নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাযহাবগত মতভিন্নতায় রাবেতার ঘোষনা এবং আরব আলেমদের মাযহাব

১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

ছবিঃ অন্তর্জাল।

মাযহাবগত মতভিন্নতায় রাবেতার ঘোষনা এবং আরব আলেমদের মাযহাব

রাবেতা আলমে ইসলামিয়ার ফাতওয়াঃ

ফিকহি মাযহাবের ইখতিলাফ ও মতভিন্নতার ধরন সম্পর্কে বর্তমান যুগের বড় বড় মনীষীর প্রতিনিধিত্বে ১৪০৭ হিজরীতে ‘রাবেতাতুল আলামিল ইসলামী’ মক্কা মুকাররমায় যে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ঘোষনাটির মূল অংশ তুলে ধরা সঙ্গত মনে করছি-

“মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত চিন্তানৈতিক মতবিরোধ সাধারণত দু’ধরনের।

ক) আকীদা ও বিশ্বাসগত মতবিরোধ এবং খ) আহকাম ও বিধানগত মতবিরোধ।

প্রথমোক্ত মতবিরোধ…। আর দ্বিতীয়তটি হল, কিছু বিধানের ক্ষেত্রে ফিকহী মাযহাবসমূহের মতপার্থক্য, যার অনেক শাস্ত্রীয় কারণ রয়েছে এবং যাতে আল্লাহ তাআলার নিগূঢ় হিকমত নিহিত রয়েছে। যেমন- বান্দাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ এবং নুসূস থেকে আহকাম ও বিধান উদঘাটনের ক্ষেত্রকে প্রশস্ত করা। তাছাড়া এটা হল অল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিরাট নিআমত এবং ফিকহ ও কানুনের মহাসম্পদ, যা মুসলিম উম্মাহকে দ্বীন ও শরীয়তের ক্ষেত্রে প্রশস্ততা দিয়েছে। ফলে তা নির্ধারিত একটি হুকুমের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে না, যা থেকে কোনো অবস্থাতেই বের হওয়ার সুযোগ নেই। বরং যে কোনো সময়ই কোনো বিষয়ে যদি কোনো একজন ইমামের মাযহাব সংকীর্ণতার কারণ হয়ে যায় তাহলে শরঈ দলিলের আলোকেই অন্য ইমামের মাযহাবে সহজতা ও প্রশস্ততা পাওয়া যাবে। তা হতে পারে ইবাদত সংক্রান্ত বিষয়ে অথবা মুআমালা সংক্রান্ত অথবা পারিবারিক কিংবা বিচার ও অপরাধ সংক্রান্ত। তো আহকাম ও বিধানের ক্ষেত্রে এ ধরনের মাযহাবী ইখতিলাফ আমাদের দ্বীনের জন্য দোষের কিছু নয় এবং তা স্ববিরোধিতাও নয়। এ ধরনের মতভেদ না হওয়া অসম্ভব। এমন কোনো জাতি পাওয়া যাবে না যাদের আইন-ব্যবস্থায় এ ধরনের ইজতিহাদী মতপার্থক্য নেই।

অতএব বাস্তবতা এই যে, এ ধরনের মতভেদ না হওয়াই অসম্ভব। কেননা একদিকে যেমন নুসূসে শরয়ী অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অর্থের সম্ভাবনা রাখে অন্যদিকে শরয়ী নস সম্ভাব্য সকল সমস্যাকে সুস্পষ্টভাবে বেষ্টন করতে পারে না। কারণ নুসূস হল সীমাবদ্ধ আর নিত্য-নতুন সমস্যার তো কোনে সীমা নেই।

অতএব কিয়াসের আশ্রয় নেওয়া এবং আহকাম ও বিধানের ইল্লত, বিধানদাতার মাকসাদ; শরীয়তের সাধারণ মাকসাদসমূহ বোঝার জন্য চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং এর মাধ্যমে নিত্যনতুন সমস্যার সমাধান গ্রহণ করতে হবে।

এখানে এসেই উলামায়ে কেরামের চিন্তার বিভিন্নতা দেখা দেয় এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন দিকের কোনো একটিকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে মতপার্থক্য হয়। ফলে একই বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে। অথচ প্রত্যেকের উদ্দেশ্য হক্ব ও সত্যের অনুসন্ধান। কাজেই যার ইজতিহাদ সঠিক হবে তিনি দুটি বিনিময় পাবেন এবং যার ইজতিহাদ ভুল হবে তিনি একটি বিনিময় পাবেন। আর এভাবেই সংকীর্ণতা দূর হয়ে প্রশস্ততা সৃষ্টি হয়।

সুতরাং যে মতপার্থক্য কল্যাণ ও রহমতের ধারক তা বিদ্যমান থাকলে দোষ কেন হবে? বরং এ তো মুমিন বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার রহমত ও অনুগ্রহ। বরং মুসলিম উম্মাহর গর্ব ও গৌরবের বিষয়।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, কিছু মুসলমান তরুণ, বিশেষত যারা বাইরে লেখাপড়া করতে যায় তাদের ইসলামী জ্ঞানের দুর্বলতার সুযোগে কিছু গোমরাহকারী লোক তাদের সামনে ফিকহী মাসআলার এজাতীয় মতপার্থক্যকে আকীদার মতভেদের মতো করে তুলে ধরে। অথচ এ দু’য়ের মাঝে আকাশ-পাতালের ব্যবধান!

দ্বিতীয়তঃ যে শ্রেণীর লোকেরা মানুষকে মাযহাব বর্জনের আহবান করে এবং ফিকহের মাযহাব ও তার ইমামগণের সমালোচনা করে এবং মানুষকে নতুন ইজতিহাদের মধ্যে নিয়ে আসতে চায় তাদের কর্তব্য, এই নিকৃষ্ট পন্থা পরিহার করা, যা দ্বারা তারা মানুষকে গোমরাহ করছে এবং ঐক্যকে বিনষ্ট করছে। অথচ এখন প্রয়োজন ইসলামের দুশমনদের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় নিজেদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করা।” -মাজাল্লাতুল মাজমাইল ফিকহী, রাবিতাতুল আলামিল ইসলামী, মক্কা মুকাররমা, বর্ষ ১, সংখ্যা ২, পৃষ্ঠা : ৫৯, ২১৯

উপরোক্ত রেজুলেশনে যাদের স্বাক্ষর রয়েছে :

১। ‘আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায, রঈস (প্রধান);
২। ড. আব্দুল্লাহ উমর নাসিফ, নায়েবে রঈস (উপ প্রধান);
৩। মুহাম্মাদ আশশাযিলী আননাইফার, সদস্য;
৪। মুহাম্মাদ আলহাবীব ইবনুল খাওজা, সদস্য;
৫। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সুবায়্যিল, সদস্য;
৬। আবুল হাসান আলী নদবী, সদস্য;
৭। আবু বকর জুমী, সদস্য;
৮। মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর, সদস্য;
৯। সালেহ ইবনে ফাওযান আলফাওযান, সদস্য;
১০। মুহাম্মাদ মাহমুদ আসসাওয়াফ, সদস্য;
১১। আব্দুল্লাহ আবদুর রহমান আলবাসসাম, সদস্য;
১২। মুস্তফা আহমাদ আযযারকা, সদস্য;
১৩। মুহাম্মাদ রশীদ রাগেব কাবানী, সদস্য;
১৪। ড. আহমাদ ফাহমী আবু সুন্নাহ, সদস্য;
১৫। মুহাম্মাদ সালেম ইবনে আবদুল ওয়াদূদ, সদস্য।”

আমাদের দেশে সাম্প্রতিককালে কিছু লোক নিজেদেরকে জ্ঞানের অতি উঁচু স্তরের মনে করেন এবং বুঝে কিংবা না বুঝে মাযহাব নিয়ে যাচ্ছে তাই মনগড়া কথা বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সমাজে ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টির পায়তারা করেন। তাদের চোখ খুলে তাকানোর প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে বিশ্ববরেণ্য আলেমগণের সম্মিলিত এসব ঘোষনা জানার, বুঝার ও অনুধাবন করার! অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, তাদের অনেকের কাছে মাযহাব মেনে চলা মানে, কুরআন ও হাদীসের বিরুদ্ধাচরণ করা।

যদি তা’ই হয়, তাহলে আমাদের প্রশ্ন হল, যদি কেউ মাযহাবের অনুসরণ করলেই তাকে কুরআন হাদীসের বিরুদ্ধাচরণকারী সাব্যস্ত করা হয় তাহলে উম্মতের মাঝে কুরআন ও হাদীস অনুসারী বাকি থাকবে কে?

যাদের নামে আমাদের দেশের মাযহাব বিদ্বেষী বন্ধুগণ নতুন এক মাযহাব তথা লা মাযহাবী মাযহাব প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন তারা কি আসলেই লা মাযহাবী না কি, প্রকৃত প্রস্তাবে কোন না কোন মাযহাবেরই অনুসারী?

চলুন, বিষয়টি একটু যাচাই করে নিই-

শায়েখ আব্দুল ওয়াহহাব নজদীর মাযহাবঃ

শায়েখ আব্দুল ওয়াহহাব নজদী রহঃ কে এরা এদের মুরব্বি জ্ঞান করেন। তো তাঁর মাযহাব কি ছিল? চলুন, শুনে নিই নজদী রহঃ এর নিকট থেকেই। তিনি লিখেছেন-

غيرهم، لعدم ضبط مذاهب الغير؛ الرافضة، والزيدية، والإمامية، ونحوهم؛ ولا نقرهم ظاهراً على شيء من مذاهبهم الفاسدة، بل نجبرهم على تقليد أحد الأئمة الأربعة .

অর্থ : আমরা ফিকহী বিষয়ে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহ.-এর মাযহাবের অনুসারী। যারা চার ইমামের কোনো একজনের তাকলীদ করে আমরা তাদের উপর কোনো আপত্তি করি না। কারণ (চার ইমামের মাযহাব সংকলিতরূপে বিদ্যমান। পক্ষান্তরে) অন্যদের মাযহাব সংকলিত আকারে বিদ্যমান নেই। তবে রাফেযী, যাইদিয়া, ইমামিয়্যাহ ইত্যাদি বাতিল মাযহাব-মতবাদের অনুসরণকে আমরা স্বীকৃতি দিই না। বরং তাদেরকে চার ইমামের কোনো একজনের তাকলীদ করতে বাধ্য করি। -আদ দুরারুস সানিয়্যা ১/২৭৭

সৌদীর সাবেক প্রধান মুফতী বিন বায রহঃ এর মাযহাবঃ

বিন বায রহঃ বলেন-

مذهبي في الفقه هو مذهب الإمام أحمد بن حنبل رحمه الله.

‘ফিকহের ক্ষেত্রে আমার মাযহাব হল, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-এর মাযহাব’। -মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বায ৪/১৬৬

তিনি আরো বলেছেন,

وأتباع الشيخ محمد بن عبد الوهاب رحمه الله كلهم من الحنابلة، ويعترفون بفضل الأئمة الأربعة و يعتبرون أتباع المذاهب الأربعة إخوة لهم في الله.

অর্থ : শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব নাজদীর অনুসারী সকলেই হাম্বলী মাযহাবের অন্তর্ভুক্ত। তারা চার ইমামকেই অত্যন্ত শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখেন এবং চার মাযহাবের অনুসারীদেরকে নিজেদের দ্বীনী ভাই মনে করে থাকেন। -মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বায ৫/১৫০

তিনি আরো বলেন,

وأنتم تعلمون حفظكم الله أن الخلاف المذهبي في أمور الفروع واقع منذ قديم الزمان، ولم يؤد ذلك إلى البغضاء والتشاحن والشقاق.

অর্থ : আল্লাহ আপনাদের রক্ষা করুন নিশ্চয়ই আপনারা অবগত আছেন যে, দ্বীনের ফুরু‘ বা শাখাগত মাসায়েলে ফিকহী মাযহাবসমূহের মধ্যে যে মতপার্থক্য তা নতুন নয় বরং প্রাচীনযুগ (সাহাবাযুগ) থেকেই চলে আসছে। আর এই মতপার্থক্য মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোনোরকম হিংসা-বিদ্বেষ এবং বিভক্তি সৃষ্টি করেনি। -মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বায ৫/১৪৯

উপরোক্ত উদ্ভট প্রশ্নের বিষয়ে সৌদীর সাবেক প্রধান মুফতী বিন বায রহঃ এর নিচের বক্তব্যটিই যথেষ্ট বলে মনে করিঃ-

فقد كان أصحاب الرسول صلى الله عليه وسلم والعلماء بعدهم رحمهم الله يختلفون في المسائل الفرعية، ولا يوجب ذلك بينهم فرقة ولا تهاجرا…

অর্থ : রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ এবং তাঁদের পরবর্তী উলামায়ে কেরাম শাখাগত অনেক মাসায়েলে মতভেদ করেছেন। কিন্তু এই মতভেদ তাঁদের মাঝে বিভেদ ও বিভক্তি সৃষ্টি করেনি কেননা তাঁদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্য ছিল দলীলের ভিত্তিতে সত্যকে জানা। সুতরাং কোনো বিষয়ে যখন দলীলের মর্ম তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে তখন তারা একমত হয়ে গেছেন। আর যখন তাঁদের কারো নিকট দলীলের মর্ম অস্পষ্ট ছিল তখন তাঁদের মাঝে মতপার্থক্য হয়েছে। কিন্তু কেউ তাঁর ভাইকে গোমরাহ বলেননি এবং এর ভিত্তিতে সম্পর্কচ্ছেদ করা, তার পিছনে নামায ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি কাজে লিপ্ত হননি। সুতরাং আমাদের সকলের কর্তব্য হল, আল্লাহকে ভয় করা। হককে আকড়ে ধরা। ঈমানী ভ্রাতৃত্ব রক্ষা করা এবং শাখাগত মাসায়েলে মতভিন্নতার দরুণ বিভেদ-বিচ্ছিন্নতায় লিপ্ত না হওয়ার যে আদর্শ সালাফে সালেহীন রেখে গেছেন তা গ্রহণ করা। -মাজমুউ ফাতওয়া ইবনে বায ১১/১৪২-১৪৩

সৌদীর প্রসিদ্ধ আলেম মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন রহঃ এর মাযহাবঃ

তিনি লিখেছেন, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আলউছাইমীন রাহ.-এরও মাযহাব ও তাকলীদের সমর্থনে একাধিক বক্তব্য রয়েছে। তিনি নিজের ফিকহী মাসলাকের পরিচয় দিতে গিয়ে স্পষ্ট বলেছেন,

نحن الآن مذهبنا مذهب الامام أحمد رحمه الله.

অর্থ : বর্তমানে আমাদের মাযহাব হল, ইমাম আহমাদ রাহ.-এর মাযহাব। -লিকাআতুল বাবিল মাফতুহ ১২/১০০

মাযহাব মানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করতে গিয়ে আরো লেখেন-

الانتماء الى المذهب ودراسة قواعده و أصوله يعين الإنسان على فهم الكتاب والسنة.

অর্থ : কোনো মাযহাবের সাথে সম্বন্ধযুক্ত হওয়া এবং তাঁর উসূল ও কাওয়ায়েদ অধ্যয়ন করা মানুষকে কুরআন-সুন্নাহ বুঝতে সহায়তা করে। -মাজমুউ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইলে উছাইমীন ২৬/২৪৫

এছাড়া শাইখ উছাইমীন রাহ.-এর শরাহ-ভাষ্যসহ প্রকাশিত ইবনে কুদামা মাকদীসী রাহ.-এর ‘লুমআতুল ই‘তিকাদ’ কিতাবে স্পষ্ট লিখা আছে-

وأما النسبة إلى إمام في فروع الدين كالطوائف الأربع فليس بمذموم، فإن الاختلاف في الفروع رحمة، والمختلفون فيه محمودون في اختلافهم، مثابون في اجتهادهم، واختلافهم رحمة واسعة، واتفاقهم حجة قاطعة.

অর্থ : দ্বীনের ফুরু‘ তথা শাখাগত বিষয়ে কোনো ইমামের সাথে সম্বন্ধ নিন্দার বিষয় নয়। যেমন চার মাযহাব। কারণ, ফুরু‘-এর ক্ষেত্রে মতভেদ হচ্ছে রহমত। এই মতপার্থক্যকারীগণ তাদের মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে প্রশংসিত এবং ইজতিহাদের ক্ষেত্রে আজর ও ছওয়াবের অধিকারী। তাদের মতপার্থক্য হল, প্রশস্ত রহমত আর তাদের মতৈক্য হচ্ছে অকাট্ট দলীল।

ইবনে কুদামা রা.-এর উপরোক্ত বক্তব্যকে দালিলিকভাবে প্রমাণ করতে গিয়ে শাইখ উছাইমীন রাহ.-এর ব্যাখ্যায় লেখেন,

الفروع: جمع فرع وهو لغة : ما بني على غيره، واصطلاحًا: ما لا يتعلق بالعقائد، كمسائل الطهارة والصلاة ونحوها.
والاختلاف فيها ليس بمذموم حيث كان صادرًا عن نية خالصة واجتهاد، لا
عن هوى وتعصب؛ لأنه وقع في عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- ولم ينكره، حيث قال في غزوة بني قريظة: “لا يصلين أحد العصر إلا في بني قريظة، فحضرت الصلاة قبل وصولهم فأخر بعضهم الصلاة، حتى وصلوا بني قريظة، وصلى بعضهم حين خافوا خروج الوقت، ولم ينكر النبي -صلى الله عليه وسلم- على واحد منهم” رواه البخاري، ولأن الاختلاف فيها موجود في الصحابة وهم خير القرون؛ ولأنه لا يورث عداوة ولا بغضاء ولا تفرق كلمة.

অর্থ : …আর পরিভাষায় ফুরু‘য়ী বা দ্বীনের শাখাগত মাসায়েল হল, যা আকীদা সম্পৃক্ত নয়, যেমন পবিত্রতা এবং নামাযের বিভিন্ন মাসায়েল। আর এক্ষেত্রে যে মতপার্থক্য, এটা কোনো নিন্দনীয় বিষয় নয়। যখন এর ভিত্তি হয় বিশুদ্ধ নিয়্যতের সাথে ইজতিহাদ। খেয়াল-খুশি বা অন্যায় পক্ষপাত নয়। কারণ তা নবীযুগেও সংঘটিত হয়েছে কিন্তু তিনি এর উপর কোনো আপত্তি করেননি। যেমন বনু কুরাইযার যুদ্ধের সময় তিনি বললেন, তোমরা বনু কুরাইযায় আসরের নামায পড়বে। অতপর গন্তব্যে পৌঁছার পূর্বেই আসরের সময় হয়ে গেল। একদল নামাযকে বিলম্বিত করলেন, বনী কুরায়যায় পৌঁছে নামায পড়লেন। আর একদল সময় চলে যাচ্ছে দেখে পথিমধ্যেই নামায পড়ে নিলেন। কিন্তু আল্লাহর রাসূল কোনো পক্ষের উপরই আপত্তি করলেন না, তিরষ্কার করলেন না। আর তাছাড়া এধরনের মতপার্থক্য তো সাহাবীদের মাঝেও হয়েছে। আর তারা হলেন এ উম্মতের সর্বোত্তম শ্রেণী। আর এই মতপার্থক্য উম্মাহর মাঝে কোনোরূপ হিংসা-বিদ্বেষ বা অনৈক্য সৃষ্টি করেনা। -শরহু লুমআতুল ই‘তিকাদ পৃষ্ঠা ১৬৪

ইবনে উসাইমিন রহঃ আরো বলেন,

والتقليد في الواقع حاصل من عهد الصحابة رضي الله عنهم. ولا شك أن من الناس في عهد الصحابة رضي الله عنهم وإلى عهدنا هذا من لا يستطيع الوصول إلى الحكم بنفسه لجهله وقصوره، ووظيفة هذا أن يسأل أهل العلم، وسؤال أهل العلم يستلزم الأخذ بما قالوا، والأخذ بما قالوا هو التقليد.

অর্থ : বাস্তব কথা হল, তাকলীদ সাহাবা যুগ থেকেই চলে আসছে। কেননা সাহাবা যুগ থেকে নিয়ে এই যুগ পর্যন্ত সবসময়ই এমন মানুষ থাকেন, যারা নিজে নিজে শরীয়তের বিধান জানতে সক্ষম নন। তাঁদের কর্তব্য, আহলে ইলমদের জিজ্ঞাসা করে সেই অনুপাতে আমল করা। আর এটাই তাকলীদ। -ফতোয়া নূর আলাদদারবি ২/২২০

শায়েখ সালেহ আল ফাউজান এর মাযহাবঃ

সৌদীর প্রসিদ্ধ আলেম শায়েখ সালেহ আল ফাউজান লিখেন,

هاهم الأئمة من المحدثين الكبار كانوا مذهبيين، فشيخ الاسلام ابن تيمية وابن القيم كانا حنبليين، والإمام النووي وابن حجر شافعيين، والإمام الطحاوي كان حنفيا وابن عبدالبر كان مالكيا.

অর্থ : বড় বড় হাদীস বিশারদ ইমামগণ মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. ও ইবনুল কায়্যিম রাহ. ছিলেন হাম্বলী, ইবনে হাজার রাহ. ও ইমাম নববী রাহ. ছিলেন শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী। ইমাম ত্বহাবী রাহ. ছিলেন হানাফী মাযহাবের অনুসারী। ইবনু আব্দিল বার রাহ. ছিলেন মালেকী মাযাহবের অনুসারী। -ইয়ানাতুল মুসতাফিদ শরহু কিতাবিত তাওহীদ ১/১২

আশা করি এ দীর্ঘ আলোচনা ও প্রমাণাদীর মাধ্যমে একথা পরিস্কার যে, মাযহাবের অনুসরণ করা মানে কুরআন ও হাদীসেরই অনুসরণ। মাযহাব অনুসরণের বিরোধিতা করা মানে হল, কুরআন ও হাদীসের অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে মনের পূজায় লিপ্ত হওয়া।

আর উম্মতে মুসলিমার সকল গ্রহণযোগ্য উলামাগণই মাযহাবের অনুসারী। মাযহাব অনুসরণ কোন বিভক্তির কারণ নয় বরং কুরআন ও সুন্নাহ মানার জন্য একটি সুন্দর ও যুৎসই কর্মপন্থা গ্রহন করে সেই মোতাবেক জীবন পরিচালনা করা। তাই এ কথা অযৌক্তিক হবে না যে, অন্ধ মাযহাব বিদ্বেষ এবং মাযহাব বিরোধীতাই মূলতঃ আজকের সমাজে ফিতনা ও বিশৃংখলার মূল কারণ। আল্লাহ তাআলা আমাদের এই নব্য ফিতনা থেকে হিফাযত করুন। হাজার বছর ধরে চলে আসা দ্বীন ইসলামের সুপ্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ সম্মত প্রতিটি আমলের উপরে টিকে থাকার তাওফিক দান করুন। যারা সহিহ হাদিসকে নিজেদের আমলের বিপক্ষে দেখলে সেটিকে নানান কৌশলে এড়িয়ে যান কিংবা জাল, জয়িফ ও দুর্বল বলে মিথ্যাচারের কূটকৌশল গ্রহণ করেন তাদের ফিতনা থেকে আল্লাহ তাআ'লা আমাদের বেঁচে থাকার হিম্মত দান করুন।

মাসিক আল কাওসার, আহলে হক মিডিয়া অবলম্বনে রচিত।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম অনেক ক্ষেত্রেই আমলের ক্ষেত্রে প্রশস্ততা দান করেছে। আকিদাগত বিষয়ে কোন মাজহাবেই মতভেদ নাই। মতভেদের প্রশ্ন ওঠে অনেক আমলগত ব্যাপারে। হাদিস গ্রন্থে পাওয়া যায় যে গোসল যখন ফরজ হয়ে যায় তখন রসুল (সা) তায়াম্মুম করে যে ব্যক্তি নামাজ পড়েছে তাকে সম্মতি দিয়েছেন আবার যিনি একই পরিস্থিতিতে পানির অভাবে অজু বা তায়াম্মুম কোনটা না করে নামাজ বাদ দিয়েছেন তার আমলকেও সম্মতি দিয়েছেন। আবার রসুলের নির্দেশে দলের কিছু লোক নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে কাজা নামাজ পড়েছে আবার বাকিরা ঐ স্থানে পৌঁছানোর আগেই আসরের নামাজ পড়ে নিয়েছে। উভয় প্রকার আমলকেই রসুল (সা) সম্মতি দিয়েছেন। তাই বোঝা যায় যে ইসলামে অনেক আমলের ক্ষেত্রেই একাধিক মত গ্রহণযোগ্য।

মাজহাব কোন দলাদলি না। এটা বরং মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রে প্রশস্ততা সৃষ্টি করছে। মাজহাব নিয়ে দলাদলি করা অন্যায়। মুসলমানদের এমনিতেও ঐক্যের অভাব তার মধ্যে মাজহাব নিয়ে নতুন দল সৃষ্টি করা ঠিক না। মাজহাবের বাড়াবাড়ির কারণে এক কালে মসজিদুল হারামে চার মাজহাবের লোক পৃথকভাবে নামাজ আদায় করত। এটা দুঃখজনক ঘটনা ছিল।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বিস্তারিত পোস্ট সহায়ক আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ায় বিশেষ কৃতজ্ঞতা। বিলম্ব প্রত্যুত্তরের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

শুভকামনা জানবেন।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৭

নতুন বলেছেন: ১৪০০ বছরে ইসলাম এতো ভাগ হোল কেন?



বর্তমানে দেখলাম হিজবুত তেহারী নাকি যারা যুদ্ধের স্টাইলে নামাজ পড়ে। :|

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



শাখা প্রশাখা সকল ধর্মেই রয়েছে। আপনিও নিশ্চয়ই তা জানেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অতি বাড়াবাড়ি যারা করেন তাদের কাজ সঠিক নয়।

যে দলের নাম বলেছেন সেটি সম্ভবতঃ হিযবুত তাওহিদ হবে! এদের সম্মন্ধে মন্তব্য করতে চাই না।

শুভকামনা জানবেন।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এত এত ভাগ ভাল লাগে না! যিনি নিজে বলবেন আমি মুসলমান এবং ইসলামের মুল গুলো পালন করবেন তাকে আমি আমার দলের ভাববো। এত এত জটিলতায় কেন যাবো?

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিটা ধর্মেই বাক আছে তবে ইসলামে একটু বেশি।চার খলিফার আমলেই কোরান যে সংকলন করে তাকেই পিটিয়ে মেরে ফেলে মুসলমানরাই কোরান সংকলনের অপরাধে।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২

প্রামানিক বলেছেন: মাযহাবের ঠেলাঠেলি ইসলামের অনেক ক্ষতি কেরেছে।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি পোস্টের জবাব না দিয়ে নতুন পোস্ট দিলেন। আমাদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিলেন না। পোস্ট করার পর আপনাকে খুঁজে পাওয়া যায় না প্রায়ই। এগুলি আমার পর্যবেক্ষণ আপনার পোস্টের বিষয়ে। কিছু মনে করবেন না।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে যদি প্রশ্ন থাকে, মাসআলা মাসায়েল বিষয়ক বিশেষ কোনো কিছু জানার ইচ্ছে বা আগ্রহ থাকে, সেসব মন্তব্যের জবাব তাৎক্ষনিক দেয়ার চেষ্টা করি। আর আপনার পর্যবেক্ষন সঠিক, কারণ, পোস্ট দেয়ার পরে অনেক সময়ই ধারাবাহিকভাবে সকলের মন্তব্যের উত্তর যথাসময়ে দিতে পারি না। এটাকে আমার ব্যর্থতা বলতে পারেন।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, চলমান পোস্টের মন্তব্যের জবাব না দিয়ে নতুন পোস্ট দেয়া। এই ব্যাপারটার পেছনে আমার ক্ষেত্রে একাধিক কারণ থাকে। যেমন- কখনো কখনো নিজের কর্মব্যস্ততার দরুন চলতি পোস্টের মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সুযোগ না হওয়ায় এমনটি ঘটে থাকে। এক্ষেত্রেও প্রশ্ন আসতে পারে যে, প্রতিমন্তব্য দেয়ার সময়ই যদি হয়ে না ওঠে, তাহলে নতুন পোস্ট দেয়ার সময় বা সুযোগ কি করে পাওয়া যেতে পারে? আসলে এর উত্তর হচ্ছে, নিজের পুরনো পোস্ট বা লেখা থেকে অনেক সময় নতুন পোস্ট দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে নতুন করে তেমন লেখালেখির প্রয়োজন দেখা দেয় না।

আমার কাছে আরেকটি কারণ মনে হচ্ছে, ভালো উদ্দেশ্যে দেয়া কোনো গঠনমূলক পোস্টে যখন একের পর এক নেগেটিভ মন্তব্য ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকে, তখন সেই পোস্টে প্রতিমন্তব্যে যেতে কেন যেন একটা অনিহা তৈরি হয়। এটা আমার মনের ক্ষুদ্রতা হয় তো! আল্লাহ তাআ'লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তেমন ভালো, সকলে উপকৃত হতে পারেন এমন কোয়ালিটিসম্পন্ন পোস্ট বা লেখা হয়তো আমার তেমন নেই, তবুও যৎসামান্য আল্লাহ তাআ'লা তাওফিক দিয়ে থাকেন, লিখে থাকি, এসবের পেছনে মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই, একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের অব্যক্ত একটি নিভূ নিভূ প্রত্যাশা সবসময়েই অন্তরে জাগরূক থাকে। সে কারণে, যারাই আমার কোন লেখায় মন্তব্যে আসেন, জবাব দিতে পারি অথবা না-ই পারি, পোস্টের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে যা-ই থেকে থাকুক সেসব মন্তব্যে- সকলের জন্যই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভকামনা, কল্যানের দোআ এবং সর্বোপরি প্রত্যেকের সুপথপ্রাপ্তির কামনা অবশ্যই থাকে।

ঘটনা যা-ই হোক, বিষয়টি নিয়ে আপনি দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা। আপনার এই ধরণের নিতান্ত গভীর আন্তরিকতাপূর্ণ পরামর্শমূলক মন্তব্যে বরাবরই আপনাকে পাশে পাব বলে বিশ্বাস করি। জাজাকুমুল্লাহ।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাযহাব অনুসরণে মতভিন্নতা নিরসনে কিছু পয়েন্ট সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন। এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে আপনার আগমন হৃদয়ের প্রশান্তির কারণ। জাজাকুমুল্লাহ।

শুভকামনা জানবেন।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুদ্ধ চলছে। আপনি বনু কুরাইজা আর বনু কানুইকা সংক্রান্ত কোরআন আর হাদিসের সূত্র দিয়ে আমাকে সাহায্য করেন। এই লিংক দেখেন

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনাকে মেইল পাঠিয়েছি। দয়া করে একটু চেক করে নিন।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পেয়েছি। কাজে লাগবে আশা করি।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। পরে আরও মেইল পাঠিয়েছি। একটু দেখে নিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.