নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'কি\' এবং \'কী\'-এর মধ্যকার পার্থক্য ও শব্দ দু\'টির ব্যবহার

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

'কি' এবং 'কী'-এর মধ্যকার পার্থক্য ও শব্দ দু'টির ব্যবহার

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

'কি' এবং 'কী' বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি মাত্র অক্ষরের দু'টি শব্দ। বাংলা ভাষায় এমন এক অক্ষরের শব্দ অনেক রয়েছে। অন্য ভাষায়ও রয়েছে। যেমন- ইংরেজিতে I (আই) মানে আমি, a (এ) মানে একটি ইত্যাদি।

তো, আলোচ্য 'কি' শব্দটি ক্রিয়াবিশেষণ (অব্যয়) এবং 'কী' সর্বনাম পদ হিসেবে কাজ করে। উভয়টিই প্রশ্নবোধক বা বিস্ময়সূচক বাক্যে ব্যবহৃত হয়। সমোচ্চারিত শব্দ হওয়ায় প্রায়শই লেখা ও পড়ার সময় এই শব্দদ্বয়ের বানান ও অর্থ নিয়ে ব্যবহারকারীদের সমস্যায় পড়তে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যার গভীরে গিয়ে এর সমাধানের পরিবর্তে অনেককেই দেখা যায়, তারা সকল ক্ষেত্রে কেবল 'কি' অথবা 'কী' যে কোন একটি শব্দই ব্যবহার করেন। মূলতঃ এই শব্দ দু'টির পার্থক্য না জানার কারণেই এমন প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়, যা প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয়। 'কি' এবং 'কী'-এর ভুল ব্যবহার বা প্রয়োগের ফলে বাক্যের সঠিক অর্থও অনেক সময় প্রদান করে না। চলুন, আজ জেনে নিই 'কি' এবং 'কী' এর পার্থক্য এবং এর সঠিক প্রয়োগ।

‘কি’ এর ব্যবহার:

সংক্ষেপে বললে যেসব প্রশ্নের উত্তর ঘাড় অথবা মাথা নেড়ে এককথায়ই দেয়া যায়, অর্থাৎ ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ এর মাধ্যমে দেয়া সম্ভব, সেসব প্রশ্ন করতে ‘কি’ শব্দটির ব্যবহার বিধেয়। যেমন- একজন যখন কাউকে এই প্রশ্ন করে যে, 'তুমি কি ভাত খেয়েছো?' এর উত্তর স্বাভাবিকভাবে 'হ্যাঁ' অথবা 'না' বলেই দেয়া সম্ভব। এরকম উদাহরণ আরও অনেক দেয়া যায়, যেমন-

আপনি কি কাল সেখানে গিয়েছিলেন?

এর উত্তরেও 'হ্যাঁ' কিংবা 'না' বলাই যথেষ্ট।

আবার, যদি প্রশ্ন করা হয়, তুমি কি বাজারে যাবে?

এর উত্তরেও 'হ্যাঁ' কিংবা 'না' বললেই হয়ে যায়।

‘কী’ এর ব্যবহার:

পক্ষান্তরে যেসব প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে দেয়া যায় না বরং অতিরিক্ত কিছু কথা বা ব্যাখ্যা যোগ করে তবেই দিতে হয়, সেসব প্রশ্ন করতে সাধারণতঃ ‘কী’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ, আরও বিস্তারিতভাবে বললে, প্রশ্নবোধক বাক্যের উত্তর যদি বিশদ বিবরণ দ্বারা দিতে হয়, তাহলে এমন বাক্যে ‘কী’ ব্যবহার করা উচিত। যেমন- কেউ একজন যখন প্রশ্ন করে যে, তোমার নাম কী? এর উত্তর কিন্তু শুধুমাত্র 'হ্যা' বা 'না' বলে দেয়ার সুযোগ থাকে না বরং 'হ্যা' বা 'না' -এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট একটি নাম উচ্চারণ করেই দিতে হয়। যেমন- এর উত্তর এভাবে দেয়া যায় যে, 'আমার নাম মাহমুদ', অথবা শুধু 'মাহমুদ' বললেও বলতে হয়। চলুন, এর আরও কয়েকটি উদাহরণ দেখি-

তুমি কি বলতে পারো, সেখানে গেলে আমি কী দেখতে পাবো?

বাক্যটিতে এই 'দেখতে পাবো' -এর পূর্বে থাকা 'কী' -এর উত্তরও কিন্তু এককথায় দেয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ, এই 'কী' -এর উত্তরও দিতে হবে বর্ণনামূলক কথার দ্বারা।

তুমি কী খাবে?

উদাহরণতঃ এর উত্তরে বলা যেতে পারে, আমি ডাল ভাত খাব। এই উত্তরটিও বর্ণনামূলক কথা দ্বারা দেওয়া হয়েছে।

হর্ষ, বিষাদ এবং বিস্ময়সূচক বাক্যেও ব্যবহৃত হয় 'কী'

এছাড়া, বিস্ময়সূচক বাক্য, হর্ষ, বিষাদ, ক্রিয়া বিশেষণ, বিশেষণ ও বিশেষণের বিশেষণ বাক্যেও ‘কী’ ব্যবহৃত হয়। যেমন-

কী সুন্দর কথা বলেছে!
কী মধুর কন্ঠের তিলাওয়াত!
কী অসাধারণ দৃশ্য!
কী নয়নাভিরাম ঝর্ণাধারা!

পরিশেষে আশা করা যাচ্ছে যে, এতক্ষণে 'কি' এবং 'কী' শব্দ দু'টির পার্থক্য এবং সঠিক প্রয়োগস্থল সম্পর্কে আমরা একটি স্পষ্ট ধারণা লাভে সক্ষম হয়েছি। আজ থেকে এই শব্দ দু'টির প্রয়োগে আমরা সচেতনতার পরিচয় দিব ইনশাআল্লাহ।

ধৈর্য্যধারণ করে লেখাটি পাঠে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

লেখাটি প্রণয়নে সহায়তা গ্রহণের জন্য বাংলা উইকিপিডিয়া ও বাংলা কোরার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায়

ধন্যবাদ আপনাকে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। এখন থেকে আর ভুল হবে না, আশা করি।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কী/কি, পড়া/পরা আমার পিছু ছাড়ে না।
উপকারী পোস্ট। ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমাদের অধিকাংশ লোকেরই এই সমস্যায় পড়তে হয়। বানান সচেতনতা বৃদ্ধিই এর একমাত্র প্রতিকার।

পোস্টটি উপকারী মনে করায় কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

আঁধার রাত বলেছেন: গুদাই।
কী রে কি বানায়ে দিলে কী এবং কি টের পাবে না। এমনকি বাংলা ভাষার কোন শিক্ষার্থীও টের পাবে না। কিছু মানুষ অনেক সুক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী তা প্রমান করতে এ সব বালছালের আগমন ঘটিয়েছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কী রে কি বানায়ে দিলে কী এবং কি টের পাবে না। এমনকি বাংলা ভাষার কোন শিক্ষার্থীও টের পাবে না। কিছু মানুষ অনেক সুক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী তা প্রমান করতে এ সব বালছালের আগমন ঘটিয়েছে।

-আপনার ধারণা একেবারে খারাপ নয়, এত এত ঝামেলায় কে যেতে চায়। তবে এইভাবে ভাবতে গেলে তো অনেক কিছুকেই এড়িয়ে যেতে হবে। এমন করে চিন্তা করলে বাংলা ব্যাকরণের অনেক নিয়মকেই মনে হতে পারে যে, সেগুলোকে অনর্থক বানানো হয়েছে। সুতরাং, তা মেনে চলার প্রয়োজন নেই। তবে আসল কথা, বাংলা ব্যাকরণের প্রতিটি নিয়ম কানূনের পেছনেই কিছু কারণ ও যুক্তি যে রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। আমার ধারণা, আলোচ্য 'কি' এবং 'কী' -এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর জানামতে, কোনো শিক্ষার্থীর টের পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে কোন ভাষার ব্যাকরণ বা নিয়ম প্রভাবিত হয় না। ভাষাবিদ বা বৈয়াকরণিকগণ মোটামুটি আমাদের চেয়ে এই বিষয়ে কিছু জ্ঞান বুদ্ধি অবশ্যই বেশি রাখতেন, তাই না? আর তারা নিশ্চিতভাবে বুঝেশুনেই এসব নিয়ম যে তৈরি করেছেন তাতেও সন্দেহ করা অমূলক। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চমতকার ভাই ।

কি এবং কী এর চমতকার বিশ্লেষণ । আসলে এই "কি" য়ের মাঝে কত "কী" লুকিয়ে ছিল/আছে তা এই লেখার আগে বুঝতে পারিনি।

"কি" এবং "কী" য়ের জন্য রইলো আপনার জন্য এতগুলো "কি/কী"++++++++

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ।

বিষয়টা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বলেই পোস্ট আকারে দিয়েছি। বানান সচেতন হতে গেলে কত কিছু যে নখদর্পনে রাখতে হয়। কঠিন ব্যাপার।

অনেক অনেক শুভকামনা।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

রসায়ন বলেছেন: চমৎকার লিখা ভাই। এটা আমারো ভুল হয় খুব। পোস্টে প্লাস

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখাটা আপনার কাছে চমৎকার মনে হওয়ায়। আজ থেকে এই ভুলটা আর হবে না, ইনশাআল্লাহ। আশা করতে পারি তো?

শুভকামনা জানবেন।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দরকারি বিষয়। ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা জানবেন।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একটা প্রশ্ন আছে ,

ধরুন আমাকে প্রশ্ন করল কেউ , তুমি কি খাবে ?

এখানে কী বসবে না কি বসবে । কিন্তু আমার উত্তর যদি এমন হয় , " হ্যাঁ খাব , ডাল দিয়ে । " তবে কী বানান ভুল হয়েছে বলে মনে করব ? কারণ উত্তরটা হ্যাঁ/না'তে আটকে নেই ।

আবার কীভাবে শুধু হয় কেন ? কিভাবে শব্দটা ভুল হবে কেন ? এখানেও কেন উত্তরের ওপর ভিত্তি করে বানানের ভিন্নতা হবে না ?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

ধরুন আমাকে প্রশ্ন করল কেউ , তুমি কি খাবে ?

-কেউ যখন প্রশ্ন করবে যে, তুমি কি খাবে? এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে যে, প্রশ্নকারী ব্যক্তির প্রশ্নের ভঙ্গিটা কেমন। প্রশ্নের ধরণ এবং ভঙ্গিই বলে দিবে যে, এখানে 'কি' অথবা 'কী', কোনটা হবে। তিনি যদি তার প্রশ্নের সময় 'কি' উচ্চারণে একটু বেশি সময় নিয়ে এটিকে দীর্ঘ করেন তখন 'কী' ধরে নিতে হবে, সেক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর হবে ব্যাখ্যামূলক। আর 'কি' উচ্চারণে সময় কম নিয়ে যদি এই একই প্রশ্ন করেন এবং 'খাবে' কথাটার ওপরে জোর দেন, তখন তার উত্তর হবে শুধু 'হ্যা' অথবা 'না' দিয়ে।

চলুন, উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা একটু বুঝার চেষ্টা করি। প্রথম প্রশ্ন, তুমি কি খাবে?

এখানে 'কি' উচ্চারণে সময় কম নিয়ে এবং 'খাবে' কথাটার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই প্রশ্নের উত্তর হবে 'হ্যা' অথবা 'না'।

পক্ষান্তরে, একই প্রশ্ন আবার যখন করা হবে 'কী' কথাটার ওপরে জোর দিয়ে এইভাবে যে, তুমি কী খাবে?

তখন এর উত্তর হবে ব্যাখ্যামূলক। যেমন, আমি আইসক্রিম খাব।

আবার কীভাবে শুধু হয় কেন ? কিভাবে শব্দটা ভুল হবে কেন ? এখানেও কেন উত্তরের ওপর ভিত্তি করে বানানের ভিন্নতা হবে না ?

-'কীভাবে' -এর উত্তরও যেহেতু ব্যাখ্যামূলকভাবে দিতে হয়, সেহেতু উপরের 'কী' -এর নিয়মে একইরকমভাবে এই বিষয়টিও চিন্তা করলে সমাধান পেয়ে যাবেন, আশা করি।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্য।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,




জেনে রাখার মতো বিষয়। এক অক্ষরের দু'টি শব্দ অথচ ব্যবহারে কী পার্থক্য!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ বিশেষ করে আপনি কিন্তু 'কী' -এর একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েই দিয়েছেন আপনার বিস্ময়সূচক বাক্যটিতে।

শুভকামনা।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯

আরজু পনি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও।

শুভকামনা সবসময়।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর ও উপকারী লেখা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। শুভকামনা জানবেন।

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সম্ভবতো এই কি ও কী বিষয়ক আরো একটি পোস্ট সামুতে পড়েছি। তবুও এর ব্যবহার খুব একটা মনে থাকে না। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা সবসময়।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩০

সোহানী বলেছেন: আরে এটা তো জানাই ছিল না। কি আর কী তো আমি একই ভেবেছিলাম।

ধন্যবাদ নতুন কিছু শেখানোর জন্য।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



কী যে বলেন, কাউকে কিছু শেখানো, সে তো কঠিন বিষয়, জাস্ট শুধুই শেয়ার করার চেষ্টা। আমাদের জানার তো কত কিছুই বাকি। এই জন্যই হাদিসের সেই অনবদ্য বাণী 'জ্ঞান আহরণ করো দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত' সবসময়ই আমাকে দারুণভাবে উৎসাহিত করে।

আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

কত দিন কথা হয় না আপনার সাথে। এই পোস্টটির সুবাদে আপনাকে পেয়ে খুবই আনন্দিতবোধ করছি। পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে সবসময় কল্যানের পথে, নিরাপত্তার সাথে থাকতে পারেন, সেই দোআই করি।

শুভকামনা জানবেন।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৭

জানা বলেছেন:
উপকারী পোস্টটার জন্যে ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই।

বাংলা বানানে যে কত ভুল আমরা করে থাকি! শুধু কি লেখায়? উচ্চারণেও অনেক সময় গুরুতর গন্ডগোল করি যা প্রথমত ভাষা নিয়ে পারিবারিক অসচেতনতা এবং পরে তার সাথে যুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান!
সাধারণভাবে দেখা যায়, উচ্চারণ এবং লেখা দু´টোতেই র এবং ড় এর ব্যবহার অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। যেমন: পরা (পরিধাণ করা)। অনেকেই বলেন বা লেখেন "আমি সাদা পোশাক পড়তে (পরতে) ভালবাসি। পড়া (পাঠ করা এবং পতিত হওয়া উভয় অর্থেই ব্যবহৃত)অনেকেই বলেন বা লেখেন " পরাশোনার (পড়াশোনার) চাপে আমি ক্লান্ত কিংবা বৃষ্টি পরছে (পড়ছে)/হাত থেকে বইটা মেঝেয় পরে (পড়ে) গেল। "ঢ়" বেচারাতো বেশ ঝামেলায় থাকে। "আষাঢ়", "রূঢ়" এমন খুব অল্প শব্দেই সে সীমাবদ্ধ বলে অনেকটা অচেনা হয়েই থাকে।

আবার কোন কোন অক্ষর লেখা এবং উচ্চারণের সাথে সাদৃশ্য ও অসামঞ্জস্যতা বেশ ঝামেলা বাধিয়ে দেয়। যেমন: স,শ এবং ষ এর ব্যবহার। বাংলায় এদের উচ্চারণ প্রায় এক হওয়ায় বা তেমন পার্থক্য না থাকায় লিখতে গিয়ে অনেকেই গুলিয়ে ফেলে। একইভাবে ন এবং ণ এর ব্যবহার নিয়েও বিরাট ঝামেলা বাধাই আমরা।

এই বিষয়গুলো নিয়ে সময় করে বিস্তারিত লিখবেন আশা করি। আমরা অনেকেই উপকৃত হবো।
অশেষ শুভেচ্ছা এবং কৃতঞগতা জানবেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ক্ষুদ্র এই পোস্টটি আপনার কাছে উপকারী বিবেচিত হওয়ায় বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আমার কোন পোস্টে ইতোপূর্বে আপনি মন্তব্য করেছেন- এই মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না। আপনার আগমনে সত্যি আনন্দিতবোধ করছি।

জ্বি, আপনার নাতীদীর্ঘ মন্তব্যটি বেশ কয়েকবার পড়লুম। আপনি যথার্থ বলেছেন। কারণ, বাংলা ভাষার বিশেষ কিছু বর্ণ যেমন, 'র', 'ড়' এবং 'ঢ়' এর ব্যবহার, 'স', 'শ' এবং 'ষ' এর ব্যবহার, 'ন' এবং 'ণ' ইত্যাদির ব্যবহারে আমরা যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি সচরাচর হয়ে থাকি এবং যে ভুলগুলো বলা চলে অহরহই করে থাকি, অতি গুরুত্বপূর্ণ তেমনই কিছু বিষয় চমৎকারভাবে আপনি তুলে ধরেছেন এবং এগুলো নিয়ে লিখতে অনুরোধ করে বস্তুতঃ একটি গুরুদায়িত্ব আমার উপরে অর্পন করেছেন। আপনার আন্তরিক দোআ কামনা করছি, যাতে সময় সুযোগ করে এই দায়িত্বটি পালন করতে সক্ষম হই।

কিছু দিন পূর্বের কা_ভা ভাইয়ের একটি পোস্ট থেকে জানতে পেরেছিলাম যে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আপনি আপনার একাধিক স্বজন প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। বিশেষ করে আপনার মমতাময়ী মহিয়সী মাকে হারানোর ঘটনাটি জেনে আপ্লুত হয়েছিলাম। কারণ, আমিও তো আপনার মতই প্রিয়তম মায়ের স্নেহ আদরের উর্ধ্বে রয়েছি ১৯৯৫ সালের কোন এক বিষাদময় দিন হতে। আপনার মাতৃবিয়োগের সংবাদটি জানার পরে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আপনার জন্য দোআ করেছি যাতে আপনি ধৈর্য্যধারণের ক্ষমতা ও শক্তিলাভ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন এবং পরলোকগত আপনার মাসহ প্রিয়জনদের মাগফিরাত কামনা করেও মহান আল্লাহ তাআ'লার নিকট আরজি জানিয়েছি।

সত্যের পথে অবিচল, সৎসাহসের নিরন্তর উৎসস্থল, আপনার দুর্ণিবার অভিযাত্রায় আমরা পাশে থাকতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত। আপনাকে সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘায়ু করে পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে সর্বাঙ্গীন কুশলে রাখার জন্য মহান আল্লাহ তাআ'লার কাছে বিনীতভাবে আবারও ফরিয়াদ জানাই।

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব এই বয়সে এসে এখন আমি কি/কী প্রার্থক্য শিখতে পারবো না। আমাকে ক্ষমা করবেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আচ্ছা, আপনার মত নিজেকে বয়োবৃদ্ধ স্যরি, বয়স্ক মনে করা একজন মানুষকে ক্ষমা করার দায়িত্ব নেয়াই যায়। আপনি 'কি' এবং 'কী' আপনার সুবিধামতই লিখতে থাকুন, আল্লাহ ভরসা। তবে, কেউ যদি আপনার লেখা পাঠ করে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন, সেই দায়িত্ব কিন্তু নিচ্ছি না। ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

অক্পটে বলেছেন: যারা লেখালেখি করেন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি উপকারী পোস্ট। আমরা যারা শুধু ব্লগ পড়তে আসি আমাদেরও ভুল ভাঙ্গলো। আমার কাছে পোষ্টটি অনেক ভাল লেগেছে। কী এবং কি এর পার্থক্যটা এই এতগুলো বছর পর এসে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, এটিকে একটি উপকারী পোস্ট হিসেবে গ্রহণ করে নেয়ার জন্য। মূলতঃ আমার কাছে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব বহন করার পেছনে যথেষ্ট কারণ ছিল। অনেকের লেখাতেই এই সংক্রান্ত অনেক অসঙ্গতি দৃশ্যমান হওয়ার কারণে শেষমেষ পোস্টটি দিতে উদ্যোগী হয়েছি।

শুভকামনা জানবেন।

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ণত্ব আর ষত্ব বিধানের উপর পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম নতুন নাকিব।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।

শুভকামনা।

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভাই,
আমার কী ভুল হয়া গেলো?

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩

নতুন বলেছেন: মানুষ জটিল জিনিস পছন্দ করেনা, তাই সময়ের সাথে কঠিন বিষয়েগুলি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

আমাদের ব্যাকারনে এমন কঠিন বিষয়গুলি মানুষ পাল্টে নেবে সময়ের সাথে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.