সা'দ বিন ওমর নামে নূরাইনের অপর এক সাথী এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার মৃত্যুতে সুদান ও অন্যান্য দেশের আলেম উলামা, মিডিয়া পেশাদার এবং ধর্মীয় ও প্রচারকারী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার জীবনী আলোচনা করে শোক জানিয়েছেন।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সুদানী সাংবাদিকদের জেনারেল ইউনিয়নের সদস্য সাংবাদিক ওমর মুসা লিখেছেন, ‘পুণ্যবান শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ সিদ্দিক ও পবিত্র কুরআনের পাখি এক ট্র্যাফিক দুর্ঘটনায় ইনতিকাল করেছেন।’

ব্লগার ইয়াছিন আহমেদ টুইট করেছেন, ‘শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ আমার বন্ধু। আমি অনেকদিন আগ থেকে তার কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত শুনে ঘুমাতাম। তার তিলাওয়াত শুনে আমার হৃদয়ে আনন্দের হিল্লোল তুলতো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা তাকে ক্ষমা করুন।’

শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ সিদ্দিক রহ. এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ-

বিগত শতকের নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর সুদানের কর্ডোফান রাজ্যের বারা অঞ্চলের কাতায়েবের শাইখদের হাতে কুরআনুল কারিম মুখস্থ করতে শুরু করেন শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ সিদ্দিক রহ।

বিভিন্ন কিরাতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করার জন্য অন্যান্য সুদানী তিলাওয়াতকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন বিখ্যাত।

তিনি সুমধুর কণ্ঠে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। হাজার হাজার রোযাদারকে তাঁর তিলাওয়াত মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শ্রবন করতে দেখা যেত বিশেষ করে রমজান মাসে তাদের কাছে তিনি আকর্ষণের বস্তু হয়ে উঠতেন। কুরআনে কারিমের মর্ম অনুধাবন করে তার অসাধারণ তিলাওয়াত তাকে রাজধানী খার্তুমের সবচেয়ে বিখ্যাত মসজিদের ইমামের আসনে অধিষ্ঠিত করেছিল।

তার তিলাওয়াত বেজে চলতো ঘরে ঘরে। এমনকি রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি গণমাধ্যমের পাশাপাশি গণপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত গাড়িতে তার তিলাওয়াত শোনা যায়। সুদান ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিপনিবিতানগুলোতে প্রতিধ্বনিত হয় তার তিলাওয়াত।

সুদানের পক্ষে তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কিরাত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। বিশেষতঃ মালয়েশিয়া এবং দুবাই, যেখানে তিনি ৮৩ টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতার সময় পবিত্র কুরআনে তৃতীয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ রহ. এবং তার তিন সঙ্গীর জানাজা-

The Funeral of sheikh Noreen Muhammad Siddiq (As-salatu-l-janaza, November 7, 2020, Khartoum, Sudan) 7,957 views•Nov 7, 2020

শাইখ নূরাইন মুহাম্মদ রহ. কিছু তিলাওয়াত-

Heart Touching Quran Recitation.

The most heart touching Quran recitation by Noreen Mohammad Sadiq

مجمع النور الإسلامي

Surat Al Hashr

بكاءشيخ نورين محمد صديق-ايات من سورة التكوير

এই সংক্রান্ত সংবাদ -

The death of the Sudanese reciter Sheikh Noreen and 3 of the Quran memoris in a traffic accident

Sudan’s Quran Reciter Shaykh Nurayn Muhammad Siddique Dies In Car Accident

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সুদানের কোরান আর আমাদের কোরান এক না।অনেক শব্দ দুই রকম।মিশর এবং লিবিয়া ছাড়া আফ্রিকার বাকি অংশের কোরান এক রকম আর বাকি বিশ্বের কোরান অন্য রকম।অন্য রকম বলতে কিছু শব্দের উচ্চারণ ও বানান অন্য রকম।একটি কোরানের নাম হাফস কোরান অন্যটির নাম ওআরস কোরান।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কুরআন মাজীদের কালিমা বা শব্দগুলো উচ্চারণ ও তা আদায়ের সঠিক পদ্ধতিকে কিরাআত বলে। আর সাত কিরাআত বলতে প্রসিদ্ধ সাত জন কারীর প্রতি সম্পর্কিত কিরাআতকে বুঝানো হয়ে থাকে।

আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন মাজীদ পৃথক পৃথক সাত কিরাআতে নাজিল হয়েছে। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় কুরআন মাজীদ সাত হরফে (সাতটি ভিন্ন ভিন্ন কিরআতে) নাজিল হয়েছে। এগুলো থেকে যেটি সহজ মনে হয় তাই তোমরা পড়। -বুখারী শরিফঃ ২৪১৯

রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিবরাইল আলাইহিস সালাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিরাআতে কুরআন শুনাতেন। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, প্রতিটি তিলাওয়াতই সয়ংসম্পুর্ণ। তাই তিনি তার উম্মতকে যে কোন কিরাআতে তিলাওয়াত করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলো সবই (সাত কিরাআতই) আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ থেকে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর নাজিলকৃত এবং তার পক্ষ থেকে মুতাওয়াতির রেওয়ায়েতে আমাদের কাছে এসেছে। এগুলো সবই কুরআন এটা বিশ্বাস করা জরুরী।

যারা এ কিরাআতসমূহকে প্রচার প্রসারে আত্ননিয়োগ করেছিলেন, সন্মানিত সেই ব্যক্তিবর্গ হলেনঃ

১. আব্দুল্লাহ ইবনে কাসীর আল-মাক্কী।

২. নাফে ইবনে আবী নাঈম আল-মাদানী।

৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আমের আশ-শামী।

৪. আবু আমর ইবনে আলা আল-বাসরী।

৫. আসিম বিন নুজুদ।

৬. হামযাহ বিন হাবিব আল কুফি।

৭. কাসায়ী আল-কুফী।

সাত হরফের ফলে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সাহাবায়ে কিরাম রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুম এর মাধ্যমে যে অনুমোদিত কিরাআতগুলো চালু হয় সেগুলোর ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে সাত জন কারী অধিক প্রসিদ্ধ হন, যদিও উনারা ছাড়াও আরো অনেক কারী বিদ্যমান ছিলেন। এই সাত জন কারীর ‘বহুল বর্ণিত বিশ্বস্ত বর্ণনাসূত্রে প্রাপ্ত’ কিরাআতসমূহ পরবর্তিতে সাত কিরাআত বলে প্রসিদ্ধি পায়।

বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ কিরাআত হচ্ছে ‘হাফস’ কিরাআত। এই কিরাআত আমরা যার থেকে পেয়েছি তিনি হলেন: আসিম ইবনে (বাহলাদাহ ইবনে) আবি আন নাজুদ (রহঃ)

উনি যে সূত্রে কিরআতটি পেয়েছেন সেটা নিচে দেওয়া হলোঃ



প্রত্যুত্তর কিছুটা দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি। মন্তব্যে আসায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ওয়ারশ ও ক্বালুন কিরাতের বর্ণনাক্রমঃ

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চস্থানে পৌছিয়ে দিন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৫

রাশিয়া বলেছেন: সমস্যা নেই - এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে। শাইখ নূরাইনের নাম আমরা জেনেছি ইউটিউবের কল্যাণে। তার শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আসবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটা ঠিক। তবে যিনি চলে যান তার স্মৃতিগুলো থেকে যায়। আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার গলা সুন্দর না। বাজখাই বিশ্রী গলা। দরদমাখা গলা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তো আমি কি করবো?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



তিলাওয়াত শুনতে তো কন্ঠ ভালো হওয়ার প্রয়োজন নেই। শ্রবনশক্তি ঠিক থাকলেই যথেষ্ট। ধারণা করছি, আপনার তা পুরোপুরিই রয়েছে। সুতরাং, আপনি তিলাওয়াত শুনে দেখতে পারেন। কুরআনুল কারিমের তিলাওয়াত শুনলে অন্তরে প্রশান্তির পরশ অনুভূত হয়।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.