নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য এবং পারস্পারিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যেসব বদ স্বভাব পরিত্যাগের নির্দেশ দেয় ইসলাম

১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৭

ছবিঃ অন্তর্জাল।

সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য এবং পারস্পারিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যেসব বদ স্বভাব পরিত্যাগের নির্দেশ দেয় ইসলাম

কাউকে উপহাস করা, তিরস্কার করা, হেয় প্রতিপন্ন করা, মন্দ নামে ডাকা, অসম্মান করা কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা নিতান্ত গর্হিত অন্যায়। এই জাতীয় প্রতিটি কাজ ইসলামে অতিশয় নিন্দনীয় এবং সঙ্গত কারণে এগুলোকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। বলা বাহুল্য, এ ধরনের মন্দ আচরণ যে কারও সাথেই করা হোক না কেন, এগুলোতে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট পেয়ে থাকে। কেউ কেউ হয়তো নিতান্ত অপছন্দনীয় হওয়া সত্বেও পরিবেশ পরিস্থিতি কিংবা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার অপছন্দের বিষয়টি বলতে পারেন না, অথবা, তার অপছন্দের অভিব্যক্তিটি আক্ষরিক অর্থে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন না, কিংবা শক্তি-সামর্থ্যে ও অর্থে-বিত্তে সমাজে নিজের দুর্বল অবস্থান বিবেচনায় এসব আচরণ তার কাছে নিতান্ত ঘৃণিত মনে হওয়ার পরেও প্রতিবাদে সোচ্চার হতে পারেন না, বরং নিরুপায় হয়ে এ ধরণের আচরণ দিনের পর দিন সহ্য করে যাওয়াকেই একমাত্র উপায় ধরে নেন। বস্তুতঃ এই ধরণের ঘৃণ্য বদ স্বভাবের কোনো স্থান নেই ইসলাম ধর্মে। বিশ্ব মানবতাকে আদর্শ জীবন উপহার দিতে সর্বোত্তম নমুনা পেশ করেছে ইসলাম। তাই এসব মানুষের সম্মানহানিকর এসব স্বভাব অবশ্যই পরিহার করতে হবে। পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاء مِّن نِّسَاء عَسَى أَن يَكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَن لَّمْ يَتُبْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

হে মুমিনগণ, তোমাদের পুরুষরা যেন পরস্পরকে উপহাস না করে, কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। -সুরা হুজরাত, আয়াত ১১

কাউকে উপহাস করা যাবে না, এটি নিন্দনীয় স্বভাবঃ

উপরোক্ত আয়াতে কাউকে উপহাস করা, কারো দোষত্রুটি বর্ণনা করা কিংবা মন্দ নামে ডাকতে নিষেধ করা হয়েছে। উপহাস বলতে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অপমান করা ইত্যাদি বুঝানো হয়ে থাকে, যাতে ব্যক্তির মনে আঘাত লাগে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কাউকে উপহাস করা কিংবা মন্দ বা বিকৃত নামে ডাকা ইত্যাদি কাজগুলো সাধারণতঃ করা হয়ে থাকে নির্দোষ আনন্দ প্রকাশের উদ্দেশ্যে। বস্তুতঃ এ কাজগুলোকে নিতান্ত ছোট এবং হাল্কা মনে হলেও, আনন্দ প্রকাশের মাধ্যম গণ্য করলেও- এসবের নেতিবাচক ফলাফল হয়ে থাকে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এবং সামাজিক ভ্রাতৃত্বোবোধ ও সুদূরপ্রসারী সৌহার্দ্য ধ্বংসকারী। এসবের ফলে সমাজে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ এবং হানাহানি। পারস্পারিক মনোমালিন্য, হিংসা বিদ্বেষ থেকে শুরু আত্মঘাতী বিভেদ বিসংবাদ, বিচ্ছেদ, ঝগড়া-মারামারির পেছনেও নিহিত থাকে এসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণ।

উপরোক্ত আয়াতে মানুষকে মন্দ নামে ডাকতে বারণ করা হয়েছে। কাউকে লাঞ্ছিত করতে, অপমান করতে বা অতীতের কোনো অপরাধ, দোষত্রুটির জের ধরে কাউকে ডাকা বা খোঁটা দেয়া উচিত নয়। এসবের ফলে মানুষ অন্তরে আঘাত পায়। এ ছাড়া, কাউকে মন্দ নামে ডাকা কিংবা খোঁটা দেয়া হলে যাদের সামনে এটি করা হয়ে থাকে, অবজ্ঞাবশত তাদেরও অনেকেই উক্ত মন্দ নামে সে ব্যক্তিকে ডাকতে শুরু করেন কিংবা একইভাবে খোঁটা দিয়ে বা খোঁচা দিয়ে আনন্দ পেতে সচেষ্ট হন। বস্তুতঃ কেউ কোনো অপরাধ করে তা থেকে তওবা করে ফিরে এলে, তাকে অতীত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সম্বোধন করা আদৌ উচিত নয়; বরং একজন মুমিনের কাছে অপর মুমিনের এ অধিকারটুকু প্রাপ্য, তাকে সুন্দর নামে ডাকা হবে। বরং, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের সম্মানপ্রাপ্তির এই অধিকারকে ইসলাম সংরক্ষন করে।

কারও প্রতি কু-ধারণা পোষণ করা এবং গিবত করা গর্হিত অপরাধঃ

কারও প্রতি কু-ধারণা পোষণ করা এবং গিবত করা ইসলাম ধর্মমতে মারাত্মক গর্হিত অপরাধ। মুমিন হিসেবে অপর মুমিনের প্রতি অহেতুক কু-ধারণা পোষণ করা যাবে না। প্রমাণ ছাড়া কারো প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করা ইসলামের শিষ্টাচারেরও বহির্ভূত কাজ। বরং, অন্যের প্রতি অবান্তর কু-ধারণা পোষণ করা গুনাহ বা পাপ। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। -সুরা হুজুরাত, আয়াত ১২

ইসলামের দৃষ্টিতে গিবত একটি মারাত্মক সামাজিক অপরাধ। গিবত হলো, কারো অনুপস্থিতিতে এমন কিছু বলা, যা শুনলে সে ব্যক্তি মনে কষ্ট পাবে। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জানো, গিবত কী? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, গিবত হলো তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে। জিজ্ঞেস করা হলো, আমি যা বলি তা আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকলে? রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমার কথা তার মধ্যে বিদ্যমান থাকলেই তা গিবত। আর তোমার কথা তার মধ্যে বিদ্যমান না থাকলে তা তো বুহতান বা অপবাদ।’ -সহিহ মুসলিম

পরনিন্দা মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া তুল্য ঘৃণ্যঃ

অন্যের গিবত বা পরনিন্দা করা জঘন্যতম গুনাহ। কোরআনে গিবত বা পরনিন্দাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মতো ঘৃণ্য বলা হয়েছে। গিবতের বিষয়টি ভালো করে বুঝে নিতে হবে আমাদের। গিবত বলা হয়, কারও পেছনে তার দোষ বর্ণনা করাকে। অর্থাৎ, বর্ণিত দোষটি সেই ব্যক্তির ভেতরে বিদ্যমান থাকলেই সেটা গিবত। পক্ষান্তরে এমন দোষের কথা যদি কারও পেছনে বলা হয়ে থাকে যা তার মধ্যে নেই তাহলে তাকে বলা হয় বুহতান বা অপবাদ। বলা বাহুল্য, এটি গিবতের চেয়েও আরও অধিকতর মারাত্মক অপরাধ।

আজকের সমাজের দিকে তাকালে এই বিষয়টি দেখা যায়, ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি এবং আন্তরিকতা নষ্ট হচ্ছে। এই মন্দ স্বভাবের কারণে দুনিয়া ও আখেরাতে সে অপদস্থ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ

ওই সব লোকের দুর্ভোগ! যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে মানুষের নিন্দা করে। -সূরা হুমাজাহ, আয়াত ১

কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনার অনুমতি দেয় ইসলামী শরিয়তঃ

ইসলামী শরিয়ত কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনার অনুমতি দিয়েছে। অত্যাচারী মন্দ স্বভাবের কথা বলে নিপীড়িত মানুষের বিচার চাইলে। পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তির পাপকর্ম সম্পর্কে সমাজের লোকদের সতর্ক করার জন্য বা শক্তি প্রয়োগ করে তাকে প্রতিরোধের জন্য তার অবস্থার বর্ণনা করা, মুফতির কাছে ফতোয়ার অবস্থার পুরো বিবরণ প্রদান করা, কেউ পঙ্গু, কানা বা অন্ধ বা এ ধরনের কোনো নামে পরিচিত হলে তাকে এ নাম দিয়ে পরিচয় দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে তা গিবত বলে ধরা হবে না।

মিথ্যা অপবাদ দেয়া গিবতের চেয়েও মারাত্মক অপরাধঃ

কাউকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করার অর্থ হলো অপবাদ দেওয়া। এটি গিবতের চেয়ে মারাত্মক গুনাহ। বিশেষত কোনো সতী নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ রটানো অনেক বড় গুনাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ

যারা সতী-সাধ্বী সরল ও ঈমানদার নারীদের ব্যাপারে অপবাদ রটায় তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত, তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি। -সুরা নূর, আয়াত ২৩

দুনিয়ায় তাদের কঠিন শাস্তির একটি হলো, অপবাদের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের ৮০ টি বেত্রাঘাত করা হবে। এরপর কখনো তার কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। আর আখেরাতে কঠিন শাস্তি তো থেকেই যাবে।

শেষের প্রার্থনাঃ

এসব স্বভাব থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির বন্ধন অটুট হোক। পারস্পারিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং মমত্বের প্রগাঢ় ছায়া প্রলম্বিত হোক আদিগন্ত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার নির্দেশনা !
কিন্তু অকৃতজ্ঞ আমরা
এই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে
তার কোপানলের শিকার হই।

১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। আমরা বেআমল হওয়ার কারণেই আমাদের আজকের এই অধঃপতন।

কুরআনের শাশ্বত এই বাণীর দিকে ফিরে যেতে হবে আমাদের, তবেই বিশ্ব মানবতার মুক্তি। মুক্তির পথ এটাই।

মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা। কল্যানের দুআ।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

অক্পটে বলেছেন: মানবিক গুনাবলি সমূহের উন্নয়নে এই পোস্ট সকলের পড়া উচিত। এই সমাজে মানুষের মধ্যে বদ স্বভাবের প্যারা আসলেই অনেক উপরে উঠে গেছে। সুন্দর পোস্ট।

১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। লাইকসহ আন্তরিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামের নিয়ম কেউ মানছে না। আগামীতে আরো মানবে না। আমার তো মনে হচ্ছে সবাই মুখোশ পড়ে আছে।

১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথা বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। তবে, একেবারে সত্যও নয়। কেউই ইসলাম মানছে না, কিংবা, সবাই মুখোশ পড়ে আছে- বিষয়টা এমন নয়। ইসলাম মানছেন, তবে তাদের সংখ্যাটা হয়তো তুলনামূলকভাবে কম। আর ইসলাম মেনে যারা চলেন, তাদের ছোটখাট ভুলও সহজেই চোখে পড়ে যায়। সাদা জামায় কালো দাগ যেমন সহজেই ভেসে ওঠে, অনেকটা সেরকম। কালো কাপড়ে কালো দাগ যতই লাগুক, চোখে কিন্তু খুব কমই পড়ে।

তাই ইসলাম যারা মেনে চলেন, ইসলামের যারা অনুসরণের দাবিদার- তাদের বুঝে শুনেই চলা উচিত। সেটা হচ্ছে না অনেকের ক্ষেত্রেই। এখান থেকে সুযোগ নিচ্ছেন কেউ কেউ। আর ভবিষ্যতে ইসলাম কতজন মানবেন অথবা, কতজন মানবেন না, সেটা ভবিষ্যতই বলে দিবে।

ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ দিনকে দিন অমানবিক ও অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। মুখে ইসলাম বলে মানে না কেউ ।

১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আমলহীনতা, উদাসীনতা, পরকালের জবাবদিহিতাশুন্য মানসিকতাই এর জন্য দায়ী। মুখে এক অন্তরে আরেক এর নাম ইসলাম নয়। সত্যিকারের ইসলাম বাস্তব জীবনে ফুটে উঠবে, চর্চায়, আচরণে।

শুকরিয়া। শুভকামনা।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই কাজ গুলো সবথেকে বেশি করে ইসলাম ধর্মের লোকেরা।অন্যের ধর্মকে উপহাস করে।তাদের দেব দেবিকে নিন্দা মন্ধ বলে।তাঁরাই শ্রেষ্ট বলে অহংকার করে।
কালো পাথর পাপ মোচন করে কালো হয়ে গেছে বলে বিশ্বাস করে কিন্তু অন্যের কালো পাথর নিয়ে উপহাস করে।

১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



@নুরুলইসলা০৬০৪,
দাদা, আপনি যে দেবদেবির পক্ষের লোক তা এই ব্লগে আপনার বিভিন্ন মন্তব্য এবং কথাবার্তায় স্পষ্টভাবেই বুঝা যায়। তবে, আপনি যে পক্ষের অথবা ধর্মেরই হয়ে থাকুন না কেন, তাতে আমাদের বিন্দুমাত্র আপত্তিও থাকার প্রশ্ন ছিল না। মানুষ হিসেবে নিশ্চয়ই আপনি আমাদের কাছে ভালোবাসার পাত্র। সম্মানের যোগ্য। কিন্তু প্রশ্নটা আসে, আপনার নুরুলইসলা০৬০৪ নামটি নিয়ে। এই নামটি দেখলে যে কেউ আপনাকে মুসলিম ভেবে বিভ্রান্ত হবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। তাই বিনীতভাবে একটি প্রশ্ন রাখছি, আপনি কি অন্যদের বিভ্রান্ত করার জন্যই এই নামটি বেছে নিয়েছেন?

ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: @নুরুলইসলা দিলেনতো আপনি পোস্টের সৌন্দর্য নস্ট করে!!!

১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



যাহা বলিয়াছিলেন, দাদা!

তা আপনি খুশি তো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.