নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজে অশ্লীলতা এবং ব্যভিচার বৃদ্ধি পেলে দারিদ্র্য মহামারি ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব ঘটে

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

ছবিঃ অন্তর্জাল।

সমাজে অশ্লীলতা এবং ব্যভিচার বৃদ্ধি পেলে দারিদ্র্য মহামারি ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব ঘটে

অন্যায়, অবিচার, অশ্লীলতা ও ব্যভিচারসহ নানাবিধ অপরাধের মাত্রা সমাজে যখন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়, দারিদ্র্য এবং মহামারিসহ বহুবিধ শাস্তির প্রাদুর্ভাব একের পর এক ঘটতে থাকে। হাদিসে এমনটাই বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য এ কথা শুধু তাদের জন্য যারা হাদিসের প্রতি বিশ্বাস রাখেন। হাদিস শাস্ত্রেই যাদের আপত্তি তাদের জন্য এসব বাণী মূল্যহীন। সঙ্গত কারণে তাদেরকে কষ্ট করে এই হাদিসের বক্তব্যের বিষয়ে তাদের অতি মূল্যবান মতামত প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়ে রাখছি। পাশাপাশি, যাদের কাছে পরিবার এবং সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করায় এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা এবং ব্যভিচারের মত কর্মকান্ডগুলো গর্হিত কোনও অন্যায় বলেই মনে হয় না, তারাও দয়া পূর্বক তাদের অতি মূল্যবান সময় ব্যয় পূর্বক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলে কৃতজ্ঞ থাকবো। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিম্নোক্ত হাদিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ "‏ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا ‏.‏ وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ ‏.‏ وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ ‏

আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরিক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় কর থেকে বিরত থাকে তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং তারা তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন। -সূত্র, ইবনু মাজাহ, হা/৪০১৯, সনদ হাসান ‘ফিতনা’ অধ্যায়, ‘শাস্তি’ অনুচ্ছেদ

অত্র হাদিসে যে বিষয়গুলোর দ্বারা পরিক্ষার সম্মুখীন করা হবে বলে ভবিষ্যৎ বানী করা হয়েছে-

এক. প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটবেঃ

যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়।

দুই. নতুন নতুন রোগ ব্যাধির উদ্ভব ঘটবেঃ

তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।

তিন. ওজন ও পরিমাপে কারচুপির ফলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবেঃ

যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় কর থেকে বিরত থাকে তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না।

চার. আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে শত্রুদের চাপিয়ে দেয়া হবেঃ

যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং তারা তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়।

পাঁচ. আল্লাহর বিধান পরিত্যাগ করলে পারস্পারিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবেঃ

যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।

এই হাদিসের কথাগুলো চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ণিত অবস্থাগুলোয় নিপতিত হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সকলকে রক্ষা করুন। এসব পরিক্ষার সম্মুখীন তিনি যেন আমাদের না করেন। তাঁর কাছে পানাহ চাই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ব্যভিচার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই শব্দ ব্লগের অনেক প্রবাসী মুরুব্বী পছন্দ করে না। ওনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। আপনি পারলে শব্দটা বদলে দেন। উনি খুশি হবেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি ধরেছেন। ধন্যবাদ। আচ্ছা, প্রতিশব্দটা কি দেয়া যেতে পারে, যাতে তিনি খুশি হতে পারেন?

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যভিচারের বদলে লিখতে পারেন 'অবাধ প্রেম' কিংবা 'এক রাতের জন্য প্রেম' কিংবা ' দায়দায়িত্ব ছাড়া প্রেম' কিংবা 'বাধাহীন উত্তাল প্রেম' কিংবা 'পার্ট টাইম লাভ' ইত্যাদি। মোটকথা প্রেম বা লাভ শব্দটা অবশ্যই থাকতে হবে। এটাই বর্তমান আধুনিকতা। আপনি মনে হয় ব্লগে বিচরণ করার পরও এই ব্যাপারে একটু পিছিয়ে আছেন। একটু আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করেন। :) প্রেম তো স্বর্গীয়। স্বর্গের দেব দেবীর প্রেম দেখতে বা পড়তে চাইলে আপনি মরুভূমির জলদস্যু সাহেবের বর্তমান সচিত্র লেখাগুলি পড়তে পারেন। তবে রাজীব নূরের মতো দৃষ্টি নত করে লেখাগুলি শুধু পড়বেন। ছবিগুলি দেখার দরকার নাই। আপনার হজম না ও হতে পারে।

অবাধ প্রেমের সুবিধা হোল বাতি একঘরে জ্বলবে কিন্তু বিল উঠবে আরেক বাড়িতে। এইটা অবাধ প্রেমের সুবিধা আর এইটাই আধুনিকতা। আপনি স্পাঙ্ক সাহেবের কবিতাও মাঝে মাঝে পড়তে পারেন। আমি ওনার কবিতা পড়ে অনেক কিছু জেনেছি। উনি ডাবল ডিমের অমলেট আর তরমুজ খেয়ে এই কবিতাগুলি লিখে থাকেন।

আরও ভালো কিছু মনে আসলে আমি আপনাকে জানাবো। আপনি এই পোস্টের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেন। অনেক বিজ্ঞ লোক আপনার পোস্টে মন্তব্য করবে। ১০ টা বুকডন দেন আগে। কারণ প্রতিপক্ষের সমালোচনা সহ্য করার জন্য শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি থাকার দরকার আছে। পিঠে বাঁধেন কুলো আর কানে দেন তুলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার অমূল্য নসিহত যথার্থ। বিশেষ করে ১০ টা বুকডাউন আর পিঠে কুলো বাধা এবং কানে তুলো গুজে দেয়ার পরামর্শটা খুবই মনে ধরেছে। :(( এমন উৎকৃষ্ট এবং কার্যকর পরামর্শ প্রদানের জন্য আপনাকে ভিজিট দিলেও কমই হবে বলে মনে হচ্ছে।

আর আধুনিক হওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন তাও একদমই সঠিক! এতসব পরামর্শের জন্য আপাতত কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি। কিছু দোআও করেন, যাতে ধীরে ধীরে এগুলো অর্জন করতে সক্ষম হয়ে উঠি! :)

আর 'অবাধ প্রেম', 'এক রাতের জন্য প্রেম', ' দায়দায়িত্ব ছাড়া প্রেম', 'বাধাহীন উত্তাল প্রেম' কিংবা 'পার্ট টাইম লাভ' অথবা 'লিভ টুগেদার' বা 'পবিত্র প্রেম' অথবা 'পরকীয়া প্রেম' যত যা-ই বলি না কেন, বিবাহ বহির্ভুত যা কিছুই এবং যে নামেই হোক না কেন, ইহা সবই তো ব্যাভিচারের বিকল্প নাম, তাই না? ব্যাভিচার হচ্ছে এই সবকিছুর আসল নাম। ব্যাভিচারকে ব্যাভিচার না বলে এইসব নতুন নামে অভিহিত করলে ব্যাভিচার শব্দটার প্রতিই ব্যাভিচার (পড়ুন, অবিচার) করা হয় কি না, সেটাই এখন একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। B-)

যা হোক, শুকরিয়া আবারও এবং অনেক অনেক ভালো থাকার দোআ।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: কি আর বলবো নকিব ভাই । ব্লগেই অনেক লেখা আসে যা অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ অথচ তা শিল্পের নামে দিব্যি প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়। আবার এদের অনেকেই ধর্ষণ, অজাচার, ব্যভিচার ( পরকিয়া ) ইত্যাদির বিরুদ্ধে লিখে থাকে। কিন্তু ব্যভিচারের আরেক রূপ যা সমাজে বহুল প্রচলিত ও প্রশংসিত তথাকথিত প্রেম নামক নষ্টামিকে উৎসাহ দিয়ে সমাজে অশ্লীলতা প্রচারে পরোক্ষ ভুমিকা পালন করে।
কোরআন হাদিসের কোন কথাই এখন গরু খাওয়া মুসলিমদের গায়ে লাগে না। বরং নিজের অজ্ঞতার কারণে ইসলামের অনেক বৈধ জিনিসকে কটাক্ষ করে, আবার যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিজাতীয় কালচার অনুসরণ করে বলে ইসলাম তো শান্তির ধর্ম ।
বিশ্বজুড়ে মহামারীসহ নানা দুর্যোগের তাণ্ডব তাও আমাদের টনক নড়ে না। চারপাশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে হলেও সকল মুসলিমদের উচিত নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অন্যথায় কৃতকর্মের ফল ঠিকই সময়মত ঘিরে ধরবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



সংস্কৃতি চর্চার নামে অবাধ অশ্লীলতার কদর্য রূপ আমরা কমবেশি দেখেছি। সত্যি কথা হচ্ছে, আমাদের কর্মফলই আমরা ভোগ করছি। হঠকারিতা করে পার পাওয়ার উপায় নেই। যত বড়াই আর বাহাদুরিই দেখাই না কেন, সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের বেষ্টনীর বাইরে যাওয়ার সাধ্য সৃষ্টি জগতের কারও নেই। এই মহাসত্যটা আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই বলেই সমস্যা। তাঁর অমোঘ ঘোষনা-

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا ۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ

হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। -সূরাহ আর রহমান, আয়াত ৩৩

فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ

অতএব, (কুরআনকে অস্বীকার করে ও তা থেকে বিমুখ হয়ে) তোমরা কোন দিকে যাচ্ছ? -সূরা আত তাকভীর, আয়াত ২৬

আপনার শেষের কথাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। চারপাশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে হলেও সকল মুসলিমদের উচিত নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অন্যথায় কৃতকর্মের ফল ঠিকই সময়মত ঘিরে ধরবে। এখনই তাওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসার উপযুক্ত সময়। অন্যথায় ধ্বংসলীলা আরও প্রলম্বিত হতে পারে।

পোস্ট পাঠ এবং মূল্যবান মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। আপনার জন্য সবসময় আমাদের পক্ষ হতে কল্যানের দোআ। পরিবার পরিজন নিয়ে আপনাকে কুশলে রাখুন মহান আল্লাহ তাআ'লা।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৩

মেরুভাল্লুক বলেছেন: চার পাচ টা বউ লইয়া পরসি আমি ফান্দে
বড় বউরে আদর করলে ছোট বউ এ কান্দে

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেকে একটা বিয়েই তো করতে পারে না। আপনি চার পাঁচটাতে যেতে সাহসই বা করলেন কিভাবে? তাছাড়া, ইসলাম ধর্ম তো চার বিয়ে করার বাধ্যবাধকতা আরোপ কখনোই করেনি। বরং আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং অন্যান্য যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে, নিতান্ত অপারগতায় একাধিক বিয়ের প্রয়োজন দেখা দিলে, প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে সমতা বজায় রাখার মত কঠিন শর্তে একাধিক বিয়ের শুধু সুযোগই রেখেছে। জাস্ট একটা অপশন রেখেছে। এমন অপশন থাকাটাই কি উচিত ছিল না? না থাকলেই বরং হয়তোবা আজকের সমালোচক মহোদয়গণ ইসলাম ধর্মের অপূর্ণতার ফর্মুলা আবিষ্কার করতেন এখান থেকে! ক্ষেত্র বিশেষে কারও একাধিক প্রয়োজন দেখা দিতেই পারে। কিন্তু মনে রাখার বিষয় হচ্ছে, একাধিক বিয়েকে ইসলাম উৎসাহিত করেনি কখনোই। কুরআন হাদিসের এই বিষয়ক নির্দেশনা সামান্য পাঠ করলে বিষয়টা খুব সহজেই বুঝতে পারার কথা।

অবশ্য অতি সহজ এই বিষয়টি বুঝার চেষ্টা না করে ইসলাম বিদ্বেষী নারীবাদী নামের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নারীলোভী স্বার্থপর কিছু বন্ধুরা এটাকেও ইসলাম ধর্মের নিন্দায় নারীর অধিকার হরণের ঠুনকো অযুহাত বানানোর চেষ্টা সেই বহু দিন পূর্ব থেকেই করে আসছেন। তাদের অভিমত হচ্ছে, একজন পুরুষ কেন একাধিক নারীকে বিয়ে করবেন? এতে তো নারীকে অপমান করা হয়!

আহ! নারীর প্রতি কতই না দরদী এরা! নারীর সম্মান বাঁচানোর জন্য মনে হয় যেন জান জীবন সব উৎসর্গ করে দিবে! কিন্তু আসল ঘটনায় তো চক্ষু চড়কগাছ! বিয়ে না করে শুধু একাধিক নয়, বরং অনেক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ানোয় এরাই আবার দিব্যি অভ্যস্ত!

বস্তুতঃ এদের সমস্যাটা একাধিক নারীতে মোটেই নয়, বিয়েতেই তাদের আপত্তি। বিয়ে প্রথার প্রতিই এদের যত বিরক্তি। এরা হয়তো চিন্তা করেন, কিসের এইসব বিবাহ টিবাহ? যাকে খুশি, যখন খুশি ইচ্ছেমত ভোগ করবো, কিসের বিয়ে, কিসের কাবিন? কিসের স্বাক্ষী? কিসের এইসব ঝামেলা? কিসের সংসার? কিসের স্বামী-স্ত্রী? উদ্দাম ভালোবাসায় উজাড় করে দিব নিজেদের! উদভ্রান্ত প্রেমে মগ্ন নিমগ্ন পাগলপারা হব! জগতটাকে প্রেমের বাগানে পরিনত করে তুলবো! যতসব বাধা! বিয়েশাদিকে তারা তাদের অবারিত ভোগ বিলাসের পথের বাধা মনে করেন। সে কারণেই বিয়েশাদি প্রথার এই ঝঞ্জাট ও বিঘ্ন অপসারণ করার জন্য বিয়েপ্রথার বিপক্ষে তাদের অবস্থান। গ্রাম বাংলায় প্রচলিত একটা কথা আছে না- 'উলটপালট করে দে মা, লুটেপুটে খাই', -এরাও হয়তো তেমনটাই পছন্দ করেন। তো, তাদের এই সর্বগ্রাসী লুটেপুটে খাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামের সুশৃঙ্খল বৈবাহিক নিয়ম ও রীতি-নীতি এবং পদ্ধতি। এ কারণেই হয়তো তাদের যতসব গাত্রদাহ!

দেশে দেশে আজকের সমাজের দিকে তাকালে স্পষ্টতঃ দেখাও যায় যে, বিবাহ বহির্ভূত নারী পুরুষের সম্পর্ককে এই শ্রেণির বরেণ্য ব্যক্তিগণ দূষনীয় মনেও করেন না। এটা যেন তাদের কাছে রীতিমত কাঙ্খিত একটি আধুনিকতা! হায়রে আধুনিকতা! এমন নোংড়ামিকেই যদি আধুনিকতা ভাবা হয় তাহলে নষ্টামো বলা যাবে কোন কাজকে? এগুলো নৈতিক অধঃপতনেরই নামান্তর! কে যেন একজন বলেছিলেন যে, মাছের পঁচন শুরু হয় তার মাথা থেকে! আমরাও কি সেই একই দশায় নিপতিত হচ্ছি দিনকে দিন?

কথা প্রসঙ্গে কথা এসে গেল বলে কিছুটা বেশি লিখে ফেললাম। সে কারণে দুই লাইনে করা আপনার মন্তব্যের উত্তরটা একটু বড় হয়ে গেল। আশা করছি, প্রত্যুত্তরে কষ্ট নিবেন না। অবশ্য, সত্যিকারার্থে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বর্তমান বিশ্বের সমাজ বাস্তবতা উপলব্ধি করে থাকলে দুঃখিত হবার কথাও নয়।

মন্তব্যে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্য।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল বুখারী শরীফ পড়েছি। সেখানে এক জায়গায় লেখা ছিলো- মৃত্যুর পর তাদের মাথা পাথর দিয়ে ভাঙ্গা হবে, যারা ফযরের নামাজ পড়েনি।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বুখারি শরিফ পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। বুখারি শরিফ কিন্তু দুই শ্রেণির লোক পড়ে থাকেন। এক শ্রেণির মানুষ বুখারি পড়েন, নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী জানার জন্য, শেখার জন্য এবং যাতে হাদিস অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে পারেন সেই উদ্দেশ্য নিয়ে। এরা সাধারণতঃ এদের উদ্দেশ্যে পুরোপুরিই সফলকাম হয়ে থাকেন।

পক্ষান্তরে আরেক শ্রেণির লোকও বুখারি পড়েন, এরা নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা কাজে অনবরতঃ ভুল তত্ত্ব-তালাশে ব্যস্ত থাকেন। ইসলাম ধর্মের ভুল প্রমানের জন্য এরা হাদিস কুরআন তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ব্যর্থ হন। শকুনির চোখে হন্যে হয়ে খুঁজেও কুরআন হাদিস কিংবা ইসলাম ধর্মের কোনও ভুল প্রমান করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তাদের মিশন। ব্যর্থ মিশনে ঠিক যেন মরিচিকার পেছনে নিষ্ফল ছোটাছুটিতে কেটে যায় এদের জীবন। এদের জন্য কল্যানের পথপ্রাপ্তি কামনা করছি।

মন্তব্য রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমাজে অদক্ষ ও বেকুবের সংখ্যা বেড়ে গেলে সমাজ বিশৃংখলা দেখা দেয় ও সকল প্রকার সমস্যা বাড়তে থাকে। মহামারি দেখা দেয় মানুষের ভুলের কারণে, কিংবা প্রাকৃতিক কারণে; আপনার চিন্তাভাবনা সব সময়েই ভুল।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি নিজেই আপদমস্তক ভুলের মধ্যে আছেন। তার প্রমান এই ব্লগেও সম্মানিত ব্লগারগণ বহুবার দেখেছেন। তাই বলি, অন্ধকারে আর কত হাবুডুবু খাওয়া, প্রিয় ভাই? এবার বরং বিশ্বাসের আলোয় ফিরে আসুন। আলোকিত জগতে উঠে আসুন। জীবন যিনি দিলেন সেই আসল মালিকের কাছ থেকে আর কত পালিয়ে বেড়ানো? আর কত দিন ফেরারি হয়ে থাকা? ডাক তো এসে যাবে যে কোনও দিন, প্রিয় চাঁদগাজী ভাই! সবাইই তো আমরা ফেরার পথের পথিক! মালিকের শুধু একটি ডাকের অপেক্ষায় অপেক্ষমান!

আসুন! ঘুরে দাঁড়ান! মালিকের সামনে নিজেকে দাঁড় করিয়ে দিন! মালিক তো আমাদের ডাকছেন! ডেকে চলেছেন! প্রতি দিন! প্রতি বেলা! সকাল সন্ধ্যায়! রাতে দিনে! সিজদায় অবনত হয়ে মালিকের সেই নিঃসীম মমতার ডাকে একটিবার সারা দিয়ে দেখেন না! আহ! কতই না মমতাময় মহান মালিক! সারা দিয়ে দেখুন না একবার তাঁর ডাকে! দেখবেন, এত দিন পরে হলেও, জীবনের বেলাভূমিতে এসে থাকলেও, গোঁধুলিলগ্নে পৌঁছে হলেও জীবনটা সত্যিকারার্থে স্বার্থক মনে হবে!

শুভকামনা।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২২

ঝুমুর জারোফা বলেছেন: @আরোগ্য মহামারী কখনও কোন সমাজ বা দেশের জন্য কাম্য নয়।তাই সকলের উচিৎ আল্লাহর দেওয়া বিধিবিধান মেনে জীবন পরিচালনা করা যাতে আল্লাহ নারাজ না হন।এই করোনা সবার জীবনকে প্রায় বিষাদ করে ফেলেছে। অন্যকারো নয় নিজের কথাই বলি আমি সবসময় যতটুকু পারি যথাসাধ্য মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।কিন্তু আজ আমি এমন এক বিপদে আছি আমার পাশে কেউ নেই।এইটাই মনে হয় আল্লাহ তালার পরীক্ষা। আমার এক বান্ধবী গত শুক্রবার বিয়ে করে।সে জীবনে অনেক প্রেম করেছে শেষমেষ তার বিয়ে টাও যার সাথে হয়েছে তার সাথেও তার আগে সম্পর্ক ছিল।সে যাই হোক আমি কখনো এমন করেছি বলে আমার জানা নেই। অনেকে আছে আমার আবস্হা জানে আমি চরম দুর্দশা হতাশাগ্রস্ত হয়ে আছি।তারা ভয়ে থাকে আমি এই বুঝি তাদের নক দিয়ে বিরক্ত করবো।কিন্তু আমি তো এমনটা নই আমার জন্য কেউ আতঙ্ক বা ভয়ে থাকবে আমি কখনো তা চাইনা।
তোমরা যতই কষ্টে থাকো না কেন কখনও নিজের মূত্য কামনা করো না।(আবু দাউদ ;৩১০৮)।
আল্লাহ সবার সর্বাধিক মঙ্গল করুক এই কামনা করি।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চার টা বউ বিছানায় রেখে রাতে দাসীর কাছে যাওয়া অশ্লীলতা বা ব্যভিচার হবে?
বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের উপর বলপুর্বক সমকাম কর্ম
তখন কি বাতি .. একঘরের বাতির বিল আরেক বাড়িতে উঠবে?
নাকি বিলই আসবে না?

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ছদ্মনামে এই ব্লগে কেউ কেউ যে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করেন এই মন্তব্যটিও তার ছোট্ট একটি প্রমান। আইডি দেখে বুঝার উপায় নেই যে, ইনি ইসলাম ধর্মের প্রতি এমন মারাত্মক মিথ্যে অপধারণা পোষন করেন এবং বিষোদগারে লিপ্ত কেউ হতে পারেন! কিন্তু বাস্তবতা তো আর লুকানো যায় না, বাস্তবতা অর্থাৎ, সম্মানিত ব্লগার হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের লিখে রাখা লাইনগুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিচ্ছে যে, আইডির নাম যা-ই হোক না কেন, উদ্দেশ্য একটাই, ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো। তা না হলে তার এমন প্রশ্ন করার কথা কোনক্রমেই নয়।

যাই হোক, যার যেটা কাজ তাকে সেটাই করতে দেয়া উচিত। সুতরাং, তিনি বা তারা এই কাজগুলো করে যেহেতু আনন্দ লাভ করে থাকেন অতএব, তিনি চালিয়ে যেতে থাকুন তার কাজ। তার প্রতি শুভকামনা রাখছি আমরা। আল্লাহ তাআ'লা তাকে এই কাজে সফলতা দান করুন।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.