নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত।
চলুন, জেনে নিই কখন কি বলা সুন্নাত!
জনৈক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ নিয়ে এলেন একজন! ভদ্রলোককে জানালেন সেই দুঃসংবাদটি! সাথে সাথে কি বলতে কি বলবেন, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, আলহামদুলিল্লাহ!
আগন্তুক সংবাদদাতা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন! তার চোখে মুখে অন্যরকম অভিব্যক্তি!
হবেই না বা কেন? আত্মীয় স্বজনের মৃত্যু সংবাদ শুনে কেউ কি কখনো 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে?
আসলে রহস্যটা হচ্ছে, উনি ভালোভাবেই জানেনই না যে, কখন 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে হয় আর কখন 'ইন্না- লিল্লাহ' পড়তে হয়!
'আলহামদুলিল্লাহ', 'ইন্না- লিল্লাহ' -এর মত চির চেনা শব্দগুলোও এমনই অচেনা এবং ফিকে যাচ্ছে যে, এদের ব্যবহারবিধিও আমরা ভুলে যাচ্ছি দিনকে দিন। অবচেতনে! অবহেলায়! উদাসীনতায়! গাফলতের তিমির ঘেরা অঘোর নিদ্রায়!
বাস্তবতা হচ্ছে, এমন ঘটনাও কদাচিত ঘটে বৈকি! এমন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতেও কালে ভদ্রে পড়তে হয় আমাদের! আসলে এর জন্য দায়ী আমাদের অবহেলা কিংবা অবচেতন বেখেয়ালিপনা বা উদাসীনতা! উচ্চারণে খুবই হাল্কা এবং সহজ ছোট ছোট কিছু কালিমা বা শব্দ কিংবা সংক্ষিপ্ত আরবি বাক্য রয়েছে যেগুলোর সঠিক প্রয়োগ প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত। অন্ততঃ ইসলাম ধর্মের চর্চা আমরা যারা করি, আমাদের জন্য এগুলো জানা আবশ্যকতার মধ্যেই পড়ে। না হলে পরিস্থিতি কি ধরণের হতে পারে সেটা তো উপরে আলোচিত ভদ্রলোকের ঘটনা থেকেই কিছুটা অনুমান করা সম্ভব! বিভিন্ন বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্ব অর্জন করার পরেও অনেকের কাছে এসব অতি সংক্ষিপ্ত শব্দাবলীর ব্যবহার রীতিমত থেকে যায় অজানা! এই কারণেই আজকের কিছু গুরুত্বপূর্ন শব্দের সঠিক প্রয়োগ জেনে নেয়ার লক্ষ্যে আজকের এই আলোচনা-
প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে 'বিসমিল্লাহ' বলাঃ
এখানে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে, ভালো কাজের শুরুতে যেহেতু 'বিসমিল্লাহ' বলার নিয়ম, তাহলে এর বিপরীতে খারাপ বা মন্দ কাজের শুরুতেও পাঠ করার মত কোনো দোআ বা তাসবিহ রয়েছে না কি? আসলে মন্দ কাজের কোনো অনুমোদনই নেই ইসলামে। তাই এই ধরণের প্রশ্নই অবান্তর। কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা। খানা খাওয়ার শুরুতে বলতে হয় بِسْمِ اللّٰہِ وَعَلٰی بَرَكَةِ اللّٰہِ 'বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ' অর্থাৎ, আল্লাহ তাআ'লার নামে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে বারাকাহ বা প্রাচুর্য্য প্রত্যাশায় আমি খাওয়া শুরু করছি। -সূত্র, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৩৭৬
খানা খাওয়ার শেষে পাঠের তাসবিহঃ
খানা খাওয়ার শেষে পাঠ করতে হয়-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ
অর্থাৎ, আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া, যিনি আমাদের খাওয়ালেন, পান করালেন এবং আমাদেরকে মুসলমানদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন।
শুভকাজে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলাঃ
কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শুভ সংবাদ শ্রবন করলে, কেউ 'কেমন আছেন?' জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ
‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা। -সূত্র, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮০৫
اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মানে, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।
হাঁচি দিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ' পাঠ করাঃ
কারো হাঁচি আসলে শুধু اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ 'আলহামদুলিল্লাহ' অথবা, 'আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হা-ল' বলা। -সূত্র, জামে আত তিরমিযী, হাদিস নং ২৭৪১
হাঁচিদাতাকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে يَرْحَمُكَ اللّٰہُ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলাঃ
কোন হাঁচিদাতাকে اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পাঠ করতে শুনলে জবাবে বলতে হয় يَرْحَمُكَ اللّٰہُ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’। -সূত্র সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬২২৪
يَرْحَمُكَ اللّٰہُ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ মানে, মহান আল্লাহ আপনার উপর রহমত অর্থাৎ, দয়াবর্ষন করুন।
আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্ব দেখলে বা শুনলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলাঃ
আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা। -সূত্র, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬২১৮
ব্যতিক্রম কিংবা আশ্চর্য কিছু দেখলে বা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলাঃ
স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। -সূত্র, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬২১৮
ভালো কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মা-শা-আল্লাহ’ বলাঃ
ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মা-শা-আল্লাহ’ বলা। -সূত্র সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৫০৮
মা-শা-আল্লাহ শব্দটির সামান্য ব্যাখ্যাঃ
'মা-শা-আল্লাহ' শব্দটির অর্থ, আল্লাহ তাআ'লা যেমনটি চেয়েছেন বা ইচ্ছে করেছেন। এটি আলহামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, যে কোনও সুন্দর এবং ভালো কিছুর ব্যাপারে এই শব্দটি বলা হয়। যেমন, মা-শা-আল্লাহ, তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো। মা-শা-আল্লাহ, তোমার বাগান তো চমৎকার সাজিয়েছো।
ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে ‘ইনশা-আল্লাহ’ বলাঃ
ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে ‘ইনশা-আল্লাহ’ বলা। -সূত্র কুরআনুল কারিম, সূরাহ আল কাহাফ, আয়াত ২৩-২৪
অপ্রিয় ও অপছন্দনীয় কথা কিংবা কাজে 'না’উজুবিল্লাহ' বলাঃ
কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে 'না’উজুবিল্লাহ' বলা। -সূত্র সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩৬২
নাউযুবিল্লাহ শব্দটির ব্যাখ্যাঃ
নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহ তাআ'লার কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনও মন্দ ও গুনাহর কাজ দেখলে, অপছন্দনীয় কিংবা অপ্রিয় কোনও কথা বা কাজ প্রত্যক্ষ করলে সেই কাজের প্রতি নিজের অপছন্দনীয়তা প্রকাশের লক্ষ্যে এবং সর্বোপরি সেই কাজ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে আত্ম-রক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।
বিপদাপদে ‘ইন্না- লিল্লাহ’ বলাঃ
কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে ‘ইন্না- লিল্লাহ’ বলা। কারও মৃত্যু সংবাদ শুনলে إِنَّا لِلهِ وَ إِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْن পড়তে হয়। –সূত্র সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২১২৬
إِنَّا لِلهِ وَ إِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْن অর্থ- আল্লাহর জন্যই আমরা এবং তাঁরই কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন।
সকল ধরণের বিপদাপদে পাঠের দোআঃ
প্রত্যেক বিপদে পাঠ করার জন্য কুরআনুল কারিমে বর্ণিত হযরত ইউনুস আলাইহিস সালামকে যে দোআর বরকতে আল্লাহ তাআ'লা বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন এটি শ্রেষ্ঠতম একটি দোআ-
لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
হে আল্লাহ, আপনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কোনো ইলাহ নেই। আপনি কতই না নিখুঁত! আপনার গুণগান বর্ণনা করছি, নিশ্চয়ই আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।
কথা কাজে অপরাধ হয়ে গেলে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলাঃ
কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা। -সূত্র কুরআনুল কারিম, সূরাহ মুহাম্মদ, আয়াত ১৯
আসতাগফিরুল্লাহ অর্থঃ আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্ক্ষিত কোন অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলবো।
উপরে উঠতে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং নিচে নামতে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলাঃ
উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। যে কোনো প্রকারের সিড়ি/ লিফট/ পাহাড় কিংবা উঁচু স্থানে আরোহন করা এবং নেমে আসার ক্ষেত্রে এই আমল প্রযোজ্য। -সূত্র সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৯৯৩
নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আ'লাম' বলাঃ
নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আ'লাম' বলা। ‘ওয়াল্লাহু আ'লাম' এর অর্থ, আল্লাহ তাআ'লাই সর্বজ্ঞাত। -সূত্র সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৫৭০
শুকরিয়া জ্ঞাপনে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলাঃ
কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হাসিল বা অর্জন হলে তার বদলে শুকরিয়া জ্ঞাপনে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা। -সূত্র সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩৬
জবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলাঃ
মোরগ, মুরগীসহ হালাল অন্যান্য প্রাণি ভক্ষনের উদ্দেশ্যে জবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলা। -সূত্র সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫০৮৮
বিজয়াকাঙ্খা প্রকাশে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি তুলতে হয়ঃ
কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় উচ্চকন্ঠ আকুতিভরা ডাক দিলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা । -বুখারীঃ ৬১০
শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ার দোআঃ
'লা হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ' খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী একটি কালিমা। এর অর্থ মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসা বা দুরভিসন্ধিমূলক যে কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত। বিপদে আপদেও এই দোআর আমল অব্যর্থ।
ঘুমুতে যাওয়ার সময় দোআঃ
ঘুমুতে যাওয়ার সময় দোয়া পাঠ করতে হবে اللهم بسمك أموت وأحيا
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া-আহ'ইয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনারই নামে মৃত্যুবরণ করি, আবার আপনারই নামে জীবন ধারন করি।
ঘুম থেকে জেগে উঠার পরের দোআঃ
ঘুম থেকে জেগে উঠার পরের দোআ اَلْحَمْدُ للهِ الَّذِىْ اَحْىَ نَفْسِىْ بَعْدَ مَااَمَاتَهَا وَ اِلَيْهِ النُّشُوْرُ
বাংলা উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহিল্লাজী আহইয়া নাফছি বা'দা মা আমাতাহা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
ফজিলতঃ রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে উঠেই এই দোআ পড়তেন। -তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৮
ঘর থেকে বের হওয়ার দোআঃ
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পাঠ করতে হয়- بِسْمِ اللّٰہِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰہِ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰہِ 'বিসমিল্লাহি তাওয়াক'কালতু আলাল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কু'ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ'।
অর্থঃ সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে (আমি আমার ঘর থেকে বেরুচ্ছি), আমি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করি, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতিত নিজেকে পাপ ও অকল্যান থেকে বাঁচানোর কোন ক্ষমতা নেই এবং কল্যানলাভ ও ভাল কাজ করার ক্ষমতাও নেই।
ফজিলতঃ রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যাক্তি এই দোআ পড়ে ঘর থেকে বেরুবে সকল বিপদ থেকে সে নিরাপদে থাকবে এবং শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। -তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৮০
টয়লেটে প্রবেশের দোআঃ
টয়লেটে যাওয়ার আগে পড়তে হয় اَللَّهُمَّ اِ نِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবায়িছ।
হাদিসে এই দোআ পড়ে টয়লেটে ঢোকার নির্দেশনা রয়েছে। -সহিহ বুখারী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৯৩৬
টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোআঃ
টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় পড়তে হয়- আলহামদুলিল্লাহিল্লাযী আযহাবা আন্নিল আযা ওয়া আ-ফানী।
অর্থঃ সেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি, যিনি আমার কাছ থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করে দিলেন এবং প্রশান্তি দান করেছেন। -ইবনে মাজা
পরস্পর সাক্ষাতকালে সালাম বিনিময় করা সুন্নাতঃ
কারো সাথে দেখা হলে আমরা অনেক ধরণের শব্দ ব্যবহার করি। হাই, হ্যালো, এই, ওহে, গুড মর্নিং, গুড আফটার নূন, গুড ইভনিং, গুড নাইট ইত্যাদি অনেক কিছুই বলে থাকি। এগুলো বলার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই খারাপ কিছু নয়। তবে, আপনি যদি আপনার সাথে সাক্ষাৎকারী ব্যক্তির জন্য নিজেকে সর্বাধিক কল্যানকামী ভাবেন, তার জন্য সত্যিকারার্থে কল্যান কামনা করতে চান, তাহলে আপনার জন্য সর্বোত্তম কাজ হলো সেটি আপনার মুখ নিঃসৃত অভিবাদনবাণীতেও প্রকাশ করে দেয়া। পৃথিবীতে অভিবাদনের অগণিত পদ্ধতি রয়েছে নানান ভাষা এবং জাতির। কিন্তু পরস্পরের মধ্যে সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে যে দোআর অসাধারণ ব্যবস্থাপনা, এটি কি আর কোথাও পাওয়া যায়? আলহামদুলিল্লাহ, মানব জীবনের কাঙ্খিত শান্তি, নিরাপত্তা এবং কল্যানের সামগ্রিক দোআর ব্যবস্থা একমাত্র সালাম আদান প্রদানেই রয়েছে। সুতরাং, আমরা অধিক পরিমানে সালাম আদান প্রদানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এই সুন্নাত আমলটির উপরে মগ্ন এবং নিমগ্ন হই। পারস্পারিক হৃদ্যতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সুখ-সৌন্দর্য্য ও সৌহার্দ্য আনয়নে হাদিসের শিক্ষানুযায়ী এরচেয়ে উত্তম আমল আর নেই। এর বিকল্পও নেই। তাই আসুন, স্পষ্ট উচ্চারণে ঘরে বাইরে সর্বত্র সাক্ষাতকালে পরস্পরকে উষ্ণ অভিবাদনে সিক্ত করি। বলি- আসসালামু আ'লাইকুম, আরও একটু বৃদ্ধি করে বলতে পারি, আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা-তুহ, অর্থাৎ, আপনার উপরে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি, রহমত এবং বারাকাহ বর্ষিত হোক।
করোনা মহামারির দুর্যোগ থেকে আল্লাহ তাআ'লা গোটা বিশ্ববাসীকে মুক্ত করুন। শান্তি, রহমত এবং বারাকাহ বৃষ্টি দিয়ে সিক্ত করুন সকলকে। গোটা মাখলূকাতকে। গোটা সৃষ্টি জগতকে।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয় গুলো আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না। তাই আমি এসব বিষয় মানি না। না মেনে বেশ ভালোই আছি।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পাঠে উপকৃত হ'লাম। আরও অনেকে হবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। কাজের পোস্ট। দোয়ায়ে মাসনূন যেগুলো রসুল সাঃ শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। সেগুলো পাঠে স্রষ্টার অর্ঘ্য লাভ। বেদাত পরিত্যাজ্য । পোস্টে ভালো লাগা। এবং প্রিয়তে ।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
কা্#353; বলেছেন: এসব বিষয় না মেনে বেশ ভাল আছেন কেউ কেউ ,, আসলেই কে ভাল ?
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৫
বিটপি বলেছেন: এসব বিষয় না মেনে অনেকে ভালোই আছে দাবি করছে। কিন্তু মানলে কিন্তু আরো ভালো থাকা যায়। কাজকর্মে পরিতৃপ্তি আসে।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০১
কুশন বলেছেন: ইসলাম ধর্ম অন্য আর সব ধর্মের মতোই একটা মানবসৃষ্ট ধর্ম।
এক লক্ষ পঁচিশ হাজার প্লাস নবী আসছে এবং চার জন রসুল, অথচ এদের একজনও মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে আসেনি কেন?
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক লক্ষ ২৪ হাজার নবী এবং রসূল মধ্য প্রাচ্যেই শুধু এসেছে এই কথা মানুষ কি করে বলে। হাতে গোনা কয়েকজন নবীর কথা কেবল হাদিস এবং কোরআনে পাওয়া যায়। বাকি ১ লক্ষ্য ২৩ হাজার ৯৬০ বা ৯৭০ জন নবীর কথা তো প্রকাশ করা হয় নাই। রসূল ৪ জন ছিল এই ধারণার পক্ষে কোন প্রমাণ আছে কি?
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোস্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন। সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
হাবিব বলেছেন: বড়দেরকে সালাম দেয়া একটা আদব। কিন্তু রাসুল (সা.) আগে সালাম দিতেন সবসময়। ছোট হোক কিংবা বড় হোক। এমনটাই পাওয়া যায় হাদীস হতে। বর্তমানে অনেক বড় ভাই বেরাদর আছেন, হুজুর টুজুর আছেন যাদেরকে সালাম না দেয়াকে বেয়াদবী মনে করেন।