নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
নামাজ: শ্রেষ্ঠতম ইবাদত, মহান প্রতিপালকের পক্ষ হতে শ্রেষ্ঠতম নেআমতঃ
আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এ জন্য যে, নামাজের মত সামগ্রিক একটি পদ্ধতিকে আমাদের জন্য ইবাদত হিসেবে সাব্যস্ত করে দিয়েছেন মহান রব্বে কারিম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা। নামাজ ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ এক স্তম্ভ। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
أَوّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَلَاتُهُ.
কিয়ামত দিবসে বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে সালাতের মাধ্যমে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬৯৪৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৮৬৬
হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর প্রসিদ্ধ একটি বাণী হচ্ছে-
إِنّ أَهَمّ أَمْرِكُمْ عِنْدِي الصّلَاةُ. فَمَنْ حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا، حَفِظَ دِينَهُ. وَمَنْ ضَيّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ.
নিশ্চয়ই আমার কাছে তোমাদের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নামাজ। যে ব্যক্তি নামাজের হেফাযত করল, যত্ন সহকারে তা আদায় করল, সে তার দ্বীনকে হেফাযত করল। আর যে তাতে অবহেলা করল, (দ্বীনের) অন্যান্য বিষয়ে সে আরো বেশি অবহেলা করবে। -মুয়াত্তা মালেক, বর্ণনা ৬; মুসান্নাফে আবদুর রযযাক, বর্ণনা ২০৩৮
নামাজ মূলতঃ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা প্রদত্ত এক মহান নিআমত। রাব্বুল আলামীনের এক বিশেষ উপহার, যা বান্দাকে সকল প্রকার অশ্লীলতা, পাপাচার, প্রবৃত্তিপূজা, ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবনের ভোগ-বিলাসের অন্ধ মোহ থেকে মুক্ত করে পূত-পবিত্র ও উন্নত এক আদর্শ জীবনের অধিকারী বানিয়ে দেয়। বিকশিত করে তোলে তার ভেতরের সকল সুকুমারবৃত্তি। তার জন্য উম্মুক্ত ও সহজ করে দেয় চিরস্থায়ী জান্নাতের সুপ্রশস্ত দুয়ার। সে পথেই সে চলতে থাকে।
নামাজ হচ্ছে হিকমাহপূর্ণ এক অলৌকিক তরবিয়ত-ব্যবস্থা। নামাজের মাধ্যমেই ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা, একাগ্রতা, আত্মশুদ্ধি ও আত্মবিলোপের মত মহৎ গুণাবলির পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে, যা বান্দাকে পৌঁছে দেয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার সান্নিধ্যের স্বর্ণশিখরে।
নামাজ এমন এক নিয়ন্ত্রক শক্তিতে পূর্ণ যে, খাঁটি মুসল্লি নামাজের বাইরের পরিবেশেও এমন কোনো কাজ করতে পারেন না, যা মানুষের দৃষ্টিতে নামাজের ভাব-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে। অদৃশ্য থেকে মূলতঃ নামাজই নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তার রাত-দিনের সকল আচার-আচরণ, কাজকর্ম এবং গতিবিধি। শয়তানের ধোঁকায় যদিও মুসল্লি কখনো কোনো অন্যায় বা অশোভনীয় কাজে লিপ্ত হতে প্রবৃত্ত হন তখন নামাজের তরবিয়তে দীক্ষিত, পরিশীলিত ও পরিশুদ্ধ বিবেক তাকে ধিক্কার দিয়ে বলে ওঠে, তুমিই বল, একটু পরে যখন তুমি নামাজে তোমার মহান প্রভুর সামনে দাঁড়াবে তখন কি তোমার এই ভেবে লজ্জাবোধ হবে না যে, কেমন কালো মুখ ও কলুষিত হৃদয় নিয়ে তুমি আপন মালিকের সামনে দাঁড়াচ্ছ? যিনি অন্তর্যামী, তোমার গোপন-প্রকাশ্য সকল বিষয়ে সম্যক অবগত, অবহিত। যিনি ছাড়া তোমার আর কোনো ইলাহ নেই, মালিক নেই, স্রষ্টা নেই, যার কাছে ব্যতিত তোমার আর কোন গন্তব্য নেই। যিনি তোমার একমাত্র আশ্রয়দাতা, যাঁর সামনে তোমাকে বার বার দাঁড়াতে হবে। যার কাছে তোমার সকল চাওয়া-পাওয়া। প্রতিটি মুহূর্তে তুমি যাঁর করুণার মুখাপেক্ষী। এগুলো জানার পরও কি তুমি তাঁর নাফরমানিতে লিপ্ত হবে? নামাজ এভাবে মুসল্লিকে উপদেশ দিতে থাকে এবং পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়।
বস্তুতঃ আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতালাভের মাধ্যমে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার প্রিয়ভাজন হওয়া- নামাজের এ হচ্ছে একটি দিক। পক্ষান্তরে এর পাশাপাশি শারীরিক বিবিধ উপকারও নিহিত রয়েছে নামাজে। বক্ষমান নিবন্ধে মূলতঃ সংক্ষিপ্ত কলেবরে সেটাই আলোচনা করা উদ্দেশ্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের তাওফিক প্রদান করুন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে নামাজের শারীরিক কিছু উপকারিতাঃ
মানব দেহ জগতের আশ্চর্য্য এক সৃষ্টি। শুধু আশ্চর্য্য বললেও বোধ করি কমই বলা হবে। বরং বলতে হয়, মহান স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার অত্যাশ্চর্য্য এবং অসাধারণ এক সৃষ্টি। জন্মের পর হতে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষের শরীর বা দেহ চলমান থাকে। মানুষ ঘুমালেও তার দেহাভ্যন্তরের কলকব্জাগুলো, অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো এবং বিশেষ বিশেষ ইন্দ্রিয়গুলো সজাগ এবং সচল থাকে। তারা থামে না। কাজ করে যায়। জন্ম থেকে মৃত্যু অবদি তাদের বিশ্রাম নেই। যতদিন নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আসা-যাওয়া অব্যাহত থাকে, ততদিন তারাও চালিয়ে যেতে থাকে তাদের কাজ। ৮০, ৯০ কিংবা ১০০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একজন মানুষের দীর্ঘজীবনে এক মুহূর্তের জন্য এসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বন্ধ করে না তাদের কাজ। যেমন, হার্ট বা হৃদপিন্ড অবিরাম স্পন্দিত ছন্দে কাজ চালিয়ে যাওয়া অদ্ভূত এক অঙ্গ। ফুসফুস, কি আশ্চর্য্য এক অঙ্গ! আপনি আমি ঘুমিয়ে আছি, কিন্তু তার ঘুম নেই, বিশ্রাম নেই, ক্লান্তিহীনভাবে একনাগারে সে রক্ত পাম্প করেই চলেছে। প্রতি মুহূর্তে আমাদের শরীরের প্রতিটি বিন্দুতে পৌঁছে দিচ্ছে সে রক্ত। ভাবতেই গা শিউরে ওঠে, এক মুহূর্ত যদি ব্লাড সার্কুলেশন বাধাগ্রস্ত হয়, অবস্থা কি হবে! কিডনি, কি আশ্চর্য্য আরেক অঙ্গ! এ যেন অভিনব কর্মদক্ষতার প্রাকৃতিক এক ছাকনি! পানাহারের দ্বারা শরীরে জড়ো হওয়া অপ্রয়োজনীয় এবং দূষিত পদার্থগুলো পরম সতর্কতায় বের করে দিতে অবিরাম ব্যস্ততা তার।
কিন্তু আমাদের দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোর এই যে অবিরাম, একটানা এবং অসাধারণ কর্মযজ্ঞ, এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক কসরত। মানব দেহের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান নড়া-চড়া, হাঁটা-চলা এবং ওঠা-বসা অপরিহার্য্য। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো, দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সুবিধা লাভ করে থাকি। আমরা জানি, নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়া-আসা করতে হয়। এর জন্য কিছু পরিমান হাটাহাটি নিঃসন্দেহে আমরা করে থাকি। এ ছাড়া প্রতি ওয়াক্তের প্রতি রাকাত নামাজে রুকু, সিজদা এবং অন্যান্য আমলগুলো সম্পাদন করতে বারবার ওঠা-বসা করতে হয়। বস্তুতঃ এর সবগুলোই আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য উপকারী। ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে দিনরাতের চব্বিশ ঘন্টার ৫টি সময়। এছাড়াও রয়েছে সুন্নত ও নফল নামাজের জন্য আলাদা আলাদা সময়। যেমন, দিবসের সূচনায় সূর্য সামান্য উদিত হওয়ার সময় ইশরাকের নামাজ, তারও কিছুক্ষন পরে চাশত এর নামাজ, গোধূলি লগ্ন পেরিয়ে সন্ধ্যার কিছু পরপরই আউয়াবিন এর নামাজ, রাত দ্বিপ্রহরের পর হতে শুরু করে ফজরের পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদ এর নামাজ। সময় নির্ধারন করে দেয়া ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু নফল বা সুন্নাত নামাজ। যেমন, সালাতুত তাওবাহ বা তাওবার নামাজ, সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ, সালাতুত তাসবিহ বা তাসবিহ এর নামাজ, সালাতুল খওফ প্রভৃতি। বস্তুতঃ প্রত্যেক নামাজেই শরীরকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নড়াচড়া করানোর একটি বিষয় থাকে বিধায় সকল নামাজেই রয়েছে শারীরিক উপকারিতা। আর বিশেষ সময়ের সাথে সম্পর্কিত দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত আবশ্যকীয় পালনীয় ফরজ নামাজের জন্য কুরআন হাদিসে বর্ণিত অভাবনীয় ফায়দা এবং সাওয়াবলাভের সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও রয়েছে অভাবনীয় শারীরিক উপকারিতা। আলোচ্য নিবন্ধে সংক্ষিপ্ত কলেবরে তা আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
ফজরের নামাজের সময় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ
বলা বাহুল্য, সারা রাতের দীর্ঘ নিদ্রাযাপনের পরে জেগে উঠেই ফজরের সময় নামাজ আদায় করলে শরীর চর্চার হালকা একটি অনুশীলন হয়ে যায় অতি প্রত্যুষে, দিনের প্রারম্ভিক পর্বেই। এ সময় পাকস্থলী খালি থাকে বলে কঠিন অনুশীলন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ সময়ে নামাজ আদায় করলে নামাজি অবসাদগ্রস্ততা ও অচলতা থেকে মুক্তিলাভ করে। মস্তিষ্ক ফ্রি হয়ে পুনরায় চিন্তা করার জন্য প্রস্তুত হয়। দিন রাতের পরিবর্তনের মেলবন্ধনের অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সময়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। নামাজি এ সময়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদে যায় আর এর ফলে তার আত্মা লাভ করে ভিন্ন এক প্রশান্তি। নামাজীর হৃদয় মন সুবহে সাদিকের পরিচ্ছন্ন এবং প্রশান্ত পরিবেশ থেকে সূক্ষ্ম অনুভূতি লাভ করে- এসবই উপকারী। নামাজের জন্য পবিত্রতা অর্জন অন্যতম শর্ত হওয়ার কারণে এ সময়ে নামাজী তার শরীরের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নেয়। মিছওয়াকসহ উযুতে অধিক সাওয়াব বিবেচনায় সে দিবসের সূচনাতেই উত্তমরূপে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করে নেয়।প্রসাব-পায়খানার প্রয়োজন পূরণ করে নেয়ার পরে উত্তমরূপে অর্জন করে নেয় পবিত্রতা। এতে জীবাণুর আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। অভিজ্ঞ ডাক্তারগণের মূল্যায়ন, নিয়মিত প্রত্যুষে পরিচ্ছন্নতালাভের এই প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে অনুসরণে অন্ত্ররোগ ও আলসার থেকেও রক্ষা পেতে সহায়ক। রোমের খ্যাতনামা পাদরি হিলার তার লেখনিতে ফজরের নামাজে ওঠার বিষয়ে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন এভাবে যে, ভোরের নামাজের জন্য ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাশ্চর্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। -প্রার্থনা গ্রন্থ
যুহরের সময় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ
মানুষ জীবিকার জন্য দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ করে। এতে ধুলা, ময়লা, বিষাক্ত কেমিকেল শরীরে লাগে। দেহে জীবাণু আক্রমণ করে। ওজু করলে এসব দূর হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে দেহ পুনর্জীবন লাভ করে। গরমের কারণে সূর্য ঢলে পড়ার সময় বিষাক্ত গ্যাস বের হয়। এ গ্যাস মানবদেহে প্রভাব ফেললে মস্তিষ্ক, পাগলামিসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এ সময় ওজু করে নামাজ আদায় করলে এ গ্যাস প্রভাব ফেলতে পারে না ফলে দেহ বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে যায়। এ সময় আল্লাহ নামাজ ফরয করে আমাদের জন্য অনুগ্রহ করেছেন।
আসরের সময় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ
পৃথিবী দুই ধরনের গতিতে চলে। লম্ব ও বৃত্তীয়। যখন সূর্য ঢলতে থাকে তখন পৃথিবীর ঘূর্ণন কমতে থাকে। এমনকি আসরের সময় একেবারেই কমে যায়। এ সময় রাতের অনুভূতি প্রবল হতে থাকে। প্রকৃতির মধ্যে স্থবিরতা এবং অবসাদগ্রস্ততা প্রদর্শিত হতে থাকে। আসরের নামাজের সময় অবচেতন অনুভূতির শুরু হয়। এ সময় নামাজ আদায় করলে অতিরিক্ত অবসাদগ্রস্ততা, অবচেতন অনুভূতির আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে। নূরানি রশ্মি নামাজিকে প্রশান্তি দান করে।
মাগরিবের সময় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ
সারাদিন মানুষ জীবিকার জন্য শ্রম ও কষ্টের মধ্যে কাটায়। মাগরিবের সময় ওজু করে নামাজ আদায়ের ফলে আত্মিক ও দৈহিক প্রশান্তি লাভ হয়। এ সময় নামাজ আদায়ে পরিবারের বাচ্চারাও অংশ গ্রহণ করতে পারে। এতে বাচ্চারা অনুগত, পুণ্যশীল হয়। এ সময় পরিবারের মধ্যে আনন্দের রেশ বয়ে যায়।
ইশার সময় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ
সারা দিনের কর্মযজ্ঞ শেষে মানুষ বাসায় ফিরে রাতে খাবার খায়। এ সময় খেয়ে সাথে সাথে ভরা পেটে শুয়ে পড়লে বিভিন্ন রোগ বালাই হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, অল্প ব্যায়াম করে বিছানায় গেলে এই সমস্যার আশঙ্কা থাকে না। এই কারণে রাতের প্রথম প্রহরের দিকে ইশার নামাজ শারীরিক সুস্থতায় বিশাল ভূমিকা পালন করে। এটি রাতে বিশ্রামে যাওয়ার পূর্বে সাধারণ যে কোন প্রকারের ব্যায়ামের চেয়েও অধিক উপযোগী। ঘুমানোর পূর্বেকার দিনের সর্বশেষ এই নামাজ আদায়ে অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। পাশাপাশি আহারকৃত খাদ্য পানীয় হজমেও সহায়ক হয় এবং সর্বোপরি মনোদৈহিক অস্থিরতা দূর করে আরামদায়ক একটি নিদ্রায় গমনে সাহায্য করে।
এই ক্ষেত্রে একটি হাদিসে এসেছে যে- 'আশা ক্ববলাল ইশা', অর্থাৎ, রাতের খাবার ইশার পূর্বেই হওয়া চাই। ভাবতেই অবাক লাগে, আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন প্রকার আধুনিকায়নই যখন বলা চলে হয়নি, সেই সময়ে কি করে প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 'আশা' অর্থাৎ, রাতের খাবার ইশার নামাজের পূর্বে গ্রহণ করাকে মানব শরীরের জন্য উপকারী সাব্যস্ত করে এই কাজটির প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হলেন!
তাহাজ্জুদের সময় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ
এ কথা আমরা সকলেই জানি যে, মধ্য রাতে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা প্রভূত সাওয়াবের একটি কাজ। মহান প্রতিপালকের নৈকট্য অর্জনেরও এটি অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু মধ্য রাতের ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ আদায় করা যে মানসিক অস্বস্তি, নিদ্রাহীনতা, হার্ট ও স্নায়ুর সংকোচন এবং বন্ধন, মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা স্বরূপ- সে কথা জানি কতজন! অভিজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, যারা দূরের জিনিস ঠিকমত দেখতে পান না এ সময়ে নামাজ আদায় করা তাদের জন্য উত্তম একটি চিকিৎসা। এছাড়াও এ সময়ে নামাজ আদায় করলে বুদ্ধি, আনন্দ বৃদ্ধি পায় এবং মনোদৈহিক অসাধারণ শক্তির সঞ্চার হয় যা নামাজি ব্যক্তিকে সারা দিন উৎফুল্ল রাখে, কর্মক্ষম এবং চঞ্চল রাখে।
নামাজের শারীরিক উপকারিতাঃ
নামাজ ফরজ ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন সব মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। এ নামাজ পরকালের মুক্তি লাভের অন্যতম মাধ্যম। কারণ পরকালে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব সুন্দরভাবে দিতে পারবে, তার পরবর্তী হিসাব সহজ হয়ে যাবে।
আবার নামাজ দুনিয়ায় সব ধরনের অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। শুধু তাই নয়, নামাজের মাধ্যমে নামাজি ব্যক্তি অনেক শারীরিক উপকার লাভ করে। যার কিছু তুলে ধরা হলো-
দাঁড়ানোঃ
মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়; তখন সব চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
রুকুঃ
নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করে এবং রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে কোমর ও হাটু ব্যাথা উপশম হয়।
সিজদাঃ
নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আবার সিজদা থেকে ওঠে যখন দুই সিজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁট সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।
ওঠা বসাঃ
নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তিকে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে স্থির দাঁড়ানো, আবার সিজদায় যাওয়া, সিজদা থেকে ওঠে স্থিরভাবে বসা, আবার সিজদা দিয়ে দাঁড়ানো বা বসা। এ সবই মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এতে মানুষের শারীরিক বহুবিদ উপকার সাধিত হয়।
মানসিকতার পরিবর্তনঃ
নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে। গোনাহ, ভয়, নীচুতা, হতাশা, অস্থিরতা, পেরেশানি ইত্যাদি দূরভীত হয়। ফলে বিশুদ্ধ মন নিয়ে সব কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।
দেহের কাঠামোগত উন্নতিঃ
নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়। মানুষ যখন নামাজে নড়াচড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।
পরিচ্ছন্ন রাখেঃ
নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। ওজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় য দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে মানুষ সুরক্ষিত থাকে।
চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কম থাকেঃ
নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিকে দৈনিক বহু বার উযু করতে হয়। পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে তাকে তার হাত, পা, চোখ কানসহ গোটা মুখমন্ডল বার বার উত্তমরূপে ধৌত করতে হয়। এর ফলে তার শরীরের উম্মুক্ত স্থানগুলোতে রোগজীবানূ কিংবা অন্য কোন প্রকার ময়লা জমে থাকার সুযোগ পায় না। এ কারণে একজন নামাজী ব্যক্তির হাত, পা এবং মুখমন্ডল ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও অপেক্ষাকৃত কম থাকে।
চেহারার লাবন্য বৃদ্ধিঃ
নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই তার মুখমণ্ডল ধৌত করা হয়ে থাকে। মুখমন্ডলের মাংশপেশিতে এক প্রকারের ম্যাসেজও হয়ে যায় এর ফলে। এতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবন্য বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যাওয়ার মত ঘটনাও লক্ষ্য করা যায়।
বিশেষ করে...
নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস, চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত, নামাজ মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।
পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মে উপাসনার নিজস্ব পদ্ধতি থাকলেও নামাজের মতো এমন সামগ্রিক ইবাদত আর নেই। নামাজির জন্য এটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, এটা আক্ষরিক অর্থেই সামগ্রিক এমন একটি ব্যায়াম, যার প্রভাব মানুষের প্রত্যেকটি অঙ্গের উপরে পড়ে এবং মানুষের প্রতিটি অঙ্গ নড়াচড়ার ফলে তার দেহে শক্তি সৃষ্টি হয় এবং সর্বোপরি এর দ্বারা তার সুস্বাস্থ্য অটুট থাকে।
পরিশেষে...
নামাজের উপকারিতায় আল্লাহ তাআলা বলেন,
اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ.
নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। -সূরা আনকাবূত (২৯) : ৪৫
ইমাম তবারী, ইবনে কাসীর, কুরতুবী, আলূসীসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাফসীরকারের মত অনুসারে আয়াতের মর্ম হল, তাকবীর, তাসবীহ, কিরাত, আল্লাহর সামনে কিয়াম ও রুকু-সিজদাহসহ অনেক আমলের সমষ্টি হচ্ছে নামাজ। এ কারণে নামাজ যেন মুসল্লিকে বলে, তুমি কোনো অশ্লীল বা অন্যায় কাজ করো না। তুমি এমন প্রভুর নাফরমানী করো না, যিনি তোমার কৃত ইবাদতসমূহের প্রকৃত হকদার। তুমি এখন কীভাবে তাঁর অবাধ্য হবে, অথচ তুমি এমন আমল করেছ, যা তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ত্বকে প্রকাশ করে। এরপরও যদি তাঁর অবাধ্য হও তবে এর মাধ্যমে তুমি স্ববিরোধী কাজে লিপ্ত হলে। আর স্ববিরোধী কাজের মাধ্যমে ব্যক্তি কোন্ স্তরে নেমে আসে সেটা তোমার ভালোই জানা আছে। -রুহুল মাআনী, ১০/৪৮২
শুধু তাই নয়, নামাজ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের অনন্য হাতিয়ার। সুস্থতারও।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতালাভের বুলন্দ নসিব আমাদের প্রত্যেককে প্রদান করুন। আমিন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া, প্রিয় ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,
সন্দেহ নেই, নামাজের মধ্যে দিয়ে কিছু ব্যায়াম মানুষের হয়েই যায় তাদের অজান্তেই। কোমর, হাটু, হাত-পা,গোড়ালীসহ অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অতিপ্রয়োজনীয় ব্যায়ামের কথা ও তার উপকারীতা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
তবে সব চেয়ে বড় যে উপকারটি হয় তা মস্তিষ্কের। একাগ্র চিত্তে নামাজ আদায়ে মন আলাদা এক প্রফুল্লতা,পবিত্রতায় ভরে ওঠে যা মস্তিষ্ককেও ঠান্ডা রাখে এবং চিন্তাশক্তিকে শুভ কাজের দিকে ধাবিত করে যা তেমন নামাজীকে মানবতাবাদী করে তোলে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
বরাবরই আপনার মূল্যবান মতামত অনুপ্রেরণার উৎস। এই পোস্টে আপনাকে পেয়ে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘায়ু হোন- এই প্রার্থনা করি।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ নামাজ ভালো ব্যয়াম। এটা আমি স্বিকার করি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
যাক, শুকরিয়া, কার্পণ্য না করে অতি সংক্ষিপ্ত কথায় হলেও শেষমেষ ইসলাম ধর্মের একটি বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বকে অন্ততঃ স্বীকার করে নিলেন! ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
নতুন বলেছেন: গ্যাস মানবদেহে প্রভাব ফেললে মস্তিষ্ক, পাগলামিসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এ সময় ওজু করে নামাজ আদায় করলে এ গ্যাস প্রভাব ফেলতে পারে না ফলে দেহ বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে যায়।
এই রকমের তথ্য কোথায় পাইলেন?
পৃথিবী দুই ধরনের গতিতে চলে। লম্ব ও বৃত্তীয়। যখন সূর্য ঢলতে থাকে তখন পৃথিবীর ঘূর্ণন কমতে থাকে। এমনকি আসরের সময় একেবারেই কমে যায়। এ সময় রাতের অনুভূতি প্রবল হতে থাকে। প্রকৃতির মধ্যে স্থবিরতা এবং অবসাদগ্রস্ততা প্রদর্শিত হতে থাকে। আসরের নামাজের সময় অবচেতন অনুভূতির শুরু হয়।
পৃথিবির ঘূর্নন কমতে থাকে? এটা কি এন্টারকটিক হুজুরের আবিস্কার?
বিশেষ করে...
নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস, চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত, নামাজ মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।
দেশের মুসলমান কমিউনিটিতে এই রকমের রোগের কমতি আছে বলে আমার জানা নাই। কিন্মা হিন্দুদের মাঝে এই রোগ বেশি তেমন প্রমান নাই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
এই রকমের তথ্য কোথায় পাইলেন? )
-আপনার অবিশ্বাস হয়?
পৃথিবির ঘূর্নন কমতে থাকে? ) এটা কি এন্টারকটিক হুজুরের আবিস্কার?
-এটা মনে হচ্ছে আমার অসতর্কতা ছিল। পোস্টে এডিট করার চেষ্টা করবো। সবসময় ভুল ধরিয়ে দেয়ায় বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ।
দেশের মুসলমান কমিউনিটিতে এই রকমের রোগের কমতি আছে বলে আমার জানা নাই। কিন্মা হিন্দুদের মাঝে এই রোগ বেশি তেমন প্রমান নাই।
-এটা মনে হচ্ছে সঠিক নয়। আপনি আরও পর্যবেক্ষন করে দেখতে পারেন।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
নতুন বলেছেন: ধর্মভীরুতা ভালো কিন্তু এই সব তথ্য বিশ্বাস করা ধমান্ধতার সামিল
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধর্মভীরুতা ভালো পক্ষান্তরে 'ধর্মান্ধতা' যে ক্ষতিকর তাতে সন্দেহ নেই। আপনার কথার প্রথমাংশে সহমত। কিন্তু 'ধর্মান্ধতা' কথাটির মর্মও আমাদের সঠিকভাবে বুঝতে হবে। বাদ বিচারহীনভাবে যে কোন কিছুকে 'ধর্মান্ধতা' বলাও সম্ভবতঃ অনুচিত।
ধন্যবাদ।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নতুন বলেছেন: যেহেতু ধামিকেরা যুক্তির ধার ধারেনা তাই তাদের কোন দাবীকে যুক্তি দিয়ে বিচার করাও আসলে ঠিক না।
আপনি যেই সব দাবি করেছেন তার কোনটাই প্রমান করার মতন তথ্য নাই।
নামাজ পড়লে যদি রোগ কম হতো সেটার তথ্য আপনি জোগাড় করতে পারতেন। হিন্দুদের মাঝে এই সব রোগ মোসলমানের চেয়ে বেশি না। বরং যারা ভেজিটেরিয়ান তাদের হৃদরোগ অন্যদের তুলনায় কম। কিন্তু স্ট্রোকের ঝুকি বেশি।
এই সব জিনিসের তথ্য একটু খুজলেই পাবেন।
অবশ্য ধর্ম মনে যেহেতু বিশ্বাসই শেষ কথা। তাই যেহেতু নামাজ পড়লে এতো উপকার হয় বলেছেন তাই এটার বিরুদ্ধে প্রশ্ন করা যাবেনা বরং মেনে নিতে হবে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
যেহেতু ধামিকেরা যুক্তির ধার ধারেনা তাই তাদের কোন দাবীকে যুক্তি দিয়ে বিচার করাও আসলে ঠিক না।
-এটা একটা দামী কথা বলেছেন। আপনি আসলেই জ্ঞানী লোক।
আপনি যেই সব দাবি করেছেন তার কোনটাই প্রমান করার মতন তথ্য নাই।
-আছেরে ভাই, আছে। তথ্যটা পেতে হলে আপনাকে প্রাকটিক্যাল করতে হবে। প্রাকটিক্যাল করেই দেখুন না কয়েকটা দিন।
নামাজ পড়লে যদি রোগ কম হতো সেটার তথ্য আপনি জোগাড় করতে পারতেন। হিন্দুদের মাঝে এই সব রোগ মোসলমানের চেয়ে বেশি না। বরং যারা ভেজিটেরিয়ান তাদের হৃদরোগ অন্যদের তুলনায় কম। কিন্তু স্ট্রোকের ঝুকি বেশি।
-এই তথ্য কতটুকু সত্য? এর বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রমান আছে?
অবশ্য ধর্ম মনে যেহেতু বিশ্বাসই শেষ কথা। তাই যেহেতু নামাজ পড়লে এতো উপকার হয় বলেছেন তাই এটার বিরুদ্ধে প্রশ্ন করা যাবেনা বরং মেনে নিতে হবে।
-কে বলেছে প্রশ্ন করা যাবে না? আপনি তো হাজারটা প্রশ্ন করেন। কই, কোনো দিন তো বলিনি যে, প্রশ্ন করা যাবে না! তাহলে?
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: স্টিফেন হকিং নামাজ না পড়াতে তার শারীরিক অবস্থা এমন হয়েছে মনে হচ্ছে। উনার নিয়মিত নামাজ পড়ার দরকার ছিল। মনে কিছু নিবেন না, মজা করলাম। আপনি আপনি আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
বলা তো যায় না, বরং স্টিফেন হকিং কিছু দিন নামাজ পড়লেই বিষয়টা ভালোভাবে বুঝা যেত। তাকে পরামর্শটা দেখেন, কষ্টক্লেশ করে কোনভাবে দেয়া যায় কি না।
রসিকতার জন্য ধন্যবাদ। কথা হচ্ছে, মতভিন্নতা আমাদের মাঝে থাকতেই পারে, তাতে কি! সর্বোপরি সহনশীলতা এবং আন্তরিকতা ইত্যাদি কারণে ব্লগে আপনিও কিন্তু আমার অনেক কাছের মানুষদের একজন।
শুভকামনা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার পোস্ট।
ধন্যবাদ। +